১৯৪৫। বয়স ৪৬ বছর
ডিসেম্বর। সিগনেট প্রেস থেকে প্রকাশিত হল ‘Modern Bengali Poems’.
সম্পাদক : দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।
‘Modern Bengali Poems’ গ্রন্থে মার্টিন কার্কম্যান অনূদিত জীবনানন্দের ‘If I were’ (‘আমি যদি হতাম’), ‘O Kite’ (‘হায় চিল’), ‘Banalata Sen’ (‘বনলতা সেন’), ‘Meditation’ (‘মনোবীজ’) কবিতাবলী গৃহীত হয়।
‘একক’ পত্রিকার শ্রাবণ সংখ্যায় (১৩৫২) ‘মহাপৃথিবী’ কাব্যের একটি আলোচনা প্রকাশিত হয়।
বুদ্ধদেব বসু রিপন কলেজের চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন।
‘ফ্যাসিস্টবিরোধী লেখক ও শিল্পী সঙ্ঘ’-এর উদ্যোগে ‘আশুতোষ কলেজ লাইব্রেরি হল – এ সুকান্ত ভট্টাচার্যের চিকিৎসার জন্যে অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ইয়েটস্-এর ‘রিজারেকশন’ কাব্যনাট্যের সুধীন্দ্রনাথ দত্ত অনূদিত ‘পুনরুজ্জীবন’-এর বিষ্ণু দে নির্দেশিত অভিনয় অনুষ্ঠিত হয়।
আক্রমণ ব্যর্থ হবার পর আজাদ হিন্দ সরকারের মূলকেন্দ্র সরে আসে ব্যাংককে। ব্যাংকক থেকে জাপান যাওয়ার পথে তাইহোকুর কাছে সমুদ্রে নেতাজীর বিমান ভেঙে পড়ে।
রুশসৈন্য জার্মানদের হাত থেকে পোল্যান্ড পুনরধিকার করে। মার্কিনসৈন্য ম্যানিলা দখল করে। রুশসৈন্য বার্লিনের ৩০ মাইল দূরে উপস্থিত হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট হঠাৎ প্রাণত্যাগ করলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান প্রেসিডেন্ট হন। মুসোলিনী বিদ্রোহী ইতালিয়ান সৈন্যের হাতে নিহত হন। ব্রিটিশ সৈন্য রেঙ্গুন অধিকার করে।
১ মে হিটলার আত্মহত্যা করেন। মিত্রবাহিনীর সঙ্গে জার্মানির আত্মসমর্পণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সানফ্রান্সিসকোতে জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষরিত হয়। আরব লিগের প্রতিষ্ঠা হয়। বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।
মার্কিন বিমান হিরোশিমা ও নাগাসাকির ওপর অ্যাটম বোমা নিক্ষেপ করলে প্রায় ৩ লক্ষ জাপানি নিহত হন। জাপান সম্রাট বিনাশর্তে মিত্রশক্তির নিকট আত্মসমর্পণ করেন।
এ বছর জন্মালেন ভাস্কর চক্রবর্তী, মঞ্জুভাষ মিত্র, নির্মলেন্দু গুণ, শান্তি সিংহ, নরেন বিশ্বাস, মনসুর মুসা।
বুদ্ধদেব বসুর একমাত্র পুত্র শুদ্ধশীল-এর জন্ম হয়।
এ বছর সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ পান গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল (১৮৮৯-১৯৫৭)। কবি। চিলির অধিবাসী।
তাঁকে পুরস্কার দেওয়ার পক্ষে নোবেল কমিটির মন্তব্য ছিল এরকম—
‘For her lyric poetry which inspired by powerful emotions has made her name a symbol of the idealistic aspirations of the entire Latin American World.’
মিস্ত্রালের বিখ্যাত গ্রন্থ— ‘Jala’, ‘Wine Press’.
প্রকাশিত গ্রন্থ : প্রকাশিত হয় সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘নয়নচারা’ গল্পগ্রন্থ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘হলুদ পোড়া’ গল্পগ্রন্থ এবং উপন্যাস ‘দর্পণ’, নীহাররঞ্জন রায়ের ‘বাঙালি হিন্দুর বর্ণভেদ’, প্রবোধচন্দ্র সেনের ‘ছন্দোগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’, মোহিতলাল মজুমদারের ‘বাংলার নবযুগ’, সুশীলকুমার দে’র ‘বাংলা প্রবাদ’, হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঁচ খণ্ডে সমাপ্ত ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’, হুমায়ুন কবিরের ‘বাংলার কাব্য’, অজিত দত্তের ‘নষ্টচাঁদ’, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’।