1 of 2

১৯৩৮। বয়স ৩৯ বছর

১৯৩৮। বয়স ৩৯ বছর 

‘ক্যাম্পে’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ পছন্দ করেননি। ‘ঘাইহরিণী’ শব্দটিকেও সমকালীন সমালোচকরা সমালোচনার অব্যর্থ উপাদান হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথও এই সমালোচকদের একজন ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশকে (১৮৯৩–১৯৭২) বলেছিলেন— 

‘‘ঘাই হরিণী’ কবিতাও একেবারে কিছু হয়নি।’ [জীবনানন্দ দাশ : বিকাশ প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত, পৃ. ৮৫]। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পাদিত ‘বাংলা কাব্য পরিচয়’ প্রকাশিত হয় শ্রাবণ ১৩৪৫ বঙ্গাব্দে। জীবনানন্দের ‘মৃত্যুর আগে’ কবিতাটির অংশ বিশেষ বর্জিত হয়ে এই সংকলনে গৃহীত হয়। রবীন্দ্রনাথ কবিতাটির প্রথম, পঞ্চম সম্পূর্ণ এবং শেষতম অষ্টম স্তবকের প্রথম চার পঙ্ক্তি বাদ দিয়ে খণ্ডিত অংশ তাঁর সংকলনে গ্রহণ করেছিলেন। ব্যাপারটি বুদ্ধদেব বসুর মোটেই ভালো লাগেনি। তিনি ‘কবিতা’ পত্রিকার আশ্বিন ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ সংখ্যায় রবীন্দ্রনাথকৃত এই সংকলনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। তিনি লিখলেন— 

‘জীবনানন্দ দাসের (দাশ) ‘মৃত্যুর আগে’ কবিতাটি ‘কবিতা’র প্রথম সংখ্যায় যেরকম বেরয়, তাই কিছু কেটেছেঁটে রবীন্দ্রনাথ নিয়েছেন। অঙ্গহানিতে কবিতাটির ক্ষতি হয়েছে। উপরন্তু ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ বইটিতে এই কবিতাটি শোধিত আকারে প্রকাশিত আছে; সেটি যখন পরবর্তী এবং গ্রন্থে অন্তর্গত, সংকলন-কর্তার পক্ষে সেটি গ্রহণ করাই স্বাভাবিক ছিলো। এই যত্নহীনতা অবজ্ঞাসূচক। আমি তো মনে করি যে সব কবির উপর রবীন্দ্রনাথের আন্তরিক শ্রদ্ধা নেই, তাঁদের বাদ দেয়ার অধিকার নিশ্চয়ই তাঁর আছে এবং বাদ দেয়াই যথার্থ কবিধর্ম ও মনুষ্যধর্ম। সাহিত্যক্ষেত্রে কেউ কারো কৃপাপ্রার্থী নন। দয়ার গ্রহণের চাইতে স্পষ্ট উপেক্ষার বর্জন অনেক সম্মানের।’ [‘কবিতা’, ৪:১, আশ্বিন ১৩৪৫, পৃ. ৭৫] 

রবীন্দ্রনাথকৃত ‘বাংলা কাব্য পরিচয়’ সংকলনের সমসাময়িক সময়ে ‘চতুরঙ্গ’ পত্রিকা প্রকাশিত হয় (আশ্বিন ১৩৪৫)। এটি একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা। সম্পাদক : হুমায়ুন কবির (১৯০৬–১৯৬৯) ও বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪)। দু’বছর প্রকাশিত হওয়ার পরে বুদ্ধদেব বসু ‘চতুরঙ্গে’র সম্পাদকীয় দায়িত্ব ত্যাগ করেন। পত্রিকাটির প্রথম সংখ্যা থেকেই জীবনানন্দ সাহিত্যিক-তালিকাভুক্ত। এই পত্রিকায় জীবনানন্দের কবিতা ও কতিপয় প্রধান গ্রন্থ-সমালোচনা প্রকাশিত হয়। 

‘চতুরঙ্গ’-এর প্রথম বর্ষের প্রথম সংখ্যায় জীবনানন্দের ‘ফুটপাথে’ কবিতাটি বের হয়। ‘শনিবারের চিঠি’র (কার্তিক ১৩৪৫) সংখ্যায় লেখা হয় — 

‘কবি জীবনানন্দ (জীবানন্দ নহে) ‘চতুরঙ্গে’র (চৌরঙ্গীর?) ফুটপাথে বসিয়া পড়িয়াছেন। … জীবনানন্দ বাবুর (জীবানন্দ নহে) বরাত ভাল, খাঁটি জায়গার সন্ধান তিনি পাইয়াছেন। … জীবনানন্দের (জীবানন্দ নহে) অরিজিনালিটি অস্বীকার করা চলিবে না।’ 

‘কবিতা’ পত্রিকার (পৌষ ১৩৪৫) সংখ্যায় জীবনানন্দের ‘তার স্থির প্রেমিকের নিকট- কোনো উদ্দীপিতা’ কবিতাটি প্রকাশিত হয়। ‘শনিবারের চিঠি’ (মাঘ ১৩৪৫) লেখে— 

‘ধবল কুষ্ঠ জানিতাম, কিন্তু জীবনানন্দ দাশ (জিহ্বানন্দ নহে) সম্প্রতি ‘ধবল শব্দ শুনিতেছেন। কবিরাজ মহাশয়কে জিজ্ঞাসা করিলাম। তিনি শাস্ত্র ঘাঁটিয়া বিশেষ সংকোচের সহিত বলিলেন, ফেরঙ্গ-রোগ পর্যায়ে এ একটা কঠিন ব্যাধি। 

‘রক্ত গোধিকার লালের’ সহিত ‘কৃষ্ণ কর্ণমর্দনের’ নিয়মিত প্রয়োগ ব্যতিরেকে এই ব্যাধি সারিবার নহে। ‘ 

‘পরিচয়’ পত্রিকায় জীবনানন্দের ‘গোধূলিসন্ধির নৃত্য’ কবিতাটি প্রকাশিত হয়। শনিবারের চিঠি’ (চৈত্র ১৩৪৫) সংখ্যায় সমালোচনা বেরোয় এ রকম— 

‘‘গোধূলিসন্ধির নৃত্য’ দেখিয়াছেন? চৈত্রের ‘পরিচয়ে’ দেখিতে পাইবেন। নাটোরের বনলতা সেনকে বিস্মৃত হইয়া কবি জীবনানন্দের (জিহ্বানন্দ নহে) এই টারানটেলা নাচ! হায়রে, যদি নাচ না হইয়া সোয়ান সঙ হইত!’ 

১৯৩৮ সালের ৩০ আগস্ট জীবনানন্দ দাশের মাতামহ চন্দ্রনাথ দাশের মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স তখন প্রায় ৮৬ বছর। কৌতুকপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন তিনি। চন্দ্রনাথ সর্বানন্দ ভবনে এলে জীবনানন্দের চেহারায় ও মনে নতুন প্রাণতরঙ্গ বয়ে যেত। ব্রহ্মসাধনতত্ত্ব বিষয়ে অনেক সঙ্গীত রচনা করেছিলেন চন্দ্ৰনাথ দাশ। 

জীবনানন্দ দাশ ‘কবিতার কথা’ নামক প্রবন্ধগ্রন্থের অন্তর্গত প্রবন্ধগুলো লেখা শুরু করেন। এই গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত প্রবন্ধগুলোর নাম— 

১. কবিতার কথা, ২. রবীন্দ্রনাথ ও আধুনিক বাংলা কবিতা, ৩. মাত্রাচেতনা, ৪. উত্তররৈবিক বাংলা কাব্য, ৫. কবিতা প্রসঙ্গে, ৬. কবিতার আত্মা ও শরীর, ৭. কি হিসেবে শাশ্বত, ৮. কবিতাপাঠ, ৯. দেশ কাল ও কবিতা, ১০. সত্য বিশ্বাস ও কবিতা, ১১. রুচি, বিচার ও অন্যান্য কথা, ১২. কবিতার আলোচনা, ১৩. আধুনিক কবিতা, ১৪. বাংলা কবিতার ভবিষ্যৎ, ১৫. অসমাপ্ত আলোচনা। 

প্রবন্ধগুলোর রচনাকাল : ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ থেকে ১৩৬০ বঙ্গাব্দ, ১৯৩৮ থেকে ১৯৫৩ সাল।

‘কবিতার কথা’ প্রবন্ধগ্রন্থটির প্রথম সংস্করণ বের হয় ৬ ফাল্গুন ১৩৬২ বঙ্গাব্দে। প্রকাশক : দিলীপকুমার গুপ্ত, সিগনেট প্রেস ১০/২ এলগিন রোড, কলকাতা- ২০। প্রচ্ছদ আঁকেন সত্যজিৎ রায়। প্রবন্ধের সংখ্যা : ১৫। মূল্য : আড়াই টাকা। ডিমাই। পৃ. ৮ + ১০৮। 

১৯৩৮-এ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত হলেন (১৮৭৬-১৯৩৮)। বরিশালের স্থানীয় সাহিত্য পরিষদ শাখা ১৬ জানুয়ারি শরৎচন্দ্রের বিষয়ে এক স্মরণসভার আয়োজন করে। সে সভায় শরৎচন্দ্রের সাহিত্যরসের ব্যাখ্যামূলক এক উঁচু দরের প্রবন্ধ পাঠ করেছিলেন জীবনানন্দ। [ব্রজমোহন কলেজ স্মারক পত্রিকায় ১৯৩৮-এর মে মাসে ‘শরৎচন্দ্র’ শীর্ষক জীবনানন্দের প্রবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয়]। 

প্রবন্ধের কিয়দংশ এরকম— 

‘একথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, ইংরেজি বা ফরাসি বা জার্মানি সাহিত্যের চেয়ে বাংলা সাহিত্যের ঐশ্বর্য কম—হয়তো ঢের কম, কাজেই এ সাহিত্যে শরৎ চট্টোপাধ্যায়ের আবির্ভাব ও তাঁর দান যে কী প্রগাঢ় ও বিস্ময়কর, বাংলাদেশে শরৎবাবু যদি কোনোদিন জন্মগ্রহণ না করতেন তাহলে আমাদের দেশের কথাসাহিত্যের ধারা যে কীরকম অঙ্গহীন হয়ে থাকত তা বুঝতে পারা যায়।’ 

নজরুলপত্নী প্রমীলা দেবী পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত। পত্নীর চিকিৎসার জন্যে দারিদ্র্যের কঠিন আঘাত নজরুলকে সহ্য করতে হয়। কয়েক বছর আগে কেনা ক্রাইসলার গাড়ি, জমি, গ্রন্থ ও রেকর্ডস্বত্ব বন্ধক রাখতে হয় সামান্য টাকার বিনিময়ে। 

মৃগীরোগ থেকে মুক্তিলাভের জন্যে ডা. বিধানচন্দ্র রায় পরামর্শ দিলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিয়ে করিয়ে দিতে। মে মাসে বিক্রমপুরের পঞ্চসারনিবাসী সুরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা কমলাদেবীর সঙ্গে মানিকের বিয়ে হয়। 

রবীন্দ্রনাথের বয়স ৭৭। লর্ড লোথিয়েন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শান্তিনিকেতনে আসেন। এন্ড্রুজ হিন্দিভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। টাকা জোগালেন হলবাসিয়া ট্রাস্ট। 

ফেব্রুয়ারিতে বাংলার গভর্নর লর্ড ব্র্যাবোর্ন সস্ত্রীক আশ্রম পরিদর্শনে আসেন। ‘ছায়া’ নামক প্রেক্ষাগৃহে ‘চণ্ডালিকা’ অভিনীত হওয়ার সময় কংগ্রেস সভাপতি সুভাষচন্দ্র বসু দর্শকসারিতে উপস্থিত ছিলেন। জুনে মংপুতে মৈত্রেয়ী দেবীর আতিথ্য গ্রহণ করলেন কবি। ‘বাংলা ভাষা পরিচয়’ গ্রন্থটি লিখলেন রবীন্দ্রনাথ। 

গগন্দ্রেনাথ ঠাকুরের মৃত্যু হয়। সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন শান্তিনিকেতনে এলেন। ডক্টর মেঘনাদ সাহাও শান্তিনিকেতনে এলেন। বড়লাট লিনলিথগোর স্ত্রী ও কন্যা শান্তিনিকেতন ঘুরে গেলেন। এলমহার্স্ট বিলাত থেকে ফিরে এলেন। 

বাংলার গভর্নর লর্ড ব্র্যাবোর্নের মৃত্যু হয়। রবার্ট রীড অস্থায়ী গভর্নর হলেন। বিখ্যাত কবি স্যার মুহম্মদ ইকবাল মৃত্যুবরণ করেন। মারা গেলেন নবীন তুরস্কের জনক কামাল আতাতুর্ক। 

ইউরোপের নানা দেশে রাজতন্ত্রের বদলে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে লাগল। হিটলার বিনাযুদ্ধে অস্ট্রিয়া অধিকার করেন, অধিকার করে নেন চেকোস্লোভাকিয়া রাজ্যের সুডেটানল্যান্ড। যুদ্ধ পরিহার করবার জন্যে ব্রিটেন প্রবলভাবে জার্মান-তোষণ শুরু করে। জাপানিরা চীনের নতুন রাজধানী হাঙ্কৌ অধিকার করে। 

নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণের মূলসূত্র আবিষ্কৃত হয়। 

বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন তৈরি হল। জমিদারি প্রথা উচ্ছেদকল্পে ‘ফ্লাউড কমিশন’ গঠিত হয়। শিশুনিয়োগ আইন বাতিল হয়। 

নিখিল ভারতীয় মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনে এ.কে. ফজলুল হক হিন্দির পরিবর্তে উর্দুকে ভারতের সাধারণ ভাষারূপে গ্রহণের প্রস্তাব দেন। 

এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান আমেরিকান উপন্যাসকার পার্ল এস বাক (১৮৯২- ১৯৭৩)। 

তাঁকে নোবেল প্রাইজ দেওয়ার কারণ হিসেবে নোবেল কমিটি লেখেন— 

‘For her rich and truly epic description of peasant- life in which and for her bio-graphical master- pieces.’ 

বাকের উল্লেখনীয় গ্রন্থগুলো হল— ‘Good Earth’, ‘All men are brother’, ‘This Proud Heart’, ‘The Exile’, ‘The Promise’, ‘What America means to me.’

প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রিকা : প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথের ‘প্রান্তিক’, ‘চণ্ডালিকা’, ‘পথে ও পথের প্রান্তে, ‘সেঁজুতি’, ‘বাংলা ভাষা পরিচয়’। প্রকাশ পায় অমিয় চক্রবর্তীর ‘খসড়া’, সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘বিদায় আরতি’, সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘কবিতা’, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আরণ্যক, রাজশেখর বসুর ‘চলন্তিকা’, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের ‘জাতি, সংস্কৃতি ও সাহিত্য’, শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বঙ্গসাহিত্যে উপন্যাসের ধারা’, প্রমথনাথ বিশীর ‘জোড়াদীঘির চৌধুরী পরিবার’। প্রকাশ পায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘অমৃতস্য পুত্রাঃ’, গল্পগ্রন্থ ‘মিহি ও মোটা কাহিনী’।  

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় আধুনিক বাংলা কবিতার সংকলন ‘বাংলাকাব্য পরিচয় প্রকাশিত হয়। সংকলনটিতে বিষ্ণু দে ও সমর সেন গৃহীত হননি। প্রকাশ পায় হুমায়ুন কবির ও বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘চতুরঙ্গ’ পত্রিকা। 

এ বছর বৈশাখ ১৩৪৫ ‘কবিতা’ পত্রিকায় সমালোচনা সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়। এই সংখ্যাটিকে বলা যায় আধুনিক বাংলা কবিতার ইস্তাহার। একই সঙ্গে এটি আধুনিক কবিতা আন্দোলনের নানামুখিতার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রবীন্দ্রনাথ থেকে সমর সেন পর্যন্ত সেযুগের প্রধান কবি ও সমালোচকের কাব্যচিন্তা বিধৃত আছে এই সংখ্যাটিতে। সূচিপত্র ছিল এরকম- 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : সাহিত্যের স্বরূপ।

জীবনানন্দ দাশ  : কবিতার কথা। 

অজিত দত্ত : বাংলা মিলের দুরূহ তত্ত্ব। 

সুধীন্দ্রনাথ দত্ত : স্বগত। 

সমর সেন : বাংলা কবিতা।

আবু সয়ীদ আইয়ুব : কাব্যের বিপ্লব ও বিপ্লবের কাব্য। 

বুদ্ধদেব বসু : কবি ও তাঁর সমাজ। 

বিষ্ণু দে : সম্পাদক সমীপে। 

লীলাময় রায় : আধুনিক বাংলা কবিতা। 

হমফ্রি হাউস: কবিতায় অনুবাদ।

হুমায়ুন কবির : কবিতা ও অনুবাদ। 

সম্পাদক : ‘কবিতা’র পাঠকের প্রতি। 

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *