1 of 2

১৯২৮। বয়স ২৯ বছর

১৯২৮। বয়স ২৯ বছর 

জীবনানন্দ সিটি কলেজের চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। সিটি কলেজ সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ দ্বারা স্থাপিত ও পরিচালিত। ব্রাহ্ম-আত্মীয়দের সহযোগিতায় জীবনানন্দ অধ্যাপনার চাকরিটা পেয়েছিলেন। 

১৯২৮ সালে কলেজের রামমোহন ছাত্রাবাসের ছাত্ররা জেদ করে সরস্বতী পূজার আয়োজন করে। কর্তৃপক্ষ পূজার বিরোধিতা করে। এই নিয়ে হিন্দুসমাজ আর ব্রাহ্মসমাজ বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। ব্রাহ্মসমাজের পক্ষে সমর্থন করেন ‘প্রবাসী’ সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অতুলপ্রসাদ সেন, প্রফুল্লচন্দ্র রায় (১৮৬১-১৯৪৪)। হিন্দুছাত্রদের পক্ষকে সমর্থন করেন সতীন্দ্রনাথ সেন। পরে সুভাষচন্দ্র ও ক্যাপটেন নরেন্দ্রনাথ দত্তকে সঙ্গে নিয়ে কলেজ-কতৃ ‘পক্ষের সঙ্গে তিনি মধ্যস্থতা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি। সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুছাত্ররা দলবলে কলেজ ত্যাগ করল। 

‘সিটি কলেজের ছাত্রাবাসে সরস্বতী পূজা’ শিরোনামে রবীন্দ্রনাথ একটি প্রবন্ধ লেখেন। প্রবন্ধটি ‘প্রবাসী’ পত্রিকার ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধটি কলেজ- কর্তৃপক্ষের অনুকূলে লেখা হয়েছিল। (সূত্র : ‘সিটি কলেজের ছাত্রাবাসে সরস্বতী পূজা’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রবাসী, জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৫, ২৮ ভাগ, ১ম খণ্ড, ২ সংখ্যা, পৃ. ১৭৪-৭৭) 

জীবনানন্দ দাশ সিটি কলেজের সবচেয়ে কনিষ্ঠ অধ্যাপক ছিলেন। ‘রামমোহন রায় ছাত্রাবাস’- এ সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্ম ও হিন্দু ছাত্রদের মধ্যে গোলমাল দেখা দিলে কলেজের ছাত্রসংখ্যা কমে যায়। ফলে কলেজে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়। বলি হন জীবনানন্দ। 

‘এই ডামাডোলে পাকেচক্রে জীবনানন্দ হিন্দু ছাত্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে চিহ্নিত হয়ে গেলেন’ (নামপঞ্জী, পৃ. ৪২৩)। 

সবমিলে ১১ জনের চাকরি যায়। কলেজের নীতিপরায়ণ কঠোর অধ্যক্ষ হেরম্বচন্দ্র মৈত্র (১৮৫৭–১৯৩৮) সত্যানন্দকে লিখেছিলেন—

‘আর্থিক কারণে আপাতত আপনার ছেলেকে ছাঁটাই করা হলেও আবার যখন অধ্যাপক নেওয়া হবে, তখন তাঁকে নেব।’ (প্রভাতকুমার দাসকে দেওয়া অশোকানন্দের সাক্ষ্য। সূত্রগ্রন্থ : ‘জীবনানন্দ দাশ’ : প্রভাতকুমার দাস)। 

কিন্তু জীবনানন্দ এই কলেজে আর কোনোদিন সুযোগ পাননি। এরপর প্রায় দেড় বছরের বেকার জীবন।

চাকরি যাওয়ার পশ্চাতে ভিন্ন একটি কারণ আছে বলে কেউ কেউ মনে করেন। কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্তের (১৯০১–১৯৬০) সম্পাদিত ‘পরিচয়’ পত্রিকায় জীবনানন্দের ‘ক্যাম্পে’ নামক কবিতাটি বের হয়। কবিতাটি অশ্লীল বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ মনে করেন। ফলে জীবনানন্দের চাকরি যায়। এই তথ্যটির সূত্র অচিন্ত্যকুমারের ‘কল্লোল যুগ’ গ্রন্থটি। কিন্তু জীবনানন্দ ব্যাপারটি স্বীকার করেননি। গল্পটিকে নস্যাৎ করে জীবনানন্দ জানিয়েছেন — 

‘অচিন্ত্য তার ‘কল্লোল যুগ’ বইতে আমার সিটি কলেজের চাকরি নিয়ে সাহিত্য করেছে।’ 

বুদ্ধদেব বসুর লেখায় জীবনানন্দের কবিতায় অশ্লীলতা বিষয়ে অন্য একটি সাক্ষ্য মিলে তাঁর ‘চরম চিকিৎসা’ নামের নাটিকাটির পাদটীকায় বুদ্ধদেব বসু লিখেছেন — 

‘আমার যতদূর মনে পড়ে, আমি জীবনানন্দের মুখেই একবার শুনেছিলাম যে, ‘ঘাই-হরিণী’ লেখার জন্য তিনি তাঁর প্রাক্তন অধ্যাপক মহাশয়ের দ্বারা তিরস্কৃত হয়েছিলেন। (চরম চিকিৎসা, কবিতার শত্রু ও মিত্র, বুদ্ধদেব বসু, এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, আগস্ট, ১৯৭৪, পৃ.৭৪) 

‘শনিবারের চিঠি’ পত্রিকার ‘সংবাদ সাহিত্য’ বিভাগে সজনীকান্ত দাস অত্যন্ত অশালীন ভাষায় জীবনানন্দের এক একটি কবিতা উল্লেখ করে তীব্র আক্রমণ শুরু করেন। এতে তাঁর উল্লেখে লেখা হতো— ‘জীবানন্দ নহে’ বা ‘জিহ্বানন্দ নহে’। ‘শনিবারের চিঠি’ জীবনানন্দকে ‘কবি-গণ্ডার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। 

১৩৩৪ বঙ্গাব্দে ‘ধূপছায়া’ নামে একটি পত্রিকা বের হয়। পত্রিকাটি আধুনিকতা মনস্ক আধুনিক সাহিত্যিকদের অনুকূলে ছিল পত্রিকাটি 

‘ধূপছায়া’তে ‘প্রেম’ এবং ‘প্রগতি’তে ‘পরস্পর’ নামের জীবনানন্দের দুটো কবিতা প্রকাশিত হয়। ‘শনিবারের চিঠি’র সংবাদ সাহিত্য’ (ভাদ্র, ১৩৩৫) বিভাগে লেখা হয় – 

‘মারি তো গণ্ডার লুটি তো ভাণ্ডার। কবি জীবনানন্দ দাশ এবার দুটি গণ্ডারমারী কবিতা লিখিয়াছেন। একটি ধূপছায়া অন্যটি প্রগতিতে।’ 

জীবনানন্দ ‘প্রেম’ কবিতায় ৫৭ বার এবং ‘পরস্পর’ কবিতায় ২০ বার ‘মতো’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। যেমন—মানুষের মতো, নক্ষত্রের মতো, মৃত্যুর মতো, যোদ্ধার মতো, পাখির মতো, শাখার মতো, বাতাসের মতো ইত্যাদি। শনিবারের চিঠি ব্যঙ্গ করে লিখন- সব কিছুর মতো থাকলেও ‘হাদার মতো’—এই উপমাটি কিন্তু দুটি কবিতার কোনোটিতেই নাই। 

জীবনানন্দ দাশ এই বদরসিকতার একটি জবাব দেন। এই জবাবটি ‘ধূপছায়া’র ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের আশ্বিন সংখ্যায় ছাপা হয়। জীবনানন্দ শেলির ‘হিম টু ইনটেলেকচুয়াল বিউটি’ কবিতাটির উদাহরণ টেনে ‘কালপুরুষের উক্তি’ শিরোনামে লেখেন— 

‘যাঁরা কবিতাটির ভেতর ‘as’, ‘like’, ‘মতো’ বা ‘মতন’-এর সংখ্যা গুনে সাহিত্যে কেরানিগিরি করে থাকেন এ প্রশ্নের জবাবে তাঁদের নিকট থেকে ভাঁড়ামি ও বদরসিকতার ‘বারোমাস্যা’ ও ‘Centenary’ ছাড়া বারোমাসে কিংবা শতবর্ষেও আমরা কিছু আশা করি না। দু-একটি কবিতার খোঁচায় এসব গণ্ডারের যদি নিপাত হয় মন্দ কি? কিন্তু ক্লাসিসিজমের limitation নিয়ে যাঁরা কবিতা লিখছেন ও romantic কাব্যের সমালোচনা করছেন, তাঁদের কাছ থেকে সাহিত্যালোচনায় আর একটু বেশি সূক্ষ্মতা ও আর একটু বেশি সতর্কতার আশা করে থাকি।’ [কালপুরুষের উক্তি, জীবনানন্দ দাশ, বিভাব, জীবনানন্দ জন্ম শতবর্ষ সংখ্যা, ১৪০৫ বঙ্গাব্দ, পৃ. ১০৯] 

এ সময় বুদ্ধদেব বসু জীবনানন্দের পক্ষ অবলম্বন করে তীব্র ভাষায় ‘প্রগতি’ পত্রিকায় লিখতেন। ‘প্রগতি’র (২য় বর্ষ, আশ্বিন ১৩৩৫) সম্পাদকীয়তে লেখা হয় — 

‘জীবনানন্দবাবু বাঙলা কাব্যসাহিত্যে একটি অজ্ঞাতপূর্ব ধারা আবিষ্কার করেছেন বলে আমার মনে হয়। তিনি এ পর্যন্ত মোটেই Popularity অর্জন করতে পারেননি, বরঞ্চ তাঁর রচনার প্রতি অনেকেই বোধ হয় বিমুখ; অচিন্ত্যবাবুর মত তাঁর এরি মধ্যে অসংখ্য Imitator জোটেনি। তার কারণ বোধ হয় এই যে, জীবনানন্দবাবুর কাব্যরসের যথার্থ উপলব্ধি একটু সময় সাপেক্ষ; তাঁর কবিতা একটু ধীরে-সুস্থে পড়তে হয়, আস্তে আস্তে বুঝতে হয়।’ 

রবীন্দ্রনাথের বয়স ৬৭। মার্চে রবীন্দ্রনাথের সভাপতিত্বে জোড়াসাঁকো ভবনে ‘সাহিত্যে আধুনিকতা বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নবীন ও প্রবীণ লেখকরা অংশ নেন। 

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে হিবার্ট বক্তৃতামালা দেবার জন্যে আমন্ত্রিত হয়ে কবি মাদ্রাজের পথে যাত্রা করলেন। কিন্তু পথিমধ্যে শরীর খারাপ হয়ে পড়লে যাত্রা বাতিল করতে হয়। মে মাসে দ্বিতীয় বারের মতো কলম্বো গেলেন। ভারতে ফিরে ব্রজেন্দ্রনাথ শীলের গৃহে ৩ সপ্তাহ কাটালেন। ‘মিতা’ (‘শেষের কবিতা’) ও ‘যোগাযোগ’ উপন্যাস রচনা শেষ করলেন রবীন্দ্রনাথ। এ সময় শান্তিনিকেতনের পাকশালায় আমিষ ভোজনের সূচনা হয়। বৃক্ষরোপণ উৎসবের প্রবর্তন করলেন রবীন্দ্রনাথ। 

ডিসেম্বরে বড়লাট আরুইন শান্তিনিকেতন পরিদর্শনে এলেন। এটাই ব্রিটিশ যুগে কোনো বড়লাটের প্রথম ও শেষ বারের মতো শান্তিনিকেতন পরিক্রমা। 

কলকাতার রাস্তায় পড়ে গিয়ে পায়ে গুরুতর আঘাত পান হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। অবশিষ্ট জীবন ক্রাচ ও চাকা-চেয়ারের সাহায্য নিয়ে চলাচল করতে হয়েছে তাঁকে। এই শারীরিক অসুবিধা নিয়েই লাহোরে গিয়ে ওরিয়েন্টাল কনফারেন্সে পঞ্চম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন তিনি। 

চুরুলিয়ায় নজরুল-মাতা জাহেদা খাতুনের মৃত্যু হয় (১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ)। নজরুলের সঙ্গে বুদ্ধদেব বসুর ঘনিষ্ঠতা হয়। নজরুলের কাব্য সংকলন ‘সঞ্চিতা’-এর প্রকাশ। সংকলনটি নজরুল উৎসর্গ করলেন- 

‘বিশ্বকবি-সম্রাট শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীশ্রীচরণারবিন্দেষু।’ 

প্রথম বিভাগে আইএসসি পরীক্ষা পাস করে ১৯২৮ সালে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি কলেজে গণিতে অনার্স নিয়ে বিএসসি ক্লাসে ভর্তি হন। কলেজের সহপাঠীদের সঙ্গে বাজি ধরে প্রথম গল্প ‘অতসী মামী’ রচনা করেন এবং ১৩৩৫ বঙ্গাব্দের পৌষ সংখ্যায় ‘বিচিত্রায় প্রকাশ পায় এটি। এই তথ্য মানিকের নিজের লেখা থেকেই পাওয়া যায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রকাশিত ‘মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র’-এর ১১শ খণ্ডের তথ্য মতে ‘অতসী মামী’র তিনমাস আগে মানিকের ‘ম্যাজিক’ নামের একটি গল্প প্রকাশিত হয় [আশ্বিন ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ] অশ্বিনীকুমার চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত মাসিক ‘গল্পগুচ্ছ’ পত্রিকায়। ধারণা করা যায়’অতসী মামী’ লিখিত ও পত্রিকায় প্রেরণের পরেই হয়তো ‘ম্যাজিক’ গল্পটি লিখিত ও পত্রিকায় প্রেরিত হয়েছিল, কিন্তু মুদ্রিত হয়েছিল আগে। উল্লেখ্য, মানিকের লেখকজীবন শুরু হয়েছিল কবিতা চর্চার মাধ্যমে। কৈশোরে কবিতা চর্চার নিদর্শন স্বরূপ প্রায় একশটি কবিতার সম্পূর্ণ একটি খাতা তাঁর ব্যক্তিগত কাগজপত্রের ভেতর পাওয়া গেছে। 

প্রকাশ্য দিবালোকে ভগৎ সিং সন্ডার্সকে হত্যা করেন। শুরু হয় কাকোরী ষড়যন্ত্র মামলা। গান্ধী ডোমিনিয়ন স্টেটাস দাবি করলেন কলকাতার কংগ্রেস অধিবেশনে। সুভাষচন্দ্র বসু গঠন করলেন ‘বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স 

লীগ অব নেশনস্-এ কেলচুক্তি (যুদ্ধবর্জন) স্বাক্ষরিত হল। সদস্য না হয়েও আমেরিকা ও রাশিয়া এতে স্বাক্ষর করল। 

নিউইয়র্কের স্ট্র্যান্ড থিয়েটারে প্রথম সবাক চলচ্চিত্র দেখানো হল, ছবির নাম’লাইটস্ অব নিইউয়র্ক’। 

এ বছর পরলোক গমন করেন টমাস হার্ডি, লর্ড সত্যপ্রসন্ন সিংহ, শশাঙ্কমোহন সেন।

আর জন্মগ্রহণ করেন অরবিন্দ গুহ, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, মযহারুল ইসলাম। 

এ বছর সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ পান নরওয়ের এস. উন্দসেৎ (১৮৮২–১৯৪৯)। কথাশিল্পী। নোবেল প্রাইজ দেওয়ার কারণ হিসেবে কমিটি লেখেন- 

‘Principally for her powerful description of northern life during the middle ages.’

তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখনীয়—’দ্য হ্যাপি এজ’, ‘জেনি’, ‘ফেটাস’, ‘অব দ্য পুওর’, ‘দ্য ওয়াইস্ ভারজিন’, ‘Kristin Lavransdatter’, ‘The Garland’, ‘The Mistress of Husaby’. 

প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রিকা : রবীন্দ্রনাথের ‘শেষরক্ষা’ প্রকাশ পায়। ইংরেজিতে ‘ফায়ার ফ্লাইজ’, ‘লেটার্স টু ফ্রেন্ড’, ‘বার্থডে বুক’, ‘লেটার্স অ্যান্ড অ্যাড্রেসেস’ বের হয়। প্রকাশিত হয় নজরুলের ‘সঞ্চিতা’ ও ‘জিঞ্জির’, হেমচন্দ্র বাগচীর ‘দীপান্বিতা’, প্রবোধ সান্যালের ‘যাযাবর’, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘রসকলি’, অতুলচন্দ্র গুপ্তের ‘কাব্যজিজ্ঞাসা’। প্রকাশ পায় শাহাদাৎ হোসেনের কাব্য ‘মৃদঙ্গ’, শশাঙ্কমোহন সেনের ‘মধুসূদন’, যোগেশচন্দ্র চৌধুরীর ‘দিগ্বিজয়’, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ‘টুটাফাটা’। বিষ্ণু দে-র ‘পুরাণের পুনর্জন্ম লক্ষণ’ গল্পটি ‘প্রগতি’ পত্রিকায় (প্রথম বর্ষ নবম সংখ্যা) প্রকাশিত হয়। এটি তাঁর প্রথম মুদ্রিত রচনা। শ্যামল রায় ছদ্মনামে রচিত প্রথম প্রবন্ধ ‘শিল্পী গগনেন্দ্রনাথ’ প্রকাশিত হয় ‘ধূপছায়া’ (বঙ্গাব্দ ১৩৩৫ আষাঢ়) পত্রিকায়। বের হয় লরেন্সের ‘লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার’ (অশ্লীলতার দায়ে ইংল্যান্ডে ১৯৬০ পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকে), হাক্সলির ‘পয়েন্ট কাউন্টার পয়েন্ট’। 

প্রকাশিত হয় যুগান্তর দলের ‘স্বাধীনতা’ পত্রিকা, ভূপেন্দ্রকিশোর রক্ষিতরায়ের ‘বেণু’ পত্রিকা, উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা। 

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *