কবিতাসমগ্র ১ – শামসুর রাহমান

প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে
প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে
রুপালি স্নান
মনে মনে
তার শয্যার পাশে
জর্নাল, শ্রাবণ
১৩৫৭-র একটি দিন
অতি পুরাতন বৃষ্টি
যুদ্ধ
পুরোনো তৈলচিত্র
আত্মজীবনীর খসড়া
পূর্বরাগ
তোমাকেই বলি
শিখা
নির্জন দুর্গের গাথা
বিরস গান
কোনো একজনের জন্যে
ছিল সে-ও
অ্যাপোলোর জন্যে
যে ছায়া আয়নায়
সে
একান্ত গোলাপ
মৃন্ময়
কথার জন্যে
খাদ
নক্ষত্র-বিন্দুর জন্যে
কাব্যতত্ত্ব
কোনো পরিচিতাকে
সুন্দরের গাথা
অপাঙ্‌ক্তেয়
কবর-খোঁড়ার গান
মর্মর প্রাসাদ শুধু
ওই মৌন আকাশের
সেই ঘোড়াটা
ক্ষত এবং ধনুক
পিতা
গোষ্পদ এবং মন
তিনশো টাকার আমি
ব্যবধান
রজনীগন্ধার ঘ্রাণ
দুঃসময়ে মুখোমুখি
স্যামসন
ক্ষমাপ্রার্থী
না, আমি উন্মাদ নই
সহজে আসে না কেউ
তুমি অন্তর্হিতা
স্বাধীনতা একটি বিদ্রোহী কবিতার মতো
বিচ্ছন্ন
চেগুয়েভারার চোখ
পালা
আসুন আমরা আজ
আমার ভালোবাসা
অনিদ্রা
বহু কিছু থেকে ছুটি
ইলেকট্রিকের তার ছেড়ে
সাধ
ম্যাজিক
শয্যায়
কোন দিকে?
সাধারণ বাড়ি
সাঁকো
আক্রান্ত হ’য়ে
বারবার ফিরে আসে
এক মহিলার ভাবনা
স্কুটার ড্রাইভার
একজন জেলে
তোমার নাম
তোমাকে দেখে
রাজহংসী
অতিবর্ষণের পর
অনাবৃষ্টি
জাল
কী ক’রে লুকাবে?
হে বঙ্গ
দোলনা নয়
কতো মাই লাই
চোরকুঠরির বাসিন্দা
সফেদ পাঞ্জাবি
পাশাপাশি
দুঃসময়ে মুখোমুখি
এক ধরনের অহংকার
এক ধরনের অহংকার
শক্র
স্বীকারোক্তি
এ-ও তো বাংলাই এক
বুদ্ধদেব বসুর প্রতি
আমি চাই আজ
হে সুদীপ্তা মোহিনী আমার
নিঃস্ব কৃষক যেমন
বিন্যাসের সপক্ষে
সুরের আড়ালে
তার চোখে আমি
অমলের মতো
এখন আমি
বাড়ি ফেরা
আমার কবিতা জুড়ে শুয়ে আছ
এক্ষুণি আমার কিছু কেনাকাটা করবার আছে
পতন
আঘাটায়
আমি ভারি লোভাতুর
শান্তির এলাকা
একজন কবির প্রয়াণ
বেলুন বেলুন
কিছুই অচেনা নয়
মাইক
ছেলেবেলা থেকেই
স্যানাটোরিয়াম
পান্থজন
তোমার স্মৃতি
আততায়ী
যে খেলা আমার সঙ্গে
কেন যে আমার এই ঘরে
একটা কেমন তক্ষশিলা
প্রতীক্ষায় থাকি
বলার কিছু নেই
আমার কাছে
বরং
তাকে কি বলা যায়?
এ আগুন আমাদের
জাদুঘর
রঙিন টালি ইত্যাদি
তুমি
যেন অর্ফিয়ুস
আবার মুষলপর্ব
আমার উড়োজাহাজ
আনাড়ি
যে কেউ ডাক দিক
রক্তে কখন
কোনো ঐন্দ্রজালিকের প্রতি
চতুষ্পার্শ্বে বয়সের ছায়া
নিজের ছায়া
1 of 2
বিধ্বস্ত নীলিমা
কবিতার অস্তঃপুরে
যে আমার সহচর
সম্পাদক সমীপেষু
শৈশবের বাতি-অলা আমাকে
কোনো অশ্বারোহীকে
যন্ত্রণা
তিনটি হাঁস এবং পিতামহ
সময়
জনৈক সহিসের ছেলে বলছে
পুরাণ
মিশ্ররাগ
বৃষ্টির দিনে
প্রতীতি আসেনি
পিতলের বক
আত্মজৈবনিক
কমা সেমিকোলনের ভিড়ে
কেমন ক’রে শেখাই তাকে
ঘৃণায় নয়
কোথাও পারি না যেতে
স্বর্গে গেলাম দর্শক হিসেবে
বামনের দেশে
অপচয়ের স্মৃতি
শুধু একটি ভাবনা
বন্ধুদের প্রতি
নিরুদ্দেশ দেয়াল
নিজের কবিতার প্রতি
বন্ধুর জন্যে
বাড়ি
দাগ
সেই কণ্ঠস্বর
চতুর্দশপদী
কাননবালার জন্যে
খেলনা
স্টেজে
একজন বেকারের উক্তি
একটি টিনের বাঁশি
কোথাও কেউ নেই
প্রভুকে
সেই হাত
আমার ছেলেকে
তিনটি ঘোড়া
একজন পাইলট
ভেলায়
সংবাদপত্রে কোনো একটি ছবি দেখে
কখনো আমার মাকে
বাংলা কবিতার প্রতি
রৌদ্র করোটিতে
দুঃখ
খুপরির গান
আমার মাকে
মায়ের চোখে
চেনা অচেনার সঙ্গত
ছুঁচোর কেত্তন
পার্কের নিঃসঙ্গ খঞ্জ
তিনটি বালক
যখন রবীন্দ্রনাথ
কাদের জন্যে
একজন লোক
আত্মপ্রতিকৃতি
একটি মৃত্যুবার্ষিকী
শিকি জ্যোৎস্নার আলো
একটি দৃশ্যের আড়ালে
সূর্যাবর্ত
একটি জীবনচরিত
ডায়েরির একটি পাতা
আত্মহত্যার আগে
আজীবন আমি
রূপান্তর
মাথায় ভাবনা নিয়ে
যদি ইচ্ছে হয়
অস্তিত্বের তন্ময় দেয়ালে
লালনের গান
উদয়াস্ত দেখি ছায়া
ক্ষয়
মেষতন্ত্র
হাতির শুঁড়
ইচ্ছে তাঁর ইচ্ছে
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
নরমুণ্ডের নৃত্যে
পুরাকালে
অনুস্মৃতি
শীতরাত্রির সংলাপ
ইতিহাস, তোমাকে
রবীন্দ্রনাথের প্রতি
স্বগত ভাষণ
খেলনার দোকানের সামনে ভিখিরি
মূল্যের উপমা
পিতার প্রতিকৃতি
শনাক্ত পত্র
দুপুরে মাউথ অর্গান
শুধু প্রশ্নে বিদ্ধ আমি
রৌদ্র করোটিতে
নিজ বাসভূমে
বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
পুলিশ রিপোর্ট
ফিরে যাচ্ছি
হরতাল
আমরা প্রার্থী তারই
আসাদের শার্ট
ঐকান্তিক শ্রেণীহীনা
বিকল্প ঘর
গ্রন্থে আছেন শহীদুল্লাহ
কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি
কবিয়াল রমেশ শীল
ইচ্ছা
কী যুগে আমরা করি বাস
কোন দৃশ্য সবচেয়ে গাঢ় হ’য়ে আছে?
তার আগে
যিনি নম্বর ভালবাসতেন
একটি বালকের জন্যে প্রার্থনা
ঋণী
কোনো কোনো কবিতার শিরোনাম
জেদি ঘোড়াটা
বিবেচনা
রৌদ্রে নিয়ে যাও
পার্ক থেকে যাওয়া যায়
হৃদয়ের গল্প
প্রৌঢ় অধ্যাপকের মতে
তিনজন বুড়ো
অজস্র মাইক্রোফোন
ছবি
ছেলেটা পাগল নাকি?
সন্ধ্যা
কবিতা
প্রত্যাবর্তন
ডাকছি
রাজকাহিনী
এ লাশ আমরা রাখব কোথায়?
বর্ণ নিয়ে
হাত
ব্যাকুলতা
একপাল জেব্রা
বিড়ম্বনা
পক্ষপাত
টিকিট
প্রকারভেদ
সোনার তরী
মাতামহের মৃত্যু
অকথ্য এক অন্ধকারে
এ যুদ্ধের শেষ নেই
ময়ূরগুলো
এ শহর
1 of 2
বন্দি শিবির থেকে
বন্দি শিবির থেকে
কিছুই নেই
তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা
স্বাধীনতা তুমি
প্রবেশাধিকার নেই
পথের কুকুর
প্রতিশ্রুতি
কাক
প্রাত্যহিক
উদ্ধার
দখলি স্বত্ব
না, আমি যাব না
আমারও সৈনিক ছিল
মধুস্মৃতি
এখানে দরজা ছিল
তুমি বলেছিলে
রক্তাক্ত প্রান্তরে
তার কোট
গেরিলা
আন্তিগোনে
জনৈক পাঠান সৈনিক
ললাটে নক্ষত্র ছিল যার
সারস
শমীবৃক্ষ
যে-পথে আমার পদধ্বনি
তার উক্তি
প্রতিটি অক্ষরে
সান্ধ্য আইন
কাঁটাতার
সম্পত্তি
উদ্বাস্তু
মৃতেরা
সংবর্ধনা
পড়শি
আমাদের মৃত্যু আসে
এরপরও
গ্রামীণ
ধ্বস্ত দ্বারকায়
শূন্যতায় তুমি শোকসভা
সংকটে কবির সত্তা
আমিও তোমারই মতো
পারিপার্শ্বিকের আড়ালে
যে-কোনো দোকানে
তোমাকেই ভাবে
হ্যাঙওভার
দেখার ধরন
তোমার নীরবতার কাছে
মৃতাঞ্জলি
কবিতা আমার ওষ্ঠে
এমন থাকতে পারি
অন্য কেউ
গাড়ল
যে গেলো নগ্ন পায়ে
সেই আজনবি
পিঞ্জরে শরীর ঘ’ষে
মৃত্যু
চকিতে একটি বাক্য
এয়ারপোর্ট বিষয়ক পংক্তিমালা
নকশা
তুমি চলে গেলে
প্রজাপতি
কাতরতা বেড়ে যায়
গুপ্ত সেতু
একজন রূপালি কবির কাছে
প্রশ্নোত্তর
কী ক’রে কেবলি স্বরময়ী
বিষদ আমায় প্রতি
পাখিরে তুই
ফুটপাত
গোপনতা
বাস্তবিক লোকটাকে
প্রেমের কবিতা হ’য়ে যায়
ক্লিষ্ট স্মৃতি
মধ্যরাতে ঘুম ভাঙলে
নিঃসঙ্গতা
তার ঘুড়ি
একজন মানুষকে নিয়ে
প্রতীক্ষা
কোনো একজনের কথা ভেবে
একজন কবির উদ্দেশে
বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে
বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে
অচেনার মধ্যে এই ডেকে যাওয়া
একজন কবি শুধু
হাঁটতে হাঁটতে শেষ অবধি
হে আমার দীর্ঘ উপবাস
আমার বয়স আমি
অপরাহ্নে একদল মিউজিসিয়ান
হ্যাঁ
শতাব্দীর বিদীর্ণ হৃদয় থেকে
যখন আমার মৃত্যু হবে
অন্ধ দেয়ালের সাথে
হাত-বিষয়ক কবিতা
আকাঙ্ক্ষার আয়ু
মূকাভিনয়
মানুষ এসেই যায়
ট্যান্টালাস
আমার কবিতা দ্যাখো
কাঙাল
আমার মুখস্থ হয়ে গেছে
কিছুক্ষণ
মর্সিয়া
চাঁদ
মধ্যরাতে
বিচ্ছেদ
ভোট দেব
সে এক খননকারী
আমার লোহিত ম্যান্ডোলিন
তুই চোখে বন্ধ কর
কবির ঘর
ছায়ায় যেও না মিশে
নেকড়ের মুখে আফ্রোদিতি
যখন টেবিলে ঝুঁকে থাকি
দীর্ঘশ্বাস
স্বপ্নের খোয়ারি
কমলা রঙের ঘোড়া
কী যেন হাওয়ার মধ্যে আছে
নিঃসঙ্গ শেরপা
যদি তুমি আসো
যতবার আমি
আমার ভেতরে এক বাঁশিঅলা
অভিযুক্ত আমি
চতুর্দশপদী
হাহাকারে বন্দি
রেস্তোরাঁর একটি টেবিলে
নাছোড় অতিথি
হিসেবনবিশ
ইকারুসের আকাশ
ইকারুশের আকাশ
কথার জেরুজালেম
নিজের কবিতা বিষয়ে কবিতা
একটি গাধাকে দেখি
বসতিতে, মনীষায়
আবাসিক
ইলেকট্রার গান
অত্যন্ত অস্পষ্ট থেকে যায়
বহুদিন পর একটি কবিতা
বিপর্যস্ত গোলাপ বাগান
কবির অশ্রুর চেয়ে দামী
৩১৩, তুমি ফিরে এসো
সক্রেটিস ১
সক্রেটিস ২
স্থানীয় সংবাদ
রুস্তমের স্বগতোক্তি
হে শহর, হে অন্তরঙ্গ আমার
আরাগঁ তোমার কাছে
ডেডেলাস
উদ্ভব উটের পিঠে চলছে স্বদেশ
চাঁদ সদাগর
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
রাত্রির তৃতীয় যামে
ভ্রাতৃসংঘ
পতাকারই মতো গহন সৌন্দর্যে একা
প্রকৃত প্রস্তাবে
খাঁচা
কোনো কোনো কবিতা
অনিবার্য ঘরে ফেরা
ফাঁসি
কাদামাখা অবেলায়
বন্ধুকে প্রস্তাব
সে কোন সুদূরে
জাতিসংঘে অবিরল তুষার ঝরলে
মধ্যবিত্তের পাঁচালি
সে এক মাটির ঘর
আমার সত্তা শ্লোক হয়ে
আমার নিবাস
রঞ্জিতাকে মনে রেখে
রেডক্রসের গাড়ি এবং তুমি
একদা তোমার আমি
তুমি কি আসবে ফের
একটি দুপুরের উপকথা
কবিতার সঙ্গে গেরস্থালি
টানেলে একাকী
নূহের জনৈক প্রতিবেশী
কেউ কি পালিয়ে যায়
মাদল
এরকম হলে
এ কেমন স্বভাবের তিলক
কবিতার সঙ্গে গেরস্থালি
দেখা হলো না
হে আমার বাজারের থলে
মে দিনের কবিতা
দাঁড়াবো কোথায় আজ?
মণিপুর লোকদূহিতা
প্রতিমাসন্ধানী
সুহৃদের প্রতি
অর্ফির বাঁশির মতো
বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে
আশি দশকের পদাবলি
নিজস্ব উঠোনে
পাড়াগাঁর অন্ধকার
উচ্চারণ
মহাপ্লাবনের পরেও
স্বপ্নাচ্ছন্ন মানুষের মতো
নিমগ্নতা
সহজে ফোটাতে গিয়ে
পুনর্মিলনের আগে
সুপ্রভাত
আবার যাবে কি চলে?
তোমার কুশল
সুচেতা তখন
যাবার ভাবনা
ক্লান্ত তুই
গুলিবিদ্ধ লাশের মতন
তুণে খুঁজি তীর
কীভাবে করবো শুরু
ঐতিহাসিক
কে দেবে অভয়
সন্ধ্যার খালুই থেকে
দীর্ঘ কেঁদে যায়
স্মৃতিময় উজ্জ্বল আঁধারে
আমার কোনো তাড়া নেই
আমার কোনো তাড়া নেই
হে আমার বাল্যবন্ধুগণ
পারিবারিক ত্র্যালবাম
আমার একজন প্রতিবেশী
বাইবেলের কালো অক্ষরগুলো
একশ চার ডিগ্রী জ্বর
লেয়ার্টেস
প্রলয়ান্তে
আমার আঙুল কামড়ে ধরে
জাভেদ তোমার কথা
আমার অসুখ
বনে জঙ্গলে
আজকাল খুব বেলা করে
রুটিন
তোমার সকল খেলা
ফাটলসর্বস্ব এক দালান
তসলিম রশিদের জীবনযাপন
শ্লোগান
মধ্যজীবনের বৃত্তান্ত
আমার নিঃসঙ্গ চঞ্চু
কী জন্যে এই মধ্যরাতে
কবিতার প্রতি ঢ্যাম্‌না
আমৃত্যু আমার সঙ্গী কবিতার খাতা
হোমারের স্বপ্নময় হাত
স্মৃতিতে ধারণযোগ্য কিছু নয়
শুভবাদী রোদ চুমো খেয়েছিলো
পর্যটন
কখনও হাটে নেই
বার্ধক্যে জসীমউদ্দীন
এই রক্তধারা যায়
হোমারের স্বপ্নময় হাত
কবর সাজাই
এখন সে কথা থাক
সাবান
আইসক্রিম
বসে আছে
বিছানা
দালান
শেফার্স
লেখার কাগজ
কড়া নেড়ে যাবে
আমার অজ্ঞতা নিয়ে
ভাড়াটে
নস্টালজিয়া
এ অতি সামান্য কথা
একদিন দুপুরে
বাক্য খরায়
ইদানীং বঙ্গীয় শব্দকোষ
মানুষের মতো
নিজের ছায়ার দিকে
ধুলায় গড়ায় শিরস্ত্রাণ
ধুলায় গড়ায় শিরস্ত্রাণ
বেলা পড়ে আসে
নন্দলাল বসুর সঙ্গে কিছুক্ষণ
ইন্দ্রাণীর খাতা
দুখিনী সাঁথিয়া
ভোরের কাগজ
আমার অভিযোগের তর্জনী
বুঝলে হে জগন্নাথ
বিউটি বোর্ডিং
ট্রেনের জানালা থেকে
এখন তো মৃতরাই প্রশ্নশীল
বহুদিন পর মাকে
মোমবাতি
গ্রন্থস্বত্ব
আমার মৃত্যুর পরেও যদি
কেড়ে নেবে ওরা
লোকে তার কথা বলে
আমার অজ্ঞতা নিয়ে
আমার দুঃখের ভারে
ছায়াসঙ্গীর উদ্দেশে
দ্য গেম ইজ ওভার
অনেকদিন থেকেই
এরকম কিছু
গাঁওবুড়াদের মুখে
একটি নিষিদ্ধ মীড়
কী ব্যাপক লোভে
তার সঙ্গে জানাশোনা
কাল থেকে ফের
কিছু কথা ছিল
স্বপ্ন অভিভাবকের মতো
একজোড়া চোখ
আমি এক ভদ্রলোককে
আপস
ঘৃণা, তুই
নিরন্তর দোটানায়
উপোসী সন্তের মতো
আমরা ক’জন সঙ্গী
পড়েছে শীতের হাত
আমার ক’জন সঙ্গী
আমার ফসল
অধিষ্ঠান
কে যেন দিয়েছে রুয়ে
কোথায় দাঁড়াবে?
বেদেনীর জন্যে
ওরা চলে যাবার পরে
নায়কের প্রতীক্ষায়
রোমকূপ কেঁদে ওঠে
ফুলচোর
অন্তত এটুকু থাক
বোধ
তুমি তো চলেই যাবে
সকাল থেকে সন্ধ্যা
প্রত্যাখ্যান
তুমি আছ
ছিল না
তিনি বোধ করলেন
পোড়ায় আমাকে
আদিম স্মৃতির মতো
দেবে না, তোমরা দেবে না
কে দেবে জবাব?
ডালিমতলায়
ঘুড়ে দাঁড়ালাম
ফিরে তাকাব না
সকালবেলা চেয়ে দেখি
আমরা কি যেতে পারি
বৃক্ষ বৃত্তান্ত
এই যে শুনুন
পর্যটন
মরণোত্তর
কেবল একটি শব্দ
সৌন্দর্যের গুণ গেয়ে
এ আমার খেলা
চর্যাপদের হরিণী
egb-logo
Previous Topic
Next Topic

ইকারুসের আকাশ

কবিতাসমগ্র ১ – শামসুর রাহমান ইকারুসের আকাশ
Lesson Content
0% Complete 0/19 Steps
ইকারুশের আকাশ
কথার জেরুজালেম
নিজের কবিতা বিষয়ে কবিতা
একটি গাধাকে দেখি
বসতিতে, মনীষায়
আবাসিক
ইলেকট্রার গান
অত্যন্ত অস্পষ্ট থেকে যায়
বহুদিন পর একটি কবিতা
বিপর্যস্ত গোলাপ বাগান
কবির অশ্রুর চেয়ে দামী
৩১৩, তুমি ফিরে এসো
সক্রেটিস ১
সক্রেটিস ২
স্থানীয় সংবাদ
রুস্তমের স্বগতোক্তি
হে শহর, হে অন্তরঙ্গ আমার
আরাগঁ তোমার কাছে
ডেডেলাস
Previous Topic
Back to Book
Next Topic

Leave a Comment Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Login
Accessing this book requires a login. Please enter your credentials below!

Continue with Google
Lost Your Password?
egb-logo
Register
Don't have an account? Register one!
Register an Account

Continue with Google

Registration confirmation will be emailed to you.