কমলবনের মধুপরাজি

কাঁটাবনবিহারিণী সুর-কানা দেবী

কাঁদার সময় অল্প ওরে ভোলার সময় বড়ো

কাঁদালে তুমি মোরে ভালোবাসারই ঘায়ে

কাঁপিছে দেহলতা থরথর

কাছে আছে দেখিতে না পাও

কাছে ছিলে দূরে গেলে

কাছে তার যাই যদি কত যেন পায় নিধি

কাছে থেকে দূর রচিল কেন গো আঁধারে

কাছে যবে ছিল পাশে হল না যাওয়া

কাজ ভোলাবার কে গো তোরা

কান্নাহাসির-দোল-দোলানো পৌষ-ফাগুনের পালা

কামনা করি একান্তে

কার চোখের চাওয়ার হাওয়ায় দোলায় মন

কার বাঁশি নিশিভোরে বাজিল মোর প্রাণে

কার মিলন চাও বিরহী

কার যেন এই মনের বেদন চৈত্রমাসের উতল হাওয়ায়

কার হাতে এই মালা তোমার পাঠালে

কার হাতে যে ধরা দেব হায়

কার হাতে যে ধরা দেব, প্রাণ

কাল রাতের বেলা গান এল মোর মনে

কালো মেঘের ঘটা ঘটনায় রে

কাহার গলায় পরাবি গানের রতনহার

কিছু বলব ব’লে এসেছিলেম

কিছুই তো হল না

কী করিব বলো, সখা, তোমার লাগিয়া

কী গাব আমি, কী শুনাব, আজি আনন্দধামে

কী জানি কী ভেবেছ মনে

কী ধ্বনি বাজে গহনচেতনামাঝে

কী পাই নি তারি হিসাব মিলাতে

কী ফুল ঝরিল বিপুল অন্ধকারে

কী বেদনা মোর জানো সে কি তুমি জানো

কী ভয় অভয়ধামে, তুমি মহারাজা– ভয় যায় তব নামে

কী রাগিণী বাজালে হৃদয়ে

কী সুর বাজে আমার প্রাণে

কী হল আমার বুঝি বা সখী

কুসুমে কুসুমে চরণচিহ্ন দিয়ে যাও

কূল থেকে মোর গানের তরী

কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি

কে রঙ লাগালে বনে বনে

কে আমারে যেন এনেছে ডাকিয়া

কে উঠে ডাকি মম বক্ষোনীড়ে থাকি

কে গো অন্তরতর সে

কে জানিত তুমি ডাকিবে আমারে, ছিলাম নিদ্রামগন

কে ডাকে আমি কভু ফিরে নাহি চাই

কে তুমি গো খুলিয়াছ স্বর্গের দুয়ার

কে দিল আবার আঘাত আমার দুয়ারে

কে বলে ‘যাও যাও’

কে বলেছে তোমায়, বঁধু এত দুঃখ সইতে

কে বসিলে আজি হৃদয়াসনে ভুবনেশ্বর প্রভু

কে যায় অমৃতধামযাত্রী

কে যেতেছিস আয় রে হেথা

কে রে ওই ডাকিছে

কেটেছে একেলা বিরহের বেলা আকাশকুসুমচয়নে

কেন জাগে না, জাগে না অবশ পরান

কেন তোমরা আমায় ডাকো

কেন চোখের জলে ভিজিয়ে দিলেম না

কেন নয়ন আপনি ভেসে যায় জলে

কেন পান্থ এ চঞ্চলতা

কেন যামিনী না যেতে জাগালে না