ঋগ্বেদ ০৮।০৬৪
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৮ম মণ্ডল সূক্ত ৬৪
ইন্দ্র দেবতা। প্রগাথ ঋষি।
১। হে ইন্দ্র! স্তুতি সকল তোমায় উত্তমরূপে প্রমত্ত করুক, হে বজ্রবান! ধন প্রদান কর, স্তুতি বিদ্বেষীগণকে বিনাশ কর।
২। লুব্ধ ধনরহিতগণকে পদদ্বারা বাধা প্রদান কর। তুমি মহান, তোমার কেহ প্রতিদ্বন্দ্বী নাই।
৩। তুমি অভিযুত সোমের ঈশ্বর, তুমি অনভিযুত সোমের ঈশ্বর, তুমি জনসমূহের রাজা।
৪। হে ইন্দ্র! আগমন কর, মনুষ্যদিগের জন্য যজ্ঞগৃহ শব্দে পূর্ণ করতঃ স্বৰ্গ হইতে গমন কর। তুমি দ্যাবাপৃথিবীকে পরিপূর্ণ করিয়া থাক।
৫। তুমি স্তোতাগণের জন্য পৰ্ব্ববিশিষ্ট শত এবং সহস্র জলবিশিষ্ট মেঘকে বিদীর্ণ করিয়াছ।
৬। সোম অভিযুত হইলে আমরা দিবারাত্র তোমায় আহ্বান করি, আমাদের অভিলাষ পূর্ণ কর।
৭। সেই বৃষ্টিপ্রদ, নিত্য তরুণ, বিস্তীর্ণস্কন্ধবিশিষ্ট, অনবনত ইন্দ্র কোথায় আছেন? কোন স্তোতা তাহাকে স্তুতি করে?
৮। বৃষ্টিপ্রদ ইন্দ্র প্রীত হইয়া কোন যজমানের যজ্ঞ অবগত হন? কোন যজমান ইন্দ্রকে স্তব করিতে জানে?
৯। যজমানদত্ত দান তোমার সেবা করে, হে বৃত্রহা! শাস্ত্রপাঠ কালে সুন্দর বীৰ্য্যযুক্ত স্তোত্র সকল তোমায় সেবা করে। তুমি কীদৃশ? কে যুদ্ধে নিকটবৰ্ত্তী হয়?
১০। বহুসংখ্যক মনুষ্যের মধ্যে আমি তোমার জন্য সোম অভিষব করিতেছি, তাহার নিকট আগমন কর, দ্রুতগামী হও এবং পান কর।
১১। এই সোম শৰ্য্যণাবতী (১), সুসোমা নদীতে তোমায় সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক প্রমত্ত করে, আর্জীকীয়তে তোমায় সর্বাপেক্ষা প্রমত্ত করে।
১২। তুমি অদ্য সেই মনোহর সোম আমাদের ধনের জন্য ও শত্রুদের বিনাশকর মত্ততার জন্য পান কর। হে ইন্দ্র! শীঘ্র সোমপাত্রের দিকে গমন কর।
(১) “মূলে শর্য্যণাবতী” আছে। সায়ণ পুর্বে “শর্য্যণা” নদী বিশেষের নাম বলিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন, কিন্তু এখানে শর্য্যণা শব্দে শরতৃণ করিয়াছেন, সুসোমা সিন্ধু নদীর একটি নাম। আর্জীকীয়া বিপাশা নদীর অর্থাৎ আধুনিক বেয়া নদীর একটি নাম। ১০।৭৫।৫ ঋকের টীকা দেখ।