3 of 3

১২৯. আশয়াস ইবনে কায়েসের নেতৃত্বে কিন্দার প্রতিনিধিদলের আগমন

ইবনে ইসহাক বলেন: কিন্দার প্রতিনিদিদল নিয়ে আশয়াস ইবনে কায়েস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে আগমন করেন। যুহরী ইবনে শিহাব আমাকে জানিয়েছেন যে, আশয়াস কিন্দার আশিজন উষ্ট্রারোহী নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে মসজিদে নববীতে মিলিত হন। তার দল সুন্দরভাবে চুল আঁচড়ানো, চোখে সুরমা লাগানো এবং নকশী করা রেশম সংযুক্ত ইয়ামনী জুব্বা পরা অবস্থায় এসেছিল। তারা দেখা করতে গেলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমরা কি মুসলমান হওনি?” তারা বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, “তাহলে তোমাদের গায়ে এত রেশমের ছড়াছড়ি কেন?” একথা বরার সঙ্গে সঙ্গে তারা তাদের পোশাকের রেশমী অংশ ছিড়ে ফেলে দিলেন। তারপর আশয়াস ইবনে কায়েস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন,

“ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা যেমন ‘আকিলুল মুরাব’ এর বংশধর আপনিও তেমনি ‘আকিলুল মুরার’ [৯৩. এটি বনু কিন্দার এক পূর্বপুরুষের উপাধি। যেহেতু কুরাইশদের অন্যতম পূর্বপুরুষ কিলাব ইবনে মুরার এর মাতা বনু কিন্দার মেয়ে ছিলেন, আশয়াস তাঁকে মাতামহের দিক থেকে আকিলুল মুরাবের বংশধর বলে রসিকতা করেন।] এর বংশধর।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুচকি হেসে বললেন, “তোমরা এই বংশ পরিচয় আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব ও রাবীয়া ইবনে হারেসের ক্ষেত্রে প্রয়োগ কর।” ঐ দুই ব্যক্তি ব্যবসায়ী ছিলেন এবং ব্যবসা উপলক্ষে দূরবর্তী কোন আরব জনপদে গেলে তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলতেন, “আমরা ‘আকিলুল মুরার’- এর বংশধর।” এ কথা বলে তারা নিজেদের সম্মান বৃদ্ধির চেষ্ট করতেন। কারণ কিন্দা গোত্রে বহু রাজন্যবর্গ ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় বললেন, “না, আমরা বরং নাদার ইবনে কিনানার বংশধর। আমরা মায়ের বংশধররূপে পরিচিত হই না এবং পিতৃপরিচয় কখনো বর্জন করি না।” অতঃপর আশয়াস ইবনে কায়েস তাঁর সহচরদের নিজ গোত্রের কাছে ফিরে যাওয়অর তাড়া দিয়ে বললেন, “তোমাদের কাজ শেষ হয়েছে কি? আল্লাহর কসম, এমন কথা যে বলে (পিতৃ বংশ পরিচয়ের পরিবর্তে যে মায়ের বংশ পরিচয় প্রচার করে) তাকে আশি যা বেত না মেরে ছাড়ি না।”

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *