ইবনে ইসহাক বলেন: কান্দার রাজাদের প্রভুত্ব অস্বীকার করে ফারওয়া ইবনে মুসাইক মুরাদী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এল। ইসলামের অভ্যুদয়ের পূর্বে মুরাদ ও হামদানের মধে সংঘটিত যুদ্ধে হামদান মুরাদের বিপুল ক্ষতি সাধন করে এবং ব্যাপক গণহত্যা চালায়। ইতিহাসে সে দিনটি ‘ইয়াওমুর রদম’ অর্থাৎ ‘গন কবর রচনার দিন’ নামে খ্যাত। সেদিন হামদানী বাহিনীর মুরাদ আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছিল আজদা ইবনে মালিক।”
ফারওয়া কান্দায় রাজাদের ত্যাগ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যাওয়ার সময় নিম্নলিখিত কবিতা আবৃত্তি করে:
“আমি যখন দেখলাম কান্দার রাজারা বিশ্বাসঘাতকের মত রাজ্যের
নারীদের ইজ্জত আবরুকে অবজ্ঞা করেছে, তখন
নিজের সওয়ারীতে আরোহণ করে উত্তম অনুগ্রহ ও উত্তম আশ্রয়ের আশায়
মুহাম্মাদের নিকট রওয়ানা হলাম।”
ফারওয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থাপিত হলে তিনি বললেন, “হে ফারওয়া! ইয়াওমুর রাদমে তোমার জাতি যে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে তাতেই কি তুমি মর্মাহত হয়েছো।” সে বললো, “ইয়া রাসূলুল্লাহ! অমন ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়ে কে না মর্মাহত হয়?” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “শোনো, ইসলাম গ্রহণ করলে তোমার জাতির এই ক্ষতি সত্ত্বে উত্তরোত্তর কল্যাণ সাধিত হবে।”
এরপর তিনি ফাওয়াকে মুরাদ, যুবাইদ ও মাজহিদ গোত্রের শাসনকর্তা নিয়োগ করলেন এবং তার সাথে যাকাত আদায়কারী হিসেবে খালিদ ইবনে সাঈদকে পাঠিয়ে দিলেন। খালিদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তিকালের সময় পর্যন্ত সেখানেই কর্মরত ছিলেন।