3 of 3

১০৯. জাফর ইবনে আবু তালিবের আবিসিনিয়া থেকে প্রত্যাবর্তন

ইবনে হিশাম বলেনঃ

শা’বী জানিয়েছেন যে, আবু তালিব তনয় জা’ফর খাইবার বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ফিরে আসেন। তিনি তাঁর কপালে চুমু খেলেন এবং আলিঙ্গন করে বললেন, “আজ আমি খাইবার বিজয়ে বেশিী খুশি না জা’ফরের প্রত্যাবর্তনে বেশী খুশী তা নির্ণয় করতে পারিছি না।” ইবনে ইসহাক বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের মধ্যে যারা আবিসিনিয়াতে থেকে গিয়েছিলেন তাদেরকে আনতে নাজাশীর নিকট আমর ইবন উমাইয়া দামারীকে পাঠানো হয়। তিনি তাদেরকে দু’খানা জাহাজে করে নিয়ে আসেন। এ সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়াসাল্লাম হুদাইবিয়ার চুক্তি সম্পাদন করার পর খাইবারে অবস্থান করছিলেন। সেখানে যেসব সাহাবী প্রবাস জীবন কাটাচ্ছিলেন তাঁরা হলেন বনু হাশিম ইবনে আবদ্ মানাফ গোষ্ঠির জাফর ইবনে আবু তালিব, তাঁর স্ত্রী আসমা বিনতে উমাইস খাস’য়ামিয়া, আবিসিনিয়ায় অবস্থানকালে জন্মগ্রহণকারী পুত্র আবদুল্লাহ ইবনে জা’ফর। বনু আবদ্ শামস ইবনে আবদ্ মানাফ গোষ্ঠির খালিদ ইবনে সাইদ ইবনে উমাইয়া, তার স্ত্রী আমীনা বিনতে খালাফ, পুত্র সাঈদ ও কন্যা আমাহ্- উভয়ে আবিসিনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। খালিদের ভাই আমর, পরবতীকালে উমার ইবনুল খাত্তাব নিয়োজিত ইসলামী বাইতুল মালের কোষাধ্যক্ষ মুয়াইকীব ইবনে আকু ফাতিমা, এবং আবু মুস আশআরী। বনু আসাদ ইবনে আবদুল উযযার- আসাওয়াদ ইবনে নাওফেল ইবনে খুয়াইলদ।

বনু আবদুদ দার ইবনে কুসাইয়ের- জাহাম ইবনে কায়েস।

বনু যুহরা আমের ইবনে আবি ওয়াক্কাস ও উতবা ইবনে মাসউদ।

বনু তায়েম ইবনে মারেরের- হারেস ইবনে খালিদ ইবনে সাখার।

বনু জুমাহ ইবনে আমরের-উসমান ইবনে রবীয়া ইবনে উহ্যান।

বনু সাহম ইবনে আমরের- মাহমিয়া ইবনে আল জাযা।

বনু আদী ইবনে কা’বের – মা’মার ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে সাদলাহ।

বনু আমের ইবনে লুয়াই এর- আবু হাতিম ইবনে আমর ও মালিক ইবনে রাবীয়া।

বনু হারেস ইবনে ফিহির ইবনে মালিকের – হারিস ইবনে আবদুল কায়েস ইবনে লাকীত।

সেখানে অবস্থানকারী যেসব মুসলমান ইনতিকাল করেন তাঁদের স্ত্রীদের কেউ কেউ তাদের সঙ্গে চলে আসেন। নাজাশী সর্বমোট ১৬ জন পুরুষকে আমর ইবনে দামারীর সাথে দুইখানা জাহাজে করে পাঠিয়ে দেন। আবিসিনিয়ার প্রবাসী মুসলামদের মধ্যে যারা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি, যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় অবস্থানকালে প্রত্যাবর্তন করেননি বরং তার পরে এসেছেন এবং যাদেরকে নাজাশী এই দুই জাহাজে পাঠাননি- তাদের মধ্যে সর্বমোট পুরুষের সংখ্যা ছিল ৩৪ জন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *