তোর আপন জনে ছাড়বে তোরে

তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই

তোরা শুনিস নি কি শুনিস নি তার পায়ের ধ্বনি

তোরা বসে গাঁথিস মালা

তোলন-নামন পিছন-সামন

থাকতে আর তো পারলি নে মা, পারলি কই

থামাও রিমিকি-ঝিমিকি বরিষন

দখিন-হাওয়া জাগো জাগো

দাঁড়াও মন, অনন্ত ব্রহ্মাণ্ড-মাঝে আনন্দসভাভবনে আজ

দাঁড়াও আমার আঁখির আগে

দাঁড়াও মাথা খাও যেও না সখা

দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ও পারে

দাও হে আমার ভয় ভেঙে দাও

দারুণ অগ্নিবাণে রে হৃদয় তৃষায় হানে রে

দিন অবসান হল

দিন পরে যায় দিন

দিন পরে যায় দিন বসি পথপাশে

দিন ফুরালো হে সংসারী

দিন যদি হল অবসান

দিন যায় রে দিন যায় বিষাদে

দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না

দিনশেষে বসন্ত যা প্রাণে গেল ব’লে

দিনশেষের রাঙা মুকুল জাগল চিতে

দিনান্তবেলায় শেষের ফসল নিলেম তরী-‘পরে

দিনের পরে দিন-যে গেল আঁধার ঘরে

দিনের বিচার করো

দিনের বেলায় বাঁশি তোমার বাজিয়েছিলে অনেক সুরে

দিবস রজনী আমি যেন কার আশায় আশায় থাকি

দিয়ে গেনু বসন্তের এই গানখানি

দীপ নিবে গেছে মম নিশীথসমীরে

দীর্ঘ জীবনপথ, কত দুঃখতাপ, কত শোকদহন

দুঃখ দিয়ে মেটাব দুঃখ তোমার

দুঃখ যদি না পাবে তো

দুঃখ যে তোর নয় রে চিরন্তন

দুঃখরাতে, হে নাথ, কে ডাকিলে

দুঃখের তিমিরে যদি জ্বলে তব মঙ্গল-আলোক

দুঃখের বরষায় চক্ষের জল যেই নামল

দুঃখের যজ্ঞ-অনল-জ্বলনে জন্মে যে প্রেম

দুই হাতে– কালের মন্দিরা

দুই হৃদয়ের নদী একত্র মিলিল যদি

দুইটি হৃদয়ে একটি আসন

দুখ দিয়েছ, দিয়েছ ক্ষতি নাই

দুখের বেশে এসেছ ব’লে তোমারে নাহি ডরিব হে

দুজনে দেখা হল মধুযামিনী রে

দুজনে যেথায় মিলিছে সেথায়

দুটি প্রাণ এক ঠাঁই

দুয়ার মোর পথপাশে

দুয়ারে দাও মোরে রাখিয়া

দূর রজনীর স্বপন লাগে

দূরদেশী সেই রাখাল ছেলে

দূরে কোথায় দূরে দূরে

দূরের বন্ধু সুরের দূতীরে পাঠালো

দে তোরা আমায় নূতন ক’রে

দে পড়ে দে আমায় তোরা কী কথা আজ লিখেছে সে

দেওয়া নেওয়া ফিরিয়ে-দেওয়া তোমায় আমায়

দেখব কে তোর কাছে আসে

দেখা না-দেখায় মেশা

দেখায়ে দে কোথা আছে একটু বিরল

দেখে যা দেখে যা দেখে যা লো তোরা

দেখো দেখো দেখো শুকতারা আঁখি মেলি চায়