নিকষিত হোম

নিকষিত হোম

পিনাকী সর্বজ্ঞ বললেন, প্লেটনিক লভ কি রকম জ্ঞান? দুটি হৃদয়ের পরস্পর নিবিড় প্রীতি, তাতে স্থূল সম্পর্ক কিছুমাত্র নেই। চণ্ডীদাস যেমন বলেছেন—রজকিনীপ্রেম নিকষিত হেম কামগন্ধ নাহি তায়।

পিনাকীবাবু বয়সে বড় সেজন্য আড্ডার সকলেই তাঁকে খাতির করে। কিন্তু উপেন দত্ত তার্কিক লোক, পিনাকীর সবজান্তা ভাব সইতে পারে না। বললে,আচ্ছা সর্বজ্ঞ মশায়, দুই বন্ধুর মধ্যে যদি নিবিড় প্রীতি থাকে তবে তাকে প্লেটনিক বলবেন?

পিনাকীবাবু বললেন, তা কেন বলব, সম্পর্কটি স্ত্রী—পুরুষের মধ্যে হওয়া চাই।

—ও, তাই বলুন। এই যেমন নাতি আর ঠাকুমা, নাতনী আর ঠাকুদ্দা, পিসি আর ভাইপো। এদের মধ্যে যদি গভীর ভালবাসা থাকে তাকে প্লেটনিক বলবেন তো?

—আঃ, তুমি কেবল বাজে তর্ক কর। বুঝিয়ে দিচ্ছি শোন। মনে কর একটি পুরুষ আর একটি নারী আছে, তাদের মধ্যে বৈধ বা অবৈধ মিলন হতে বিশেষ কোনও বাধা নেই। তবু তারা কেবল হৃদয়ের প্রীতিতেই তুষ্ট। এই হল প্লেটনিক প্রেম।

—আচ্ছা। ধরুন ত্রিশ বছরের সুপুরুষ গুরু আর বিশ বছরের সুশ্রী শিষ্যা। এমন ক্ষেত্রে মামুলী প্রেম আকছার হয়ে থাকে। কিন্তু মনে করুন গুরু খুব কদাকার অথচ তার সুশ্রী স্ত্রী আছে। শিষ্যাও খুব কুৎসিত, তারও সুশ্রী স্বামী আছে। গুরু আর শিষ্যার মধ্যে মামুলী প্রেম হল না, কিন্তু ভক্তি আর স্নেহ খুব হল। একে প্লেটনিক বলবেন তো?

পিনাকী সর্বজ্ঞ রেগে গিয়ে বললেন, যাও, তোমার সঙ্গে কথা কইতে চাই না। বিষয়টি তলিয়ে বোঝবার ইচ্ছে নেই, শুধু জেঠামি।

মাথা চুলকে উপেন দত্ত বললেন, আজ্ঞে না, আমি শুধু একটা ভাল ডেফিনিশন খুঁজছি।

ললিত সাণ্ডেল বললেন, ওহে উপেন, আমি খুব সোজা করে বলছি শোন। প্লেটনিক প্রেম মানে আলগোছে প্রেম, যেমন শ্রীকান্ত—রাজলক্ষ্মীর সম্পর্ক। আচ্ছা যতীশ—দা, তুমি তো একজন মস্ত সাহিত্যিক, খুব পড়াশোনাও করেছ। তুমিই বুঝিয়ে দাও না প্লেটনিক প্রেম জিনিসটা কি?

যতীশ মিত্তির বললে, সব জিনিস কি বোঝানো যায়? যেমন ব্রহ্ম, তিনি তো বাক্য আর মনের অগোচর। ধর্ম, সৌন্দর্য, রস, আর্ট—এসবও স্পষ্ট করে বোঝানো যায় না। লাল রং, মিষ্টি স্বাদ, আঁষটে গন্ধ—এসবও অনির্বচনীয়, বুঝিয়ে বলা অসম্ভব, শুধু দৃষ্টান্ত দেওয়া চলে। প্রেমও সেই রকম।

উপেন বললে, বেশ তো, দৃষ্টান্ত দিয়েই প্লেটনিক প্রেম বুঝিয়ে দাও না।

পিনাকী সর্বজ্ঞ বললেন, দৃষ্টান্ত তো পড়েই রয়েছে—রামী—চণ্ডীদাস।

যতীশ বললে, সে কেবল চণ্ডীদাসের নিজের উক্তি, সম্পর্কটা বাস্তবিক কেমন ছিল তার কোনও সাক্ষী প্রমাণ নেই। আচ্ছা, আমি বিষয়টি একটু পরিষ্কার করবার চেষ্টা করছি।— প্রেম বা লাভ যাই বলা হক, তার অর্থ অতি ব্যাপক আর অস্পষ্ট। আমরা বলে থাকি—ঈশ্বরপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, পত্নীপ্রেম,বন্ধুপ্রেম। পণ্ডিতদের মতে বেগুন টমাটো আলু লংকা ধুতরো একই শ্রেণীতে পড়ে এদের ফুল ফলের অঙ্গ—প্রত্যঙ্গের মিল আছে, যদিও গুণ আলাদা। তেমনি ভক্তি প্রেম ভালবাসা স্নেহ সবই এক জাতের। তবে প্রেম বললে সাধারণত নরনারীর আদিম আসঙ্গপ্রবৃত্তিই বোঝায়। ভক্তি—শ্রদ্ধা যদি বেগুন টমাটো হয়, স্নেহ যদি আলু হয়, তবে প্রেমকে বলা যেতে পারে লংকা। প্লেটনিক লাভ বা রজকিনী প্রেম তারই একটা রকম ফের, যেমন পাহাড়ী রাক্ষুসে লংকা, ঝাল নেই, শুধু লংকার একটু গন্ধ আছে।

ললিত বললে, বুঝেছি। একটু আঁষটে গন্ধ না থাকলে যেমন কাঙালী ভোজন বা বাঙালী ভোজন হয় না, তেমনি একটু কামগন্ধ না থাকলে মামুলী বা প্লেটনিক কোনও প্রেমই হবার জো নেই। চণ্ডীদাসের নিকষিত হেম খাঁটি সোনা নয়, অন্তত এক আনা খাদ আছে।

যতীশ বললে, তোমার কথা হয়তো ঠিক, একটু লিপ্সা না থাকলে প্রেমের উৎপত্তি হয় না। এর বিচার মনোবিদগণ করবেন, আমার পক্ষে কিছু বলা অনধিকার চর্চা। আমি একটি অদ্ভুত ইতিহাস জানি। ঘটনাটি আরম্ভ হয় মামুলী প্রেম রূপে, কিন্তু দৈবদুর্বিপাকে তা প্লেটনিক পরিণতি পায় এবং কিছুকাল থমথমে হয়ে থাকে। পরিশেষে ব্যাপারটা এমন বিশ্রী রকম জটিল হয়ে পড়ে যে প্লেটো বা চণ্ডীদাসের পক্ষেও তা অনিবর্চনীয়। তবে ফ্রয়েড—শিষ্যদের অসাধ্য কিছু নেই, তাঁরা নিশ্চয় বিশ্লেষণ করে একটি ব্যাখা দিতে পারবেন।

উপেন বললে, ব্যাখা শুনতে চাই না, তুমি ইতিহাসটি বল যতীশ—দা।

যতীশ মিত্তির বলতে লাগল—

অখিল শীলকে তোমাদের মনে আছে? বছর সাত—আট আগে দু—একবার আমার সঙ্গে এই আড্ডায় এসেছিল। সে আর আমি একসঙ্গে পড়তুম। আমি বি.এল.পাস করে উকিল হলুম সে এম.এ. পাস করে কর্পোরেশনে একটা চাকরি যোগাড় করলে। কলেজে তার দু ক্লাস নীচে পড়ত নিরঞ্জনা তলাপাত্র। মেয়েটি সুন্দরী না হক, দেখতে মন্দ ছিল না, টেনিস ভলিবল খেলায় নাম করেছিল, স্বাস্থ্য খুব ভাল ছিল।

একদিন অখিল আমাকে বললে, সে নিরঞ্জনার সঙ্গে প্রেমে পড়েছে, বিয়ে করতে চায়। কিন্তু অখিলের বিধবা মা ব্রাহ্মণ পুত্রবধূ আনতে রাজী নন। নিরঞ্জনার বাপ সর্বেশ্বর তলাপাত্রেরও ঘোর আপত্তি, তিনি বলেছেন, ব্রাহ্মণ—কন্যার সঙ্গে বেনে বরের বিবাহ হলে তাদের সন্তান হবে চণ্ডাল, শাস্ত্রে এই কথা আছে।

আমি অখিলকে বললুম, এক্ষেত্রে সনাতন উপায় যা আছে তাই অবলম্বন কর। নিরঞ্জনা কান্নাকাটি করুক, খাওয়া কমিয়ে দিক, যথাসম্ভব রোগা হয়ে যাক। তুমিও বাড়িতে মুখ হাঁড়ি করে থেকো, চুল রুক্ষ করে রেখো, নামমাত্র খেয়ো, বাকীটা রেস্তোরাঁয় পুষিয়ে নিও। ওরা দুজনে আমার প্রেসক্রিপশন মেনে নিলে, তাতে ফলও হল। অখিলের মা আর নিরঞ্জনার বাপ—মা অগত্যা রাজী হলেন। স্থির হল দু মাস পরে বিবাহ হবে।

নিরঞ্জনা কলকাতায় তার কাকার কাছে থেকে কলেজে পড়ত। তার বাপ সর্বেশ্বর তলাপাত্র বোম্বাই সরকারের বড় চাকরি করতেন, মাঝে মাঝে কলকাতায় আসতেন। আসন্ন বিবাহের স্বপ্নে অখিল দিন কতক বেশ মশগুল হয়ে রইল। তারপর একদিন সে আমাকে বললে, দেখ যতীশ, ক দিন থেকে নিরঞ্জনা কেমন যেন গম্ভীর হয়ে আছে, কারণ জানতে চাইলে কিছুই বলে না। অখিলকে আশ্বাস দেবার জন্যে আমি বললুম, ও কিছু নয়, বাপ—মাকে ছেড়ে যেতে হবে তার জন্যে বিয়ের আগে অনেক মেয়েরই একটু মন খারাপ হয়।

তার পর একদিন সন্ধ্যাবেলা অখিল হন্তদন্ত হয়ে আমার কাছে এসে বললে, ভাই, সর্বনাশ হতে বসেছে। সর্বেশ্বরবাবু হঠাৎ কলকাতায় এসে নিরঞ্জনাকে বোম্বাইয়ে নিয়ে গেছেন। নিরঞ্জনার কাকার কাছে গিয়েছিলুম, তিনি গম্ভীর হয়ে আছেন, আমি প্রশ্ন করলে কিছু জানালেন না, ভাল করে কথাই বললেন না।

আমি নিরঞ্জনাকে এইমাত্র টেলিগ্রাম করেছি, চিঠি লিখেও জানতে চেয়েছি—আমাকে কিছু না জানিয়ে তার হঠাৎ চলে যাবার মানে কি, আর কারও সঙ্গে তার বিয়ে হবে নাকি?

অখিলকে আমি বললুম, ব্যস্ত হয়ো না, দু দিন সবুর করে দেখ না নিরঞ্জনা কি উত্তর দেয়। চার—পাঁচ দিন পরে অখিল এসে বললে, এই দেখ নিরঞ্জনার চিঠি, তার মতলব তো কিছুই বুঝতে পারছি না।

নিরঞ্জনা অখিলকে লিখেছে—আমার সঙ্গে তোমার বিয়ে হতেই পারে না, আমাকে একেবারে ভুলে যাও। এর কারণ এখন বলতে পারব না, শুধু এইটুকু জেনে রাখ যে অন্য কোনও পুরুষকে আমি বিয়ে করব না। তুমি আমাকে চিঠি লিখো না, বোম্বাইএ এসো না, আমি তোমার সঙ্গে দেখা করতে পারব না। যথাকালে সমস্তই জানতে পারবে।

অখিল পাগলের মতন হয়ে গেল। আমি তাকে শান্ত করবার চেষ্টা করলুম, বললুম, ধৈর্য ধরে থাক, নিরঞ্জনা তো বলেছে যে সব কথা সে পরে জানাবে। কিন্তু অখিল ধৈর্য ধরবার লোক নয়, নিরঞ্জনাকে রোজ চিঠি লিখতে লাগল। চিঠির কোনও উত্তর এল না। অবশেষে সে বোম্বাইএ ছুটল। দশ দিন পরে ফিরে এসে আমাকে যা বললে তা এক অদ্ভুত ব্যাপার।

সর্বেশ্বর তলাপাত্র প্রথমটা অখিলকে হাঁকিয়ে দিয়েছিলেন, নিরঞ্জনার সঙ্গে দেখা করবার অনুমতি দেন নি। কিন্তু অখিলের কন্ঠস্বর আর শোকোচ্ছ্বাস শুনতে পেয়ে নিরঞ্জনা দোতলা থেকে নেমে এসে বললে, বাবা, তুমি অন্য ঘরে যাও, যা বলবার আমিই অখিলকে বলব। বেচারাকে অনর্থক যন্ত্রণা দিয়ে লাভ কি, সব খোলসা করে বলাই ভাল।

এই কি নিরঞ্জনা? তাকে এখন চেনা শক্ত। মাথার চুল ছোট করে কেটেছে, পায়জামা আর পাঞ্জাবি পরেছে, লম্বায় ইঞ্চি ছয়েক বেড়ে গেছে। তার কণ্ঠস্বর মোটা হয়েছে, গোঁফ বেরিয়েছে, বুক একদম ফ্ল্যাট হয়ে গেছে। অখিল অবাক হয়ে তাকে দেখতে লাগল।

নিরঞ্জনা যে রহস্য প্রকাশ করলে তা এই।—সে পুরুষে রূপান্তরিত হচ্ছে। সন্দেহ অনেক দিন আগেই হয়েছিল, এখন সমস্ত লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ডাক্তার কির্লাস্কার তার চিকিৎসা করছেন, হরেক রকম গ্ল্যাণ্ড খাওয়াচ্ছেন আর হরমোন ইঞ্জেকশন দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, সম্পূর্ণ রূপান্তর হতে বড় জোর আরও ছ মাস লাগবে।

অখিল আকুল হয়ে বললেন, না নিরঞ্জনা, তুমি পুরুষ হয়ো না, তা হলে আমি মরব। ট্রিটমেণ্ট বন্ধ করে দাও, বরং ডাক্তারকে বল তিনি এমন ব্যবস্থা করুন যাতে তোমার নারীত্ব রক্ষা পায়।

নিরঞ্জনা বললে, তা হবার জো নেই। আমি পুরুষ হয়ে জন্মেছি, এতদিন লক্ষণগুলো চাপা ছিল, এখন ক্রমশ প্রকাশ পাচ্ছে। যদি চিকিৎসা বন্ধ করি তা হলেও আমার পরিবর্তন হতে থাকবে, শুধু দু—তিন বছর দেরী হবে। তার চাইতে চটপট পুরুষ হয়ে যাওয়াই ভাল।

অখিল কাঁদতে কাঁদতে বলে, আমার কি হবে নিরঞ্জনা? তুমি না হয় পুরুষই হয়ে গেলে, তোমার ডাক্তার কি আমাকে মেয়ে করে দিতে পারে না? তা হলেও আমাদের মিলন হতে পারবে।

নিরঞ্জনা বললে, পাগল হয়েছ? তুমি তো পুরোপুরি পুরুষ হয়েই জন্মেছ, তার আর নড়চড় হতে পারে না। এই বইখানা দিচ্ছি, ফাউলার্স সেক্স ফ্যাক্টর্স, পড়ে দেখো।

অখিল বললে, তুমি মেয়েই হও আর পুরুষই হও, তোমার সঙ্গে আমার হৃদয়ের যে সম্পর্ক তার পরিবর্তন হতে পারে না। আমি তোমাকে ছাড়তে পারব না।

নিরঞ্জনা বললে, মন খারাপ ক’রো না। তুমি আর আমি যাতে একসঙ্গে থাকতে পারি তার ব্যবস্থা করব। বাবা বলেছেন আমার চিকিৎসা শেষ হলেই আমাকে ইন্দোর ব্যাংকের সেক্রেটারির পোস্টে বসিয়ে দেবেন। বাবার খুব প্রতিপত্তি, আমি জেদ করলে তোমাকেও সেখানে একটা ভাল কাজ দিতে পারবেন। তত দিন তুমি বোম্বাই এ আমাদের বাড়িতেই থাকবে।

অখিল তার কলকাতায় চাকরি ছেড়ে বোম্বাই এ ফিরে গিয়ে নিরঞ্জনার কাছেই রইল। সর্বেশ্বরবাবু দয়ালু লোক আপত্তি করলেন না। দ্রুপদ রাজার মেয়ে শিখণ্ডিনী যেমন পুরুষত্ব লাভ করে মহারথ শিখণ্ডী হয়েছিলেন, নিরঞ্জনাও তেমনি কয়েক মাস পরে পূর্ণপুরুষ মিস্টার নিরঞ্জন তলাপাত্র রূপে ইন্দোর ব্যাংকের সেক্রেটারি হল। সর্বেশ্বরবাবুর চেষ্টায় অখিল শীলও সেই ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যাণ্ট সেক্রেটারি হল। দুজনে একসঙ্গেই বাস করতে লাগল।

পিনাকী সর্বজ্ঞ বললেন, সেরেফ গাঁজা। তুমি কি বলতে চাও এরই নাম নিকষিত হেম?

যতীশ মিত্তির বললে, আজ্ঞে না। স্টেনলেস স্টীল বলতে পারেন। সোনার জলুস নেই, লোহার মরচে নেই, ইস্পাতের ধারও নেই।

উপেন দত্ত বললে, তারপর কি হল?

—তার পর সব ওলটপালট হয়ে গেল। একদিন নিরঞ্জন বললে, ওহে অখিল, এরকম একা একা ভাল লাগছে না, জগৎটা বোদা বোদা ঠেকছে। মা—বাবাও বিয়ের জন্যে তাড়া দিচ্ছেন। আমি বলি শোন। —শেঠ মুলুকচাঁদের একজোড়া যমজ মেয়ে আছে, দেখেছ তো? তাদের মা বাঙালী। খাসা মেয়ে দুটি। তুমি একটিকে আর আমি একটিকে বিয়ে করি এস। শেঠজীকে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনি রাজী, মেয়ে দুটিরও আপত্তি নেই।

বিয়ে হয়ে গেল, কিন্তু কিছুদিন পরেই দুই বোনের চুলোচুলি ঝগড়া বাধল, যেন তারা দুই সতিন। তার ফলে দুই বন্ধুরও মনোমালিন্য হল। অখিল অন্য চাকরি নিয়ে দিল্লি চলে গেল, নিরঞ্জন ইন্দোরেই রইল। এখন আর দুজনের মুখদর্শন নেই।

উপেন দত্ত বললে, যাক, বাঁচা গেল।

১৩৬০ (১৯৫৩)