রবীন্দ্রসংগীত (রবীন্দ্র সঙ্গীত) – Rabindranath Tagore Songs – Page 27

সঘন গহন রাত্রি ঝরিছে শ্রাবণধারা

সঙ্কোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান

সত্য মঙ্গল প্রেমময় তুমি, ধ্রুবজ্যোতি তুমি অন্ধকারে

সদা থাকো আনন্দে, সংসারে নির্ভয়ে নির্মলপ্রাণে

সন্ধ্যা হল গো– ও মা

সন্ন্যাসী ধ্যানে নিমগ্ন নগ্ন তোমার চিত্ত

সন্ন্যাসী যে জাগিল ওই

সফল করো হে প্রভু আজি সভা

সব কাজে হাত লাগাই মোরা

সব কিছু কেন নিল না

সব দিবি কে সব দিবি পায়

সবাই যারে সব দিতেছে তার কাছে সব দিয়ে ফেলি

সবার মাঝারে তোমারে স্বীকার করিব হে

সবার সাথে চলতেছিল অজানা এই পথের অন্ধকারে

সবারে করি আহ্বান

সবে আনন্দ করো

সভায় তোমার থাকি সবার শাসনে

সমুখেতে বহিছে তটিনী

সময় কারো যে নাই

সর্ব খর্বতারে দহে তব ক্রোধদাহ

সহজ হবি, সহজ হবি, ওরে মন, সহজ হবি

সহসা ডালপালা তোর উতলা-যে

সহে না যাতনা

সাজাব তোমারে হে ফুল দিয়ে দিয়ে

সাধ ক’রে কেন, সখা, ঘটাবে গেরো

সাধন কি মোর আসন নেবে

সাধের কাননে মোর রোপণ করিয়াছিনু

সারা জীবন দিল আলো সূর্য গ্রহ চাঁদ

সারা নিশি ছিলেম শুয়ে বিজন ভুঁয়ে

সারা নিশি ছিলেম শুয়ে বিজন ভুঁয়ে

সারা বরষ দেখি নে

সার্থক কর সাধন

সার্থক জনম আমার

সীমার মাঝে অসীম তুমি বাজাও আপন সুর

সুখহীন নিশিদিন পরাধীন হয়ে ভ্রমিছ দীনপ্রাণে

সুখে আছি সুখে আছি সখা আপন মনে

সুখে আমায় রাখবে কেন

সুখে আমায় রাখবে কেন, রাখো তোমার কোলে

সুখে থাকো আর সুখী করো সবে

সুধাসাগরতীরে হে

সুনীল সাগরের শ্যামল কিনারে

সুন্দর বটে তব অঙ্গদখানি তারায় তারায় খচিত

সুন্দর বহে আনন্দমন্দানিল

সুন্দর হৃদিরঞ্জন তুমি নন্দনফুলহার

সুন্দরের বন্ধন নিষ্ঠুরের হাতে

সুর ভুলে যেই ঘুরে বেড়াই কেবল কাজে

সুরের গুরু, দাও গো সুরের দীক্ষা

সে আমার গোপন কথা শুনে যা ও সখী

সে আসি কহিল, ‘প্রিয়ে, মুখ তুলে চাও

সে আসে ধীরে

সে কি ভাবে গোপন রবে লুকিয়ে হৃদয় কাড়া

সে কোন্‌ বনের হরিণ

সে কোন্‌ পাগল যায়

সে দিন আমায় বলেছিলে আমার সময় হয় নাই

সে দিনে আপদ আমার যাবে কেটে

সে যে মনের মানুষ, কেন তারে বসিয়ে রাখিস নয়নদ্বারে

সে যে পাশে এসে বসেছিল

সে যে বাহির হল আমি জানি

সেই তো আমি চাই

সেই তো তোমার পথের বঁধু সেই তো