নিবিড় অমা-তিমির হতে বাহির হল জোয়ার-স্রোতে

নিবিড় ঘন আঁধারে জ্বলিছে ধ্রুবতারা

নিবিড় মেঘের ছায়ায় মন দিয়েছি মেলে

নিভৃত প্রাণের দেবতা যেখানে জাগেন একা

নিমেষের তরে শরমে বাধিল

নির্জন রাতে নিঃশব্দ চরণপাতে কেন এলে

নির্মল কান্ত নমো হে নমো

নিশা-অবসানে কে দিল গোপনে আনি

নিশার স্বপন ছুটল রে, এই ছুটল রে

নিশি না পোহাতে জীবনপ্রদীপ জ্বালাইয়া যাও প্রিয়া

নিশিদিন চাহো রে তাঁর পানে

নিশিদিন ভরসা রাখিস

নিশিদিন মোর পরানে প্রিয়তম মম

নিশীথরাতের প্রাণ

নিশীথশয়নে ভেবে রাখি মনে, ওগো অন্তরযামী

নিশীথে কী কয়ে গেল মনে

নীরব রজনী দেখো মগ্ন জোছনায়

নীরবে আছ কেন বাহিরদুয়ারে

নীরবে থাকিস সখী

নীল দিগন্তে ওই ফুলের আগুন লাগল

নীল আকাশের কোণে কোণে

নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে

নীল- অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায় সম্‌বৃত অম্বর হে গম্ভীর

নীলাঞ্জনছায়া প্রফুল্ল কদম্ববন

নূতন প্রাণ দাও, প্রাণসখা, আজি সুপ্রভাতে

নূপুর বেজে যায় রিনিরিনি

নৃত্যের তালে তালে নটরাজ

নয় এ মধুর খেলা

নয়ন ছেড়ে গেলে চলে, এলে সকল-মাঝে

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে

নয়ন মেলে দেখি আমায় বাঁধন বেঁধেছে

নয়ান ভাসিল জলে

পথ এখনো শেষ হল না, মিলিয়ে এল দিনের ভাতি

পথ চেয়ে যে কেটে গেল কত দিনে রাতে

পথ দিয়ে কে যায় গো চলে

পথহারা তুমি পথিক যেন গো

পথিক পরান চল্‌, চল্‌ সে পথে তুই

পথিক মেঘের দল জোটে ওই শ্রাবণগগন-অঙ্গনে

পথিক হে, ওই-যে চলে, ওই-যে চলে সঙ্গী তোমার দলে দলে

পথে চলে যেতে যেতে কোথা কোন্‌খানে

পথে যেতে ডেকেছিলে মোরে

পথে যেতে তোমার সাথে মিলন হল দিনের শেষে

পথের শেষ কোথায়, শেষ কোথায়, কী আছে শেষে

পরবাসী চলে এসো ঘরে

পাখি আমার নীড়ের পাখি অধীর হল কেন জানি

পাখি তোর সুর ভুলিস নে

পাখি বলে চাঁপা আমারে কও

পাগল যে তুই কণ্ঠ ভরে

পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে

পাগলিনী তোর লাগি

পাছে সুর ভুলি এই ভয় হয়

পাতার ভেলা ভাসাই নীরে

পাত্রখানা যায় যদি যাক ভেঙেচুরে

পাদপ্রান্তে রাখ সেবকে

পান্থ তুমি, পান্থজনের সখা হে

পান্থ, এখনো কেন অলসিত অঙ্গ

পান্থপাখির রিক্ত কুলায় বনের গোপন ডালে

পারবি না কি যোগ দিতে এই ছন্দে রে

পায়ে পড়ি শোনো ভাই গাইয়ে

পিনাকেতে লাগে টঙ্কার