হবুচন্দ্র-গবুচন্দ্র

হবুচন্দ্র-গবুচন্দ্র

হবুচন্দ্রকে বললে রাজ্যের যত লোক—
হে মহারাজ ধর্মাবতার,
আমাদের আরজিটা শুনুন একবার,
গবু মন্ত্রীকে শূলে চড়াতে আজ্ঞা হোক।
ব্যাটা অকর্মণ্য ঘুষখোর,
পয়লানম্বর চোর,
ওর জন্যে আমরা খেতে পরতে পাই না।
যদি না পারেন রাজার কাজ
তবে কি করতে আছেন মহারাজ?
চ’লে যান, আপনাকে আমরা চাই না॥

হাই তুলে বললেন হবুচন্দ্র,
এরা বলে কি হে গবুচন্দ্র?
গবু বললেন, আঃ কি জ্বালাতন,
দোষ ধরাই ওদের স্বভাব।
শিখেছেন তো তার জবাব,
আউড়ে দিন তোতাপাখির মতন॥

হেঁকে বললেন হবুচন্দ্র নরপতি,
ওহে প্রজাবৃন্দ শান্ত হও, ধৈর্য ধর,
না বুঝেই কেন চেঁচিয়ে মর,
তোমরা অবোধ ছেলেমানুষ অতি।
তোমাদের নালিশ মিথ্যে আদ্যন্ত,
স্বয়ং গবুচন্দ্র করেছেন তদন্ত।
তোমাদের কিঞ্চিৎ টানাটানি,
কিঞ্চিৎ এটা ওটা সেটা দরকার
আছে তা অবশ্যই মানি।
শীঘ্রই হবে তার প্রতিকার।
স্বর্গ থেকে আসছে মালী এক দল,
সঙ্গে নিয়ে কল্পতরুর বীজ,
ষাট বছরে ফলবে তার ফসল,
পাবে তখন হরেকরকম চীজ।
তদ্দিন বাপু সয়ে থাক চক্ষু মুদে,
বাজে খরচ কমাও,
দেদার টাকা জমাও,
আমার কাছে রাখ আড়াই পারসেন্ট সুদে।

৮।২।৪৬