লেখা, লেখা, লেখা
বইগুলো ভয় দেখাচ্ছে
সেই সাড়ে চার বছর বয়সে অক্ষর পরিচয়
তারপর, ওঃ, কতগুলো যুগ ও কল্পান্ত কেটে গেল যেন
শুধু ছাপার অক্ষর, চোখের সামনে হাজার হাজার পৃষ্ঠা
পড়েছি যত, লিখেছি কি তার চেয়ে বেশি?
কত যে সাদা পৃষ্ঠা কালিমালিপ্ত করেছি তার ইয়ত্তা নেই
তারা বাঁধানো বই হয়ে ফিরে এসেছে, স্বাতীকে বানাতে হয়েছে
দ্বিতীয় আলমারি
খেলাচ্ছলে লিখেছি, কালপুরুষকে টুসকি মেরে লিখেছি
বেঁচে থাকার জন্য লিখেছি, সামান্য টাকার জন্য লিখেছি
দু’-তিনজন আপন মানুষকে আমার স্বপ্ন ও বেদনা
মনে রাখবার জন্যে লিখেছি
মাঝরাত্রে ঘুম ভেঙে উঠে এসে ভূতগ্রস্তের মতন লিখেছি
কত মানুষ যখন দুলেছে, ভেসেছে, হেসেছে, মেতেছে
আমি লেখার টেবিলে আয়ু নিঙড়ে দিয়েছি
সিগারেট টেনে টেনে ফুসফুস ঝাঁঝরা, ঘাড়ে গোঁয়ার
ধরনের ব্যথা
মাঝপথে ছুটে গেছি অভিধানের দিকে, নারীকে দেখিনি,
আকাশ দেখিনি
তাতে কোনো পাপ হয়েছে কি? এতগুলো বছর ব্যর্থ গেল?
কেন নিজের লেখা বইগুলির দিকে তাকাতে ভয় করে?
কেন নিজের নাম শুনলে মনে হয়, অন্য মানুষ, অন্য মানুষ
চতুর্দিকে নশ্বরতার এমন হিমেল ঘুমঘুম গন্ধ।