একটি গ্রাম্য দৃশ্য

একটি গ্রাম্য দৃশ্য

মাটির দাওয়ায় খুদে মাস্টার ক্লাস সিক্সের গুটুলি
হাতে বেত নেই, তর্জনি তোলা, নাকের ডগায় চশমা
খেলনা চশমা, চশমা ছাড়া কি মাস্টার সাজা মানায়?
মেঘ ভাঙা চাঁদ, পোষা বেড়ালটা এই দৃশ্যটা দেখছে।

ছাত্রী মাত্র একটিই, তার মন নেই পড়াশুনোয়
ছটফটে ভাব, পালাবার তাল, বড় চঞ্চল চাহনি
চুল বাঁধা নেই, শাড়ির আঁচল ঘাম মুছে মুছে ময়লা
কাতর গলায় জানাল, ‘গুটুলি, এবার আমায় ছেড়ে দে?’

গুটুলি চক্ষু পাকিয়ে বলল, ‘হাতের লেখাটা দেখাও
যা পড়া দিয়েছি শেষ না করলে কোথথাও যেতে পাবে না
ভারি ফাঁকিবাজ, এখনো নিজের নামের বানান শেখোনি
দীর্ঘ ঈ-কার লিখতে দু’বার চকখড়িখানা ভাঙলে!’

‘মেঘ ডাকছে রে, ভিজে যাবে সব, খোলা আছে বুঝি জানলা!’
‘এখনো বৃষ্টি আসেনি আগেই ওঠার জন্য ব্যস্ত?’
‘রান্নাবান্না কিচ্ছু হয়নি, রাত্তিরে তোরা খাবি কী?’
‘সে সব জানি না, পড়ার সময় শুনব না কোনো বায়না।‘

কড়া মাস্টার গুটুলি কিছুতে ছাত্রীকে ছুটি দেবে না
মাতৃভাষাটা মাকে শেখাবেই ক্লাস সিক্সের ছেলেটা!