বাদলা পোকা
মেয়েটি শয্যায় শুয়ে, পুরুষটি দরজায় দাঁড়ানো।
জানলায় নীল পর্দা, নীল আলো এক চক্ষু জ্বলে
একটি বাদলা পোকা আলোর চৌদিকে ঘোরে বিকারের ঘোরে
মেয়েটি শয্যায় শুয়ে, পুরুষটি দরজায় দাঁড়ানো।
আলোকে রমণী বলে, পোকাটাকে প্রেম নামে ডেকে
কবির পরম শান্তি, আকাশে বিশাল
যৌবনের দুর্নিবার স্পর্ধার নিশান আর ছন্দে মিলে বাঁধা
কাব্যের পরমা—ক্লান্তি, স্মৃতির শয্যায়।
মেয়েটি শয্যায় শুয়ে পুরুষটি দরজায় দাঁড়ানো।
যে আধারে সন্তানের দুধ জমা হবে
মেয়েটির সেই দুই সোনার কলসে ডাকে সমুদ্র বাতাস
এক বাহু উপাধান, আর এক হাতে যোনি ঢেকে
রূপসী আচ্ছন্ন হাসি স্তরে স্তরে ছড়াল সে ঘরে
সমস্ত শরীর ভরে রেখার নিপুণ কারুকাজ
আর তার দৃঢ় শুভ্র ঊরুযুগে দুটি চক্ষু আঁকা…
বাদলা পোকার মৃত্যু হাহাকারে ভরে দেয় মন
আলোকে হৃদয় বলে; পোকাটাকে লোভ নামে ডেকে
কবির পরম শান্তি;
কী লাভ অনর্থক বাদলা পোকায়?
নীল আলো নিভে গেল ঊরু থেকে দুই চক্ষু মুছে।