রহস্যময় দুর্গ – ৬

ছয়

সে কটমট করে চেয়ে রয়েছে কিশোরের দিকে।

‘তো তুমি আমাদেরকে বোকা বানিয়েছিলে।’

‘না,’ কিশোর ফিসফিস করে বলল। ‘প্লিজ, আমাকে ছেড়ে দিন।’

ইয়াবড় হাত দুটো মুঠো পাকিয়ে এগিয়ে এল কামার। কিশোর লোকটার পাশ দিয়ে বনভূমির উদ্দেশে চাইল, অনুভব করল ওখানে পৌঁছতে পারবে না, এবার ঝেড়ে দৌড় দিল হ্রদের দিকে।

পানির ওপরে এক জেটী। ওটার ভেজা ওপরভাগে পা পিছলে গেল, কিশোর যখন শেষপ্রান্তে ছুটে গেল। কোন নৌকা নেই কালো পানিতে বৃষ্টি পড়তে দেখল ও। হ্রদের শীতল পানি কেটে সাঁতরানোর চিন্তা করাটাও এমনকী বোকামি, অগত্যা উল্টো ঘুরল কামারের মুখোমুখি হতে। জেটীটা সরু, লোকটার পাশ দিয়ে ছুটে পালাবে সে সুযোগ নেই।

‘সরে যান আমার কাছ থেকে,’ অনুনয় করে, পিছিয়ে গেল কিশোর।

আরেক কদম হটল ও, কিন্তু ওর পা খুঁজে পেল শুধুই শূন্যতা। আর্তচিৎকার ছেড়ে হ্রদের ঠাণ্ডা পানিতে চিতিয়ে পড়ে গেল কিশোর! হিমশীতল পানিতে মাথা ডুবল ওর, এবার রীতিমত যুঝে পানির ওপরে উঠে এল ও এবং সাঁতরাতে লাগল জেটী অভিমুখে। পানি থেকে মই বেয়ে ওঠার সময় সঞ্চিত শেষ শক্তিটুকু ফুরিয়ে গেল ওর, এবং লুটিয়ে পড়ল কামার লোকটার পায়ের কাছে।

শক্তিশালী বাহুজোড়ায় কিশোরকে তুলে নিল কামার।

‘সাঁতার কাটতে কেমন লাগল?

‘আমাকে ছেড়ে দিন,’ শ্বাসের ফাঁকে বলল কিশোর। ‘আমি…আমি…’

‘হীরেগুলো কোথায়?’

কিশোর ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইল লোকটার দিকে। ‘হীরেগুলো কোথায় লুকানো আছে বলো,’ আদেশ করল লোকটা।

‘আমি… দাঁতে দাঁতে ঠকাঠক বাড়ি খাচ্ছে কিশোরের। ‘আমি…জানি…না…’

কামার পানির দিকে এগোল।

‘আবার পানিতে পড়তে চাও?’

‘না! বলব।’

‘দু’সেকেণ্ড সময় পাবে, তারপর আবার কিন্তু লেকে।’

‘ওগুলো…’ শ্বাস নিতে বেগ পাচ্ছে কিশোর। ‘ওগুলো…স্যর ডয়েলের…শাওয়ারে আছে।’

কামারের কুতকুতে চোখজোড়া জরিপ করল কিশোরের মুখখানা, ভয়ঙ্কর একটি মুহূর্তের জন্য মনে হলো লোকটা আবার বুঝি ওকে ছুঁড়ে ফেলবে পানিতে। এবার মাথা ঝাঁকাল ও।

‘মনে হয় সত্যি কথাই বলছ।’

‘সত্যি…বলছি!’

‘বললেই ভাল, তোমার নিজের জন্যেই।’

কিশোরকে পাঁজাকোলা করে কেবিনে ফিরল দশাসই লোকটা। একটু পরেই, হট বাথে শুয়ে রইল কিশোর, ধীরে-ধীরে ওর হাড়-মজ্জা থেকে শীতল অনুভূতি কেটে যাচ্ছে টের পেল।

পরে দায়সারাভাবে বানানো এক কাঠের টেবিলে বসল ও, কামার লোকটাকে ইয়াবড় এক চুলোয় কাঠের টুকরো ছুঁড়ে দিতে দেখল। যা-ই ঘটুক, কিশোরের এতটাই খিদে পেয়েছে, লোকটাকে তপ্ত ফ্রাইং প্যানে গরুর মাংস আর কটা ডিম ফেলতে দেখে কৃতজ্ঞ বোধ করল।

স্টোভের পাশে শুকোচ্ছে কিশোরের জামা-কাপড়। কামার ওকে পুরানো এক ড্রেসিং গাউন দিয়েছে; কিশোর ওটা টেনেটুনে ভালমত গায়ে জড়াল।

‘শোফার কোথায়?’ জবাব নেই।

‘আর ভ্যানের ড্রাইভার। কাদের কথা বলছি বুঝতেই পারছেন। ওদেরকে তো দেখছি না।‘

টিনের এক থালায় বিফ আর ডিমগুলো তুলে, ওর সামনে, টেবিলের ওপর ঠকাস করে রাখল কামার। কিশোরের দিকে চেয়ে রইল, মুখে রা নেই, এবার আবার চুলোর উদ্দেশে ঘুরল।

খাবারের প্রথম স্বাদটা অসাধারণ।

‘দারুণ! কটা টোস্ট দেবেন, প্লিজ?’ গোগ্রাসে গিলছে কিশোর, মুচমুচে মাংস আর সুস্বাদু ডিমগুলো খেতে কী ভালই না লাগছে ওর! ‘কিডন্যাপিঙের জন্যে আপনাদের তিনজনকে পুলিস গ্রেপ্তার করবে। আপনাদের ভয় করে না?’

কালচে হয়ে আসা এক পাত্র থেকে কফি ঢালল কামার, এবার গরম তরলটুকু গিলে নিল এক চুমুকে। জেটা ছেড়ে আসার পর আর একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি ও।

‘আপনি অসাধারণ রাঁধেন,’ বলল কিশোর, নীরব লোকটিকে মুখ খোলানোর উদ্দেশ্যে। ‘আপনি বাবুর্চি হলে ভাল হত, ক্রিমিনাল না হয়ে। আপনাকে আমার মোটেই অপরাধী টাইপের মনে হচ্ছে না।’

কামার কিশোরের দিকে চকিতে চাইল, কিছু একটা নেচে উঠল তার চোখের তারায়।

‘তুমি ঘুমোও,’ গম্ভীর স্বরে বলল। ‘তোমার জেরা শুনতে- · শুনতে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।’

কিশোর চুপ মেরে গেল, বিপজ্জনক লোকটাকে আর ঘাঁটানো ঠিক হবে না। খানিক পরে, এক কামরায় নিয়ে যাওয়া হলো ওকে, মেঝেতে একটিমাত্র পুরানো ম্যাট্রেস আর স্লিপিং ব্যাগ দেখল ও। ব্যাগের ভেতরে গুড়ি মেরে ঢুকে, গুটিসুটি মেরে শুয়ে পড়ল কিশোর। গা গরম হয়ে উঠতেই চোখ বুজল। মনের পর্দায় স্পষ্ট ফুটিয়ে তুলল কেবিনের উদ্দেশে ওর এগিয়ে আসার সময়কার প্রতিটা দৃশ্য। চিমনির ধোঁয়া আর রাস্তায় পড়ে থাকা মরা ডাল- পালার কথা মনে পড়ল, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কী একটা যেন মনে পড়েও পড়ছে না। ওটা স্মৃতিপটে ভেসে উঠেছে প্রায়, এমনিসময় ঘুমে তলিয়ে গেল ও।

কিছুক্ষণ পরে, কামার লোকটা ওকে ধাক্কা দিয়ে জাগাল। চোখ পিটপিট করে দেখার চেষ্টা করছে, কোনমতে কাপড় পরে নিল কিশোর এবং ওকে বাইরে নিয়ে আসা হলো। ভ্যানটা অপেক্ষা করছিল ওখানে। স্কি মাস্ক পরা একজন হুইলে বসা।

কিশোর পেছনের সিটে ধপ করে বসে পড়ে ক্লান্ত চোখজোড়া বুজল। এবার আচমকাই, বিনা সতর্কতায়, ওকে চোখ বেঁধে ভ্যানের মেঝেতে ঠেলে নামিয়ে দিল কামার লোকটা।

‘আমাকে ওপরে বসতে দিন, প্লিজ। এখানে খুব কষ্ট হয়!’

বৃথা। ওর কাতর মিনতিতে কেউ কান দিল না। ভ্যান শীঘ্রি রওনা হলো এবং কিশোর মেঝেতেই শুয়ে রইল। আবারও ঘুমিয়ে পড়ল ও, তবে বারবার ভাঙল ঘুমটা।

.

ঘ্যাঁচ করে ব্রেক কষার শব্দে জাগল কিশোর। এক জোড়া থাবা ওকে চেপে ধরে ভ্যান থেকে ধাক্কা দিয়ে নামাল। চোখের বাঁধন খুলে, লাইসেন্স প্লেট নম্বরটা দেখার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলো ও। ছোট পার্কটার ভেতরে ওকে রেখে সাঁ করে চোখের আড়াল হয়ে গেল ভ্যানটা।

মুক্তির আনন্দে বিভোর কিশোর পার্কটার চারপাশে চোখ বোলাল। আশপাশে জনমানুষের ছায়ামাত্র নেই, তাই যানবাহনের শব্দ লক্ষ্য করে সাহায্যের আশায় পা বাড়াল ও।

রাস্তায় পৌঁছনোর আগে ভাবনা-চিন্তার সময় আর সুযোগ পেল ও। পুলিসকে জানানোর আগে হীরেগুলো খুঁজে পেলে ভাল হয়। এক পথচারী মহিলাকে থামিয়ে জিজ্ঞেস করল কাসা লোমায় ফেরার স্ট্রিটকার কোথায় পাবে।

এক টিটিসি চিহ্ন দেখাল মহিলা। ‘সাবওয়ে ধরে ডিউপন্ট স্টপে চলে যাও।’

‘ধন্যবাদ।’

দীর্ঘ পথ, কিশোর সামনের গাড়িটাতে বসে অধৈর্য হয়ে উঠছে, দেখছে সিগন্যাল বাতিগুলো কীভাবে নিমেষে ঝলসে পেরিয়ে যাচ্ছে, ট্রেইনটা যখন টরন্টোর নিচ দিয়ে আঁকাবাঁকা সুড়ঙ্গ পথ ধরে ঊর্ধ্বগতিতে ছুটে চলল। ডিউপণ্টে পৌঁছে রাস্তায় নামল ও এবং কাসা লোমার উদ্দেশে শশব্যস্তে পা চালাল; আর মাত্র ক’মিনিট পরেই টম মামাকে শাওয়ারটার কথা বলে ওটাকে খোলার ব্যবস্থা করতে পারবে। এখন বদমাশগুলো আগেই ওখানে পৌঁছে না গেলেই হয়।

এ-ঘর, ও-ঘর হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়িয়ে শেষমেশ টিনা আর টম মামাকে কনজার্ভেটরিতে পেল কিশোর।

ধাক্কা মেরে এক দরজা খুলে, ত্বরিত ভেতরে পা রাখল ও। ‘আমি ফিরে এসেছি!’

টিনা চট করে চাইল ওর দিকে।

‘হাই, কিশোর।’

মৃদু হাসলেন টম মামা।

‘খুব মজা করে সাঁতরালে, তাই না? পানি কি বেশি ঠাণ্ডা ছিল?’

থতমত খেয়ে ওদের দু’জনের দিকে চেয়ে রইল কিশোর। ওর অপহরণের পেছনে এদের হাত নেই তো? ওর বিহ্বলতা এবার বিস্ময়ে রূপ নিল, ওরা যেই নিজেদের আলাপচারিতায় ফিরে গেল।

‘অ্যাই,’ টিনার উদ্দেশে জোরে চেঁচিয়ে উঠল কিশোর। ‘আমি বেঁচে ফিরেছি!’

টিনা অবাক চোখে ওর দিকে চাইল।

‘তা তো দেখতেই পাচ্ছি! এ আর বলার কী আছে? ছাতা- পড়া কুকি খেয়েছ আবার, তাই না?’

‘তোমাদের দেখি কোন মাথাব্যথাই নেই আমাকে নিয়ে!’

‘তুমি আমাদের আনন্দ মাটি করছ, কিশোর। আমরা লা- পরোয়া ভাব করছি, কারণ আমাদের গুমরটা তুমি যাতে জানতে না পার।’

‘কিন্তু তোমরা জান না কাল যে আমাকে কিডন্যাপ করা হয়েছিল?’

‘খুব জানি,’ বলল টিনা। ‘আর তোমার গল্পের গরুটা লাফিয়ে চাঁদ টপকেছে।’

‘তোমরা বিশ্বাস করছ না! শোনো, আমাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল কাসা লোমার কামার আর শোফার, এক কেবিনে নিয়ে রেখেছিল, তারপর সারা জঙ্গলময় দাবড়েছে আমাকে, সব ঘটনা আমার নিজেরও জানা নেই। আর এখন ফিরে এসে কিনা তোমাদের পাল্লায় পড়লাম! তোমাদের কী ধারণা, কোথায় ছিলাম আমি এতটা সময়?’

টম মামা চিন্তামগ্ন ভঙ্গিতে চশমার কাঁচ দুটো ঘষলেন।

‘শোফারের বউ কাল রাতে ফোন করেছিল, কিশোর। বলল তুমি রাতটা ওদের ওখানেই থাকছ। ওদের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিঙে সুইমিং পুল আছে বলে তুমি নাকি মহাখুশি।’

‘ডাহা মিথ্যে!’

‘এখন তো তা-ই মনে হচ্ছে।’ উদ্বিগ্ন দেখাল টম মামাকে। ‘আসল ঘটনাটা কী বলো তো?’

পুরো কাহিনী খুলে বলল কিশোর, এমনকী হীরেগুলোর গুপ্তস্থান সম্পর্কে নিজের ধারণা পর্যন্ত। কিশোর ওগুলোর কথা বলতেই পরস্পর মুখ চাওয়াচাওয়ি করলেন টম মামা আর টিনা, তবে কোন কথা বললেন না।

আবারও চশমার কাঁচ মুছলেন টম মামা।

‘ব্যাপারটা সিরিয়াস, কিশোর। আমাদের পুলিসকে জানানো দরকার।’

‘লাভ কী? ওরা দু’জনই তো এরমধ্যেই গা ঢাকা দিয়েছে। তাছাড়া, ওদের বিরুদ্ধে আমার কাছে কোন প্রমাণও তো নেই, এবং কেবিনটা কোথায় তাও জানি না।’

‘আরেকজন ছিল ওদের সঙ্গে বললে না?’

‘আমি শুধু ড্রাইভারটার চোখ দুটো দেখতে পেয়েছি। তবে চিনতে পারিনি। ওহ, ভয়ানক খিদে পেয়েছে। ক্যাথরিনকে কিছু খাবারের কথা বললে হয় না?’

‘ক্যাথরিন চলে গেছে,’ জানাল টিনা।

‘ক্যাথরিন? বল কী!

টম মামা অসন্তোষের সঙ্গে মাথা ঝাঁকালেন।

‘হ্যাঁ। অন্যান্য কাজের লোকেরা বলল, ক্যাথরিন নাকি হঠাৎই কাজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। স্রেফ চলে যায় ও, এমনকী আমাদের কাছ থেকে বিদায়টাও নেয়নি।

‘কী বাজে ব্যাপার!’ তেতো কণ্ঠে মন্তব্য করল কিশোর। দীর্ঘশ্বাস ফেললেন টম মামা।

‘কিছুই বুঝলাম না। ওকে তো যথেষ্ট আন্তরিকই মনে হয়েছিল।’

‘জন লোকটার কারণে কি এভাবে না বলে চলে গেল ও?’

‘কে জানে! জনও তো নেই, ও-ও চলে গেছে।’

‘কী!’

টম মামা হাসার চেষ্টা করলেন।

‘মনে হচ্ছে মালিক হিসেবে আমি একদমই জনপ্রিয় নই। তিন দিন হলো এখানে এসেছি, এরমধ্যেই কাসা লোমার কর্মচারীরা সব ভাগতে শুরু করেছে।’

‘আর কেউ কি গেছে?’

‘আরও দু’জন চাকরি ছেড়েছে, আর রেজিনা কাল ছুটি নিয়ে বাসায় চলে গিয়েছিল। ওর ফ্লু হয়েছে। ও না ফেরা পর্যন্ত বদলী লোক নিতে পারছি না, এমনকী প্রার্থীদের ইন্টারভিউও নেয়া যাচ্ছে না।’

টম মামার গোমড়া মুখের চেহারা দেখে হাসি পেল কিশোরের। দুর্গ চালানো খুব একটা আনন্দের কাজ মনে হচ্ছে না; আর কেউ ইস্তফা দিলেই টম মামাকে সারা দিন ধরে পনেরোটা বাথরুম পরিষ্কার করতে হবে, আর সে সঙ্গে কাসা লোমার পাঁচ হাজার লাইট বাল্ব পাল্টানোর কাজ তো আছেই।

‘মন খারাপ করবেন না, মামা। চলুন, স্যর ডয়েলের শাওয়ারটা পরীক্ষা করে দেখি হীরেগুলো পাই কিনা।’

‘ওহ, ভুলেই গেছিলাম!’ টম মামা টিনার উদ্দেশে স্মিত হাসলেন। ‘কিশোরকে তো আমাদের গোপন কথাটা বলাই হয়নি।’

কিশোরকে পেছনে নিয়ে, পিকক অ্যালি ধরে স্যর ডয়েলের স্টাডির দরজার কাছে চলে এল ওরা। টম মামা ওটার তালা খুললেন, ওদেরকে হাত নেড়ে ভেতরে ঢুকতে বলে, ইতিউতি চেয়ে দরজা লাগালেন।

পরচুলা পরা প্রাচীন ভদ্রলোকদের তৈলচিত্র, ঝাড়বাতি আর মেহগনি কাঠের দেয়ালগুলো দেখে হতবাক হয়ে গেল কিশোর। ওদের গুমরটা কী হতে পারে ভাবছে ও। টিনা গিয়ে মর্মরের ফায়ারপ্লেসটার পাশে দাঁড়াল, আর টম মামা ডেস্কে বসে ওটায় খোদাই করা এক ঈগলের গায়ে আঙুল বুলোতে লাগলেন।

‘এটা দেখো, কিশোর।’ এক ড্রয়ার খুললেন টম মামা। গোপন এক প্যানেল একপাশে হড়কে সরালেন, তারপর গুপ্তস্থান থেকে এক মখমলের বাক্স বের করলেন।

বাক্সটা ওর হাতে দিতেই রোমাঞ্চিত হলো কিশোর। ঢাকনাটা খুলতেই, ভেতরের সাদা আগুনে চোখ ঝলসে গেল ওর।

‘সেই হীরেগুলো! অবিশ্বাস্য!’