খুব জনসমাগম হয়েছিল; ছেলেমেয়েগুলো ঘর ছেড়ে
পার্ক ছেড়ে, মাঠ ছেড়ে রাঙা ঘুড়ি এবং বেলুন
ওড়াতে ওড়াতে,
মহিলারা সেজেগুঁজে বাতাসে মেয়েলি ঘ্রাণ ছড়াতে ছড়াতে
সেখানে নিবিড় এলো, যুবকেরা ছিমছাম, কেউ কেউ রাগী
দৃষ্টি মেলে চারদিকে এলো ভিড়ে, বুড়োরা স্মৃতির
পদশব্দ শুনে-শুনে।
খাঁচার ভেতরে কিছু জমকালো পশু। স্বাস্থ্যল পেশির খেলা
ভালো লাগে, বুঝি তাই খুব জনসমাগম হয়েছিল। বন ছেড়ে এই
সংকীর্ণ খাঁচায় যতটুকু ভালো থাকা যায় খেয়ে দেয়ে কিংবা
আলস্যে ঝিমিয়ে,
ভালো আছে ওরা সব। হঠাৎ লাফায় কেউ, দোল খায় কেউবা মজায়,
একজন করে ঘোরা-ফেরা, যেন গিন্নী ডেপুটির,
এবং শিম্পাঞ্জিটিকে দেখে মনে হয় দেকার্তের
শাণিত পাতার স্বাদ জানা আছে তার। কেউ এত পায়চারি
করছে ভারিক্কি চালে, যেন হোমরা-চোমরা নেতা কেউ,
এক্ষুণি ধরবে ছেঁকে তুখোড় রিপোর্টারের ঝাঁক।
পরিচর্যা চলে যথারীতি, বস্তুত খাঁচায় নেই
খাদ্যাভাব উপরন্তু দর্শকেরা শৌখিন আদরে
দেয় খেতে ছোলা কলা ইত্যাদি, ইত্যাদি। দূরে থেকে
ক’জন ভিখারি, লুব্ধ দৃষ্টি, চলে যায় মাথা হেঁট করে।