বাইশ
শঙ্করকে বাঁচানো গেছে।
কিন্তু ‘দেবধাম’ বুঝি বাঁচানো যায় না।
ওর উপর যেন শনির দৃষ্টি পড়েছে। শ্রীমন্ত সেই শনি। আজকাল সন্ধ্যার পরে প্রত্যহ সে লুকিয়ে হিমাংশুবাবুর ঘরে আসছে। তাঁকে বহু কষ্টে সংগৃহীত দুর্লভ মদ্য দিয়ে আপ্যায়িত করছে। অনেক রকম যুক্তি-তর্ক উত্থাপন করে তাঁকে বাড়ি বিক্রির সুবিধার কথা বোঝাচ্ছে। রাত্রে মাঝে-মাঝে মদ্যের ক্রিয়ায় তিনি বাড়ি-বিক্রিতে রাজি হয়ে যান। শ্রীমন্তকে লোক দেখতে বলেন। কিন্তু সকালে যে উৎসাহ আর থাকে না।
তখন বলেন, দাঁড়াও একটু ভেবে দেখি। সুবিমলকে একবার জিগ্যেস করা দরকার।
শ্রীমন্ত বলে, নিশ্চয়ই তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করে দেখুন। কিন্তু দেরী করবেন না। তাহলে এমন ভালো পার্টি হাতছাড়া হয়ে যাবে।
ওর চোখের দিকে হিমাংশুবাবু চাইতে পারেন না। ওর চোখে যেন অজগরের তীব্র দৃষ্টি। মুখ নিচু করে বলেন, না দেরি হবে না। আজ বিকালে আসবার কথা আছে। এলে জিগ্যেস করব।
সুবিমল হয়তো আসে। কিন্তু হিমাংশুবাবু লজ্জায় বাড়ি-বিক্রির কথা জামাইয়ের কাছে তুলতে পারেন না।
শ্রীমন্ত শঙ্করকেও জপাবার জন্যে চেষ্টা করে। কিন্তু তার পাত্তা পায় না। যখনই শ্রীমন্ত আসে, শোনে সে বেরিয়ে গেছে। আগে সে যেমন বাড়ির বাইরে বেরুত না, এখন ঠিক তার উলটো। বাড়ীর ভিতরে সে থাকে না।
বাড়ির লোকেদের সন্দেহ, সে আজকাল বস্তির ছেলেদের সঙ্গে মিশে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
শ্রীমন্তর সন্দেহ, অজ্ঞাতসারে সে তার ভবিতব্যের জন্যে প্রস্তুত হচ্ছে। অমোঘ যে বিধিলিপি, তারই দিকে অন্ধবেগে সে ছুটে চলেছে।
তাকে পাওয়া যাচ্ছে না, সুবিমলকেও হিমাংশুবাবু এড়িয়ে চলেছেন। এর মধ্যে শ্রীমন্তর বহু টাকার মদ হিমাংশুবাবুর জঠরসমুদ্রে হারিয়ে গেল। আরও কত যাবে কে জানে?
শ্রীমন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লো। এবং আর কূলকিনারা না পেয়ে একদিন নয়নতারার শরণ নিলে।
দোতলার চওড়া বারান্দায় একখানা কার্পেটের আসনের উপর বসে তিনি তখন মালাজপ করছিলেন। ইঙ্গিতে শ্রীমন্তকে বসতে বললেন।
শ্ৰীমন্ত দেখলে, এই ক’মাসের মধ্যে ওঁর বয়স যেন দশ বৎসর বেড়ে গেছে। গালের মাংস ঝুলে পড়েছে। কপালে দুশ্চিন্তার অগণিত রেখা। চোখের তারায় সে কৃষ্ণজ্যোতি নেই।
জপ সেরে হরিনামের ঝোলা ললাটে, মাথায় ঠেকিয়ে শান্ত গম্ভীর কণ্ঠে নয়নতারা
একটু পরে শ্রীমন্ত জিজ্ঞাসা করলে, হৈমন্তী কেমন আছে মা?
–ভালো।
একটু পরে শ্রীমন্ত জিজ্ঞাসা করলে, হৈমন্তী কেমন আছে মা?
–ভালো নেই বাবা। কেমন যেন দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে।
চিন্তিতভাবে শ্রীমন্ত বললে, কেন যে এরকম হচ্ছে! বড়বাবুর শরীরের দিকেও চাওয়া যায় না।
নয়নতারা উত্তর দিলেন না, শুধু তাঁর বুকের ভিতর থেকে একটা ভারি দীর্ঘ নিঃশ্বাস বের হয়ে এল।
একটু এদিক-ওদিক করে শ্রীমন্ত বাড়ি-বিক্রির কথাটা পাড়লে। বললে, আমি পুনঃ পুনঃ বলছি এই বাড়িটা বিক্রি করে সমস্ত দেনা শোধ করে দিন। এত বড় বাড়ির কোন দরকার নেই এই ক’টি লোকের জন্যে। এখন এর দাম হবে অনেক। তাই থেকে দেনা শোধ করেও নিজেদের থাকবার মতো একটা বাড়ি খুব কেনা যাবে। জমিদারীটাও বাঁচবে। তার আয়ে রাজার হালে দুটো পুরুষ চলে যাবে।
নয়নতারা বাধা দিয়ে বললেন, সে পরের কথা পরে হবে বাবা। আপাতত ওঁকে বাঁচাবে কি করে সেইটে ভাবো। ঋণে ওঁর ভিতরটা পর্যন্ত যেন কুরে কুরে খাচ্ছে বাবা, ওঁর দিকে চাইছি আর আমার বুক শুকিয়ে যাচ্ছে।
নয়নতারা আঁচলে চোখের জল মুছলেন।
শ্রীমন্ত বললে, সেইটেই তো ভাবনার কথা মা। সেইজন্যেই বাড়ি-বিক্রির কথা এত করে বলছি।
এমন সময় হৈমন্তী নিঃশব্দে এসে দরজায় ঠেস দিয়ে দাঁড়ালো।
ওর দিকে চেয়ে শ্রীমন্ত থমকে গেল। কী চেহারা হয়েছে হৈমন্তীর! সারাদেহে একটি ফোঁটা রক্তের চিহ্ন নেই। শরীর হয়েছে কাঠির মতো শীর্ণ।
–এ কী চেহারা হয়েছে তোমার?
হৈমন্তী উত্তর দিলে না। শুধু রক্তহীন বড় বড় চোখ অন্য দিকে ফিরিয়ে তেমনি নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে রইলো।
নয়নতারা বললেন, তুমি এ বাড়ির বড় ছেলে বাবা। ওঁর উপর ভরসা কোরো না। সুবিমলের সঙ্গে পরামর্শ করে যাতে ভালো হয় তাই করো।
শ্রীমন্ত বললে, সুবিমলবাবুর কথা উনিও বলেন। শুনি তিনি আসেনও প্রায়। কিন্তু লজ্জায় বোধ করি তাঁর সঙ্গে একথা তুলতে পারেন না। সেই হয়েছে মুশকিল।
নয়নতারা বললেন, মুশকিল বললে তো হবে না বাবা। যা করতে হবে, তা সময়ে করাই ভালো।
—কিন্তু বাড়িটা বিক্রি করা ছাড়া কি আর উপায় নেই?—এতক্ষণ পরে হৈমন্তী কথা বললে।
ওর কথার স্বরে কি যেন একটা ছিল যে, শ্রীমন্ত পর্যন্ত চমকে ওর দিকে চাইলে। মনে পড়লো সুমিত্রার সেই কথা : ওই তো ‘দেবধামের’ আত্মা।
শ্রীমন্তর চোখে আবার সেই দুর্জয় ক্ষুধা লক লক করে উঠলো। বললে, আমি তো কিছু দেখি না। সুবিমলবাবু যদি কিছু কিনারা করতে পারেন।
আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে শ্রীমন্ত সেদিনকার মতো চলে এল।
.
এর পরে একটা রবিবারে হঠাৎ শঙ্কর এসে উপস্থিত। মাথার চুল রুক্ষ, বিশৃঙ্খল। পরনের দেশী ধুতির কোঁচার নিচেটা কাদায় মাখামাখি। গায়ে আর্দির পাঞ্জাবীর উপর একখানা মূল্যবান শাল। কিন্তু তারও খানিকটা কিসে লেগে ছিঁড়ে গেছে।
শ্রীমন্তর শিক্ষিত দৃষ্টিতে কিছুই এড়িয়ে গেল না। বললে, কি খবর শঙ্কর?
—আমাকে একটা চাকরী-বাকরী কোথাও করে দাও না শ্রীমন্তদা!
শ্রীমন্তর চোখ কপালে উঠলো। এতখানির জন্যে সে প্রস্তুত ছিল না।
বললে, তুমি চাকরী করবে কি! এই বয়সে!
শঙ্কর বিজ্ঞের মতো বললে, তা ছাড়া উপায় নেই শ্রীমন্তদা। সংসারের অবস্থা তো বুঝতেই পারছ। কাল জামাইবাবু এসেছিলেন। তিনি বলছেন, বাড়িটা বিক্রি করে দিতে। এই তো অবস্থা! বাবাকেও তো চেনো। তাঁর সঙ্গে আমার বনবে না। সুতরাং চাকরী যদি করতেই হয়, এখন থেকে করাই ভালো। না কি বলো?
শ্রীমন্ত মনোযোগের সঙ্গে ওর সমস্ত কথা শুনলে। তারপর সুমিত্রাকে ডেকে বললে, শঙ্কর এসেছে। কিছু খাবার-টাবার আনাও। একটু চায়ের জন্যেও বলো।
শঙ্করকে চা খাবার খাইয়ে শ্রীমন্ত বললে, চলো।
—কোথায়?
সুমিত্রাকে জিজ্ঞাসা করলে, তুমিও যাবে নাকি!
অনেকদিন সুমিত্ৰা হৈমন্তীকে দেখেনি। প্রথমদিনেই ওকে যেন সে ভালোবেসে ফেলেছে। ওকে দেখবার আগ্রহে সুমিত্রা ব্যস্ত হয়ে উঠলো। বললে, নিশ্চয়ই যাব।
—চলো।
শঙ্কর একটু ইতস্তত করছিল। হগ মার্কেট থেকে হৈমন্তীর জন্যে কি কতকগুলি টুকিটাকি জিনিস কেনবার ছিল। কিন্তু শ্রীমন্ত তাকে ছাড়লে না। ওর একটা কথাও শ্রীমন্তর বিশ্বাস হচ্ছিল না। এক রকম জোর করেই ওকে নিয়ে ট্যাক্সিতে তুললে।
ট্যাক্সি গ্রে স্ট্রীটের মোড়ে আসতেই শঙ্কর হঠাৎ ব্যস্তভাবে ড্রাইভারকে বললে, থামো,
থামো।
ট্যাক্সি থেমে গেল।
শ্রীমন্ত বিস্মিতভাবে জিজ্ঞাসা করলে, কি হোল?
শঙ্কর বললে, ছোটদির কতকগুলো সাবান আর স্নো। ওই সামনের দোকান থেকেই নিয়ে যাই বরং। নইলে ছোটদি অনর্থ করবে। ওই যাঃ! টাকাটা কোথায় ফেললাম!
এ পকেট ও পকেট হাতড়ে হতাশভাবে শঙ্কর বললে, তোমার কাছে দশটা টাকা হবে? দাও তো, বাড়ি গিয়ে দিয়ে দোব।
শ্রীমন্ত নিঃশব্দে ওকে দশটা টাকা দিলে। জিজ্ঞাসা করলে, আমরা কি অপেক্ষা করব?
–করতে পারো। কিংবা চলে যাও। আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে যাচ্ছি।
ট্যাক্সি ছেড়ে দিতে শ্রীমন্ত বললে, ও আর আসবে না।
সুমিত্রা বিস্মিতভাবে জিজ্ঞাসা করলে, তার মানে?
—তার মানে ‘দেবধামের’ নীল রক্তের ধারা নিঃশেষ হয়ে এসেছে। ‘দেবধামের’ শেষ বংশধর অধঃপাতের পথ খুঁজে পেয়েছে। ও এখন গড় গড় করে নিচের দিকে চলবে। কেউ ওকে রুখতে পারবে না। ওকে দেখে বুঝতে পারোনি?
শ্রীমন্ত একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললে।
‘দেবধামে’ পৌঁছানো মাত্রই ওরা হিমাংশুবাবুর চীৎকার শুনতে পেলে।
এতকালের মধ্যে শ্রীমন্ত হিমাংশুবাবুকে কখনও চীৎকার দূরে থাক, জোরে কথা বলতেও শোনেনি। সেই হিমাংশুবাবুর চীৎকার এত দূর থেকে শোনা যাচ্ছে! দুর্ভাবনায় শ্রীমন্তর বুকের ভিতরটা ঢিপ ঢিপ করে উঠলো : শেষ পর্যন্ত ওঁর কি মাথা খারাপ হয়ে গেল।
তাড়াতাড়ি ট্যাক্সিভাড়া মিটিয়ে দিয়ে ওরা দুজনে ভিতরে গেল।
দোতলায় উঠেই দেখে, হিমাংশুবাবু সমস্ত বাড়ি যেন মাথায় করে তুলেছেন। আর এমন কদর্য ভাষায় কাকে যেন গালাগালি করছেন যে, তা কানে শোনা যায় না। শ্ৰীমন্ত আর সুমিত্রাকে তিনি যেন দেখতেই পেলেন না।
শ্রীমন্ত ইসারায় সুমিত্রাকে অন্দরে যেতে বলে হিমাংশুবাবুর পায়ের গোড়ায় উবু হয়ে পড়লো।
হিমাংশুবাবু থমকে গেলেন। তাঁর কণ্ঠস্বর সঙ্গে সঙ্গে নেমে গেল।
—শ্রীমন্ত? ভিতরে এসো।
ঘরের ভিতরটা মদের বোতলে, ডিকান্টারে, এঁটো প্লেটে, মাংসের হাড়ে ও ঝোলে এমন নোংরা হয়ে আছে যে পা বাড়াতে ঘৃণা হয়।
শ্রীমন্তর একটা হাত ধরে হিমাংশুবাবু সেই ঘরের মধ্যে তাকে নিয়ে এলেন। হাত দিয়ে এঁটো প্লেটগুলো একটু সরিয়ে জায়গা করে বললেন, বোসো। খাবে একটু?
তারপরে শ্রীমন্তর উত্তরের অপেক্ষা না করেই ঢক ঢক করে খানিকটা নির্জলা মদ নিজের গলায় ঢেলে দিলেন।
বললেন, শুনেছ সব?
শ্রীমন্ত ব্যাপার দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। নিঃশব্দে ঘাড় নাড়ল।
হিমাংশুবাবু বললেন, কালকে হিমু শঙ্করকে দশটা টাকা দিয়েছিল কি সব জিনিস কিনতে। সেই যে সে বেরিয়ে গেছে এখনও পর্যন্ত ফিরলো না। এদিকে আমি একটা পাওনাদারকে দেবার জন্যে পাঁচ শো টাকা লোহার সিন্দুকে তুলে রেখেছিলাম। আজ পাওনাদারের লোক আসতে সেই টাকাটা দেবার জন্যে সিন্দুক খুলে দেখি, সব ফক্কা। একটি তামাও কোথাও নেই। বুঝলে, একটি তামা নেই।
বড়বাবু হাঃ হাঃ করে অট্টহাস্য করলেন। আবার খানিকটা নির্জলা মদ গলায় ঢেলে বিকৃত কণ্ঠে বলতে লাগলেন :
—এই আমার পুত্র! এরই জন্যে বাড়ি রাখব, জমিদারী রাখব, কত আশাই না করেছিলাম! শোনো শ্রীমন্ত, বাড়ী কেনবার জন্যে যে লোকটিকে তুমি স্থির করেছিলে, সে এখনও বাড়ি কিনতে রাজি?
—বোধ হয় রাজি।
—তাহলে তুমি সব ঠিক করো। কাল সোমবারে সব চুকিয়ে ফেলতে চাই। মনে কোরো না, আমি মাতাল হয়ে বলছি। আমি স্থির করেছি, বাড়ি-জমিদারী সমস্ত বিক্রি করব। করে দেনাপত্র যা আছে পাই-পয়সা মিটিয়ে, যা থাকবে নিয়ে তোমার মা আর আমি বাকি জীবনটা কাশীবাস করব। তোমার মায়েরও তাই মত। তুমি কালকের মধ্যেই সব ঠিক করে ফেলো। জীবনে ঘেন্না ধরে গেল শ্রীমন্ত, জীবনে ঘেন্না ধরে গেল।
হিমাংশুবাবু মুখটা বিকৃত করলেন।
শ্রীমন্তর চোখ আবার চকচক করে উঠলো! লিকলিকে জিভের ডগা দিয়ে পুরু পুরু ঠোঁট একবার চেটে নিলে।
বললে, তাহলে দলিল-পত্র আজকেই তৈরী করে ফেলতে হয়। আপনার শরীর কেমন আছে? এখন উঠতে পারবেন?
—খুব পারব। কী যে বলো তুমি!
হিমাংশুবাবু টলতে টলতে উঠে বললেন, চলো কোথায় নিয়ে যাবে।
শ্রীমন্তও উঠে দাঁড়ালো। একবার দ্বিধাভরে জিজ্ঞাসা করলে, পারবেন তো যেতে? না হয় আজ থাক।
—না, না। থাকবে না। আজই সব শেষ করে ফেলতে চাই। কালকের জন্যে যেন কিছু না থাকে। দাঁড়াও, বোতলে আরও একটু পড়ে আছে মনে হচ্ছে।
সেইটুকু নিঃশেষ করবার জন্যে হিমাংশুবাবু আবার বসলেন।
শ্রীমন্ত বাইরে এল রঘুয়াকে একখানা ট্যাক্সি ডাকতে বলবার জন্যে। সুমিত্রা ব্যস্তভাবে এসে ওর হাত চেপে ধরলে।
—কি?
সুমিত্রা ব্যাকুল কণ্ঠে বললে, ছোটদি অজ্ঞান হয়ে গেছে।
—কখন?
—ঘণ্টা দুই হোল। জ্ঞান তো হচ্ছে না!
শ্রীমন্ত একবার দ্বিধা করলে। কিন্তু মুহূর্ত মধ্যে নিজেকে সামলে নিলে। ‘দেবধাম’ তার চাই। এত বড় সুযোগ জীবনে আর নাও আসতে পারে।
এক মুঠো নোট সুমিত্রার হাতে গুঁজে দিয়ে শান্তকণ্ঠে বললে, ডাক্তারকে খবর দাও। ওর জ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত এ-বাড়িতেই থেকো। আমি একবার বেরুচ্ছি। ফিরতে রাত হতেও পারে। যাও।
সুমিত্রা চলে গেল।
শ্রীমন্ত বাড়ির দলিলপত্র নিয়ে হিমাংশুবাবুকে সঙ্গে করে ট্যাক্সিতে বেরিয়ে গেল এটর্নীর বাড়ি। ভালো এটর্নী তার জানা আছে। তাঁর সঙ্গে এই বাড়ি কেনা সম্বন্ধে মোটামুটি কথা হয়ে রয়েছে।