জরজর প্রাণে, নাথ, বরিষন করো তব প্রেমসুধা

জলে-ডোবা চিকন শ্যামল কচি ধানের পাশে পাশে

জাগ জাগ রে জাগ সঙ্গীত

জাগ’ আলসশয়নবিলগ্ন

জাগরণে যায় বিভাবরী

জাগিতে হবে রে

জাগে নাথ জোছনারাতে

জাগো নির্মল নেত্রে রাত্রির পরপারে

জাগো হে রুদ্র, জাগো

জাগ্রত বিশ্বকোলাহল-মাঝে

জানি তোমার অজানা নাহি গো

জানি জানি হল যাবার আয়োজন

জানি গো, দিন যাবে এ দিন যাবে

জানি জানি তোমার প্রেমে সকল প্রেমের বাণী মেশে

জানি জানি এসেছ এ পথে মনের ভুলে

জানি জানি কোন্‌ আদি কাল হতে

জানি জানি তুমি এসেছ এ পথে মনের ভুলে

জানি তুমি ফিরে আসিবে আবার

জানি নাই গো সাধন তোমার বলে কারে

জানি হে যবে প্রভাত হবে তোমার কৃপা-তরণী

জীবন আমার চলছে যেমন তেমনি ভাবে

জীবন যখন ছিল ফুলের মতো

জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণাধারায় এসো

জীবনমরণের সীমানা ছাড়ায়ে

জীবনে আজ কি প্রথম এল বসন্ত

জীবনে আমার যত আনন্দ পেয়েছি দিবস-রাত

জীবনে এ কি প্রথম বসন্ত এল

জীবনে পরম লগন কোরো না হেলা

জীবনে যত পূজা হল না সারা

জেনো প্রেম চিরঋণী আপনারি হরষে

জ্বল্‌ জ্বল্‌ চিতা, দ্বিগুণ দ্বিগুণ

জড়ায়ে আছে বাধা, ছাড়ায়ে যেতে চাই

জয় ক’রে তবু ভয় কেন তোর যায় না

জয় জয় পরমা নিষ্কৃতি হে, নমি নমি

জয় জয় জয় হে জয় জ্যোতির্ময়

জয় তব বিচিত্র আনন্দ, হে কবি

জয় ভৈরব, জয় শঙ্কর

জয় হোক, জয় হোক নব অরুণোদয়

জয়যাত্রায় যাও গো ওঠো জয়রথে তব

ঝর ঝর রক্ত ঝরে কাটা মুণ্ড বেয়ে

ঝরঝর বরিষে বারিধারা

ঝরা পাতা গো আমি তোমারি দলে

ঝরে ঝরো ঝরো ভাদরবাদর

ঝরো-ঝরো ঝরো-ঝরো ঝরে রঙের ঝর্‌না

ঝাঁকড়া চুলের মেয়ের কথা কাউকে বলি নি

ঝড়ে যায় উড়ে যায় গো

ডাকব না ডাকব না অমন করে বাইরে থেকে

ডাকিছ কে তুমি তাপিত জনে তাপহরণ স্নেহকোলে

ডাকিছ শুনি জাগিনু প্রভু

ডাকিল মোরে জাগার সাথি

ডাকে বার বার ডাকে

ডাকো মোরে আজি এ নিশীথে

ডুবি অমৃতপাথারে– যাই ভুলে চরাচর

ডেকো না আমারে ডেকো না

তপস্বিনী হে ধরণী ওই-যে তাপের বেলা আসে

তপের তাপের বাঁধন কাটুক রসের বর্ষণে

তব সিংহাসনের আসন হতে এলে তুমি নেমে

তব অমল পরশরস, তব শীতল শান্ত পুণ্যকর অন্তরে দাও

তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে

তবে শেষ করে দাও শেষ গান