গানের ডালি ভরে দে গো উষার কোলে

গানের ভিতর দিয়ে যখন দেখি ভুবনখানি

গানের ভেলায় বেলা অবেলায় প্রাণের আশা

গানের সুরের আসনখানি পাতি পথের ধারে

গাব তোমার সুরে দাও সে বীণাযন্ত্র

গায়ে আমার পুলক লাগে, চোখে ঘনায় ঘোর

গিয়াছে সে দিন যে দিন হৃদয়

গেল গেল নিয়ে গেল এ প্রণয়স্রোতে

গেল গো ফিরিল না

গোধূলিগগনে মেঘে ঢেকেছিল তারা

গোপন কথাটি রবে না গোপনে

গোপন প্রাণে একলা মানুষ যে

গোলাপ ফুল ফুটিয়ে আছে

গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ

ঘরে মুখ মলিন দেখে গলিস নে

ঘরেতে ভ্রমর এল গুন্‌গুনিয়ে

ঘাটে বসে আছি আনমনা

ঘুমের ঘন গহন হতে যেমন আসে স্বপ্ন

ঘোর দুঃখে জাগিনু, ঘনঘোরা যামিনী

চক্ষে আমার তৃষ্ণা ওগো তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে

চপল তব নবীন আঁখি দুটি

চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে

চরণধ্বনি শুনি তব, নাথ, জীবনতীরে

চরণরেখা তব যে পথে দিলে লেখি

চরণরেখা তব যে পথে দিলে লেখি

চরাচর সকলই মিছে মায়া ছলনা

চলি গো, চলি গো, যাই গো চলে

চলে ছলোছলো নদীধারা নিবিড় ছায়ায় কিনারায় কিনারায়

চলে যাবি এই যদি তোর মনে থাকে

চলে যায় মরি হায় বসন্তের দিন

চলো যাই, চলো, যাই চলো

চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে উছলে পড়ে আলো

চাহিয়া দেখো রসের স্রোতে রঙের খেলাখানি

চিঁড়েতন হর্তন ইস্কাবন

চিত্ত আমার হারালো আজ মেঘের মাঝখানে

চিত্ত পিপাসিত রে

চিনিলে না আমারে কি

চির-পুরানো চাঁদ

চিরদিবস নব মাধুরী, নব শোভা তব বিশ্বে

চিরবন্ধু চিরনির্ভর চিরশান্তি

চিরসখা, ছেড়ো না মোরে ছেড়ো না

চেনা ফুলের গন্ধস্রোতে ফাগুন-রাতের অন্ধকারে

চৈত্রপবনে মন চিত্তবনে বাণীমঞ্জরী সঞ্চলিতা

চোখ যে ওদের ছুটে চলে গো

চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে

চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে

ছাড়্‌ গো তোরা ছাড়্‌ গো

ছায়া ঘনাইছে বনে বনে

ছি ছি মরি লাজে মরি লাজে

ছি ছি, চোখের জলে ভেজাস নে

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা

ছিন্ন শিকল পায়ে নিয়ে ওরে পাখি

ছিল যে পরানের অন্ধকারে

ছুটির বাঁশি বাজল যে ওই নীল গগনে

জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ

জগতে তুমি রাজা, অসীম প্রতাপ

জগৎ জুড়ে উদার সুরে আনন্দগান বাজে

জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা

জননী, তোমার করুণ চরণখানি

জননীর দ্বারে আজি