সাহিত্যের পরিধি

সাহিত্যের পরিধি (১৮৭৯/১৯৫৭)

রাম আর শ্যাম ঘোড়া নিয়ে তর্ক করছে। রাম সজোরে বলছে, ঘোড়ার মাপ অন্তত তিন হাত। ততোধিক জোরে শ্যাম বলছে, ঘোড়া দেড় ইঞ্চির বেশী হতেই পারে না। এরা কেউ দু রকম অর্থ স্বীকার করে না। ঘোড়া বললে রাম বোঝে যে ঘোড়া ঘাস খায়, আর শ্যাম বোঝে যা টিপলে বন্দুকের আওয়াজ হয়।

এই তর্কের হেতু–পৃথক বস্তু বোঝাবার জন্য একই শব্দের প্রয়োগ। এ রকম তর্ক বড় একটা শোনা যায় না, কিন্তু আর এক রকম তর্ক আছে যাতে শব্দের বাচ্যার্থ একই কিন্তু অর্থের ব্যাপ্তি সমান নয়। যেমন, যদু বলছে, ছানা আর চিনি একত্র পাক করলে যা হয় তারই নাম সন্দেশ। মধু বলছে, নাগ মশাই দে-মশাই সেন-মশাই আর গগুমশাই যা তৈরি করেন তাই হল সন্দেশ, আর সব সন্দেশই নয়। যারা আসল আর ভুয়ো গণতন্ত্র, সচ্চা আর ঝুটা আজাদি, খাঁটী আর ভেজাল হিন্দুধর্ম, ইত্যাদি নিয়ে বিতণ্ডা করে তারাও এই দলে পড়ে।

সাহিত্য সম্বন্ধে মাঝে মাঝে যে তর্ক শোনা যায় তা অনেকটা যদু-মধুর তর্কের তুল্য। তর্ককারীরা নিজের নিজের পছন্দসই গণ্ডির মধ্যে সাহিত্য শব্দের অর্থ আবদ্ধ রাখতে চান। কেউ বলেন, সাহিত্যের একমাত্র উদ্দেশ্য রসসৃষ্টি। কেউ বলেন শুধু রসে চলবে না, উচ্চ আদর্শ চাই। সংস্কৃতে কাব্য আর সাহিত্য প্রায় সমার্থক। কিন্তু আধুনিক প্রয়োগে সাহিত্যের পরিধি অনেক বেড়ে গেছে। Concise Oxford Dictionaryতে literatureএর fasho oncs–writings whose value lies in beauty of form or emotional effect; the books treating of a subject; (colloq.) printed matter। বাঙলায় সাহিত্য শব্দ আজকাল যেসব অর্থে চলে তা এই ইংরেজী বিবৃতির অনুরূপ।

রবীন্দ্রনাথ তাঁর অন্তরঙ্গ জনকে অনেক চিঠি লিখেছেন। মথুর কুণ্ডুও পাটের দর জানাবার জন্য শিবু শাকে চিঠি লিখেছেন। রবীন্দ্রনাথ যা লিখেছেন তাই প্রকৃত চিঠি, আর মথুর কুণ্ডু যা লিখেছেন তা কিছুই নয়–এ কথা বলা চলে না। তুচ্ছ মহৎ ভাল মন্দ যাই হক, কবি প্রেমিক উকিল বা পাওনাদার যিনিই লিখুন, সমস্ত চিঠির সামান্য লক্ষণ–একজন অপর জনকে কিছু জানাবার জন্য যা লেখে। সাহিত্যেরও সামান্য লক্ষণ বলা যেতে পারে–একজন (বা এক দল) বহু জনকে কিছু জানাবার জন্য যা লেখে। সাহিত্য অতি তুচ্ছ হতে পারে, পাগলের প্রলাপ, বিপক্ষকে গালাগালি, বিজ্ঞাপন, টেক্সটবুক, সংবাদপত্র, কবিতা, গল্প, জ্ঞানগর্ভ রচনা বা তত্ত্বকথা হতে পারে, তার পাঠকসংখ্যা নগণ্য বা অগণ্য হতে পারে। আপনার আমার যা ভাল লাগে কিংবা নামজাদা সমালোচক যাকে রসোত্তীর্ণ বলেন তাই সাহিত্য এবং আর সবই অসাহিত্য, এমন মনে করলে অর্থবিভ্রাট হবে। সাহিত্যের আধুনিক অর্থ অতি ব্যাপক। কাব্যসাহিত্য, কথাসাহিত্য, শিশুসাহিত্য, বৈষ্ণবসাহিত্য, রবীন্দ্রসাহিত্য তো আছেই, তা ছাড়া দর্শন বিজ্ঞান ইতিহাস জীবনী সমালোচনা বিজ্ঞাপন স্কুলপাঠ্য-সাহিত্য প্রভৃতি, এমন কি অশ্লীল সাহিত্যও শোনা যায়। এই সব প্রয়োগে সাহিত্যের অর্থ, the books treating of a subject, কোনও বিষয় সংক্রান্ত পুস্তকসমূহ।

আজকাল গাড়ি বললে বড়লোকরা বোঝেন মোটরকার। সেইরকম অনেক শিক্ষিত জন সাহিত্য শব্দে বোঝেন ললিত সাহিত্য, অর্থাৎ সর্বাগ্রে গল্প-উপন্যাস, তার পর কবিতা নাটক লঘুপ্রবন্ধ ও ভ্রমণকথা। Writings whose value lies in beauty of form or emotional effect, 715 রচনাপদ্ধতি বা ভাষা মনোহর অথবা যা ভাবের উদ্রেক করে–এই অর্থই এখন অনেকে সাহিত্যের একমাত্র অর্থ মনে করেন। সাহিত্যদর্পণকারও বলেছেন, রসাত্মক বাক্যই কাব্য (= সাহিত্য)।

আত্মব্যঞ্জনা বা self-expressionএর জন্য মানুষ নানা প্রকার চেষ্টা করে, তারই একটির ফল সাহিত্য। সাহিত্যের মধ্যে উচ্চ নীচ ভাল মন্দ সবই আছে। কিন্তু সকল পাঠকের রুচি সমান নয়, একই পাঠকেরও রুচির বৈচিত্র্য থাকতে পারে। রাম সন্দেশ ভালবাসে, কিন্তু জিলিপি ছোঁয় না। শ্যামও সন্দেশের ভক্ত, কিন্তু সময়ে সময়ে জিলিপিই বেশী পছন্দ করে। অধিকাংশ লোকের মতে সন্দেশই শ্রেষ্ঠ, কিন্তু কি রকম সন্দেশ? ভারত সরকার তেল ঘি ইত্যাদি অনেক জিনিসের standard বেঁধে দিয়েছেন, হয়তো ভবিষ্যতে এক-দুই-তিন নম্বর সন্দেশের উপাদানের অনুপাত নির্দেশ করে দেবেন। কিন্তু এক-দুই-তিন নম্বর সাহিত্যের মান বেঁধে দেবার শক্তি সাহিত্য আকাডেমিরও নেই। বহু লোকের মতে বা পুলিশের দৃষ্টিতে যা অনিষ্টকর তা বর্জিত বা দমিত হবে, কিন্তু বিভিন্ন পাঠকের রুচি বা প্রয়োজন অনুসারেই অন্যান্য সাহিত্য প্রচলিত থাকবে।

অধিকাংশ জনপ্রিয় রচনার উপজীব্য মানুষের আচরণ ও চিত্তবৃত্তি, এবং সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। কিন্তু এমন রচনাও উৎকৃষ্ট ও সমাদৃত হতে পারে যার পাত্র-পাত্রী আর ঘটনাবলী অপ্রাকৃত, যেমন Penguin Island, Animal Farm, রবীন্দ্রনাথের তাসের দেশ ইত্যাদি। ডিটেকটিভ এবং রহস্যমূলক রোমাঞ্চকর গল্পে emotional effect প্রচুর থাকে, তার পাঠকসংখ্যাও সকল দেশে সব চাইতে বেশী, তথাপি এই শ্রেণীর রচনা শ্রেষ্ঠ সাহিত্য গণ্য হয় না। দৈবাৎ ব্যতিক্রম দেখা যায়, যেমন Conan Doyleএর Sherlock Holmesএর গল্প ক্লাসিক সাহিত্যের সম্মান পেয়েছে। Lewis Carrollএর Alice in Wonderland ছোট ছেলে-মেয়েদের জন্য লিখিত হলেও সকল পাঠকের সমাদর পেয়ে চিরায়ত হয়েছে। সুকুমার রায়ের আবোলতাবোল আরও উচ্চ শ্রেণীর রচনা মনে করি। চিত্র আর তক্ষণ কলায় যেমন impressionistic style এবং অবাস্তব সংস্থান দ্বারা রসসৃষ্টি করা হয়, সুকুমার রায় তাঁর ছড়া রচনায় সেইরূপ পদ্ধতির সার্থক প্রয়োগ করেছেন। দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের পাঠক আর সমালোচকদের মধ্যে রামগরুড়ের ছানার বাহুল্য আছে তাই সুকুমার রায়ের প্রতিভা যথোচিত মর্যাদা পায় নি।

ইংরেজী অভিধানে যে beauty of form or emotional effectএর উল্লেখ আছে, কবি নীলকণ্ঠ দীক্ষিতের একটি শ্লোকে তারই সমর্থন পাওয়া যায়

যানেব শব্দান্ বয়মালপামোঃ
 যানেব চার্থান্ বয়মুন্নিখামঃ।
তৈরেব বিন্যাসবিশেষভব্যৈঃ
সম্মোহয়ন্তীহ কবয়ো জগন্তি।
 –আমরা যেসব শব্দ বলি, যেসব অর্থ প্রয়োগ করি, তাদেরই বিশেষ প্রকার ভব্য বিন্যাস দ্বারা কবিগণ জগৎকে সম্মোহিত করেন।

কিন্তু form বা শব্দবিন্যাসের উপর যদি অতিরিক্ত নির্ভর করা হয় তবে emotion বা রসের চাইতে ভঙ্গীই বেশী প্রকট হয়। এরূপ রচনার বহু পাঠক হয় না। জেমস জয়েসের অদ্ভুত রচনায় যাঁরা রস পান তাদের সংখ্যা অল্প। আমাদের দেশের কয়েকজন আধুনিক কবির রচনা সাধারণের পক্ষে দুর্বোধ, কিন্তু এক শ্রেণীর সমানধর্মা পাঠকের সমাদর পেয়েছে। বাঙলা কবিতার যাঁরা চর্চা করেন তারা এখন দ্বিধা বিভক্ত। একদল প্রাচীনপন্থী কবিদের কৃপার চক্ষে দেখেন, আর একদল অত্যাধুনিক কবিদের অপ্রকৃতিস্থ মনে করেন। কোনও নূতন পদ্ধতির প্রবর্তনকালে প্রায় মতভেদ দেখা যায়। কালক্রমে সেই পদ্ধতি বর্জিত বা বহুসমাদৃত হতে পারে অথবা চিরদিনই বিতর্কের বিষয় হয়ে টিকে থাকতে পারে। শত বৎসর পূর্বে বাঙলা কবিতায় যমক অনুপ্রাস ইত্যাদি শব্দালংকারের বাহুল্য ছিল, এখন আর নেই। এককালে গদ্য কবিতা অনেকের দৃষ্টিতে উপহাসের বিষয় ছিল, এখন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আদিরসাত্মক রচনা নিয়ে বোধ হয় চিরদিনই বিতর্ক চলবে।

.

ব্যাপক প্রয়োগে সাহিত্যের আধুনিক অর্থ কোনও বিষয়সংক্রান্ত পুস্তকসমূহ এবং যা কিছু ছাপা হয় (printed_matter)। বিশিষ্ট প্রয়োগে–এমন গ্রন্থ যার রচনাপদ্ধতি বা ভাষা মনোহর, অথবা যা ভাবের উদ্রেক করে, অর্থাৎ যাতে রস আছে।

আর্ট-এর যেমন বাঙলা প্রতিশব্দ নেই, তেমনি রস-এর ইংরেজী নেই। মোটামুটি বলা যেতে পারে, রচনায় যে গুণ থাকলে পড়তে ভাল লাগে তারই নাম রস। অলংকারশাস্ত্রে নবরসের উল্লেখ আছে–আদি (বা শৃঙ্গার), হাস্য, করুণ, অদ্ভুত, রৌদ্র, বীর, ভয়ানক, বীভৎস, শান্ত। কৌতূহলও একটা রস, বোধ হয় অদ্ভূতের অন্তর্গত। ডিটেকটিভ গল্পে এই রসই প্রধান। আমাদের আলংকারিকরা রস সম্বন্ধে বিস্তর লিখেছেন, করুণ রস পড়ে লোকে কেন সুখ পায় তাও বোঝাবার চেষ্টা করেছেন।

একশ্রেণীর সমালোচকরা বলেন, শুধু রসে চলবে না, উচ্চ আদর্শ থাকা চাই। সমাজের যা আদর্শ সাহিত্যেরও কি তাই? হিতোপদেশ, প্রবোধচন্দ্রোদয় নাটক, Pilgrims Progress, কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের সভাবশতক ইত্যাদি গ্রন্থে উচ্চ আদর্শ আছে। রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে মুকুন্দ দাস যেসব যাত্রার পালা রচনা করেছিলেন তা নীতিবাক্যে পরিপূর্ণ। ক্ষেত্রবিশেষে এই সব রচনার অবশ্যই প্রয়োজন আছে, কিন্তু সাহিত্যে যদি নীতিকথা বা সামাজিক আদর্শ প্রচারের বাহুল্য থাকে তবে তার রস শুখিয়ে যায়। হ্যামলেট, ম্যাকবেথ, ঘরে বাইরে, দেনাপাওনা, পথের পাঁচালি ইত্যাদিতে উচ্চ আদর্শ কতটুকু আছে? আমরা নিজের জীবনে রোগ শোক নিষ্ঠুরতা কৃতঘ্নতা প্রতারণা ব্যভিচার ইত্যাদি চাই না, ভয়ানক আর বীভৎস রসও পরিহার করি, কিন্তু সাহিত্যে এ সমস্তই রসসৃষ্টির সহায়। পুণ্যের জয় আর পাপের পরাজয়ও সাহিত্যে অত্যাবশ্যক নয়।

ব্যক্তিগত বা সামাজিক আকাঙ্ক্ষা আর সাহিত্যিক আকাক্ষা সমান নয়। মনোবিজ্ঞানীরা এই পার্থক্যের কারণ অনুসন্ধান করেছেন, কিন্তু কোনও বহুসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেন নি। সাহিত্যের যে রস সুধীজনের কাম্য তা বহু জটিল উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। আমাদের রসতত্ত্বের জ্ঞান নিতান্ত অস্পষ্ট, art for arts sake, মানবকল্যাণের নিমিত্তই সাহিত্য, মানুষে মানুষে মিলনের জন্যই সাহিত্য, জীবনের আলেখ্যই সাহিত্য–এই ধরনের উক্তিতে রসতত্ত্বের নিদান পাওয়া যায় না। উত্তম সাহিত্য আমাদের আনন্দ দেয়, কিন্তু কোন্ কোন্ রস কি ভাবে যোজিত হলে উত্তম সাহিত্য উৎপন্ন হয় তা আমরা জানি না। অনেক বৎসর পূর্বে এ সম্বন্ধে যা লিখেছিলাম তা থেকে কিছু পুনরুক্তি করছি।*

সাহিত্যের অনেক উপাদান নীতিবিরোধী, অনেক উপাদান পরস্পর বিরোধী, কিন্তু কৃতী রচয়িতা কোনও উপাদান বাদ দেন না। নিপুণ পাঁচক কটু তিক্ত মিষ্ট সুগন্ধ দুর্গন্ধ নানা উপাদান মিশিয়ে সুখাদ্য প্রস্তুত করে। নিপুণ সাহিত্যিকের পদ্ধতিও অনুরূপ। খাদ্যে কতটা ঘি দিলে উপাদেয় হবে, কটা লংকা দিলে মুখ জ্বালা করবে না, কতটা পেঁয়াজ রসুন দিলে উৎকট গন্ধ হবে না,এবং সাহিত্যে শান্তরস আদিরস বা বীভৎসরস, সুনীতি বা দুর্নীতি, একনিষ্ঠ প্রেম বা ব্যভিচার, কত মাত্রায় থাকলে সুধীজনের উপভোগ্য হবে তার নিরূপণের সূত্র অজ্ঞাত। জনকতক ভোক্তার হয়তো কোনও বিশেষ রসে আসক্তি বা বিরক্তি থাকতে পারে, কিন্তু তাদের বিচারই চূড়ান্ত গণ্য হয় না। যিনি শুধু একশ্রেণীর ভোক্তার তৃপ্তিবিধান করেন অথবা জনসাধারণের অভ্যস্ত ভোজ্যই পরিবেশন করেন তিনি সামান্য পেশাদার বা hack writer মাত্র। যাঁর রুচি অভিনব এবং যিনি বহু ভোক্তার রুচিকে নিজের রুচির অনুগত করতে পারেন তিনিই উত্তম সাহিত্যস্রষ্টা। যিনি কোনও লেখকের রচনায় এই গুণ উপলব্ধি করে পাঠকগণকে তৎপ্রতি আকৃষ্ট করতে পারেন তিনিই উত্তম সমালোচক।

.

সকল দেশেই অল্প কয়েকজন বিচক্ষণ বোদ্ধা সাহিত্যের বিচারকরূপে গণ্য হয়ে থাকেন। এঁদের কেউ নির্বাচন করে না, নিজের প্রতিভাবলেই এঁরা বিচারকের পদ অধিকার করেন এবং পাঠকের রুচির উপর প্রভাব বিস্তার করেন। এঁরা কেবল রচনার রস বা উপভোগ্যতা দেখেন না, সমাজের উপর তার সম্ভাব্য প্রভাবও বিচার করেন। পাঠকের আনন্দ আর সামাজিক স্বাস্থ্য দুইএর প্রতিই তিনি দৃষ্টি রাখেন। তাঁর যাচাইএর পদ্ধতি কি রকম তা তিনি প্রকাশ করতে পারেন না, তাঁর নিজেরও বোধ হয় সে সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা নেই। সামাজিক আদর্শ চিরকাল একরকম থাকে না। সে কারণে রচনায় অল্পস্বল্প বিচ্যুতি থাকলে তিনি উপেক্ষা করেন, কিন্তু অধিক বিচ্যুতি মার্জনা করেন না। তার সিদ্ধান্তে মাঝে মাঝে ভুল হতে পারে, কিন্তু শিক্ষিত জন সাধারণত তাঁর অভিমতই প্রামাণিক মনে করেন।

[* সাহিত্যবিচার (লঘুগুরু) দ্রষ্টব্য।– স:।]