1 of 2

কিলিং মিশন – ৪৮

আটচল্লিশ

দু’ভাগ হয়েছে অশুভ ধর্মের যাজকের মাথা। রক্তাক্ত করোটি হতবাক হয়ে দেখছে তার এক অনুচর। ভয়ে অবশ হয়েছে দেহ-মন। একমুহূর্ত পর তার বুকে বিঁধল হাই ভেলোসিটির বুলেট। হুড়মুড় করে বালিতে পড়ল সে। বিপদ বুঝে জঙ্গলে গিয়ে ঢুকতে চাইল তার সঙ্গী। কিন্তু তিন নম্বর বুলেট লাগল তার ঘাড়ে। মাটিতে পড়ে লাশটা হলো বাংলা অক্ষর ‘দ’-এর মত।

প্রায় একইসময়ে অক্কা পেয়েছে যাজক ও তার দুই অনুচর। বিরতি না নিয়েই ঝড়ের বেগে বোল্ট টেনে .৩৩৮ বুলেট ছুঁড়েছে রামিন রেজা। তিন টার্গেট থেকে দু’ শ’ গজ দূরে ঝোপের ভেতরে বসে আছে সে, পাশে জো ডিগবার্ট। স্নাইপারদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সঠিক সময়, আর সেটা বুঝে কাজে ভুল করেনি রামিন। নিখুঁত ছিল ওর টাইমিং।

হ্যাভোক ক্লাবের সদস্যরা আক্ষরিক অর্থে বুঝে গেছে, মহাবিপদ কাকে বলে। লেকের তীরে সারি দিয়ে যে লাইন তৈরি করেছে তারা, সেটা ভেঙে গেল। পালিয়ে যেতে গিয়ে প্রাণভয়ে ফুঁপিয়ে উঠছে কেউ কেউ। দীর্ঘ আলখেল্লায় পা বেধে ধুপধাপ করে ঘাসজমিতে ঢাকা লনে পড়ল কয়েকজন। দৈহিকভাবে সবল দু’চারজন আশ্রয়ের আশায় ছুটল বাড়ির উদ্দেশে। কিন্তু বেশিদূর পালিয়ে যেতে পারল না তারা। একটু আগেও চেয়ে ছিল দ্বীপের দিকে, তাই খেয়াল করেনি, ভিড় থেকে পিছিয়ে গেছে তাদের তিন ভাই। মুখ থেকে খুলে ফেলেছে পাখির মুণ্ডের মুখোশ। গা থেকে আলখেল্লা ঝেড়ে ফেলে সবার দিকে তাক করেছে সেমি-অটোমেটিক ওয়েপন।

থঅথের পার্টিতে যোগ দিয়েছে রানা, ফক্স ও ওয়াকার। গত একদিনে গুছিয়ে নিয়েছে যে-যার কাজ। ক্রিস্টোফার গানের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করেছে রোল্স রয়েস। দুই গাড়ি নিয়ে আলাদা দিকে গেছে রানা ও ফক্স। ফ্রান্সে ফোন করেছে রানা। গত ক’দিন অ্যালেক্যাণ্ডার লিয়োনেলের দলের খুনিদের কারণে সরু এক সুতোয় ঝুলছিল জেসিকার জীবন। বন্ধু ওয়াকার ও ছোট ভাই রামিন সাহায্য করতে চাইলেও ওদেরকে কিছুই বলতে পারেনি রানা। কিন্তু এখন পাল্টে গেছে খেলার দান। ওর ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে রওনা হয়েছে ওয়াকার ও রামিন।

সেসনা বিমানে চেপে ফ্রান্স থেকে ব্রিটেনের আকাশে পৌঁছে যেতে সময় নেয়নি ওরা। ওদের সঙ্গে রেক্সহ্যাম শহর থেকে হাজির হয়েছে জনি ওয়াকারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জো ডিগবার্ট। তার ভ্যানে ছিল স্নাইপার রাইফেল। এবার সঙ্গে এনেছে খুব জরুরি একটি ডিভাইস- মিলিটারি-গ্রেড আরএফ স্ক্যানার/জ্যামার। জিপিএস লোকেটর, ইলেকট্রনিক বাগ ও গোপন ক্যামেরা খুঁজে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করে যন্ত্রটা। দুনিয়ার প্রতিটি দেশে ওটা ব্যবহার করে স্পেশাল ফোর্সের কভার্ট এন্ট্রি অ্যাণ্ড কাউন্টার-সার্ভেইলেন্স টিম। শার্লন হলে অপারেশন চালাতে নিজেদেরকে দুটি দলে বিভক্ত করেছে ওরা। রামিন ও ডিগবার্টের কাজ ছিল এস্টেটের জঙ্গলে ঢুকে পযিশন নেয়া। ওদিকে অন্যান্য অতিথিদের মত ক্রিস্টোফার গানের রোল্স রয়েসে চেপে সিকিউরিটি চেক-পয়েন্ট পেরিয়ে প্রাসাদ এলাকায় ঢুকে পড়েছে রানা, ফক্স ও ওয়াকার।

কোন বিপদ হয়নি ওদের। বসন্ত-বিষুবের রাতে শার্লন হলের সিকি মাইল দূরে গাড়ি রেখেছিল ফক্স, এবারও সেখানে রাখা হয়েছে ডিগবার্টের ভ্যান। ফক্সের মতই দেয়াল ডিঙিয়ে জঙ্গলে ঢুকেছে রামিন ও ডিগবার্ট, সঙ্গে রাইফেল, আরএফ স্ক্যানার ও শক্তিশালী স্কোপ। পরের দু’ঘণ্টায় জ্যামার ব্যবহার করে জঙ্গলে খুঁজে নিয়েছে লুকিয়ে রাখা ক্যামেরা। তিন শ’ ফুট বৃত্তের মধ্যে প্রতিটি সিসিটিভির সিগনাল বন্ধ করে দিয়েছে আরএফ স্ক্যানার/জ্যামার। কাজেই দ্য হ্যাভোক ক্লাবের ওয়াচরুমের গার্ড তার মনিটরে কাউকে দেখতে পায়নি। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে লেকের কাছে গেছে রামিন ও ডিগবার্ট। বুঝে গেছে, ওদের টার্গেট হবে দু’শ’ গজ দূরের কেউ। নিজেদের ঘাঁটি থেকে রানাকে ফোন করে রামিন বলেছে, ‘আমরা জায়গামত পৌছে গেছি।

রানা আর ওর বন্ধুদের জন্যে অপেক্ষা করেছে ওরা। রানার ডাকে কয়েক দেশ থেকে হাজির হয়েছে ওর ঘনিষ্ঠ, কয়েকজন মার্সেনারি বন্ধু। তারা অস্ত্র হাতে জঙ্গল থেকে চোখ রেখেছে শার্লন হলের ওপর।

রাত এগারোটা দুই মিনিটে আরও ক’জন ভিআইপির গাড়ির পিছু নিয়ে শার্লন হলের এলাকায় ঢুকেছে রানা, ওয়াকার ও ফক্স। ড্রাইভ করেছে রানা, পাশের সিটে ওয়াকার। রাজার মত পেছন-সিটে হেলান দিয়ে বসে থেকেছে ফক্স। আসার পথে যথেষ্ট সময় পেয়েছে বলে রানার কাছ থেকে গোটা ব্যাপারটা জেনে নিয়েছে ওয়াকার। নরপশুদের প্রতি ওর মনে জন্মে গেছে তীব্র ঘৃণা। খুনিগুলোর কথা ভাবতে গেলে রানার বুকেও বইছে শীতল এক ঝড়।

রাত এগারোটা চার মিনিটে সিকিউরিটি চেক-পয়েন্টে গাড়ির জানালা দিয়ে ক্রিস্টোফার গানের আমন্ত্রণপত্র গার্ডের হাতে দিয়েছে রানা। কার্ডের নম্বর কমপিউটারে তুলে নিয়েছে গার্ডেরা। তারপর হাতের ইশারায় বলে দিয়েছে এগিয়ে যেতে।

‘সহজেই ঢুকে পড়েছি ক্লাবে,’ বিড়বিড় করেছে ফক্স।

সামনের গাড়িগুলো বাড়ির দিকে গেলেও সোজা পার্কিং লটে গিয়ে ঢুকেছে রানা। রোদ্ রয়েসে বসে দেখেছে, হ্যাভোক ক্লাবের সদস্যদেরকে প্রাসাদের উঠনে নামিয়ে পার্কিং লটে ঢুকছে ড্রাইভার ও বডিগার্ডেরা। নিয়ম অনুযায়ী গাড়ি রেখে চলে যাচ্ছে দূরের লজ হাউসে। তাদের মধ্যে কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা নেই।

আরও কিছুক্ষণ পর চারপাশ ফাঁকা হয়ে গেলে রোলস  রয়েস থেকে নেমে পড়েছে ওরা। ফক্স ও ওয়াকারের হাতে ক্রিস্টোফার গানের বাড়িতে পাওয়া এমপিএক্স সাবমেশিন গান। রানার কাছে সাইলেন্সারসহ পিস্তল। ওটার ট্রিগার গার্ডের সামনে আছে ট্যাকটিকাল ওয়েপন লাইট। দেরি না করে শার্লন হলের পাশের এক দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েছে ওরা। চারপাশে চোখ বুলিয়ে বুঝেছে, সিসিটিভির ব্যাপারে মিথ্যা কথা বলেনি ক্রিস্টোফার গান।

ওদেরকে বাধা দিতে এল না কেউ। সতর্ক পায়ে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে ঢুকে এগিয়ে চলল ওরা। আগে চমৎকার সব পুরনো বাড়িতে পা রাখলেও সেগুলোর সঙ্গে শার্লন হলের কোন মিল পেল না রানা। ধুলোময় করিডর ও প্যাসেজওয়ে কবরের মত আঁধার। ভাপসা পরিবেশে ছুঁচোর প্রস্রাব ও পায়খানার বিশ্রী গন্ধ। বাতাসে অসুস্থকর মিষ্টি কুবাস। ওটা কীসের, বুঝতে পারল না রানা। দেয়ালে-দেয়ালে অদ্ভুত সব তৈলচিত্র। হিংস্র চোখে ওদের দিকে চেয়ে আছে বিকৃত চেহারার লোকজন। তাদের চাহনি দেখলে ধক করে ওঠে বুকের ভেতরটা। মনে ঘুরঘুর করছে অস্বাভাবিক অশুভ সব দুশ্চিন্তা। আঁধারে ছমছমে পরিবেশে হঠাৎ হঠাৎ রানার মনে হচ্ছে, বহু বছর ধরে খুব অশুভ কিছু ঘুরছে প্রাসাদের করিডর, প্যাসেজওয়ে ও ঘরগুলোতে। চট করে ওর মনে পড়ল পিশাচ দ্বীপে ডাক্তার শিকদারের দুর্গ ও

দুর্গ ও বীভৎস জীবত বিশ্বাসঘাতিনী সেই পিশাচীর কথা। এ প্রাসাদ অনেকটা সেই দুর্গের মতই। বাতাসে হয়তো ঘুরছে ভয়ঙ্কর অশুভ কোন রোগ। অচেনা ভয়ে কেঁপে উঠছে বুক। বারবার মনে হচ্ছে, উচিত হবে না এগিয়ে যাওয়া। খুব ভাল হয় ফিরে গেলে। রানা বুঝে গেল, একবার প্রাসাদ থেকে বেরোলে, ওর আর ইচ্ছে হবে না দ্বিতীয়বার এখানে পা রাখতে।

এখানে ঢোকার পর থেকেই কেমন যেন লাগছে, বিড়বিড় করল ফক্স। কথাটা শুনেছে ওয়াকার। মৃদু মাথা দোলাল। কারও মুখে কোন কথা নেই।

একের পর এক প্রকাণ্ড ঘর ও সরু করিডর পার হয়ে সারি দেয়া ড্রেসিংরুমের কাছে পৌঁছে গেল ওরা। কিউবিগুলোর কথা আগেই বলেছে এমপি গান। প্রাসাদের এদিকে বড় জায়গা জুড়ে ড্রেসিংরুম। প্রতিটা কিউবিকলের দরজা লক করা। কবাটে বুক সমান উচ্চতায় প্লেটে তামার অক্ষরে লেখা কিছু সংখ্যা।

এখানে পৌঁছে কী করবে, স্থির করে রেখেছে রানা, ফক্স ও ওয়াকার। হাতে বেশিক্ষণ সময় পাবে না ওরা। যে-কোন সময়ে আলখেল্লা ও পাখির মুখের মুখোশের জন্যে হাজির হবে ক্লাবের সদস্যরা। আর তাদের মধ্যে কপাল পুড়বে তিনজনের। কারণ ওই তিন কিউবিকলে তৈরি থাকবে রানা, ফক্স ও ওয়াকার।

তিনটে কিউবিকল মাঝে রেখে দু’দিকের দুই ড্রেসিংরুম বেছে নিল ওয়াকার ও ফক্স। রানা নিল দনের এক কিউবি। দরজাগুলো লক করা হলেও পৃথিবীতে তালা তৈরি করা হয়েছে সেটা খোলার জন্যেই। মাত্র তিন মিনিটে তিনটে দরজার তালা খুলল রানা। কথা না বলে যে যার কিউবিকলে ঢুকে পড়ল ওরা। ভাল করেই জানে, আবার যখন দেখা হবে ওদের, ততক্ষণে খুন হয়েছে তিন নরপশু।

নিজের কিউবিকলে ঢুকে দরজার তালা আটকে নিল রানা। ড্রেসিংরুমটা নয় ফুট বর্গাকার। ঘরে আছে সাধারণ ছোট এক কাঠের টেবিল, টুল, দেয়াল আয়না, ছাতে ন্যাড়া বা। বাল্বটা জ্বালতে হলে নিচে টান দিতে হবে কর্ড। এ- ছাড়া, ঘরে আছে স্টিলের এক লকার। ওটা থাকে মিলিটারি ব্যারাকে। বৈদ্যুতিক ঘোলাটে বালুবের গায়ে সেঁটে আছে ছোট কিছু মৃত পতঙ্গ। দ্য হ্যাভোক ক্লাবের ভিআইপি সদস্যদের কিউবিকলে বিলাসবহুল কিছু নেই দেখে বিস্মিত হয়েছে রানা। অবশ্য, এ-কথাও ঠিক, ফাইভ স্টার হোটেল বা পশ প্রাইভেট ক্লাব চরম বিকৃত আনন্দের আয়োজন করে না রক্তপিশাচদের জন্যে। কাল্টের গুরুর কাছ থেকে দীক্ষা নিয়ে বহু আগেই শয়তানের কাছে হৃদয় বিক্রি করে দিয়েছে এরা। বিবেক মারা গেছে বলেই একেকজন হয়ে উঠেছে দুনিয়ার বুকে জিন্দালাশের মত।

রানা বুঝে গেছে, এই দানবগুলোকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিলে বিবেকের দংশন হবে না ওর। বাতি নিভিয়ে আঁধারে টুলে বসে থাকল ও।

বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। মিনিট চারেক পর শুনতে পেল পদশব্দ ও গলার আওয়াজ। হেসে উঠল কে যেন। রানার পাশের কিউবিকলের তালায় ঢুকল চাবি। ‘ক্যাচ-কোঁচ’ আওয়াজে খুলল দরজা। ব্যাপারটা রাশান রুলেতের মত। পাশের কিউবিকলের লোকটার কপাল ভাল, তাই ওখানে ঢুকে আপাতত বেঁচে গেছে। কয়েক মুহূর্ত পর এল আরও পদশব্দ। কেউ একজন দাঁড়াল রানার দরজার সামনে। তালার ভেতরে ঢুকল চাবি। টুল ছেড়ে কিউবিকলের একদিকের কোণে সরল রানা। ওকে আড়াল করে দিয়ে ভেতরের দিকে খুলে গেল দরজা। গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে ঘরে ঢুকল পদশব্দের মালিক। কর্ডে টান দিতেই ক্লিক শব্দে জ্বলে উঠল কম ওয়াটের বৈদ্যুতিক বাতি। এবার বন্ধ হবে দরজা। ড্রেসিংরুমের মালিক বছর পঞ্চাশেক বয়সের বেঁটে এক মোটা লোক। মাথায় বিশাল টাক। ভুঁড়িটা চেপে বসেছে বুকের ওপরে। চাবি হাতে এখনও হাসছে সে। তবে রানাকে দরজার ওদিক থেকে বেরোতে দেখে হঠাৎ করেই দপ্ করে নিভে গেল তার উজ্জ্বল হাসি। মৃদু শব্দে কবাট আটকে দিল রানা। দু’কদম এগিয়ে ডানহাতে পেঁচিয়ে ধরল মোটকুর গলা। অন্যহাতে চেপে ধরেছে লোকটার মুখ।

মাত্র কয়েক সেকেণ্ডে ভাঙা ঘাড় নিয়ে থপ্ শব্দে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ল মোটকুর লাশ। খুবই দ্রুত, নিষ্ঠুরভাবে নিঃশব্দে খুন করা হয়েছে তাকে। অবশ্য সেজন্যে রাতের ঘুম বিঘ্নিত হবে না রানার।

লাশ টপকে মেঝে থেকে চাবি তুলল রানা। লকারের সামনে থেমে খুলে নিল ওটার তালা। ভেতরে আছে ফক্সের ভিডিয়োতে দেখা পাখির মুখের মুখোশ ও কালো আলখেল্লা। এ-ছাড়া আছে শৌখিন কাঠের সিগার বক্স। ওটার ভেতরে সিরিঞ্জ ও বাদামি তরলে ভরা ভায়াল। তরলটা হেরোইন বা ওপিয়াম বলেই মনে হলো রানার। ওর মন চাইল মোটকুর শিরায় ওটা ইনজেক্ট করতে, যাতে শুয়োরটাকে আবারও মরতে দেখতে পারে।

আলখেল্লা পরে নিয়ে রানা টের পেল, পোশাকটা ওর জন্যে পুরো দশ ইঞ্চি খাটো। অবশ্য এত উত্তেজনার ভেতরে মনে হয় না কেউ দেখবে জামার ত্রুটি। মুখোশ পরে আলখেল্লার হুড মাথায় টেনে নিল রানা। ঘুরে নিজেকে দেখল আয়নায়। কালো আলখেল্লা পরা দানবীয় এক অদ্ভুত পাখি চেয়ে আছে ওর দিকে!

‘আজ বোধহয় তোদের শেষরাত,’ বিড়বিড় করল রানা।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *