1 of 2

কিলিং মিশন – ২৩

তেইশ

সাড়ে চারঘণ্টা আগের কথা।

সাইডবোর্ডে রাখা স্বচ্ছ ক্রিস্টাল ডিক্যান্টার থেকে বারো বছর বয়সী সোনালি রঙের শিভাস রিগাল হাতের গ্লাসে ঢেলে নিলেন পল ম্যাণ্ডক। ফিরে গিয়ে বসলেন চামড়ামোড়া, বিলাসবহুল আর্মচেয়ারে। বুক চিরে বেরোল কাঁপা দীর্ঘশ্বাস। আপাতত আছেন লণ্ডনে নিজের বাড়ির সুসজ্জিত, আরামদায়ক লিভিংরুমে। মৃদু শব্দে ডেক-সেটে বাজছে বাঁশির করুণ সুর। বাইরে জানালার কাঁচে আছড়ে পড়ছে ঝোড়ো হিমবৃষ্টি। বিশ বছর ধরে রাতের এ-সময়ে বেডরুমে স্ত্রী এলেনার পাশে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু আজ কিছুতেই ঘুম আসছে না তাঁর। সপ্তমবারের মত বিড়বিড় করলেন, ‘বুঝলাম না গাধাটা আসলে কী করতে চায়!’

স্বামী শুতে যাচ্ছেন না বলে নিজেও রয়ে গেছেন এলেনা। যুক্তি এবং ধর্মের পার্থক্যের ওপর বিস্ফোরক এক বই পড়ছেন। প্রতিসপ্তাহে তিন থেকে চারটি বই না পেলে উধাও হয় তাঁর রাতের ঘুম। স্বামীর কথা শুনে বললেন, ‘কিছু বললে? কী হয়েছে? এত কী ভাবছ?’

একঢোক উইস্কি গিললেন পল। ‘না, কিছু নয়। সরি, তোমাকে বিরক্ত করতে চাইনি।’

আবারও বইয়ে মন দিলেন এলেনা।

ব্যবসায়িক পার্টনার রোহান কার্কের কথা ভাবছেন পল ম্যাণ্ডক। সকালে তর্ক বেধে যাওয়ার পর আজ আর কোন কাজে মন দিতে পারেননি তিনি।

কার্ক ও তিনি বেশিরভাগ সময়ে একমত হন। একুশ বছর হলো দু’জন মিলে গড়ে তুলেছেন ম্যাণ্ডক অ্যাণ্ড কার্ক লিটারারি এজেন্সি। পরস্পরের মতামতকে সবসময় সম্মান দেন। পার্ক সার্কাসে ভিক্টোরিয়ান আমলের পুরনো এক বাড়িতে তাঁদের ভাড়া করা অফিস। ওখানে বসে অসংখ্য লেখকের বই প্রকাশে কাজ করেছেন। এলেনা দায়িত্ব পালন করেন এজেন্সির সাংগঠনিক বিষয়ে। কেউ পাণ্ডুলিপি জমা দিলে সেটা পড়েন কার্ক ও ম্যাণ্ডক। লেখা মানসম্মত হলে লেখকের হয়ে চুক্তি করেন প্রকাশকের সঙ্গে। বই বিক্রি হলে তাঁদের এজেন্সির প্রাপ্য হয় মোট মুনাফার পনেরো পার্সেন্ট আগে কখনও কোন বই প্রকাশ করার বিষয়ে তাঁদের ভেতরে কোন বিভেদ তৈরি হয়নি।

অথচ, আজ অসমাপ্ত এক পাণ্ডুলিপির জন্যে মন কষাকষি হয়ে গেছে তাঁদের। আগে ওটা পড়েছেন কার্ক। পরে ম্যাণ্ডক। কিন্তু পঞ্চাশ পৃষ্ঠা পড়ে তিনি ভেবে পেলেন না, প্রকাশকের কাছে লেখাটা কেন দেবেন তাঁরা।

কার্ক বললেন, এখনই উপযুক্ত সময় ওটা প্রকাশ করার। এতে নতুন করে জনপ্রিয় হবে তাঁদের এজেন্সি। হাতে আসবে লাখ লাখ পাউণ্ড। ম্যাণ্ডককে আরও জানালেন, ‘বুঝতে চেষ্টা করো, পল। খ্যাতিমান মানুষের বই প্রকাশ করলে হুড়মুড় করে কিনবে ব্রিটেনের পাঠক। তুমি তো জানো, বহুদিন হলো ভাল কোন বই যাচ্ছে না আমাদের এজেন্সি থেকে।’

‘তাই বলে নর্দমার কীট তুলে কাউকে জোর করে গেলাতে হবে?’ পাল্টা বললেন ম্যাণ্ডক। ‘এ-কথা ঠিক যে ব্যবসায় মন্দা চলছে, কিন্তু সেজন্যে নোংরা ঘাঁটতে হবে কেন?’

‘তুমি বুঝতে পারছ না,’ বললেন কার্ক। ‘এটা দুর্দান্ত এক সুযোগ। হাতে চলে আসা সম্পদ কখনও পায়ে ঠেলতে নেই। এ লেখকের সঙ্গে চুক্তিতে না গেলে আমাদের বিশজন প্রতিযোগী বইটা নেয়ার জন্যে লাফিয়ে গিয়ে পড়বে তার পায়ে। মোটা অঙ্কের মুনাফা পকেটে পুরে হাসবে আমাদের বোকামি দেখে।’

‘আমি ওটা প্রকাশকের কাছে দেব না,’ বললেন ম্যাণ্ডক।

‘পুরনো বইয়ের কমিশন থেকে যা আসছে, সেটা দিয়ে কীভাবে ব্যবসা টিকিয়ে রাখবে- এটা কখনও ভেবেছ? পাঠক চাইছে উত্তেজনাময় নতুন বই। আমরা কিন্তু সেটা দিতে পারছি না। তাই বলছি, অমন পাণ্ডুলিপি কিন্তু বারবার হাতে পাব না।’

‘ওটা মানসিক রোগীর প্রলাপ,’ বললেন ম্যাণ্ডক। ‘প্রকাশ করা হলে গালি দিয়ে আমাদের ভূত ছুটিয়ে দেবে পাঠক। না, রোহান, ওটা অন্য কেউ বিক্রি করুক। আমাদের সুনামটা অন্তত থাকুক।’

‘টাকা না এলে এজেন্সি কীভাবে চলবে, পল?’ রেগে গেলেন কার্ক, ‘সবাই যেটা লুফে নেবে, আমরা সেটা কেন নেব না?’

‘তোমার মত আমিও মুনাফা চাই, তবে সেটা সম্মান হারিয়ে নয়। আগে কখনও শুধু টাকার পেছনে ছুটতে যাইনি আমরা। তা ছাড়া, ওটা খুব বিপজ্জনক। ঝামেলা এড়াতে হলে আমাদের উচিত হবে ওটা থেকে হাত গুটিয়ে নেয়া।’

‘কী বলছ এসব? তর্ক-বিতর্ক হবে, তাই না? তাতে কী? টাকাও তো আসবে হুড়মুড় করে!’

‘বিতর্ক এককথা, আর গায়ে মানুষের বিষ্ঠা মেখে এখানে-ওখানে যাওয়া অন্যকিছু। ওই লোক যেসব অভিযোগ এনেছে, সেসবের কোন ভিত্তি নেই! আমার তো মনে হয়েছে, ওই লোক উন্মাদ বা নেশাখোর। হয়তো দুটোই সে। এই বই নিয়ে কাজ করলে সবার হাসির পাত্র হব আমরা। মনে আছে, টিভিতে একবার একজন বলেছিল, সে নাকি যিশুর ছেলে! আমাদের হাল হবে তার চেয়েও অনেক খারাপ।’

‘সে কিন্তু যথেষ্ট প্রচার পেয়েছিল।’

‘ওটা ছিল তার বোকামি বা পাগলামি,’ বললেন ম্যাণ্ডক। ‘ঢালাও অভিযোগে ভরা বই প্রকাশ করা হলে মস্ত ক্ষতি হবে আমাদের। আইনী জটিলতায় পড়ব। পুরো না পড়েই আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেছে আমার। এরপর কী লিখবে, সেটা স্রেফ স্রষ্টাই বলতে পারবেন!’

‘যা-খুশি লিখুক না! আসল কথা মুনাফা হাতে এল কি না। সে তো পাগল নয় যে কারও নাম উল্লেখ করেছে। তার নামও তো আমরা জানি মাত্র কয়েকজন। তা হলে আবার সমস্যা কোথায়?’

‘সমস্যা হচ্ছে: যাদের পেছনে আঙুল ভরবে, তারা তো আর চুপ করে বসে থাকবে না!’

দীর্ঘশ্বাস ফেললেন কার্ক। ‘এমন সুযোগ কিন্তু আর পাব না, পল। ভাল করে ভেবে দেখো।’

‘ওই বইয়ের কথা ভাবলেই বিরক্তি লাগছে আমার।’

‘তবুও আরও ক’দিন সময় নাও। পরে সিদ্ধান্ত নিয়ো।’

‘গত দুই সপ্তাহ ধরে আমরা বইটা নিয়ে আলাপ করেছি। আর ভাবার কিছু নেই।’

‘আজ শুয়ে পড়ার আগে আরেকটু ভেবো। আগামীকাল না হয় আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

আরও গম্ভীর হলেন ম্যাওক। ‘ধরে নাও, এই বিষয়ে আমার আর নতুন কিছু বলার নেই।’

এ-মুহূর্তে উইস্কিতে চুমুক দিয়ে এসবই ভাবছেন ম্যাণ্ডক। ওই লেখক স্রেফ উন্মাদ! আনমনে বললেন, ‘ছাগলটা আসলে নিজেকে কী ভাবে?’

পাশের টেবিলে বই রাখলেন এলেনা। ভাল করেই চেনেন স্বামীকে। একবার কিছুতে বিগড়ে গেলে তাঁকে রাজি করাতে পারবে না কেউ। ‘পল, সারাদিন দেখছি কী যেন ভাবছ। ডিনারের সময়েও কোন কথা বলোনি। তুমি যেন নিজের ভেতরে নেই। একটু খুলে বলবে, আসলে কী হয়েছে?’

‘না, বাদ দাও। তোমাকে বিরক্ত করতে চাই না।’

‘আমি বিরক্ত হব না, আমাকে বলো। মনে হচ্ছে, কী যেন কুরে কুরে খাচ্ছে তোমাকে।’

‘রোহানের সঙ্গে তর্ক বেধেছে,’ স্বীকার করলেন ম্যাণ্ডক। ‘এক ক্লায়েন্টের ব্যাপারে।’

‘তোমরা তো ঘনিষ্ঠ বন্ধু! কী বলেছে রোহান?’

মাথা নাড়লেন ম্যাণ্ডক। ‘ওর কথা নিয়ে ভাবছি না। আমি ভাবছি ওই ক্লায়েন্টের কথা। নিজেকে কী মনে করে সে?’

ধৈর্য না হারিয়ে বললেন এলেনা, ‘কে সেই ক্লায়েন্ট?’

‘ব্রিটিশ এমপি স্টিভ হ্যারিস। তোমার মনে আছে, মাসখানেক আগে লেখা জমা দিয়েছিল?’

মাথা দোলালেন এলেনা। ‘হ্যাঁ, রাজনৈতিক স্মৃতিচারণামূলক লেখা।’ এজেন্সিতে সবার সব লেখা গ্রহণ করলেও সেসব পড়েন না এলেনা। তাই জানা নেই কী আছে সেই লেখায়।

আরও একঢোক উইস্কি গিললেন ম্যাণ্ডক। ‘তুমি হাতে পাওয়ার পরের সপ্তাহে আমি পড়েছি। তবে, না পড়লেই বোধহয় ভাল করতাম।’

‘এতই খারাপ লিখেছেন?’

‘ভাষা বা বানান ঠিক আছে। তবে সমস্যা ওটার বক্তব্যে। অভিজাত সমাজের ওপরে উগলে দিয়েছে নিজের বিষোদ্‌গার।’

‘তাই?’ পতিতা, ড্রাগ্‌স্‌, ব্যভিচার, সমকামিতা ইত্যাদি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন এলেনা।

‘যা লিখেছে সেটা মারাত্মক,’ বললেন ম্যাণ্ডক। ‘ভাবতে গেলে গলা শুকিয়ে যায়। আমরা ওসবে নাক গলাতে গেলে যে-কোন সময়ে খুন হব।’

বিস্ময় নিয়ে তাঁকে দেখলেন এলেনা। ‘তা হলে আমাকে আগে কিছু বলোনি কেন?’

কোনকালেই ঈশ্বর-ভক্ত ছিলেন না ম্যাণ্ডক। অবিশ্বাসী স্বামীর স্ত্রী হলেও এলেনা চার্চ অভ ইংল্যাণ্ডের সদস্যা। ‘তোমাকে বললে দুশ্চিন্তায় পড়তে, যেটা আমি চাইনি।’ শেষ উইস্কিটুকু গিলে নিলেন পল। বুঝে গেছেন, সব না জেনে এবার ছাড়বে না এলেনা।

‘কেন দুশ্চিন্তা করব, বলো তো শুনি?’

‘তুমি কি সত্যিই জানতে চাও?’

‘অবশ্যই জানতে চাই।’

‘বেশ, তা হলে সংক্ষেপে বলছি। স্মৃতিচারণার বদলে সে দিয়েছে আত্মস্বীকারোক্তি। বিত্তশালীরা পৈশাচিক পুজোয় গিয়ে, কী ধরনের পাপাচার করে, ওই বইয়ে আছে সেই বিশদ বর্ণনা।’

গালে চড় খেলেও এত চমকে যেতেন না এলেনা।

গুরুতর অভিযোগ তুলেছে রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। তারা নাকি শয়তান পুজোর সময় মানুষ বলি দিতেও দ্বিধা করে না। এলেনা, আমি এ-ব্যাপারে আর কিছুই বলতে চাই না। সেজন্যেই প্রথম থেকে সব গোপন করে গেছি।’

স্বামীর কথা অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে এলেনার। কয়েক মুহূর্ত পর বললেন, ‘ওটা তুমি নিজে পড়েছ? গাঁজাখুরি কিছু নয়?’

‘ওটা ছিল তার পাঠিয়ে দেয়া পেন-ড্রাইভে। এখনও আছে আমার ব্রিফকেসে। রসিয়ে রসিয়ে, যেসব বর্ণনা দিয়েছে, তাতে আমার মনে হয়েছে, আমাদের উচিত খুব দ্রুত তার সঙ্গ ত্যাগ করা। আগামীকাল সেটাই বলব রোহানকে। তাতে যদি এজেন্সি বন্ধ করে দিতে হয়, আমার কোন আপত্তি নেই। রোহান রাজি হলে স্টিভ হ্যারিসকে ভদ্রতার সঙ্গে মানা করে দেব। পুড়িয়ে ছাই করে দেব তার পেন-ড্রাইভ। তখন মনে হবে, কোনকালেই তার সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক ছিল না।’

অপলক চোখে স্বামীকে দেখছেন এলেনা। ‘তুমি কি মনে করো তাঁর অভিযোগ আসলে সত্যি? মানে, মিথ্যা কিছু লেখেননি?’

‘নিজের চোখে যা দেখেছে, তারই বর্ণনা দিয়েছে। ডেনিস হুইটলির হরর গল্পকেও হার মানাবে। আমার ধারণা, স্টিভ হ্যারিস আসলে বদ্ধউন্মাদ। হয়তো টাকার জন্যে বেপরোয়া হয়ে গেছে। হয়তো নিজেও জানে না এজন্যে কতবড় বিপদে পড়বে। বইটা মার্কেটে এলেই হুলুস্থুল শুরু হবে গোটা সমাজে। এসবে আমরা থাকলে আমাদের দিকে আঙুল তুলবে সবাই। যেটা চাইছি না। সম্মান নিয়ে যেন বাঁচতে পারি। আমরা এত লোভী নই যে ওই বইয়ের বিক্রির টাকা না পেলে মনের দুঃখে মরে যাব।’

খালি গ্লাস দেখলেন ম্যাণ্ডক। ‘এ-বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না। এলেনা, চলো, ওপরে গিয়ে শুয়ে পড়ি।’

আধঘণ্টা পর বেডরুমে নাক ডেকে ঘুমাতে লাগলেন তিনি। কিন্তু একফোঁটা ঘুম নেই এলেনার চোখে। মনে মনে স্থির করেছেন, নিজেই এবার পড়বেন সেই পাণ্ডুলিপি।

গভীর রাতে বিছানা ছেড়ে পা টিপে টিপে স্টাডিরুমে গিয়ে ঢুকলেন তিনি। ভাল করেই জানেন কোথায় আছে স্বামীর ব্রিফকেস। টেবিল ল্যাম্প জ্বেলে ঘরের দরজা বন্ধ করে ডেস্কের পেছনের সিটে বসলেন। ব্রিফকেস খুলতেই পেলেন বেগুনি ছোট এক ম্যানিলা এনভেলপ। ওটার ওপরে তাঁদের এজেন্সির ঠিকানা। এনভেলপ থেকে নিলেন লাল এক পেন-ড্রাইভ। গায়ে সেঁটে দেয়া কাগজে লেখা: স্যর স্টিভ হ্যারিস। এ-ছাড়া, আছে সাত ডিজিটের পাসওয়ার্ড।

ল্যাপটপ চালু করে পোর্টে পেন-ড্রাইভ গুঁজলেন এলেনা। স্ক্রিনে এল ছোট একটা বক্স। ওখানে চাওয়া হচ্ছে পাসওয়ার্ড। সাত ডিজিট টাইপ করা হতেই খুলে গেল বইয়ের টাইটেল:

দ্য হ্যাভোক ক্লাব

নামটা শিরশিরে এক অনুভূতি তৈরি করল তাঁর মেরুদণ্ডে। একঘণ্টা পর হতভম্ব হয়ে চেয়ারে বসে রইলেন তিনি। ভয়াবহ বর্ণনা পড়ে খুব ভয় পেয়েছেন। একটু পর কাঁপা হাতে ফোনের রিসিভার তুলে কল দিলেন পরিচিত একজনের কাছে।

অন্যপ্রান্তে ফোন ধরল তাঁর ছোট ভাই। এতরাতে বড় বোনের ফোনে সতর্ক হয়ে উঠেছে সে। ঘুম ভাঙা কর্কশ কণ্ঠে বলল, ‘এলেন? কী হয়েছে? খারাপ কিছু হয়নি তো?’

‘গ্রেগি,’ বেসুরো কণ্ঠে বললেন এলেনা, ‘এখন যা বলব, তার সবই কিন্তু সত্যি! খুব মন দিয়ে শুনবে!’

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *