1 of 2

কিলিং মিশন – ২৮

আটাশ

পৌনে একঘণ্টা আগের কথা।

ঘড়িতে বাজে সকাল সাড়ে এগারোটা।

দোতলায় স্টাডিরুমে নিজের কাজে ব্যস্ত স্টিভ হ্যারিস। প্যানাসনিক ডেক-সেটে বাজছে বিখ্যাত বেহালাবাদক আর্থার লিভিন্স-এর ক্লাসিকাল মিউযিক। ওই সিডিটা উপহার দিয়েছিল তার তৃতীয় স্ত্রী ক্যাথি। অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে ভেবেই মা হয়েছিল দুশ্চরিত্রা যুবতী। আর পরে নারীদেহ- লোভী একদল যুবকের সঙ্গে যা-খুশি করেও আইনী প্যাচে ফেলে লক্ষ লক্ষ পাউণ্ড ওর কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে।

আর এটা ভাবলেই তিক্ত হয় হ্যারিসের মন।

তিনদিন আগে কোথা থেকে যেন নোংরামি করে এল। দুই ছেলেমেয়ে ও আয়াটাকে নিয়ে হ্যারিসের কাছ থেকে আদায় করা ব্রাইটনের বিলাসবহুল বাংলোতে ফিরে গেল। চিরকালই জঘন্য চরিত্রের কুত্তী ছিল ক্যাথি। ব্যক্তিগত কোন জীবন যেন নেই হ্যারিসের!

ক্যাথিকে মন থেকে বিদায় করে আবারও কাজে ডুব দিল সে। কপাল ভাল, গত তিনদিনে বিরক্ত করতে আসেনি কেউ। বহুদূর এগিয়ে গেছে তার গোপন প্রজেক্ট। যত কমেছে তার রাজনীতির ময়দানে সফল হওয়ার সম্ভাবনা, তত বেশি করে ভেবেছে: টাকা তো ফুরিয়ে যাচ্ছে, এরপর কীভাবে চলব!

পরে ভাবল হ্যারিস: প্রতিবছর দুটো করে বই লিখলে কেমন হয়? লেখালেখি দুরূহ কাজ হলেও বই জনপ্রিয় হলে আর অভাব থাকবে না তার। শেষমেশ সিদ্ধান্ত নিল, রচনা করবে আত্মজীবনীমূলক বই। গত দু’মাস ধরে তা-ই করছে।

নমুনাও পাঠিয়ে দিয়েছে ম্যাণ্ডক অ্যাণ্ড কার্ক এজেন্সিতে। হয়তো এরইমধ্যে উন্মাদ হয়ে গেছে ওরা পুরো লেখা হাতে পাওয়ার জন্যে। নামটাই তো গলা শুকিয়ে দেয়ার মত:

দ্য হ্যাভোক ক্লাব,

আশা করা যায় লেখাটা শেষ হবে বিশদিন পর। এই বই প্রকাশ হলে লাখ লাখ পাঠক হুমড়ি খেয়ে পড়বে ওটা কিনতে। প্রথম দু’দিনে ওর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমবে কয়েক মিলিয়ন পাউণ্ড। সেক্ষেত্রে আর গরিবানা চালে তাকে চলতে হবে না। পাঠক বলবে: সত্যি, প্রতিভাবান এক লেখক আমরা পেয়েছি!

যাদের নোংরামি তুলে ধরবে, সবাই ক্ষমতাশালী ও ধনী। রেগে গিয়ে খুনও করে বসতে পারে ওকে। সেজন্যে ঠিক করেছে বইয়ে দেবে নিজের ছদ্মনাম। তবুও অনেকে ভাল করেই বুঝে যাবে এরা আসলে কারা। সহযোগী হয়েও পরে প্রতারণা করেছে লেখকের সঙ্গে। এবং সেজন্যেই খেপে গিয়ে বই লিখে তাদের ওপর চরম প্রতিশোধ নিয়েছেন লেখক।

হ্যারিসের মনে পড়ল পঁচিশ বছর আগের কথা।

রাজনৈতিক আকাশে ধ্রুবতারার মত জ্বলজ্বল করছে ও। অনেকে ভাবত: ক’দিন পর দলের প্রধান হবে স্টিভ হ্যারিস। আগামী নির্বাচনে নির্ঘাত হবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষিত, বিনয়ী, সুবেশী যুবক নিয়মিত যেত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি অনুষ্ঠানে। এক গ্রীষ্মের রাতে তেমনই এক আমন্ত্রণে গেল ও। সেখানে ওর সঙ্গে আলাপ হলো এক লোকের। কাঁধে হাত রেখে ওকে নিয়ে গেল সে ঘরের কোণে। শ্যাম্পেইনের গ্লাসে চুমুক দিয়ে বলল, ‘বিশেষ এক ক্লাব আছে প্রতিপত্তিশালী ও ধনাঢ্যদের, যেখানে প্রত্যেকেই হচ্ছেন পুরুষ। তাঁদের তরফ থেকে আমাকে পাঠানো হয়েছে, যাতে আপনাকে প্রস্তাব দিই সদস্য হওয়ার জন্যে। বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চললে আপনিও হতে পারেন গণ্যমান্যদের একজন।’

স্টিভ জানতে চাইল, ওই ক্লাবটি আসলে কীসের।

তিনদিন পর জানল ও।

আরেকটি জমজমাট অনুষ্ঠানে এল লোকটা। হ্যারিসকে নিয়ে গেল জানালার কাছে। পর্দা সরিয়ে নিচে দেখাল, গাড়ি- বারান্দায় এসে থামছে দুর্মূল্য সব লিমাযিন। বড় ব্যবসায়ী ও নামকরা রাজনৈতিক নেতারা উঠছেন যাঁর যাঁর গাড়িতে। হ্যারিস জানত না কোথায় চলেছেন এঁরা। কৌতূহল হচ্ছিল বড্ড। তাই লোকটা যখন বলল, সেই ক্লাবে চোখ না বেঁধে নেয়া যাবে না ওকে, কোন আপত্তি তুলল না ও।

সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে লোকটার সঙ্গে উঠল তার গাড়িতে। কালো কাপড়ে বাঁধা হলো ওর দুই চোখ। একঘণ্টা ধরে এগিয়ে চলল লিমাযিন। তারপর ওকে নেয়া হলো বিশাল এক ম্যানরের ভেতরে। চেয়ারে বসার পর সরানো হলো চোখের কাপড়। হ্যারিস দেখল, মস্ত ডেস্কের ওদিকে বসে আছে দু’জন লোক। প্রথমজনের বয়স হবে আন্দাজ পঁচাত্তর, অন্যজন পঁয়তাল্লিশ। সংক্ষেপে জানাল তারা: এই ক্লাবের সবাই প্রাচীন এক ভ্রাতৃসংঘের সদস্য। পরস্পরকে সাহায্য করে বলে দুনিয়ার বুকে প্রত্যেকে হয়ে উঠেছে অত্যন্ত সফল মানুষ।

বুড়ো বলল, ‘সবার সহায়তা পেলে আগামী নির্বাচনে আপনি হয়তো হবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।’

চব্বিশ বছর ম্যাচিয়োর করা উইস্কিতে চুমুক দিল হ্যারিস। নিজের কানকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল ওর।

বুড়ো হাসি-হাসি মুখে জানাল: ‘ক্লাবের সদস্য হলে বাইরের কাউকে গোপন কোন কিছু কখনও বলতে পারবেন না। অনেকে এই সংঘের সদস্য হওয়ার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হলেও, আপনি দৃঢ় মনের মানুষ; তাই সবাই চাইছে আপনাকে সদস্য করে নিতে। সদস্য হওয়ার জন্যে মাত্র একবার সুযোগ পাবেন আপনি। যদি মানা করে দেন, আর কখনও এই বিষয়ে টু শব্দ করবে না কেউ।

‘আপনারা আসলে কী বোঝাচ্ছেন, একটু খুলে বলবেন?’ জানতে চাইল হ্যারিস।

শুকনো হাসল বুড়ো। ‘আমরা আসলে স্রষ্টার অস্তিত্বকে বিশ্বাস করি না। মিস্টার হ্যারিস, দলে যোগ না দিলেও এই বিষয়ে কাউকে কখনও কিছু বলবেন না, আপনার প্রতি আমাদের সেই বিশ্বাস আছে।

‘যদি মানা করে দিই?’ জানতে চাইল হ্যারিস।

‘সেক্ষেত্রে কখনও উঠবেন না ক্ষমতার চূড়ায়। যা পেতেন, তা আর কখনও পাবেন না। আজ আপনি পেয়েছেন মস্ত এক সুযোগ’। সম্ভাবনার দুয়ার খুলে নেবেন, না পাথুরে দেয়ালে মাথা ঠুকে মরবেন- সেটা আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’

সতর্ক করা হলো ওকে।

ভ্রাতৃসংঘে যোগ দিলে শপথ নিতে হবে, কখনও বেইমানি করতে পারবে না সে। মৃত্যু পর্যন্ত থাকতে হবে সদস্য-পদে। এর ব্যত্যয় হলে দেয়া হবে চরম শাস্তি।

‘কী ধরনের শাস্তি?’ দ্বিধা নিয়ে জানতে চাইল হ্যারিস।

‘মৃত্যুদণ্ড,’ সরাসরি জানিয়ে দিল বুড়ো।

কথা শুনে হতবাক হয়ে গেল হ্যারিস। একটু পর ঢোক গিলে বলল, ‘সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ক’দিন ভাবতে চাই।’

তাতে এদিক-ওদিক মাথা নাড়ল বৃদ্ধ। ‘দুঃখিত, মিস্টার হ্যারিস। যা বলার আপনাকে এখনই বলে দিতে হবে।’

কিছুক্ষণ ভেবে সিদ্ধান্ত নিল হ্যারিস। রাতের জমকালো অনুষ্ঠানে ভ্রাতৃসংঘের সদস্য হলো। তখনও জানত না, মানব- বলি দেখে উত্তেজনায় উন্মাদ হয়ে উঠবে সে। আগে কখনও এত ফুর্তি আসেনি তার মনে। কিছুদিনের ভেতরে বুঝল, ঠিকই বলেছে বুড়ো। বহু আগেই উচিত ছিল ভ্রাতৃসংঘে যোগ দেয়া। তা ছাড়া, তার চাই হাতের মুঠোয় প্রচণ্ড ক্ষমতা!

এরপর বছরের পর বছর দেখল অসহায় মানুষের রক্তক্ষরণ। কখনও কখনও নিজেকে মনে হলো নরপশু। বারবার ভাবল: সত্যি যদি ফিরতে পারত অতীতের সোনালি সেই দিনগুলোয়!

একসময় বুঝল, এখন আর ওকে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র বলে মনে করে না কেউ। ভ্রাতৃসংঘের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেও শুরু হলো তার পতন। হ্যারিস টের পেল, আগের মত তাকে স্নেহ করে না ক্লাবের প্রেসিডেন্ট। বৃদ্ধের সব আগ্রহ তরুণ রাজনীতিকদের প্রতি। ভীষণ হতাশাগ্রস্ত হ্যারিস দেখল দিনে দিনে তাদের উন্নতি। টাকা-পয়সা, খ্যাতি, ক্ষমতা- সবদিক থেকেই তাকে টপকে গেল তারা।

আসলে মিথ্যার বেসাতি করেছে ভ্রাতৃসংঘের প্রেসিডেন্ট। কেউ এল না হ্যারিসকে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে দিতে।

নিজেকে চরমভাবে বঞ্চিত মনে হলো ওর। বুঝে গেল, থঅথের কাছে আত্মা বিক্রি করেও আদতে কোন লাভ হয়নি!

ব্যর্থতা থেকে মনে এল চরম তিক্ততা। মানব-বলির নিয়মিত উত্তেজনাময় অনুষ্ঠান আর সন্তুষ্ট করল না ওকে। শুরু করল মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান। কথাবার্তা হয়ে গেল অযৌক্তিক। দুর্ব্যবহার করতে লাগল বন্ধুদের সঙ্গে। বিপদে যারা সাহায্য করবে বলে ভাবত, সবাই সরে গেল দূরে। ফলে আকাশের মস্ত এক নক্ষত্রের যেন ঘটল ভয়ঙ্কর পতন। ব্যবসার সিদ্ধান্তে ভুল হতে লাগল হ্যারিসের। বারবার বিয়ে করে ঘাড়ে টেনে আনল তালাকের ধারালো খাঁড়ার ঘা। অর্থনৈতিকভাবে ধসে যাওয়ায় প্রথমে বিক্রি করল লণ্ডনে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। এরপর বিদায় করে দিতে বাধ্য হলো বডিগার্ডদেরকে। রাজনৈতিক নেতা হয়েও সদলবলে ঘুরছে না, তাই সমাজে কমে গেল তার সম্মান। ক’দিন আগে হিসাবরক্ষক জানাল, আর উপায় নেই, এবার বিক্রি করে দিতে হবে গ্রামের এই বাড়ি।

দুঃসহ এ-সময়ে মনে দোলা দিল দারুণ এক ভাবনা।

এতবছর ভ্রাতৃসংঘে থেকে বহুকিছুই তো জেনেছে সে। তা হলে কেমন হয় সেসব এবার লিখে ফেললে? প্রকাশ হলে বছর-সেরা কেলেঙ্কারিমূলক রচনার খেতাব পাবে তার বই। শেয়ার বাজার ধসে যাওয়ার চেয়ে কম কিছু হবে না তাতে।

হ্যারিস ভাবল: ভাল প্রকাশনা সংস্থায় বিক্রি করবে বইয়ের আইডিয়া। তাতে পকেটে আসবে কমপক্ষে এক লাখ পাউণ্ড। কিন্তু পরে মনে হলো, এত টাকা দেয়া হলে সবাই জানবে কে বিক্রি করেছে বইয়ের আইডিয়া। তা ছাড়া, আরও ভাল উপায় তো হাতে আছে! প্রতিবছর তাতে আয় হবে ছয় বা সাত অঙ্কের রয়্যালটি। তখন আর ভাবতে হবে না শ্যাম্পেইন কেনার পয়সার জন্যে। আরামসে কিনে নেবে দামি ম্যানশন। ঘুরে বেড়াবে ব্যক্তিগত ঝকঝকে জেট বিমানে চেপে নানান দেশে। শেষমেশ স্থির করল হ্যারিস, নিজেই লিখবে কাল্ট বিষয়ক বইটি

এ-কাজে নেমে নরকের শিখার চেয়েও উত্তপ্ত সব দৃশ্য তৈরি করতে লাগল সে। সেসব পড়লে গলা শুকিয়ে যাবে যে-কারও। লেখার কিছু অংশ জমা দিল লিটারারি এজেন্সিতে। পড়লেই তারা বুঝবে, ক্ষমতাশালীদের ওপরে উল্টে দেয়া হচ্ছে টেবিল!

লিটারারি এজেন্সির মালিকপক্ষের মিস্টার কার্ক ই-মেইলে লেখার নমুনা চাইলে, অনলাইনে বই হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি নিল না হ্যারিস। নিরাপত্তার কথা ভেবে আগেই কেটে দিয়েছে বাড়ির ইন্টারনেট কানেকশন। জরুরি আলাপের জন্যে কিনে নিয়েছে বার্নার মোবাইল ফোন। এনক্রিপ করা পাণ্ডুলিপির অংশ ফ্ল্যাশ ড্রাইভে ভরে স্পেশাল ডেলিভারি কোম্পানির মাধ্যমে পাঠিয়ে দিল লিটারারি এজেন্সির ঠিকানায়। মিস্টার কার্ককে ফোনে জানাল ওটার পাসওয়ার্ড। ভদ্রলোক অনুমতি নিলেন, পার্টনার পল ম্যাণ্ডককে যেন পাণ্ডুলিপি দেখাতে পারেন।

এখন তাদের জবাবের জন্যেই অপেক্ষা করছে হ্যারিস। স্যাম্পল হিসেবে যা দিয়েছে, তার চেয়ে বোম্বাস্টিক হচ্ছে পরের তিন শ’ পৃষ্ঠা। ধরে নেয়া যায় লাখ লাখ পাউণ্ডে বিক্রি হবে ওর বই।

এবারের পরিচ্ছেদ আরও দুর্দান্ত। সরকারি বড় কর্মকর্তা ও উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারের হাতাহাতি ও রক্তারক্তি কাণ্ড। ঝড়ের বেগে ল্যাপটপে বই কম্পোজ করছে হ্যারিস। মাঝে মাঝে চুমুক দিচ্ছে কফির কাপে। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ করেই ওর মনে হলো, নিচতলায় কীসের যেন আওয়াজ!

লেখা বাদ দিয়ে কান পাতল হ্যারিস।

ওই তো, আবারও!

নিচে নড়ছে কিছু!

বোধহয় ডাইনিংরুমের চিমনির ভেতরে আবারও ঢুকেছে কবুতর।

খুব বিরক্ত হলো হ্যারিস।

নাহ্, এটা কোন ভদ্রলোকের বাড়ি?

ল্যাপটপের ডালা নামিয়ে চেয়ার ছাড়ল সে। দরজা খুলে গিয়ে থামল সিঁড়ির মুখে।

একবার দেখল হাতঘড়ি: এগারোটা ঊনষাট মিনিট

দু’ঘণ্টা ধরে লিখছে। আসলে কাজে মজা পেলে কোথা দিয়ে যেন উড়ে যায় সময়!

নিচে আর কোন আওয়াজ নেই।

ভুল শুনেছিল নাকি?

হয়তো আসবাবপত্রের ওপরে মলত্যাগ করেছে কবুতর।

লেখায় ফিরবে, না ঘুরে আসবে নিচতলা থেকে?

একটু দ্বিধা করে সিঁড়ি বেয়ে নেমে নিচের করিডরে পা রাখল হ্যারিস। ডাইনিংরুম লক্ষ্য করে রওনা হয়ে বিড়বিড় করে বলল, ‘একবার ধরতে পারলে মুচড়ে ভাঙব তোর গলা, হারামজাদী!’

আরেক পা যেতেই প্রচণ্ড বেগে কী যেন লাগল তার মাথার পেছনে। চোখের সামনে দেখল অত্যুজ্জ্বল সাদা রশ্মি। পরক্ষণে ডুবে গেল সে অসীম গভীর এক অন্ধকার কূপে।

স্টিভ হ্যারিস জানল না, মুহূর্তে মৃত্যু হয়েছে তার!

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *