1 of 2

কিলিং মিশন – ৪৪

চুয়াল্লিশ

ক্রিস্টোফার গান দ্বিধায় পড়লেও চট্ করে বুঝে গেল, তাকে বাঁচাতে আসবে না তার গার্ডেরা। রানার জেরার মুখে এক এক করে সবই বলতে লাগল সে।

হ্যাঁ, এ-কথা ঠিক, বহু বছর ধরেই থঅথ ধর্মের অনুসারী সে। সেজন্যে সদস্য হয়েছিল দ্য হ্যাভোক ক্লাবের। এটা মিথ্যা নয়, বহুবার শার্লন হলে নরবলির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে। নিজেও জানে না কেন আকর্ষণ বোধ করে অশুভ ধর্মের প্রতি। সত্যি বলতে, শয়তান-পূজা করতে গিয়ে নিজেকে কখনও অপরাধী মনে হয়নি তার। অনুশোচনার জন্যে নয়, খুন হওয়ার ভয়ে এখন চোখ বেয়ে দরদর করে অশ্রু নামছে তার দুই গালে।

রানা জেরা শুরু করতেই অস্ত্র কাঁধে ঝুলিয়ে স্মার্টফোনে ভিডিয়ো করছে ফক্স। মিনিট কয়েক পর সেটা বুঝল ক্রিস্টোফার গান। মুখ বিকৃত করে বলল, ‘এসব কী করছেন? ভিডিয়ো নিচ্ছেন কেন?’

‘দরকার আছে, তাই,’ বলল রানা। ‘তোমার সম্পর্কে আমরা সবই জানি। তবে তুমি কেমন মানুষ, সেটা জানাতে হবে সবাইকে। এই ভিডিয়ো যাবে আমার এক বন্ধু ডিলানের কাছে। সে সভ্য সমাজে প্রচার করবে কী ধরনের অপরাধে তোমরা জড়িত।’

কথা শুনে পানিতে ডুবে মরা আরবের মত নীলচে হলো ক্রিস্টোফার গানের মুখ। অনুনয়ের সুরে বলল, ‘দয়া করে এ-কাজ করবেন না! আমাকে মাফ করুন! আপনারা জানেন না, ওরা এসব জেনে গেলে প্রাণে বাঁচতে দেবে না আমাকে!’

‘আমারও ধারণা, কোথাও পালিয়ে যেতে পারবে না,’ বলল রানা। ‘তোমাকে পুড়িয়ে মারবে হ্যাভোক ক্লাবের শয়তান-পূজারীরা। যদিও আরও কঠিন শাস্তি তোমার পাওয়া উচিত।’

‘দয়া করুন আমাকে! মাফ করে দিন!’

‘মাফ করব কি না সেটা পরে ভেবে দেখব,’ বলল রানা। ‘তুমি তো রাজনীতিক। নানান চুক্তি করো। দেখা যাক তোমার কাছ থেকে কী ধরনের প্রস্তাব পাই আমরা।’

হাসতে গিয়ে ভেঙচি কাটল ক্রিস্টোফার গান। ‘প্রস্তাব? চুক্তি? আপনারা আসলে কী চান আমার কাছ থেকে?’

‘দ্য হ্যাভোক ক্লাবের গ্র্যাণ্ড মাস্টার ইমোজেন ব্যালার্ড থেকে শুরু করে সদস্যদের নাম, পদবী ও বাড়ির ঠিকানা বলবে,’ বলল রানা।

‘আ… আপনারা… এ… এসব জানলেন কী করে?’

‘কী করে? সেজন্যে ধন্যবাদ দেব তোমাদের প্রাক্তন সদস্য স্টিভ হ্যারিসকে। বই লিখে তোমাদের সব জারিজুরি ফাঁস করতে চেয়েছে সে। তুমি হয়তো এটা জানো না, তবে লিয়োনেল জানে।’

‘লি… লিয়োনেল… সে কে?’

সে যে কে, তোমার কাছ থেকে জেনে নেব,’ বলল রানা। ‘তাকে যেন হাতে পাই, সেজন্যে সাহায্য করবে তুমি।’

মাথা নিচু করল ক্রিস্টোফার গান। নাকের ডগা বেয়ে টপটপ করে ঘাসে পড়ছে অশ্রু। ‘যদি সব খুলে বলি, আপনারা কোথাও পাঠাবেন না তো এই ভিডিয়ো?’

‘ভিডিয়ো না পেলে খুব হতাশ হবে আমার বন্ধু। তবে তুমি কী বলবে, তার ওপর নির্ভর করছে আমরা কী করব।’

‘ঠিক আছে, আমাকে জিজ্ঞেস করুন। কোন মিথ্যা কথা বলব না।’

‘তোমাদের পরের অনুষ্ঠান শার্লন হলে কবে?’ জানতে চাইল ফক্স।

‘আপনারা ভাবছেন ওখানে গিয়ে…. ঢোক গিলল সাংসদ।

‘ঠিক সে কথাই ভাবছি,’ বলল রানা। ‘ওর প্রশ্নের জবাব দাও।’

দীর্ঘশ্বাস ফেলল ক্রিস্টোফার গান। ‘ঠিক আছে। ধর্মের ক্যালেণ্ডারে পরের অনুষ্ঠান মার্চের ঊনত্রিশ তারিখ রাতে। বছরের সবচেয়ে জমকালো সমাবেশ।’

রানার দিকে তাকাল ফক্স। ‘অর্থাৎ আগামীকাল রাতে!’

‘বলো, ওটা কেন বিশেষ রাত,’ বলল রানা।

‘প্রতিবছর আমাদের ক্যালেণ্ডারে বিশেষ কিছু অনুষ্ঠান থাকে,’ বলল সাংসদ। ‘যেমন ধরুন বসন্ত-বিষুব, হ্যালোইন, ডাইনীর রাত। লুপারস্যালিয়ার রাতে স্বয়ং প্রভু শয়তানের সম্মানে আমরা ছাগল বলি দিই। কিন্তু মার্চের ঊনত্রিশ তারিখ হচ্ছে প্রাচীন ধর্মের প্রভু থঅথের নতুন করে উত্থানের রাত।’

‘বলতে থাকো,’ মাথা দোলাল ফক্স। ভিডিয়ো করছে। ‘তো এবার কার মেয়েকে জবাই করবে ঠিক করেছ তোমরা?’

‘প্রতি অনুষ্ঠানে মানুষের রক্ত বিসর্জন দিতে হয়,’ বলল ক্রিস্টোফার গান। ‘আগামীকাল রাতে লেকের ধারে সমাবেশ। তখন দ্বীপে নরবলি হবে। এরপর হবে খুব গোপনীয় এক বিশেষ অনুষ্ঠান। ওখানে নিজে থাকবেন গ্র্যাণ্ড মাস্টার ও তাঁর কাছের ক’জন।’

ওটা কি দ্বীপে হবে?’ জানতে চাইল রানা।

মাথা নাড়ল সাংসদ। ‘ওটা হবে বাড়ির নিচে সমাধির ভেতরে।’

‘সমাধি?’

‘ওটা গোলকধাঁধার মত এক জায়গা। অসংখ্য করিডর ও ঘর।’

‘জায়গাটার বর্ণনা দাও।’

‘ওটা বহুকাল আগের তৈরি সুড়ঙ্গ ও ঘরের একটা গোলকধাঁধা। কমিটি চেয়েছিল নতুন করে সব মেরামত করবে। দায়িত্বও দেয়া হয়েছিল আমাকে। যদিও কাজটা এখনও শুরু করা যায়নি। জায়গাটার ইঞ্জিনিয়ারিং প্ল্যান আমার কাছে আছে। সুড়ঙ্গ আর ঘরগুলো কংক্রিটের তৈরি। শার্লন হল থেকে লেকের তলা দিয়ে দ্বীপে গেছে প্রধান সুড়ঙ্গ।’

‘এজন্যেই লেকে নৌকা ছিল না,’ বলল ফক্স। ‘বন্দিদেরকে শার্লন হলের সুড়ঙ্গ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় দ্বীপে। তারপর হঠাৎ করেই তারা বেরিয়ে আসে জঙ্গল থেকে।’

মাথা দোলাল ক্রিস্টোফার গান। ‘হ্যাঁ, নিচের ঘরগুলোয় নানান অনুষ্ঠানের জন্যে মানুষ ধরে এনে বন্দি করে রাখা হয়।’

কথা শুনে শিরশির করছে রানার মেরুদণ্ড। জিজ্ঞেস করল, ‘এখন কোথায় আছে সেই এলাকার প্ল্যান- তোমার বাড়িতে?’

‘না। ওটা আছে আমার ফোনে।’

তাকে সার্চ করতেই স্মার্টফোন পেল রানা। ‘আগামীকাল রাতের অনুষ্ঠানে কারা আসছে?’ জানতে চাইল।

‘প্রত্যেকে আসবে। তবে নরবলির পর শুধু সিনিয়র সদস্যরা যোগ দেবে সমাধির অনুষ্ঠানে। তারা দ্য হ্যাভোক ক্লাবের ইনার সার্কেলের তেরোজন।’

‘তাদের ভেতরে থাকবে গ্র্যাণ্ড মাস্টার ইমোজেন ব্যালার্ড?’

‘হ্যাঁ। বিশেষ সব অনুষ্ঠানেই থাকেন গ্র্যাণ্ড মাস্টার।’

অর্থাৎ, ওখানে থাকবে লিয়োনেল, ভাবল রানা। এখন তার নাম জেনে নেয়া জরুরি নয়। তাকে দেখলেই চিনবে ও। জড়লওয়ালা নাক। জানতে চাইল রানা, ‘সবার পরনে আলখেল্লা, মুখে পাখির মুণ্ডের মত মুখোশ?’

‘থঅথকে সম্মান করতে গিয়ে সেসব পরতে হয়,’ বলল ক্রিস্টোফার গান।

‘তোমরা আসলে একদল খুনে ভাঁড়,’ বলল ফক্স। ‘কোথায় লুকিয়ে রাখো আলখেল্লা আর মুখোশ, বিছানার নিচে?

‘না। শার্লন হলে সবার জন্যে আছে আলাদা ড্রেসিংরুম। সবকিছু রাখা হয় যার যার ব্যক্তিগত লকারে।

কয়েক মুহূর্ত ভেবে নিয়ে বলল রানা, ‘বলো, কীভাবে ঢুকতে পারব শার্লন হলে- ওখানে কী ধরনের সিকিউরিটি?’

‘সশস্ত্র গার্ড আছে,’ বলল ক্রিস্টোফার গান। ‘অবশ্য আমি জানি না সংখ্যায় তারা কয়জন। এ-ছাড়া, এস্টেটে ঢোকার আগে চেক-পয়েন্টে থামানো হয় গাড়ি। গেস্ট লিস্টে নাম না থাকলে কোনভাবেই ভেতরে ঢুকতে পারবে না কেউ।’

‘জানি,’ বলল ফক্স। ‘চারদিকে ক্যামেরা। এমন কী জঙ্গলেও।

‘আপনি ভুল জানেন,’ বলল সাংসদ। ‘শুধু প্রাচীরের কাছে আছে গোপন ক্যামেরা। এ-ছাড়া, অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে সবার বডিগার্ড আর ড্রাইভার চলে যায় লজ হাউসে। তাই ওখানে চোখ রাখার জন্যে আছে ক্যামেরা। শার্লন হলের বিশাল বাড়ি বা আশপাশের এলাকায় ক্যামেরা রাখা হয়নি।’

বিস্মিত হলো রানা। ‘এসব জায়গায় কেন ক্যামেরা রাখা হয়নি?’

‘নামকরা মানুষ ওখানে উপস্থিত হন। সিকিউরিটি সিস্টেম হ্যাক হলে সর্বনাশ হবে। তাই রাখার উপায় ছিল না।’

ঘোঁৎ করে উঠল ফক্স। ‘এই দেশে পুলিশ বা সাংবাদিকদের হাত থেকে সাধারণ মানুষের রক্ষা নেই। অথচ এই চুতিয়ারা নিজেদের জন্যে দারুণ সব ব্যবস্থা করে রেখেছে!’

‘মিথ্যা বলছ না তো?’ সাংসদকে বলল রানা। ‘নইলে কিন্তু পিটিয়ে হাড়গোড় গুঁড়ো করব!’

‘ঈশ্বরের কসম! আমি নিজেও ওই কমিটিতে ছিলাম। তখন ঠিক করা হলো, চেক-পয়েন্টে সিকিউরিটির লোক গাড়ির ভেতরে উঁকি দেবে না। আমন্ত্রণপত্র হাতে পেলে কারও দিকে না চেয়ে এগিয়ে যেতে দেবে ড্রাইভারকে।’

‘তো, শালা, তুই নিজে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র হাতে পেয়েছিস?’ দাঁত খিঁচাল ফক্স।

‘পেয়েছি। আমি না গেলে সন্দেহ করবে সবাই।’

কী গাড়িতে করে ওখানে যাও?’ জানতে চাইল রানা।

‘বরাবরের মতই রোল্স রয়েসে করে।’

‘সঙ্গে বডিগার্ড থাকে?’

‘তাদের দু’জনকে সবসময় নিই। ওখানে পৌঁছে গেলে অন্যদের বডিগার্ড ও ড্রাইভারদের সঙ্গে এস্টেটের লজ হাউসে থাকে ওরা। অনুষ্ঠানের সময় ওখান থেকে বেরোবার অনুমতি কারও নেই। তাদের জানার উপায় নেই যে বসেরা কী করছে।’

‘আমন্ত্রণপত্র কী ধরনের?’ জানতে চাইল রানা।

‘সাধারণ কার্ডে কিছু সংখ্যা। অনেকটা টিকেটের মত। প্রতি অনুষ্ঠানের দু’দিন আগে সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।’

‘তোমারটা এখন কোথায়?’

‘আ… আমারটা… গাড়ির ভেতরে। ওখানেই রাখি। যাতে কখনও ভুলে না যাই।’

শার্লন হলে নরবলি অনুষ্ঠানে খুশিমনে চলেছে ক্রিস্টোফার গান, আর তার বিষণ্ণ স্ত্রী দিনরাত কেঁদে হালকা করতে চাইছে তার বুক- এটা ভাবতে গিয়ে তিক্ত হলো রানার মন। নিচু গলায় বলল, ‘তবে দুর্ভাগ্য, এবারের অনুষ্ঠানে তুমি যাচ্ছ না।’

‘তোমার সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে সাক্ষাৎ করবেন ঈশ্বর,’ বলল ফক্স।

কথাটা শুনে কেঁচোর মত গুটিয়ে গেল লোকটা। ‘নাহ্, দয়া করুন! মাফ করে দিন! আপনারা যা জানতে চেয়েছেন, সবই আমি বলেছি! একটা কথাও মিথ্যা বলিনি! আমাকে খুন করবেন না, প্লিয! আমাকে দয়া করুন!’

‘এবার বলো কীভাবে মরতে চাও,’ নিষ্ঠুর সুরে বলল ফক্স। ‘আমরা হয়তো আজ কম কষ্টেই তোমাকে পার করে দেব।’

‘আমাকে মাফ করুন, পায়ে পড়ি! আমার স্ত্রীর কথা: ভাবুন! আমার কিছু হলে ওর কী হবে? আজই মেয়েটাকে কবর দিয়ে এলাম! আমি বেঁচে না থাকলে দুঃখ সহ্য করতে না পেরে মরেই যাবে ডায়ানা!’

রানাকে দেখল ফক্স। ‘বস্, ভেবে দেখেছেন, এই শালা আসলে কতখানি দায়িত্বশীল স্বামী আর বাবা?’

‘মন খারাপ হবে, তোমার স্ত্রীর, ক্রিস্টোফার গানকে বলল রানা। ‘শুধু যে মেয়েকে হারিয়ে বসেছে, তা তো নয়, স্বামীও চলে গেল অসময়ে। অবশ্য বেশিদিন কাঁদবে না সে। কারণ, ভাল করেই জানবে কী ধরনের নোংরা পশু ছিলে তুমি।’

ডায়ানা সব জেনে যাবে ভেবে আমসি হলো লোকটার মুখ। ওটা মৃত্যুর চেয়ে কম কিছু বলে মনে হচ্ছে না তার। ‘এক মিনিট! আমরা না একটা চুক্তি করেছি! তবে কি আপনারা আমাকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন?’

‘আমি বলেছি, আমার বন্ধুর কাছে হয়তো এই ভিডিয়ো দেব না,’ বলল রানা। ‘তবে এটা বলিনি যে তোমার স্ত্রীকে ভিডিয়ো দেখাব না। ‘

‘ডায়ানা সব জেনে গেলে ওকে খুন করবে তারা! তার আগে ভীষণ কষ্ট দেবে!’

‘তারা নিজেরা খুন হলে কিছুই করতে পারবে না,’ বলল রানা। ‘ডায়ানার জানা উচিত তুমি নিজেই নেলিকে তুলে দিয়েছ একদল পশুর হাতে। এটুকু জানার অধিকার তার আছে। তুমি কি বলো?’

‘আপনি ঠিকই বলেছেন,’ জবাবটা দিল ফক্স।

‘কিন্তু আমি তো আর নেলিকে খুন করিনি!’ প্রতিবাদ করল ক্রিস্টোফার গান। ‘শুধু দেখেছি, যাতে আর কখনও বিরক্ত না করে। দুটো তো আর এক কথা নয়!’

‘এ-দুটোর মাঝে বড় কোন ফারাক আছে, তাই না, শালা?’ তিক্ত স্বরে বলল ফক্স।

‘ও তো নিশ্চিন্তে মরে গেছে! যাতে ব্যথা না পায়, সেজন্যে ড্রাগ্‌ও দেয়া হয়েছে! কোন কষ্টই পায়নি!’

রানার দিকে তাকাল ফক্স। ‘বস্, আর দেরি করে লাভ নেই। নোংরা শুয়োরটাকে আপনি গুলি করবেন, না আমি?’

মাথা নাড়ল রানা। ‘এখানে নয়। জঙ্গলে নিয়ে।’

‘মাফ করুন, আমাকে দয়া করুন!’ হাউমাউ করে কেঁদে উঠল ক্রিস্টোফার গান। ‘আমার কথাটা শুনুন! বাড়ির সিন্দুকে আছে পাঁচ লাখ পাউণ্ড! সব দিয়ে দেব আপনাদেরকে!’

ভাড়া করা গাড়ি একটু আগে উত্তরদিকের জঙ্গলে রেখেছে ওরা। রানা সেদিকে তাকাল। গাড়ির বুট থেকে দড়ি এনে ওরা টপকে এসেছে উঁচু দেয়াল। এখন দড়িটা দিয়ে লোকটাকে বেঁধে তুলে নেবে ওখানে। তারপর তাকে নামিয়ে নিয়ে ঢুকবে জঙ্গলে। ঠাণ্ডা মাথায় খুন করতে হবে ভেবে তিক্ত হয়ে গেছে রানার মন। অবশ্য এ-ছাড়া উপায়ও নেই ওদের। ক্রিস্টোফার গান বেঁচে গেলে তার কারণে ভবিষ্যতে মরবে বহু মানুষ। চাপা শ্বাস ফেলে টেপ থেকে একটা অংশ ছিঁড়ল রানা। এবার বুজে দেবে সাংসদের মুখ। কিন্তু তখনই চোখের কোণে কাউকে দেখতে পেয়ে চট করে ঘুরে তাকাল ও।

একটু দূরে চাঁদের আবছায়ায় এক গাছের পাশে দাঁড়িয়ে আছে ডায়ানা গান। বোধহয় শুনেছে ওদের প্রতিটা কথা!

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *