অন্তর্যামী – ১৪

চোদ্দ

চমকে উঠল রানা। পরমুহূর্তে কেবিনের বাইরে শোনা গেল ছুটন্ত পদশব্দ, দেয়াল ঘেঁষে সামনের দিকে যাচ্ছে। নিঃসন্দেহে অ্যালির কথাবার্তা শুনতে পেয়েছে লোকটা।

এক লাফে উঠে দাঁড়াল রানা। হাতে চলে এসেছে বিশ্বস্ত সিগ-সাওয়ার। তাক করল খোলা দরজার দিকে। এক মুহূর্ত পরেই দোরগোড়ায় উদয় হলো প্রতিপক্ষ। বিশালদেহী একজন মানুষ, আবছা আলোয় দেহের কাঠামো ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না, তবে হাতে ধরা শটগানটা বোঝা যাচ্ছে পরিষ্কার। গুলি করতে চলেছে সে।

নির্দ্বিধায় ট্রিগার চাপল রানা—পর পর দু’বার। কান ফাটানো আওয়াজ হলো বদ্ধ কেবিনের ভেতরে। বুকের ওপর যেন হাতুড়ির বাড়ি খেল লোকটা। ছিটকে গেল পেছনদিকে। হুড়মুড় করে উল্টে পড়ল বারান্দা থেকে।

অ্যালির চিৎকার শোনা গেল। ঘুম ভেঙে গেছে ওর, লাফ দিয়ে উঠে বসেছে। ওর কাঁধে হাত রাখল রানা। বলল, ‘শান্ত হও। ভয়ের কিছু নেই।’

চিৎকার থামাল অ্যালি। কিন্তু কাঁপছে হিস্টিরিয়াগ্রস্তের মত। ওকে ওভাবেই থাকার ইশারা করে পায়ে পায়ে কেবিন থেকে বেরুল রানা। কে এই লোক, জানা দরকার। পিস্তল ধরে রেখেছে সামনে, প্রয়োজনে আবার গুলি করবে।

বারান্দার সামনে চিৎ হয়ে পড়ে আছে বিশালদেহী লোকটা, বুক ভিজে গেছে রক্তে। হাত থেকে পড়ে গেছে শটগান। লাথি দিয়ে অস্ত্রটা দূরে পাঠিয়ে দিল রানা। তারপর হাঁটু গেড়ে বসল লোকটার পাশে।

‘কে তুমি?’ জানতে চাইল ও।

কেশে উঠল লোকটা। মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল রক্ত। গাল দিয়ে উঠল, ‘জাহান্নামে যাও!’

‘আমার প্রশ্নের জবাব দাও। এখনও দেরি হয়নি, হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেঁচে যাবে তুমি।’

কথাটা মিথ্যে, কিন্তু মৃত্যুপথযাত্রী লোকটা যেন আশান্বিত হয়ে উঠল। বলল, ‘কী জানতে চাও?’

‘তোমার পরিচয়।’

‘সেটা তোমার কোনও কাজে আসবে না, মিস্টার, ‘ হাঁপাতে হাঁপাতে বলল লোকটা। ‘শুধু এটুকু জেনো, আমাকে স্কাউট হিসেবে পাঠানো হয়েছে তোমাদেরকে খুঁজে বের করার জন্যে।’

‘কী করে জানলে, আমাদেরকে এখানে খুঁজতে হবে?’

‘ট্রেইলের মাথায় তোমাদের গাড়িটা খুঁজে পেয়েছে একজন হাইকার। পুলিশকে জানিয়েছে সে। আর আমরা জেনেছি পুলিশের কাছ থেকে।’

‘হাইকার?’ ভ্রূকুটি করল রানা। ‘সে কেন রিপোর্ট করতে যাবে?’

‘দুনিয়ার সবাই তোমাকে খুঁজছে, মিস্টার,’ ক্ষীণ হাসল লোকটা। ‘টিভিতে সারাক্ষণ দেখানো হচ্ছে তোমাকে।’

‘কীসের জন্যে?’

জবাব দিল না লোকটা। আবার কাশছে সে, থামছে না। খানিক পর নিথর হয়ে গেল।

উঠে দাঁড়াল রানা। উল্টো ঘুরতেই কেবিনের দরজায় দেখতে পেল অ্যালিকে। বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে আছে নিহত মানুষটার দিকে।

‘ও কি…’ প্রশ্নটা শেষ করতে পারল না ও।

‘হ্যাঁ,’ সংক্ষেপে বলল রানা। ‘তৈরি হয়ে নাও। এখান থেকে সরে যেতে হবে আমাদেরকে। এক্ষুণি!’

কেবিনে ঢুকে জুতো পরতে শুরু করল অ্যালি। আর তখুনি দূর থেকে ভেসে, এল চাপা ছন্দোবদ্ধ আওয়াজ। হেলিকপ্টার আসছে! ড্রামবিটের মত বাজছে তার রোটর! আকাশে চোখ বোলাল রানা। চারদিকের পাহাড়ে বাড়ি খেয়ে প্রতিধ্বনি উঠছে, বোঝা যাচ্ছে না ঠিক কোনদিক বা কতদূর থেকে আসছে আওয়াজ, তবে বেশ কাছ থেকে আসছে, তাতে সন্দেহ নেই।

দৌড়ে কেবিনে ঢুকল ও। অ্যালিকে তাড়া দিল, ‘হারি আপ! ওরা এসে পড়েছে!’

জিনিসপত্র গোছানোর সময় নেই, এক কোণে রাখা ডাফল ব্যাগটা শুধু তুলে নিল রানা, ওটার ভেতরে রয়েছে ভিসালিয়া থেকে কেনা স্পেশাল আইটেমদুটো।

জুতো পরা শেষ হয়েছে অ্যালির। উঠে দাঁড়াল ও। ডাফল ব্যাগটার দিকে ইশারা করে জিজ্ঞেস করল, ‘ওগুলো বের করবে না?’

‘এখুনি না,’ দরজার কাছে গেল রানা। বাইরে বেড়ে গেছে আওয়াজ, কানে তালা লেগে যাবার জোগাড়। তবে এখনও দৃষ্টিসীমায় উদয় হয়নি হেলিকপ্টার।

অ্যালিকে হাতছানি দিয়ে ডাকল ও। কেবিন থেকে বেরিয়ে দৌড়াতে শুরু করল দু’জনে।

.

রাগে লাল হয়ে আছে লিয়ারির চেহারা। একটা চেয়ারের ব্যাকরেস্ট ধরে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে আছে সে, হাবভাবে মনে হচ্ছে এখুনি চেয়ারটা তুলে ছুঁড়ে মারবে স্ক্রিনের দিকে। শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু অবশ্য করল না, তাই বলে চেহারা থেকে হিংস্র ভাব দূর হলো একটুও।

রানা আর অ্যালির খোঁজ পাওয়া যেতেই কম্পিউটার রুমে চলে এসেছে সে। হুপারকে দিয়ে মিরাণ্ডা স্যাটেলাইট সেট করেছে সেকুইয়া ন্যাশনাল পার্কের ওপর। স্ক্রিনে পরিষ্কার ফুটে উঠছে সব খুঁটিনাটি। এ-মুহূর্তে চিৎ হয়ে থাকা স্কাউটের ওপর আটকে আছে লিয়ারির দৃষ্টি, দেহের তাপমাত্রা কমে আসছে তার। জঙ্গলে ঢুকে যাচ্ছে অন্য দুটো বিন্দু।

‘ওই গাধার বাচ্চাটাকে কে পাঠিয়েছিল ওখানে?’ অবশেষে মুখ খুলল লিয়ারি।

‘সরি, স্যর,’ কি-বোর্ড থেকে মুখ তুলল হুপার। ‘ওদিকে ও ছাড়া আমাদের আর কোনও অপারেটর ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে ওকেই পাঠাতে হয়েছে স্কাউটিঙের জন্যে। তবে পই পই করে বলে দিয়েছিলাম, টার্গেটকে যেন কিছুতেই এনগেজ না করে। দূর থেকে জায়গাটা দেখে নিয়ে আমাদেরকে রিপোর্ট করলেই চলবে।’

‘তা হলে হিরো সাজতে গেল কেন? ওর কারণে আমরা এলিমেণ্ট অভ সারপ্রাইজ হারালাম।’

‘তাতে তেমন কোনও অসুবিধে নেই,’ হুপার আশ্বস্ত করল। ‘হেলিকপ্টারের আওয়াজে রানা এমনিতেও সতর্ক হয়ে যেত। আমাদের প্ল্যান তো সারপ্রাইজের ওপর নির্ভরশীল নয়।’

তা অবশ্য ঠিক, মনে মনে ভাবল লিয়ারি। কায়দামত পাওয়া গেছে রানাকে। গা ঢাকা দেবার জন্যে ভুল জায়গা বেছেছে সে। কেবিনের চারপাশের বিশ মাইলে রাস্তা আছে মাত্র সাতটা। সবগুলোই ব্লক করে দেয়া হয়েছে লোকাল পুলিশ এবং ফেডারেল অথরিটির সাহায্যে। তা ছাড়া রাস্তা পর্যন্ত পৌছুতেই পারবে না রানা। দশজন স্পেশালিস্ট পাঠিয়েছে লিয়ারি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারে করে—এরা সিসকোর টিমের রিপ্লেসমেন্ট। কপ্টারের পাইলটকে বলে দেয়া হয়েছে, রানার কাছাকাছি যেন না যায়। সারাটা দিন ওদের নজরের বাইরে ছিল বাঙালি এজেন্ট, এর ভেতরে কী ধরনের অস্ত্রশস্ত্র জোগাড় করেছে কে জানে। ওর মত একটা লোকের জন্যে আকাশ থেকে একটা হেলিকপ্টার ফেলে দেয়া কঠিন কাজ নয়। কাজেই দূরে দূরে থাকতে বলা হয়েছে পাইলটকে। তার কাজ, কেবিন থেকে এক মাইল দূরত্বে একটা কাল্পনিক বৃত্তের বিভিন্ন পয়েন্টে দশ স্পেশালিস্টকে নামিয়ে দেয়া। এরা সবাই জাঙ্গল ওয়ারফেয়ারে অভিজ্ঞ—চারপাশ থেকে সাঁড়াশি আক্রমণ চালাবে। বাঁচার কোনও উপায় নেই রানার।

.

কাছে চলে এসেছে হেলিকপ্টার… পূর্ব আর পশ্চিমে যে পাহাড়দুটোয় বাড়ি খেয়ে প্রতিধ্বনি তুলছে রোটরের আওয়াজ, তার চেয়েও কাছে। এবার ওটার অবস্থান বুঝতে পারছে রানা। দক্ষিণে, মাইলখানেক দূরে রয়েছে ওটা। অগ্রসর না হয়ে হোভার করছে। তবে সব লাইট নিভিয়ে রেখেছে বলে দেখা যাচ্ছে না।

ঘাবড়াল না রানা। গত রাতের সঙ্গে বড় একটা পার্থক্য রয়েছে আজ রাতে। পরিস্থিতি নিয়ে ভাববার জন্যে আজ সারাদিন সময় পেয়েছে ও। কেবিনে ওঠার সময়েই জানত, ওটার সবচেয়ে বড় সুবিধেটাই আরেক অর্থে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। গা ঢাকা দেবার জন্যে নির্জন অরণ্য যতটা আদর্শ, বিপদ দেখা দিলে সেখান থেকে পালানো ততটাই কঠিন। বিশেষ করে আল্ট্রা-মডার্ন স্যাটেলাইটের সঙ্গে ইঁদুর-বেড়াল খেলায় নির্জনতার চেয়ে বড় দুর্বলতা আর নেই।

মুচকি হাসল রানা। সন্দেহ নেই, লিয়ারিও তা-ই ভাবছে। আক্রমণের ছক সাজাবার সময় রানার দক্ষতা ও ব্যাকগ্রাউণ্ডকেও নিশ্চয়ই মাথায় রেখেছে সে। নির্দিষ্ট দূরত্বে হেলিকপ্টারটার থেমে যাওয়া সেটাই প্রমাণ করে। মাথার ওপরে এসে হামলা চালানোর বদলে দূরে থাকছে ওটা, কারণ একটা পয়েন্ট ফিফটি ক্যালিবারের হেভি মেশিনগান দিয়ে অনায়াসে ওটাকে ফেলে দিতে পারবে রানা। অমন একটা অস্ত্র জোগাড় করার কথাও ভেবেছিল ও, শেষ পর্যন্ত বাস্তবতার কথা ভেবে মত পাল্টেছে। এই সিনারিয়োতে হেলিকপ্টার ক্র্যাশ করিয়ে খুব একটা লাভ হবে না।

দৌড়াতে দৌড়াতে রোটরের আওয়াজ বদলে যেতে শুনল রানা। আবারও চলতে শুরু করেছে কপ্টার। তবে ওদের দিকে এগিয়ে এল না, দূরেও গেল না। বরং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতমুখী একটা বৃত্তাকার পথ ধরেছে। কয়েকশ’ গজ গিয়ে ফের হোভার করার জন্যে থামল। কী ঘটছে বুঝতে অসুবিধে হলো না রানার—গ্রাউণ্ড টিমের সদস্যদের নামানো হচ্ছে একে একে। ওরাই লিয়ারির মূল অস্ত্র।

এ-ব্যাপারটাও প্রত্যাশিত। এক অর্থে, প্রতিপক্ষের এই কৌশলের ওপর ভিত্তি করেই নিজের প্ল্যান সাজিয়েছে রানা। দ্বিতীয়জনকে নামিয়ে আবার চলতে শুরু করল কপ্টার, তৃতীয় পয়েন্টে চলেছে। মানসচোখে মাটিতে নেমে আসা সৈনিকদের দেখতে পেল ও—অস্ত্র বাগিয়ে ছুটে আসছে দুই শিকারের অবস্থান লক্ষ্য করে, কানে হেডসেট, তাতে ওদেরকে আদেশ- নির্দেশ দিচ্ছে স্যাটেলাইট অপারেটররা।

‘এবার বোধহয় তোমার ডাফল ব্যাগটা খোলার সময় হয়েছে,’ বলে উঠল অ্যালি।

‘ঠিক বলেছ,’ ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল রানা।

.

স্ক্রিনে সেঁটে আছে লিয়ারির চোখ—র‍্যাপলিং করে গ্রাউণ্ড টিমের তৃতীয় সদস্য নামছে জঙ্গলে। হিট সিগনেচার পরিষ্কার নয়, আকাশে ভেসে থাকা হেলিকপ্টারের ইঞ্জিনের উত্তাপের কারণে প্রায় ঢাকা পড়ে গেছে লোকটার সিগনেচার।

‘হোয়াট দ্য হেল!’ হঠাৎ বলে উঠল হুপার।

তার দিকে ঘাড় ফেরাল লিয়ারি। কম্পিউটারের মনিটরে টোকা দিচ্ছে হুপার, যেন কোনও সমস্যা দেখা দিয়েছে ওটায়।

‘কী হয়েছে?’ জানতে চাইল লিয়ারি।

‘রানা আর মেয়েটা…’ বলল হুপার, ‘আচমকা গায়েব হয়ে গেছে।’ হ্যাণ্ডসেট তুলে নিল সে। বাটন টিপে যোগাযোগ করল গ্রাউণ্ড টিমের সঙ্গে। নির্দেশ দিল, ‘যেভাবে এগোচ্ছিলে এগোও, তবে সতর্ক থেকো। ছোট্ট একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে এদিকে, টার্গেটদের দেখতে পাচ্ছি না আমরা।’

‘কী সব আবোল-তাবোল বকছ!’ ধমকে উঠল লিয়ারি। ‘নিশ্চয়ই তোমার ক্যামেরার সামনে বড় কোনও রেডউড গাছ পড়েছে।’

‘আমরা চারটা স্যাটেলাইট তাক করে রেখেছি ওদিকে, স্যর,’ হুপার বলল। ‘সবগুলোর ক্যামেরা একসঙ্গে ব্লক হতে পারে না। অন্তত এতটা সময়ের জন্যে তো নয়ই।’

পাল্টা কোনও যুক্তি খুঁজে পেল না লিয়ারি। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাল মেইন স্ক্রিনের দিকে। চার নম্বর ড্রপের জন্যে মুভ করছে হেলিকপ্টার। যে-তিনজন ইতিমধ্যে নেমেছে মাটিতে, তারা এগোতে শুরু করেছে অদৃশ্য টার্গেটের খোঁজে। চোখ পিটপিট করল লিয়ারি। সত্যিই উধাও হয়ে গেছে রানা আর মেয়েটা। সেই সঙ্গে কর্পূরের মত উবে গেছে তার নিজের সমস্ত স্বস্তি।

.

ভিসালিয়ার স্পেশালিটি শপটা দমকল কর্মীদের জন্যে নানা ধরনের ফায়ার-ফাইটিং ইকুইপমেন্ট বিক্রি করে; সেখান থেকে বিশেষ দুটো আইটেম কিনেছে রানা—একটা বড়, আরেকটা ছোট সাইজের। দমকল বাহিনীর পরিভাষায় ওগুলোকে বলে প্রক্সিমিটি স্যুট, সোজা বাংলায় অগ্নিপ্রতিরোধক পোশাকও বলা যেতে পারে। ওজনে হালকা, অনেকগুলো স্তরবিশিষ্ট, একদম বাইরের স্তরটা অ্যালিউমিনাইযড় ফ্যাব্রিকে মোড়া—তাপ ঠেকিয়ে রাখে। দমকল কর্মীরা নিয়মিত ব্যবহার করে এ-পোশাক, যখন আগুনের ভেতর তাদের ঢুকতে হয়। পনেরোশো ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপ ঠেকাতে পারে পোশাকটা, তবে রানা আর অ্যালির প্রয়োজন তার চেয়ে অনেক কম—মাত্র আটানব্বুই দশমিক ছয় ডিগ্রি!

স্যুটগুলো উল্টো করে পরেছে ওরা—বাইরের স্তরটা রেখেছে ভেতরদিকে, যাতে ওদের শরীরের তাপ পোশাকের আবরণ ভেদ করে বেরুতে না পারে। স্যুটের হুডদুটো একই ফ্যাব্রিকে তৈরি বলে মাথাও ঢেকে ফেলা গেছে। রানা ধারণা করছে, এর ফলে স্যাটেলাইটের থারমাল ক্যামেরায় আর দেখা যাবে না ওদেরকে।

অসুবিধে একটাই—এই স্যুট পরে দৌড়ানো যাচ্ছে না স্বাভাবিকভাবে। তারপরেও নতুন একটা দিক ধরে যতটা দ্রুত পারে এগিয়ে চলেছে দু’জনে। লক্ষ্য, পাহাড়ের কাছাকাছি একটি বিশেষ জায়গা। ম্যাপে ওটা আগেই দেখে রেখেছে রানা। ওখানে পৌছুবার পর শুরু হবে পলায়নের দ্বিতীয় পর্ব।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *