জয় বানী বিদ্যাদায়িনী (সরস্বতী বন্দনা)

জয় বিগলিত করুণা-রূপিণী গঙ্গে

জয় বিবেকানন্দ বীর সন্ন্যাসী চীর গৈরিকধারী

জয় মর্ত্যে অমৃতবাদিনী চির-আয়ুষ্মতী

জয় হরপ্রিয়া শিবরঞ্জনী

ঝর ঝর ঝরে শাওন ধারা

ঝরল যে ফুল ফোটার আগেই

ঝরা ফুল দলে কে অতিথি

ঝরাফুল-বিছানো পথে

ঝরিছে অঝোরে বরষার বারি

ঝরে ঝরঝর কোন্ গভীর গোপন ধারা এ শাঙনে

ঝরে বারি গগনে ঝুরুঝুরু

ঝলমল জরিন বেণি দুলায়ে প্রিয়া কি এলে

ঝুম ঝুম ঝুমরা নাচ নেচে কে এল গো

ঝুমকো-লতার চিকন পাতায়

ঝড়-ঝঞ্ঝায় ওড়ে নিশান ঘন-বজ্রে বিষাণ বাজে

ডুবল ফুটো ধর্ম-তরি (সর্দা-বিল)

ডেকে ডেকে কেন সখী ভাঙালি ঘুমের ঘোর

ডেকো না আর দূরের প্রিয়া

ঢলঢল তব নয়ন-কমল

ঢের কেঁদেছি ঢের সেধেছি

তওফিক দাও খোদা ইসলামে

তব চরণ-প্রান্তে মরণ-বেলায় শরণ দিও

তব চলার পথে আমার গানের ফুল ছড়িয়ে যাই গো

তব মুখখানি খুঁজিয়া ফিরি গো সকল ফুলের মুখে

তব যাবার বেলা বলে যাও মনের কথা

তরুণ অশান্ত কে বিরহী

তরুণ-তমাল-বরন এসো শ্যামল আমার

তিমির-বিদারী অলখ-বিহারী

তুই পাষাণগিরির মেয়ে হলি পাষাণ ভালো বাসিস বলে

তুই কালি মেখে জ্যোতি ঢেকে 

তুই বলহীনের বোঝা বহিস যেথায় ভৃত্য হয়ে

তুই লুকাবি কোথায় মা কালী

তুমি অনেক দিলে খোদা

তুমি আমার সকাল বেলার সুর

তুমি আশা পুরাও খোদা

তুমি কোন পথে এলে হে মায়াবী কবি

তুমি দুখের বেশে এলে বলে ভয় করি কি

তুমি দুখের বেশে এলে বলে ভয় করি কি, হরি

তুমি নন্দনপথ-ভোলা

তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী

তুমি ফুল আমি সুতো গাঁথিব মালা

তুমি বর্ষায়-ঝরা চম্পা

তুমি ভোরের শিশির রাতের নয়ন-পাতে

তুমি রহিমুর রহমান আমি গুনাহগার বান্দা

তুমি শুনিতে চেয়ো না আমার মনের কথা

তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয় সে কি মোর অপরাধ

তুমিই দিলে দুঃখ অভাব তুমিই করো ত্রাণ

তুষার-মৌলি জাগো জাগো গিরি-রাজ

তেপান্তরের মাঠে বঁধু হে একা বসে থাকি

তেমনই চাহিয়া আছে নিশীথের তারাগুলি

তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হজরত

তোমাদের দান তোমাদের বাণী

তোমার আঁখির কসম সাকি

তোমার আকাশে উঠেছিনু চাঁদ

তোমার কুসুমবনে আমি আসিয়াছি ভুলে

তোমার গানের চেয়ে তোমায় ভালো লাগে আরও

তোমার দেওয়া ব্যথা সে যে তোমার হাতের দান

তোমার নূরের রওশনি মাখা

তোমার পূজার ফুল ফুটেছে