দি পেল হর্স – ১৩

ত্রয়োদশ অধ্যায় 

ইচ্ছে না থাকলেও মিসেস টাকারটনের সাথে দেখা করতে গেলাম। জিনজার জেদ করলেও মিসেস টাকারটনের সঙ্গে দেখা করলে যে কোনো সুফল ফলবে তা আমার মন সায় দিচ্ছিলো না। মনে হলো, যে কাজ করবো বলে হাতে নিয়েছি আমি তার উপযুক্ত নই। ওখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া আমি দেখাতে পারবো না–এবং মিথ্যা পরিচয় দিতে গিয়ে যে আমি সমস্ত কাজটাই ভেস্তে দেবো এ সম্বন্ধে আমার মন ছিল সচেতন। অন্য দিকে জিনজার কাজ সফল করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিক্রিয়া দেখাতে ভয়ানকভাবে দক্ষ। সে ফোন করে বললো কাজটা খুবই সহজ। বাড়িখানা সাধারণ বাড়ির মতন নয়। প্রায় গোথিক পদ্ধতির ওই বাড়িখানা মনকাড়া। 

 —কিন্তু সেখানে কেন আমি যাচ্ছি? 

—তুমি এ ধরনের স্থাপত্য শিল্পের উপর একখানা বই লিখছো। তাই বাড়িখানা দেখতে চাও।

—এটা বাজে যুক্তি বলে আমার মনে হচ্ছে। বললাম। জিনজার জোরালো কণ্ঠে জানালো—বাজে বকো না। যা জানতে চাও তা জানার জন্য অবিশ্বাস্য তথ্যের কথাও বলতে হয়। অনেকেই এ কথা নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে জেনে লিখে গেছেন। 

—তাই ত বলছি তুমি এ কাজ সহজে করতে পারবে। আমি তোমার মতন পারবো না।

—এটাই তোমার ভুল হচ্ছে। তুমি যে কে এবং কি কাজে যাচ্ছ তা জানতে পারলে মিসেস টাকারটন অভিভূত হবে। কিন্তু আমাকে গ্রাহ্যই করবে না। ওর কথায় সাময়িকভাবে পরাস্ত হলেও ওর যুক্তি মানতে পারলাম না। 

মিস্টার ব্রাডলির সাথে অবিশ্বাস্য সাক্ষাৎকার সেরে এসে আমি আর জিনজার আলোচনায় বসলাম। এই সাক্ষাৎকার আমার কাছে অবিশ্বাস্য মনে হলেও জিনজারের কাছে ততটা অবিশ্বাস্য মনে হয়নি। সাক্ষাৎকারের সব কথা শুনে মনে হলো সে বেশ খুশি। তাই সে বললো—আমাদের কল্পনার ইতি ঘটলো। দেখা যাচ্ছে, বাস্তবে একটা সংগঠনের অস্তিত্ব রয়েছে এবং সেই সংগঠন অবাঞ্ছিত মানুষকে খতম করে দিতে পারে। 

—অতি প্রাকৃত উপায়ে। 

—নিজের চিন্তায় তোমার মন একদম আচ্ছন্ন। সিবিলের ওই যাদুদণ্ড আর ঝুটো পুঁতির মালা তোমার মন আচ্ছন্ন করে রেখেছে। মিস্টার ব্রাডলি যদি হাতুড়ে রোজা অথবা একজন আধা শিক্ষিত জ্যোতিষী বলে প্রমাণিত হয় তবু তোমার মত আশ্বস্ত হবে না। কিন্তু তুমি যা বলেছো, তা থেকে মনে হচ্ছে লোকটা একটা ছোটখাটো আইনডার্ড বদমাস…। 

—প্রায় তার কাছাকাছি বলতে পারো। বললাম। 

—এর ফলে সব ব্যাপারটা একেবারে সরল হয়ে গেলো। যত আজগুবি শোনাক, ‘পেল হর্স’ বাড়িখানায় বসবাসকারী ওই তিনজন স্ত্রীলোকের এমন এক ক্ষমতা আছে যা কাজ করে।

—তুমি যদি ওদের কাজ কর্ম এতই বিশ্বাস করে থাকো তবে মিসেস টাকারটনের কাছে কেন যাবো? 

—বাড়তি প্রমাণের জন্য। থিরজা গ্রে কি করতে সক্ষম তা আমরা জানি। আর্থিক লেন দেন কিভাবে হয় তাও আমরা জানি। ওদের হাতে খুন হওয়া তিনজনের কিছু খবরও আমরা জেনেছি। এবারে মক্কেলদের কিভাবে গাঁথা হয় সেটা আমরা জানবো। 

—এবং ধরো মিসেস টাকারটন যে ওদের একজন মক্কেল তার কোনো ইঙ্গিত যদি প্ৰকাশ না করেন? 

—তাহলে অন্য জায়গায় আমরা অনুসন্ধান করবো। বিষণ্ণ কণ্ঠে বললাম—নিশ্চয়ই, আমি তোমার কথা মতন কাজই করছি। 

জিনজার বললো আমি যেন নিজের কাজের কথাটাই ভাবি। 

করাওয়ে পার্কের সদর দরজায় হাজির হলাম। বাড়িখানা প্রায় একটা দুর্গ প্রাসাদের মতন। জিনজার বলেছিলো গোথিক স্থাপত্য রীতি সম্পর্কে সে আমাকে কিছু তথ্য দিয়ে যাবে। কিন্তু সে আসেনি। তাই আমাকে বেরিয়ে পড়তে হলো। 

দরজায় ঘণ্টাটা বাজতেই শুকনো চেহারা আলপাকার কোট পরা একটা লোক দরজা খুললো। 

—আপনার নাম ইস্টারব্রুক। মিসেস টাকারটন আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন। বললো লোকটা। 

ওর সাথে সুসজ্জিত এবং দামী আসবাবপত্র সাজানো বসবার ঘরে ঢুকলাম। তবে সাজানো গোছানোর মধ্যে রুচির কিছু কমতি রয়েছে। দেওয়ালে ঝোলানো অনেকগুলো বাজে ছবির মধ্যে রয়েছে খান কয়েক দর্শনীয় ছবি। ব্রোকেডে মোড়া আরামদায়ক কুশনও রয়েছে খান কয়েক। 

একখানা কুশনে বসে পড়লাম। 

মিসেস টাকারটন ঘরে ঢুকলো। জানি না কি আমি আশা করেছিলাম, কিন্তু আমার মনের ভাব একদম বদলে গেলো। বিদ্বেষের কোনো চিহ্ন নেই এই মধ্যবয়সী মহিলার মুখে। মহিলা এতটুকু আকর্ষণীয় নয়—এবং আমার ধারণা ভালো চরিত্রের মহিলা নয় একেবারে। রঙ মাথা ঠোঁট দুটি তার বদমেজাজের ইঙ্গিত বহন করছে। সামান্য ঝুলে পড়া চোয়াল। ফ্যাকাসে নীল দুটো চোখের তারা—মনে হচ্ছে প্রতিটি বস্তু সে যাচাই করে দেখতে অভ্যস্ত। কুলিদের এবং পোশাক ঘরের দারোয়ানকে বখশিস ছাঁটাই করে খুশি মনে। পথে ঘাটে এ ধরনের রমণীর দেখা পাওয়া যায়। অবশ্য এরা দামী পোশাক পরতে চায় না। 

আমাকে দেখে দারুণ আনন্দিত মহিলা। বললো—মিস্টার ইস্টারব্রুক। আপনার সাথে দেখা হওয়াতে খুশি হলাম। আমার এই বাড়িখানা ঘুরে দেখতে চান আপনি। আমার এই বাড়িখানা আপনার মতন মানুষকে আকর্ষণ করতে পারবে। 

—দেখুন মিসেস টাকাটরন, এই বাড়িখানা ঠিক প্রচলিত পদ্ধতি অনুসারে তৈরি করা হয়নি। আর তাই বাড়িখানা এত আকর্ষণীয়। 

মিসেস টাকারটন বললো-দেখুন স্থাপত্য শিল্পের কিছুই আমি বুঝি না। আপনি আগে কি চা পান করবেন না বাড়িখানা ঘুরে দেখবেন? 

আগে বাড়িখানা ঘুরে দেখতে চাইলাম। আমাকে বাড়িখানা দেখাতে দেখাতে মহিলা বললেন –আমার স্বামীর মৃত্যুর পর এত বড় বাড়ি আমি কি করবো। তাই বিক্রি করবার কথাবার্তা চলছে। দালালরা বেচে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। 

শুধালাম—বাড়ি বিক্রি করে কি এখানে অন্য কোনো বাড়িতে থাকবেন? 

—এই মুহূর্তে ঠিক বলতে পারছি না। তবে প্রথমে কিছুদিন দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়াবো। এ জায়গাটার আবহাওয়া বড় জঘন্য। সহ্য হচ্ছে না। ভাবছি একবার মিশরে গিয়ে থাকবো। এর আগে বছর দুয়েক ছিলাম মিশরে। সুন্দর দেশ। বললো মিসেস টাকারটন। 

বুঝতে পারলাম, মহিলা এখন নিজের কথা খুব সহজেই প্রকাশ করবে। 

বাড়ি দেখা শেষ করে আমরা বসবার ঘরে ফিরে এলাম। চা পান করতে করতে মিসেস টাকারটনের জীবনের অনেক কথা জানতে পারলাম। মৃতদার টমাস টাকারটনের সাথে মহিলার বিয়ে হয়। স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বয়স ছিলো অনেক কম। সমুদ্রের তীরে এক হোটেলে উভয়ের দেখা হয়। মহিলার এক সৎ মেয়ে ছিলো, থমসিনা। স্বামীর কথা প্রসঙ্গে মিসেস টাকারটন বললো—হতভাগ্য টমাস একাকীত্বে ভুগছিলো। কয়েক বছর আগে ওর প্রথম বউ মারা গেছে। বউকে হারিয়ে তার মন বিষণ্ণ। তার স্বাস্থ্য দিন দিন ভেঙ্গে পড়ছিল। 

টমাস টাকারটন মৃত্যুর আগেই তার বিশাল সম্পদের দানপত্র সম্পাদন করে গেছে। একটি ট্রাস্ট তার সম্পত্তি দেখাশুনো করবে। তার আয় থেকে মিসেস টাকারটন মাসোহারা পাবে। সম্পত্তির অবশিষ্ট অংশ পাবে তরুণী মেয়ে থমসিনা। তার সম্পদের মূল্য হবে কয়েক লক্ষ টাকা। তবে অবিবাহিত অবস্থায় থমসিনা মারা গেলে সব সম্পত্তির মালিক হবে মিসেস টাকারটন। 

মিস্টার টাকারটনের এই দান পত্র জিনজার আগেই দেখে এসেছিলো। 

মৃতদার সঠিক বয়সী পুরুষকে বিয়ে করার আগে মিসেস টাকারটনের হাতে দেদার খরচ করার মতন টাকা পয়সা ছিলো না। অর্থের প্রতি মিসেস টাকারটনের মনে রয়েছে দারুণ লালসা। তাই এই বিয়েটা তার জীবনে একটা পুরস্কার। কিন্তু বিয়ের পরই মিসেস টাকারটনের সামনে নতুন দিগন্ত দেখা দিল। পঙ্গু অর্থবান স্বামী—ভবিষ্যতের রঙীন স্বপ্ন তার সামনে—স্বামীর মৃত্যু হলেই এই বিশাল সম্পদের সে অধিকারিণী হবে। তখন খুশি মতন দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়াতে তারে জীবনে কোনো অর্থের অভাব ঘটবে না। 

কিন্তু স্বামীর দান পত্র মিসেস টাকারটনকে হতাশ করলো। স্বামীর মৃত্যুর পরে বাঁধা ধরা সামান্য আয় ছাড়া আর কিছুর মালিক হবে না—এমন একটা দুঃস্বপ্নের কল্পনা মিসেস টাকারটন করেনি। তাহলে এখন কিভাবে দেশ বিদেশ বেড়ানো হবে? কি ভাবেই বা বিলাস দ্রব্য কিনে মিসেস টাকারটন জীবনকে ভোগ করবে? 

সে অর্থের অভাবে ভুগবে—আর ওদিকে ব্যাঙ্কে সুদের টাকার পাহাড় জমবে। 

দান পত্র অনুসারে বিবাহের পর এসব টাকা আর সম্পত্তির মালিক হবে স্বামীর প্রথম পক্ষের কন্যা থমসিনা। মেয়েটি সত্যিই সম্পদশালিনী উত্তরাধিকারিণী। সৎ মেয়েকে স্বাভাবিকভাবেই মিসেস টাকারটন পছন্দ করতো না। মেয়েটিও জানতো সে বহু সম্পদের মালিক হবে। উদ্ভিন্ন যৌবনা থমসিনা তাই সৎমাকে দু’চোখে দেখতে পারতো না। বল্লা ছাড়া জীবন চর্যায় সে মেতে উঠেছিলো। বেপরোয়া আর নিষ্ঠুর আচরণ তার। 

কিন্তু দান পত্রের অন্য শর্তটি—ভাবতে লাগলাম একুশ বছর বয়স হওয়ার আগে থমসিনা যদি মারা যায় তবে সমস্ত সম্পত্তির অধিকারিণী হবে মিসেস টাকারটন। এটাই কি যথেষ্ট কারণ? আমি কি সত্যিই বিশ্বাস করতে পারি যে, এই সোনালি চুল, আড়ম্বর প্রিয় মহিলা তার সৎ মেয়ের অকাল মৃত্যু ঘটানোর উপায় খোঁজার জন্য ‘পেল হর্সে’ গিয়েছিলো? 

না, এমন বিশ্বাস আমার মনে ঠাঁই পাচ্ছে না। কিন্তু আমার কাজ আমাকে করতে হবে। এখনও আমার অনেক কিছুই জানার বাকি। তাই আচমকা বললাম—মনে হয় আপনি জানেন যে, আপনার সৎমেয়ের সাথে একবার আমার দেখা হয়েছিলো। 

মিসেস টাকারটন আমার দিকে তাকালো। দু’চোখে ঈষৎ বিস্ময়। কিন্তু আগ্রহের কোনো চিহ্ন নেই। শুধু শুধালো – থমসিনার সাথে দেখা হয়েছিল আপনার? 

—হাঁ চেলসিয়ার খাবার ঘরে। 

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মিসেস টাকারটন বললো–ও চেলসিয়া। হাঁ দেখা হতে পারে। আজকালকার এই মেয়েগুলো, এদের মন বোঝা বড় কঠিন ব্যাপার। মনে হয় না কেউ ওদের সংযত করতে পারে। তারই জন্য ওর বাবার দেহ মন ভেঙে পড়েছিলো। অবশ্য এ ব্যাপারে আমার বলার বা করারও কিছু ছিলো না। আমার কথা সে গ্রাহ্যই করতো না। জানেন বোধহয় আমাদের যখন বিয়ে হয় ও তখন প্রায় সাবালিকা। একজন সৎমায়ের পক্ষে…। 

সমবেদনার সুরে বললাম—সবসময় একটা কঠিন অবস্থা। 

—তাই আমি সবসময় ওর সাথে মানিয়ে চলার চেষ্টা করতাম।

—আপনি যে তাই করতেন, সে সম্বন্ধে আমি নিশ্চিত। 

—কিন্তু এতেও কোনো কাজ হলো না। অবশ্য সে আমার সাথে খারাপ আচরণ করবে তার বাবা আস্কারা দিত। এর পরে মেয়েটা একদম উচ্ছন্নে গেলো। আমার জীবন সে বিষময় করে তুলছিলো দিন দিন। একদিক দিয়ে সে যখন বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য জেদ করলো তখন খানিকটা সোয়াস্তি পেলাম—কিন্তু ও বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে আমার স্বামী যে মনে দারুণ আঘাত পেলো তা বুঝতে পারলাম। একদল অবাঞ্ছিত লোকের সঙ্গে সে মিশতে শুরু করলো। 

—সে সব কথা আমি জানি। 

মাথার এক গোছা ঝামরে পড়া সোনালি চুল গোছাতে গোছাতে মিসেস টাকারটন সখেদে বললো—হতভাগিনী থমসিনা। কিন্তু বোধ হয় আপনি জানেন না যে, মাস খানেক আগে সে মারা গেছে। হঠাৎ এনকেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়েছিল। যুবক যুবতীদের পক্ষে এ রোগ মারাত্মক। উঠে দাঁড়িয়ে বললাম—হাঁ জানি। থমসিনা মারা গেছে। 

মহিলাকে ধন্যবাদ জানিয়ে চলে যাওয়ার জন্য কয়েক পা গিয়ে সহসা ঘুরে দাঁড়ালাম। শুধালাম—মনে হয়, পেল হর্স বাড়িখানা আপনি জানেন, তাই না? 

মহিলার মুখে যে প্রতিক্রিয়া ঘটলো তাতে কোনো সন্দেহ ছিল না। তার দু চোখে আতঙ্ক —ভয়ানক আতঙ্কে সুস্পষ্ট প্রকাশ। প্রসাধন করা মুখখানা ভয়ে বিবর্ণ। কণ্ঠস্বর তীব্র আর উচ্চকিত—’পেল হর্স’? কি বোঝাতে চাইছেন পেল হর্স সম্বন্ধে আমি কিছু জানি না। 

মুখে ঈষৎ বিস্ময়ের ভাব ফুটিয়ে তুলে বললাম—ওহো হয়তো আমারই ভুল হয়েছে। তবে ওটা একটা পুরনো আমলের সরাইখানা। ওখানে যারা এখন থাকে তারা যত্ন করে পেল হর্সের পুরনো পরিচয় বজায় রেখেছে। আমার পরিচিত জনেরা আমাকে ওখানে নিয়ে গিয়েছিলো বাড়িখানা দেখাতে। ওখানে ওরা আপনার নাম বলছিলো। তবে আমার হয়ত ভুল হচ্ছে। আপনার সৎমেয়ের কিংবা আর কোনো মিসেস টাকারটনের সম্বন্ধে বলছিলো। তবে বাড়িখানার নাম যশ ছড়িয়ে পড়েছে। খুশি মনে ওখান থেকে চলে এলাম। আসবার সময় দেওয়ালে ঝোলানো আয়নায় মিসেস টাকারটনের মুখের প্রতিচ্ছবি নজরে পড়লো। আমার দিকে এক দৃষ্টিতে মহিলা তাকিয়ে আছে। দারুণ ভয়ার্ত। ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে মহিলার মুখের ভাব যে কেমন হবে তারই চিহ্ন দেখলাম। এমন একটা দৃশ্য আনন্দকর নয়।