পূর্ণচন্দ্র উদয় কখন কর মন বিবেচনা

না জেনে ঘরের খবর তাকাই আসমানে

নিরাকার ভাসছে রে এক ফুল

ধর চোর হাওয়ার ঘরে ফান্দ পেতে

ধড়ে কোথায় মক্কা-মদিনা

দেখ রে দিন কোথা হইতে হয়

দেহের খবর বলি শোন রে মন

দিল দরিয়ার মাঝে রে মন

দিল দরিয়ার মাঝে দেখলাম আজব কারখানা

জানা চাই অমাবস্যায় চাঁদ থাকে কোথায়

চিরকাল জল ছেঁচে আমার জল

চারটি চন্দ্র ভাবের ভুবনে

ঘরের মধ্যে ঘর বেঁধেছেন

খাকে গড়লো পিঞ্জিরে

খাঁচার ভিতর অচিন পাখী কেমনে আসে যায়

কোন রাগে সে মানুষ আছে মহারসের ধনী

কোন রসে কোন রতির খেলা

কিসে আর বোঝাই মন তোরে

কিবা শোভা দ্বিদলের ‘পরে

কিবা রূপের ঝলক দিচ্ছে দ্বিদলে

কি আজব কলে রসিক বানিয়েছে কোঠা

কয় দমেতে বাজে ঘড়ি করবে ঠিকানা

ও সে ফুলের মর্ম জানতে হয়

এক ফুলে চার রঙ ধরেছে

এ বড় আজব কুদরতি

আমার দেহ-নদীর বেগ থাকে না

আবহায়াতের নদী কোনখানে

আপন ঘরের খবর লে না

আঠার মোকামে একটি রূপের বাতি জ্বলছে সদাই

আজব আয়না-মহল মণি গভীরে

আছে আদি মক্কা এই মানব দেহে

অমাবস্যার দিনে চন্দ্র থাকেন যেয়ে কোন শহরে

মনের কথা বলবো কারে

মন আমার কুসর মালা জাঠ হল রে

দায়ে ঠেকে বলছ রে মন আল্লাগনি

আমার মন বেবাগী ঘোড়া

হীরা লাল মতির দোকানে গেল না

সামাল সামাল সমাল তরী

সামান্য জ্ঞানে কি মন তুই পাইবি রে

সাধ্য কি রে আমার সে রূপ চিনিতে

সাধুর সঙ্গে সাধুর সঙ্গ সর্ব শাস্ত্রে কয়

সদা মন থেকো রে হুঁস

শ্রীরূপের সাধন আমার কৈ হল

যেতে সাধ হয় রে কাশী কর্ম ফাঁসি

যেখানে সাঁইর বারামখানা

যেও না আন্দাজী পথে মন-রসনা

যে পরশ পরশে, সে পরশ চিনে লে না

যে পথে এসেছ রে মন

মনে রে বুঝাবো কত

মনেরে বুঝাইতে আমার হল দিন আখেরী

মনের হল মতি মন্দ

মনের লেঙ্গুটি এঁটে কর রে ফকিরী

মনের মনে হল না একদিনে

মন রে আত্মতত্ত্ব না জানিলে

মন বিবাগী বাগ মানে না রে

মন, তোরে আজ ধরতে পারতাম হাতে

মন, তোর আপন বলতে কে আছে

মন তুমি সহজে কি সই হবা

মন আমার তুই করলি একি ইতরপনা

মন আমার কি ছার গৌরব করছ ভবে