1 of 2

স্বর্ণলিপ্সা – ৩১

একত্রিশ

দুর্গের ওপরতলায় রন স্টুয়ার্টের স্টাডিরুমে ঢুকে মাথা নাড়ল বাক ওয়াকি। ‘আপনি যা-যা বলেছেন সবই তাকে জানিয়েছি। কিন্তু একটা কথাও বলছে না।’

‘তো পরের ধাপের কাজে নামতে হবে,’ বলল স্টুয়ার্ট। ‘আমি চাই তুমি নিজেই ইতালিতে যাবে। আজই রওনা হও। সঙ্গে নেবে গ্রেগরি বেলকে। সবার মধ্যে তাকেই ঠাণ্ডা মাথার মানুষ বলে মনে হয়েছে আমার।’

‘একেবারে চরমপন্থা বেছে নিচ্ছেন?’ জানতে চাইল বাক ওয়াকি। ‘মিথ্যে হুমকি এককথা, আর সত্যিই কাউকে খুন করা আরেক কথা।’

‘আমাকে বলেছিলে, যে-কোনও পরিস্থিতি সামলে নিতে পারবে তোমার লোক।’

‘মিথ্যা বলিনি। কিডন্যাপ বা খুন করা এদের কাছে কিছুই না। তবে জেনে নিতে চাইছি, পরে আবার নিজের বিবেকের কাছে দায়ী হবেন না তো আপনি? আমরা কাজে নামলে কষ্ট পেয়ে মরবে বেন হ্যাননের স্ত্রী। তা ছাড়া, রবার্ট উইলসনের খুনের মত করে ব্যাপারটাকে দুর্ঘটনা হিসেবে চালাতে পারব না আমরা। সবই বুঝবে ইতালিয়ান পুলিশ। আপনার বিমানে করে আমরা গেলে, ঠিকই সূত্রটা পাবে তারা। আর সেই লাল সুতো দেখিয়ে দেবে আপনাকে।’

কথা শুনে দ্বিধায় পড়ল স্টুয়ার্ট। ‘এসব তো বইয়ের গোয়েন্দারা করে বলেই জানি। বাস্তবে কে এত সূত্র খুঁজে বেড়াবে?’

‘তারা জানবে সে-সম্ভাবনা কম হলেও উড়িয়ে দেয়া যাবে না। নিশ্চয়ই এরই ভেতর স্বামী হারিয়ে গেছে বলে পুলিশে জানিয়েছে বেন হ্যাননের স্ত্রী। এ ছাড়াও তাদেরকে বলেছে, স্কটল্যাণ্ডের কোথায় গেছে তার স্বামী। সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ খোঁজ নিলে জানবে, স্কটল্যাণ্ড থেকে ইতালিতে গেছে একজন বিলিয়নেয়ারের একটা প্রাইভেট বিমান। ঠিক যেদিন খুন হয়েছে হ্যাননের স্ত্রী। ব্যাপারটাকে কাকতালীয় বলে মনে করবে না ইতালিয়ান পুলিশ। কাজেই নির্দেশ দেয়ার আগে আরেকবার ভালভাবে ভেবে নিন।’

‘এসব ভাবিনি, তা নয়। ওয়াকি, তুমি নিজেই আসলে দুশ্চিন্তায় পড়েছ। এত ভয়ের কিছু নেই

ধীরে ধীরে মাথা নাড়ল বাক ওয়াকি। ‘বিপদ দেখলে ডুব দেবে আমার লোক। আমিও তাই করব। ঝামেলা দেখলে আমরা সেটাই করি। কিন্তু আপনার কথা আলাদা। নামকরা ব্যবসায়ী। খুন বা কিডন্যাপিঙের ঝামেলায় জড়িয়ে গেলে মস্ত সমস্যায় পড়বেন আপনি।’

‘এখন পিছিয়ে যাওয়ার উপায় নেই,’ কড়া সুরে বলল রন স্টুয়ার্ট। ‘আগেই বলেছি, সব ধরনের বিপদের জন্যে আমি তৈরি। আমার হয়ে কাজ করলে তোমাকেও সবকিছুর জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

‘যা বলেন,’ বলল বাক ওয়াকি। আরও কিছু বলত, কিন্তু বেজে উঠল তার মোবাইল ফোন। ওটা পকেট থেকে বের করে কলার আইডি দেখল। ‘কোয়ার্ট ফোন করেছে।’

‘মনে হচ্ছে প্রধান সাক্ষী শেষ, বলল বিলিয়নেয়ার ‘যাক, শেষমেশ তা হলে ভাল একটা সংবাদ পাচ্ছি।’

স্যামন-পোচারকে খুন করতে অ্যালান কোয়ার্ট ও হ্যারি .অ্যাণ্ডারসনকে পাঠিয়ে দিয়েছে ওয়াকি। বিলি ম্যাকগ্রাকে খুন করে লাশটা গুম করবে ওরা। ট্রেইলার থেকে সরিয়ে নেবে সব ধরনের প্রমাণ। এরপর পুড়িয়ে দেবে মোবাইল হোম। এখন ফোনে কথা শুনছে ওয়াকি। ভাল সংবাদের জন্যে আগ্রহ নিয়ে তার দিকে চেয়ে আছে রন স্টুয়ার্ট।

হড়বড় করে কী সব বলছে অ্যালান কোয়ার্ট। তার কয়েকটা কথা শুনেই বাক ওয়াকি বুঝল, বড় ঝামেলায় পড়ে গেছে তারা। উদ্বিগ্ন চোখে চেয়ে আছে রন স্টুয়ার্ট। সে যেন শুনতে পায়, তাই ফোনের স্পিকার চালু করল বাক ওয়াকি। ‘ধীরে ধীরে বলো, অ্যালান। তুমি এখন কোথায়?’

দুশ্চিন্তাভরা কণ্ঠে বলল অ্যালান কোয়ার্ট, ‘ফিরে আসছি। একা।’ গলার আওয়াজ় অস্পষ্ট। আছে দ্রুতগামী গাড়ির ভেতর।

‘অ্যাণ্ডারসন কোথায়?’

‘আমার মনে হয় মারা গেছে।’

‘মনে হয় মানে?’

‘ওখানে গোলাগুলি হয়েছে। সরে যাওয়ার সময় হ্যারিকে মাটিতে দেখেছি। মরে না গেলেও গুরুতরভাবে আহত। তুষারের ভেতর পড়ে ছিল। চারপাশে রক্ত।’

‘তোমার কথা থেকে মনে হচ্ছে পালিয়ে আসতে হচ্ছে। সেটা কেন করতে হলো? কী হয়েছে ওখানে?’

‘আমাদের কাজ ছিল ম্যাকগ্রাকে খতম করে দেয়া,’ বলল কোয়ার্ট। ‘সে সাধারণ এক মাছ-শিকারি। কাজেই আমরা পাল্টা হামলার জন্যে তৈরি ছিলাম না।’

‘কিন্তু তোমাদের কাছে তো দরকারি সব যন্ত্র ছিল।’

‘হ্যারির কাছে ছিল একমাত্র পিস্তলটা। আমার কিছুই করার ছিল না। কিন্তু ওই লোক এল নল কাটা বন্দুক নিয়ে!’

‘মাথা ঠাণ্ডা রাখো,’ কড়া সুরে বলল বাক ওয়াকি। কোয়ার্টের কথায় হঠাৎ করেই মাথা-ব্যথা শুরু হয়েছে তার। ‘নল কাটা বন্দুক মানে? ওটা বিলি ম্যাকগ্রার কাছে ছিল? হ্যারিকে ওটা দিয়ে গুলি করেছে সে?’

‘না, ম্যাকগ্রা নয়। সে তো মরে ভূত হয়েছে আগেই। কিন্তু আমি বলছি ওই দ্বিতীয় শালার কথা। ‘

সে-রাতে লকের তীরে যার দিকে গুলি ছুঁড়েছিল, তার কথা মনে পড়ল বাক ওয়াকির। তখন ভেবেছিল গুলি করছে পোচারের দিকে। কিন্তু পরে বুঝেছে, ধারণাটা ভুল ছিল। গোটা ব্যাপারটায় জড়িয়ে গেছে অন্য কেউ। সে-রাতে ওর রাইফেলের গুলিকে ফাঁকি দিয়ে ভূতের মত উধাও হয়েছিল লোকটা। কিন্তু আসলে কে সে?

‘ওই লোক… দেখতে কেমন?

‘বয়স পঁচিশ থেকে ত্রিশ। চিতার মতই ফিট। লম্বায় ছয় ফুট বা কাছাকাছি। কুচকুচে কালো চুল। পরনে লেদার জ্যাকেট। এসেছিল কালো টয়োটা আরএভি চালিয়ে। সঙ্গে এক সুন্দরী মেয়ে।’

‘টয়োটার নাম্বার প্লেট দেখেছ?’

বোকা নয় কোয়ার্ট। গড়গড় করে বলল গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর। মনে ওগুলো গেঁথে নিয়ে বলল বাক ওয়াকি, ‘ঠিক আছে। এবার সেই মেয়ের বর্ণনা দাও।’

‘বড়জোর পঁচিশ। দেখতে ভাল। লম্বা কালো চুল।’

‘তুমি এখন কতটা দূরে?’

‘বড়জোর বিশ মিনিট লাগবে ফিরতে।’

‘ঠিক আছে। সোজা এখানে ফিরে এসো।’ কল কেটে বড় করে শ্বাস টানল বাক ওয়াকি। বিড়বিড় করে বলল, ‘ঝামেলা! ঝামেলা!’

কড়া চোখে তাকে দেখছে স্টুয়ার্ট। ‘ভালই দেখালে, ওয়াকি। এরাই নাকি তোমার টপ ক্লাস যোদ্ধা! এখন হ্যারি অ্যাণ্ডারসন না মরে থাকলে বিরাট বিপদে পড়ব আমরা। একবার আইনের লোক তাকে পেয়ে গেলে…’

‘আমার তো ধারণা ছিল স্থানীয় পুলিশকে পকেটে পুরে রেখেছেন আপনি।’

‘জন মুরে আর ডানকান রিডকে কিনে নিয়েছি। নিয়মিত পয়সা পাচ্ছে তারা। কিন্তু পুরো থানার সবার ওপরে তো আর আমার নিয়ন্ত্রণ নেই। এতক্ষণে হয়তো মাছির মত অ্যাণ্ডারসনের লাশের কাছে ভনভন করছে একদল পুলিশ। অথচ তুমি বলেছিলে, তোমার বাছাই করা পেশাদার লোককে কাজে নিলে এই ধরনের ভয়ঙ্কর বিপদ হবে না।’

‘এই ঝামেলা উৎরে উঠব আমরা,’ বলল বাক ওয়াকি। ‘তবে আগে জানতে হবে মার্সিডিযে চেপে হাজির হওয়া ওই লোক আসলে কে। সে একবার দৃশ্যপট থেকে সরে গেলে কোনও বিপদ হবে না।’

বিরক্তি নিয়ে তাকে বলল স্টুয়ার্ট, ‘যাক, এত পয়সা খরচ করে অন্তত একটা উপকার পাওয়া গেল!’

‘আপনার কথা বুঝলাম না,’ আড়ষ্ট কণ্ঠে বলল বাক ওয়াকি।

‘তুমি যখন বেন হ্যাননের পেছনে সময় নষ্ট করছ, সেই একইসময়ে আমাকে ফোন করেছে ইন্সপেক্টর মুরে। তার কথা অনুযায়ী, তারই অধীনস্থ এক অফিসার খুঁজতে শুরু করেছে স্থানীয় স্যামন-পোচারদের বিষয়ে পুলিশ ডেটাবেস। আর তদন্ত করতে গিয়ে জেনে গেছে বিলি ম্যাকগ্রার নাম। সে এটাও জানে, লোকটা কী ধরনের গাড়ি ব্যবহার করে। ওই অফিসার নিজের অ্যাকসেস কোড দিয়েছে বলে ডেটাবেসে কী দেখেছে তার রেকর্ড রয়েছে কমপিউটারে।’

‘তার ফলে কী ধরনের সুবিধা পাব আমরা?’

‘ওই রেকর্ড অনুযায়ী আমি জেনে গেছি, কে আসলে ওই মেয়ে। সে-ই ছিল কালো মার্সিডিযে ওই লোকের সঙ্গে।’ চাপা শ্বাস ফেলল স্টুয়ার্ট। ‘ওই পুলিশ অফিসারের নাম জেসিকা থমসন। ওই একই মেয়ে সে-রাতে পাবে মারপিটের জন্যে গ্রেফতার করেছে মিচ ম্যাকডোনাল্ড আর তার বন্ধুদেরকে। তখন তার সঙ্গে ছিল অচেনা বিদেশি এক লোক। তার সম্পর্কে শুধু এটা জানা গেছে, লাথি বা ঘুষি না মেরেই দানবের মত কয়েকজনকে কুপোকাত করেছে সে সেদিন। এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ, তোমার দোস্ত অ্যাণ্ডারসনের চেয়ে হাজার গুণ দক্ষ লোক সে?’

পকেট থেকে ফোন নিয়ে একটা ছবি বাক ওয়াকিকে দেখাল বিলিয়নেয়ার। ওটা পারসোনেল ফাইল থেকে নেয়া আইডি ফোটো। মেয়েটার বয়স বড়জোর পঁচিশ। ভাল চেহারা। বেণী করেছে দীর্ঘ কালো চুলে। ‘আজকে যে-লোক ওখানে গেছে, তার সঙ্গে এই মেয়েই ছিল। অজানা এক কারণে পুলিশ অফিসার জেসিকা থমসন আমাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।’

ছবিটার দিকে চেয়ে আছে বাক ওয়াকি। পরিষ্কার বুঝতে পারছে, ক্রমেই আরও গভীর কূপে নেমে যাচ্ছে সে। ‘ওই মেয়ে তো পুলিশ সদস্যা। তার সঙ্গের ওই লোকটা আসলে কে? সে তো পুলিশ অফিসার নয়। নইলে তার কাছে নল কাটা বন্দুক থাকত না। অন্তত এই দেশে নয়।’

ফোন সরিয়ে রেখে মাথা নাড়ল স্টুয়ার্ট। ‘ওই লোক যে-ই হোক, জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করেছে সে। আমার সঙ্গে লড়তে চাওয়া তার উচিত হয়নি। ওয়াকি, আপাতত ইতালিতে যেতে হবে না তোমাকে। তার বদলে খুঁজে বের করবে এই লোককে। আরও কোনও বিপদ ঘটিয়ে বসার আগেই তাকে চিরকালের জন্যে সরিয়ে দেবে।’

‘আপনার কী মনে হয়, এরা কতটা জানতে পেরেছে?’ জিজ্ঞেস করল বাক ওয়াকি।

‘ম্যাকগ্রাকে খুঁজে বের করেছিল,’ বলল স্টুয়ার্ট। ‘এখন শ্বাস ফেলছে আমাদের ঘাড়ের ওপর। কাজেই ধরে নাও অনেক কিছুই জেনে গেছে তারা।’

‘যদি পুলিশ অফিসার না হয়, তো তার উদ্দেশ্য কী হতে পারে?’ আনমনে নিজেকেই প্রশ্ন করল বাক ওয়াকি।

‘অন্যদের মত একই উদ্দেশ্য। সোনার গন্ধ পেয়েছে।’

‘অথবা, অন্যকিছু। ওই লোক হয়তো বেন হ্যাননের পরিচিত। তাকেই খুঁজতে এখানে এসেছে। আর্মিতে হয়তো বন্ধুত্ব হয় দু’জনের।

ধীরে ধীরে মাথা নাড়ল স্টুয়ার্ট। ‘বয়স তো মেলে না।’

‘ওই লোক মিলিটারিতে যোগ দিয়েছে, এমনসময় হয়তো বন্ধুত্ব হয়েছে বুড়ো পেরেকের সঙ্গে। হয়তো ছিল একই রেজিমেন্টে।’ যত ভাবছে ওয়াকি, জিগ্‌-স পাযলের টুকরো মিলে যাচ্ছে। সেরাতে ওর হাত থেকে বাঁচতে পারত না বিলি ম্যাকগ্রা। তবে এই লোক যদি এসএএস বা অন্য কোনও স্পেশাল রেজিমেন্টের যোদ্ধা হয়, তো সব হিসাবই মিলে যাবে। মিচ ম্যাকডোনাল্ড আর তার দশজন বন্ধুকে হাসতে হাসতে পিটিয়ে শুইয়ে দিতে পারবে ওই লোক।

‘ঝামেলার শেষ নেই,’ নিচু গলায় বলল স্টুয়ার্ট। ‘এখন কী করবে ভাবছ, ওয়াকি? …অ্যাই, ওয়াকি!’

ফাঁকা দৃষ্টিতে শূন্যে চেয়ে কী যেন ভাবছে ঠাণ্ডা মাথার খুনি। তুষারের মেঝেতে লাশ হয়ে পড়ে আছে অ্যাণ্ডারসন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। বন্দুকের গুলিতে ছিন্নভিন্ন হয়েছে বুক। আর যে-লোক সেটা করেছে, তাকে মনের আয়নায় দেখতে চাইল ওয়াকি। কয়েক মুহূর্ত পর বিড়বিড় করল, ‘তুমি ভ্রাতৃসঙ্ঘের একজনকে খুন করেছ। কাজেই তোমাকে মরতে হবে।’

বাস্তবে ফিরে বলল, ‘ফোন করবেন জন মুরেকে। তাকে দেবেন কালো টয়োটার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার। ইন্সপেক্টর নিজের পদবী ব্যবহার করলে তিনমিনিটে জানাতে পারবে ওই গাড়ি ব্যবহারকারীর নাম। মুরের ভায়রা ভাই না মিনিস্ট্রিতে আছে? সে আমাদের কাছে পাঠাবে ওই লোকের সমস্ত রেকর্ড। সেক্ষেত্রে আমরা বুঝব কার বিরুদ্ধে লড়ছি। তখন তাকে সহজেই ধরতেও পারব।’

‘হয়তো।’

‘তাকে ধরার মাধ্যমেই কাজ শুরু করব,’ বলল ওয়াকি।

‘আর ওই মেয়ের কী হবে?’ জানতে চাইল রন স্টুয়ার্ট। ‘ওই লোক নিশ্চয়ই তাকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেবে। সেক্ষেত্রে মেয়েটা আজ রাতে ডিউটি থেকে বাড়িতে ফিরে অবাক হবে। কারণ, তাকে বন্দি করার জন্যে আগে থেকেই ওখানে থাকবে আমার লোক।’

নতুন প্ল্যান নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবল বিলিয়নেয়ার রন স্টুয়ার্ট, তারপর ফোন নিয়ে ডায়াল করল।

‘মুরে? আবারও আমি! দুটো ব্যাপারে খোঁজ নিতে হবে। মন দিয়ে শোনো আমার কথা।’

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *