ভুটানি ভূতের গল্প
ভূতের ভয় শুধু এ দেশেই নয়, সারা পৃথিবীতেই কিছু—না—কিছু আছে। বিদেশি গল্পের বইগুলোতে যে সব ভূতের কাহিনি বেরোয় তা আমাদের দেশের চলতি কাহিনির চেয়ে ভয়াবহ।
বিদেশের কথা থাক। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভুটানের কথা বলি।
এক বাঙালি ডাক্তারের সঙ্গে সম্প্রতি আলাপ হল। তিনি কিছুকাল ভুটানে ছিলেন। বললেন, ওখানকার লোকে ভূতকে যে কী ভয় করে তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। ওরা তো বাড়ির আনাচে—কানাচে লাল—সাদা পতাকায় বুদ্ধের বাণী লিখে টাঙিয়ে দেয়। ওদের বিশ্বাস, বাতাসে পতাকাগুলো যত দুলবে বুদ্ধের বাণী তত ছড়াবে। সেই অমৃতবাণী যত দূর ছড়াবে তত দূরের মধ্যে ভূতের উৎপাত হবে না।
আমি তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ভুটানে তাঁর নিজের কোনো অভিজ্ঞতা হয়েছিল কি না?
কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে তিনি বললেন, হ্যাঁ। সামান্য কিছু হয়েছিল। তারপর আমার আগ্রহে তিনি টুকরো টুকরোভাবে বিভিন্ন দিনের যে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করেন তা একটু গুছিয়ে তোমাদের বলি।
১৯৭০ সালের কথা। সাউদার্ন ভুটানের ডিস্ট্রিক্ট টাউন সরভং। সেখানে সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার (এম ও) হয়ে গিয়েছিলেন দাস সাহেব। জায়গাটা আসামের বর্ডারের কাছে। একদিকে পাহাড়ের পর পাহাড়, হিমালয়ের রেঞ্জ, অন্যদিকে আসামের জঙ্গল।
দাস সাহেবের কোয়ার্টারটা পাহাড়ের ওপর। ভারী সুন্দর। বাংলাদেশের মানুষেরা এমন সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য কল্পনাই করতে পারে না। দাস সাহেবেরও খুব ভালো লাগল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই ছন্দপতন। এখানে আসা মাত্রই সবাই একরকম গায়ে পড়ে বলতে লাগল তিনি যেন একটু সাবধানে চলাফেরা করেন। সন্ধের পর যেন মোটেই না বেরোন—বিশেষ করে পাহাড়তলিতে। জায়গাটা খারাপ।
ডাক্তার অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কী রকম খারাপ?
ওখানকার লোক খুব সরল। তাই কিছু না রেখে—ঢেকে সোজাসুজি বললে, বকসি—বকসি। ওরা ভূতকে নাকি বকসি বলে।
শুনে তো দাস সাহেব খুব খানিকটা হাসলেন। বললেন, আমি বাঙালি। অনেক ভূত—প্রেত, শাঁকচুন্নি—ব্রহ্মদত্যির খবর জানি। তোমাদের এখানকার বকসি নিশ্চয় তার চেয়ে কিছু বড়ো জাতের নয়।
ওরা আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেল।
দাস সাহেব তো গুছিয়ে—গাছিয়ে থাকবার ব্যবস্থা করছেন কিন্তু একটাই অসুবিধে, রাঁধার লোক নেই। প্রথম ক’দিন হাসপাতালের অন্য ডাক্তারদের চাকররা এসে টুকটাক সাহায্য করল। দু’বেলা হোটেল থেকে ভাত—রুটিও এনে দিত। কিন্তু এভাবে পরের দয়ায় আর কত দিন চলে? দাস সাহেব রাঁধবার লোকের জন্যে খুব ব্যস্ত হয়ে উঠলেন। এমনি সময়ে একদিন সন্ধ্যাবেলা একটি ভুটানি মেয়ে এল কাজ করতে। নাম তার সুখমতী। তবে সে রাত্তিরে থাকত না। রাত নটা বাজতে না বাজতেই ডাক্তারকে খাইয়ে দিয়ে বাড়ি চলে যেত।
মেয়েটি খুব ভালো। চুপচাপ। একেবারেই কথা বলে না। ফর্সা ধবধবে রং। গাল দুটো আপেলরাঙা। চোখ দুটো ভুটানিদের মতোই ছোটো ছোটো, যেন নরুণ দিয়ে চেরা। ও কথা বলত না কিন্তু কাজ করত যন্ত্রের মতো।
যাক, সুখমতীকে পেয়ে ডাক্তার সাহেব নিশ্চিন্ত হলেন। কয়েকদিন বেশ কাটল। ভূতটুতের কথা ডাক্তার ভুলেই গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরই একদিন একটা কাণ্ড ঘটল।
যে পাহাড়ের ওপর ডাক্তারের কোয়ার্টার সেই পাহাড়ের পশ্চিম দিকে পাহাড়তলির পথটা ছিল বিপজ্জনক। বিপদটা কী ধরনের, ডাক্তারের তা জানা ছিল না। তবে সন্ধের পর ওই রাস্তায় কেউ যেত না। অথচ বাজার—টাজার যেতে গেলে ওই পথটাই ছিল শর্টকাট। ডাক্তারের সেদিন ইচ্ছে হল রাত্তিরে লুচির সঙ্গে মুর্গির স্টু খাবার। হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী তখনই বাজার ছুটল। বাজার থেকে তাড়াতাড়ি মুর্গি নিয়ে ফিরতে হবে।
ডাক্তার খুশ মেজাজে সুখমতীকে বললেন, কি সুখমতী, ভালো করে মাংস বানাতে পারবে তো? তাহলে আমার বন্ধু দুজনকেও নেমন্তন্ন করি।
সুখমতী কোনো কথা না বলে শুধু মাথা দোলাল।
ওখানে আরো দুজন বাঙালি ডাক্তার ছিল। একজনের নাম শ্রীকান্ত আর একজনের নাম অমরেশ। তাঁরাও নতুন ডাক্তার দাস তাঁদের রাত্রে খাবার নেমন্তন্ন করলেন।
ডাক্তার বিকেলে একটু বেরিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখলেন তখনো বাজার থেকে কেউ ফেরেনি। মুর্গি আসতে দেরি হচ্ছে দেখে তিনি ক্রমশ অধৈর্য হয়ে উঠলেন। সন্ধে উতরে গেল, এখনো মুর্গি এল না। কখন মুর্গি আসবে, কখনই বা রান্না হবে, কখন ওঁরা খেয়ে ফিরে যাবেন। বেশি রাত পর্যন্ত কেউই এখানে বাইরে থাকে না।
ডাক্তার সাহেব খুব ভাবছেন, এমনি সময়ে দরজায় দুমদাম শব্দ। সুখমতী দরজা খুলতে গেল না দেখে ডাক্তার সাহেব নিজেই গিয়ে দরজা খুলে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে দীনবন্ধু নামে লোকটা মুর্গি হাতে একেবারে মাটির ওপর আছড়ে পড়ল।
—কী হল। কী হল? ডাক্তার ব্যস্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন। দীনবন্ধু কথা বলবে কী, এমন হাঁপাচ্ছে যে মনে হচ্ছে এখুনি বুক ফেটে মরবে।
অনেকক্ষণ পর ও একটু জল খেতে চাইল। তারপর যা বলল তা এই—
মুর্গি কিনে তাড়াতাড়ি ফেরার জন্যে ওরা পশ্চিম দিকের শর্টকাট পথ ধরে আসছিল। ওখানে একটা সাঁকো আছে। সাঁকোটা পেরিয়ে যেই তারা ওপরে উঠেছে, অমনি দেখে দুটো মস্ত কালো পা পথ আগলে দাঁড়িয়ে। দেখেই তো ভয়ে তাদের মাথা ঘুরে গেল। তারপর কী করে যে ওরা পাথর টপকে পাহাড় ডিঙিয়ে প্রাণ নিয়ে ছুটতে ছুটতে এসেছে তা একমাত্র তারাই জানে।
সব শুনে ডাক্তার অবাক হয়ে বললেন, শুধু দুটো পা!
দীনবন্ধু বললে, আপনি জানেন না ডাক্তার সাহেব, ও পা মানুষের নয়। অন্য কিছুর।
ডাক্তার সাহেব এসে সুখমতীর দিকে তাকালেন। দেখলেন সুখমতী কখন সরে গেছে। এত বড়ো ঘটনা শোনার কৌতূহলটুকুও নেই।
সে রাত্রে ডাক্তার সাহেব খেতে খেতে তাঁর বন্ধুদের কাছে খুব মজা করে কালো এক জোড়া পায়ের গল্প করলেন। তাঁরাও নতুন। তাই এই অদ্ভুত কথা শুনে তাঁরাও হাসলেন।
হঠাৎ শ্রীকান্ত ডাক্তার চমকে উঠলেন, কে ওখানে? ডাক্তার দাসও চমকে উঠেছিলেন। কিন্তু চমকাবার কিছু ছিল না। সুখমতী। সুখমতী একা অন্ধকারে বাড়ি যাচ্ছে।
ডাক্তার দাস বাড়িতে যখন থাকেন তখন সময় সময় সুখমতীর সঙ্গে গল্প করতে চান। কিন্তু সুখমতীর সঙ্গে কথা বলে সুখ নেই। ও তো কথাই বলে না। তবু ডাক্তার নিরুপায় হয়ে ওকে উদ্দেশ করে নিজে নিজেই কথা বলে যান, এখানে আমার আর মন টিকছে না, বুঝেছ সুখমতী? সবাই কেবল ভূত ভূত করে। ভাবছি আমিও শেষে ওদের মতো ভীতু হয়ে যাব না কি? তাই ভাবছি চলে যাব…
সুখমতী যে কথাগুলো শুনল তার কোনো প্রমাণ পাওয়া গেল না। সে রান্নাঘরে কাজ করছে তো করছেই।
ক’দিন ধরেই শ্রীকান্তবাবু ডাক্তার দাসকে বলছেন, ও মশাই, এখানে তো টেকা যাবে না। সেদিন দীনবন্ধু দেখল এক জোড়া বিশাল কালো পা। আর হাসপাতালের দীন বাহাদুর বলছে আমাদের ল্যাবরেটরিতেই নাকি ভূত আছে। বলুন তো যাই কোথায়?
পরের দিনই ডাক্তার দাস হাসপাতালে গিয়েই দীন বাহাদুরকে নিয়ে পড়লেন, কী ব্যাপার বলো তো?
দীন বাহাদুর বললে, সাব, এখানে সব জায়গাতেই বকসি আছে। থাকবে নাই বা কেন? আগে তো এই জায়গাতেই ‘চেইন’ (কবরখানা) ছিল। এই যে পাশের ‘ল্যাবোটরি’ ঘর, ওখানে রাতের বেলায় একবার আসবেন, শুনবেন ঘরের মধ্যে কারা গুমরে গুমরে কাঁদছে।
—তুমি তো এখানে অনেক দিন আছ। কবে থেকে কান্না শুনছ?
—যে বছর ওই সাঁকোর ধারে পাঁচ আদমি খুন হল, সে বছর থেকে, ওই ‘ল্যাবোটরি’ ঘরে চার আদমির লাশ এনে রাখা হয়েছিল। তারপর থেকেই এই কান্না।
—ওদের খুন করল কে?
—তা জানি না সাব। কেউ জানে না। ওরা সাঁকো পেরিয়ে সন্ধের পর ওই পাহাড়ের রাস্তা ধরে জিপ চালিয়ে আসছিল, হঠাৎ কী হল গাড়ি উলটে গেল। সব খতম হয়ে গেল। একটা কেউ বাঁচল না।
—অ্যাকসিডেন্ট বলো।
—না হুজুর, অ্যাকসিডেন্ট কেন হবে? তা হলে রক্তমাখা বড়ো পায়ের ছাপগুলো কার?
—পায়ের ছাপ?
—হ্যাঁ সাহেব। হাসপাতালের যারা পুরোনো স্টাফ সবাইকে জিজ্ঞাসা করুন।
দীন বাহাদুর একটু থেমে আরো বললে, পাঁচ আদমির মধ্যে একজন জানানাও ছিল। তার লাশ শুধু পাওয়া যায়নি। বাকি চারজনের লাশ এই ‘ল্যাবোটরি’ ঘরে রাখা হয়েছিল।
—তুমি নিজে কোনোদিন কান্না শুনেছ?
—’ডেইলি’ সাব—’ডেইলি’।
—কোনোদিন দরজা খুলে দেখনি?
—ওরে বাপ!
—জানানা আদমির লাশ গেল কোথায়?
দীন বাহাদুর এবার শুধু মাথা নাড়ল। জানে না—কেউ জানে না।
*
সেদিন সন্ধেবেলায় চা খেতে খেতে নিছক গল্প করার জন্য সুখমতীকে উদ্দেশ করে দাস সাহেব বললেন, জান সুখমতী, হাসপাতালের একটা ঘরে ভূত আছে। রোজ রাতে কারা কাঁদে। পাঁচজন লোক কবে নাকি পাহাড়তলিতে খুন হয়েছিল। তাদের চারজনের লাশ পাওয়া গিয়েছিল। শুধু একজন জানানা আদমির লাশ পাওয়া যায়নি।
বলে ডাক্তার রান্নাঘরের দিকে তাকালেন। না, সুখমতীর এতটুকু কৌতূহল নেই। সামনে এসে দাঁড়ায়নি।
তবু সুখমতীর উদ্দেশেই বলে চললেন, ভারী অদ্ভুত ব্যাপার না! সবার লাশ পাওয়া গেল, পাওয়া গেল না শুধু মেয়েমানুষটার লাশ? তবে কি সে মরেনি? তবে কি সে কোনো কিছুর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে?
কথা শেষ হল না। হঠাৎ রান্নাঘরের মধ্যে একটা শব্দ। ডাক্তার ছুটে গেলেন। দেখলেন সুখমতী মেঝেতে পড়ে রয়েছে।
নাড়ি দেখলেন। বুঝলেন যে কোনো কারণেই হোক অজ্ঞান হয়ে গেছে।
কিন্তু হাতটা যেন মরা মানুষের মতো ঠান্ডা।
*
পাহাড়তলির সেই অদৃশ্য জীবের ভয়ংকর দুটো পায়ের কথা ডাক্তার দাস যতই শুনেছেন ততই অবাক হয়েছেন। তার ওপর হাসপাতালের ভূত, সুখমতীর অদ্ভুত আচরণ—ডাক্তার তো বিভ্রান্ত। তাঁর একটা কথাই মনে হল, এখানে যা কিছু দেখছেন শুনছেন, তার গোড়া বোধ হয় ওই পাহাড়তলিতে। তাই ঠিক করলেন, তিনি একাই একদিন সন্ধের সময়ে পাহাড়তলিটা ঘুরে আসবেন। আজন্ম কলকাতায় থেকে আজ ভুটানে এসে ভূত বিশ্বাস করতে হবে নাকি?
যেমন ভাবা তেমনি কাজ। সেদিনই বিকেলের পর ডাক্তার একটা লাঠি আর টর্চ নিয়ে একাই পাহাড়তলির পথে নেমে পড়লেন।
দু’ধারে পাঁচিলের মতো উঁচু খাড়া পাহাড়। অন্ধকার যেন অশুভ সংকেতের মতো কালো ডানা মেলে নেমে আসছে। চারিদিক নির্জন, নিস্তব্ধ। শুধু জুতোর ঠোক্কর খেয়ে নুড়ি পাথরগুলো নানা শব্দে ছিটকে যাচ্ছে। দাস সাহেব টর্চ ফেলতে ফেলতে সেই সাঁকোর দিকে এগোচ্ছেন। হঠাৎ তাঁর মনে হল ডান পাশের পাহাড়ের অনেক উঁচুতে ধুপধাপ করে কীসের যেন শব্দ। সেই অদ্ভুত শব্দ শুনে ডাক্তার সাহেব থমকে দাঁড়ালেন। মনে হতে লাগল শব্দটা যেন ক্রমশ নেমে আসছে। টর্চ জ্বেলে দেখবেন কি না ভাবছেন, এমনি সময়ে শুনলেন একটি মেয়ের গলা। কে যেন ভাঙা হিন্দিতে চেঁচিয়ে বলছে—মাৎ যাও—মাৎ যাও—
সেই স্বর লক্ষ্য করে ডাক্তার সাহেব টর্চ জ্বাললেন। স্পষ্ট দেখলেন উলটো দিকের একটা পাহাড়ের চুড়োয় দাঁড়িয়ে সুখমতী। বাতাসে তার চুল কী ভয়ংকর রূপ ধরে উড়ছে, পরনের শাড়িটা যেন লাল পতাকা।
তারপর কী করে কোন পথ ধরে যে ডাক্তার সাহেব ফিরলেন তা তিনি নিজেও বুঝে উঠতে পারলেন না। কোয়ার্টারে পৌঁছে দেখেন শ্রীকান্ত আর অমরেশবাবু চা খাচ্ছেন। দাস সাহেবকে ওভাবে আসতে দেখে ওঁরা তো অবাক। দাস সাহেব ধপ করে চেয়ারে বসে পড়ে বললেন, উঃ! এ যাত্রা খুব বেঁচে গেছি। ভাগ্যে ঠিক সময়ে সুখমতী গিয়ে পড়েছিল—বলে সব ঘটনা বর্ণনা করে গেলেন।
তাঁরা ধৈর্য ধরে সব শুনলেন। কিন্তু অবাক হলেন একটা কারণেই। সুখমতী! সুখমতী তো কোথাও যায়নি। সে তো সন্ধ্যে থেকে রান্নাঘরেই রয়েছে। এই তো কিছুক্ষণ আগে চা করে দিল।
কথাটা বলতে বলতে ওঁরাও যেন কীরকম হয়ে গেলেন। কেমন একটা অজানা ভয়ে জিভ আড়ষ্ট হয়ে গেল। ডাক্তার দাসও কোনো কথা বলতে পারলেন না। স্তব্ধ হয়ে বসে রইলেন।
রান্নাঘর থেকে তখনো রান্নার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। সুখমতী রান্না করেই চলেছে।
১৯৮৪, জুলাই, শুকতারা
—