নরক সংকেত – ৩০

৩০

সেপ্টেম্বর ১৯৩৩

ফ্রিৎজ খিদেয়, তেষ্টায় অবসন্ন হয়ে কেমন তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন। রাস্তায় দুলুনিতেও সেই তন্দ্রা কাটেনি, কিন্তু কাটল যখন সপাটে পিঠের উপরের দিকে একটা চাবুক এসে পড়ল।

ফ্রিৎজ চোখ খুলে কাতরভাবে কিছু বলতে গেলেন, কিন্তু তার আগেই তীব্র আঘাতে হুড়মুড় করে গাড়ি থেকে পিছলে পড়লেন মাটিতে।

ওঁর মাথার ঠিক সামনেই ভারী বুট পায়ে একজন গার্ড, হাতে বন্দুক, চোখে যেন পাথরের দৃষ্টি।

ফ্রিৎজ কোনোমতে হাঁটুতে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ালেন। তাঁকে একা গাড়িতে নিয়ে আসা হলেও ঠিক পাশেই পাঁচ ছটা বিশাল ওয়াগন ভ্যান থেমেছে, যেখান থেকে পিঁপড়ের সারির মতো বেশ কিছু লোককে নামানো হচ্ছে।

সাংবাদিক হিসেবে ফ্রিৎজের মনটা এই অবস্থাতেও উত্তেজনায় কেঁপে উঠল। এই তাহলে কনসেনট্রেশন ক্যাম্প। এর ভেতরে কী হয়, তা সম্পর্কে কিছুই তেমন জানা যায় না, যেটুকু জানা গেছে ভয়মিশ্রিত কল্পনায় সেটা কতটা ঠিক, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।

কারণ আজ পর্যন্ত এখান থেকে কেউ আর বাইরে বেরোতে পারেনি।

যাক, মরার আগে অন্তত এই রহস্য ভেদ করতে পারবেন ফ্রিৎজ।

ওইপাশের ওয়াগনটায় অত লোক এসে যাওয়ায় ফ্রিৎজকে ওই বন্দুকধারী গার্ডটা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে বলে হঠাৎই ব্যস্ত হয়ে পড়ল।

ফ্রিৎজ লক্ষ করলেন, কয়েকজন গলায় স্টেথো ঝোলানো লোক অতি দ্রুত গতিতে ওয়াগনের সব লোকগুলোকে দুটো লাইনে ভাগ করে ফেলল। ফ্রিৎজ এটাও দেখলেন, একটা লাইনে পুরুষ নারী সবাই মোটামুটি তরুণ, কেউ কেউ তরুণ না হলেও প্রত্যেকেই কর্মঠ, আর অন্য লাইনটায় বৃদ্ধ, শিশু এবং কিছু বিকলাঙ্গ মানুষ।

বাচ্চাগুলোকে মায়ের কাছ থেকে হঠাৎ আলাদা করে দেওয়ায় তারা চিৎকার করে কাঁদতে লাগল। মায়েরাও সন্তানের কান্না দেখে এইদিকের লাইন থেকে অনুনয় বিনয় শুরু করতে একজন গার্ড গিয়ে চিৎকার করে দু থেকে তিনবার কিছু বলল, তারপরও কান্নাকাটি তেমন না কমতে সোজা এগিয়ে গিয়ে সামনের মহিলাটিকে টেনে ধরে কানের ঠিক উপরে বন্দুকের ট্রিগার চালিয়ে দিল।

মহিলা সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চল হয়ে মাটিতে পড়ে গেল। আর ভয়ার্ত মুখগুলো সব চুপ হয়ে গেল।

এমনকী, বাচ্চাগুলোও মনে হয় আতঙ্কে কাঁদতে ভুলে গেল।

গার্ডটা কোনো ভ্রূক্ষেপ করল না। নির্বিকার ভঙ্গিতে ধুলোয় পড়ে থাকা টাটকা মৃতদেহটার পাশে দাঁড়িয়ে লোক গুনতে লাগল।

ফ্রিৎজের বুকের ভেতরটা কেমন হিম হয়ে এল। তিনি মরে যাওয়ার পর সোফি আর এমিলিয়াকেও কি এইভাবেই শেষ করে দেওয়া হবে? শুধুমাত্র তারা ইহুদি বলে?

এরপর দুটো লাইনকে সার দিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে লাগল সামনের দিকে। চারপাশে ওয়ারহাউজের মতো বড়ো বড়ো বাড়ি, সেগুলোর সামনে পেছনে বিশাল বিশাল মাঠ। অনেকখানি জায়গা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই ক্যাম্প, ফ্রিৎজ মনে মনে ভাবলেন। এইরকম ক্যাম্প আরও বিভিন্ন জায়গাতে তৈরি করা হচ্ছে। ইহুদি, জিপসি এইসব নিকৃষ্ট জাতিকে হিটলার কিছুতেই শহরের সুসভ্য জার্মানদের সঙ্গে থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে দেবে না।

পেছন থেকে আবার একটা চিৎকার ভেসে এল, ফ্রিৎজ পেছন ফিরে দেখার আগেই একটা গুঁতোয় সামনের দিকে কিছুটা এগিয়ে গেলেন। পেছন থেকে একজন বিশালদেহী গার্ড এগিয়ে এল, ‘ওই লাইনের পেছন পেছন চলো, এখানে দাঁড়িয়ে আছ কেন?’

ফ্রিৎজ বিনা বাক্যব্যয়ে হাঁটতে লাগলেন। একবার ভাবলেন জিজ্ঞেস করবেন, সামনে তো দুটো লাইন চলেছে, কোনটায় ঢুকবেন তিনি। কিন্তু সাহস হল না।

কিছুদূর গিয়ে কর্মঠ তরুণদের লাইনটা ডানদিকে বেঁকতে ফ্রিৎজও সেইদিকে এগোতেই পেছন থেকে গার্ডের রুক্ষ আদেশ ভেসে এল, ‘ওদিকে নয়, তুমি এদিকের লাইনটায় এসো উজবুক!’

ফ্রিৎজ একটু অবাক হলেন, এই লাইনে বৃদ্ধ এবং শিশুর সংখ্যাই বেশি, এ ছাড়া যারা রয়েছে, কেউ পঙ্গু, কাউকে আবার দেখলেই বোঝা যায় অসুস্থ।

ফ্রিৎজ কিছু না বলে লাইনের একদম শেষে হাঁটছিলেন। মৃত্যুভয় আর মনে বাসা বেঁধে চিন্তাশক্তিকে অবশ করে দিচ্ছে না, একটা কেমন বেপরোয়া ভাব এসে যাচ্ছে আস্তে আস্তে।

অনুভূতি সম্পৃক্ত অবস্থায় চলে গেলে কি এমনই হয়?

শুধু একটাই চিন্তা তাঁর মনে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। ফ্রেডরিকের কী হল? ছেলেটা ঠিক আছে তো?

ভাবতে ভাবতে মৃদু অথচ গা গুলোনো কেমন একটা গন্ধ ওঁর নাকে ভেসে এল। দূরে চেয়ে দেখলেন, একটু দূরে জঙ্গলের দিকে বিশাল বিশাল কয়েকটা চুল্লি, তারই একটা থেকে ধোঁয়া উঠছে, আর সেই ধোঁয়ায় যেন হজম হয়ে যাওয়া খাবারও উঠে আসবে বাইরে।

কীসের গন্ধ এটা? কী পুড়ছে যে এত গন্ধ?

ফ্রিৎজ জোরে জোরে শ্বাস নিয়েও গন্ধটাকে চিনতে পারলেন না।

সাপের মতো লাইনটা বেশ কিছুক্ষণ বেঁকেচুরে এগিয়ে ঢুকল একটা ব্যারাকের মধ্যে। ব্যারাকের মধ্যে একটা মস্ত হল ঘর, তার দরজায় চারটে ভাষায় পরিষ্কার করে লেখা আছে ‘স্নান এবং নির্জীবাণুকরণ ঘর’।

এতক্ষণে পুরো দলটার মধ্যে একটা স্বস্তির হাওয়া দেখা গেল। যারা পাংশু মুখে ভয় পাচ্ছিল যে এই বুঝি মেরে ফেলা হবে তারাও একটু হাঁফ ছেড়ে একে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে লাগল।

ফ্রিৎজ অবাক হলেও আর বেশি কিছু ভাবলেন না। সারাটা রাস্তা ওয়াগনে চেপে আসতে হয়েছে, স্নান তো দুরস্থান, প্রাকৃতিক কাজকর্মও সারা হয়নি সকাল থেকে।

লম্বায় প্রায় তিনশো গজ লম্বা হল ঘরটার চারদিকে বড়ো বড়ো আলো ঝলমল করছে, একপাশে জামাকাপড় রাখার ব্যবস্থাও রয়েছে ভালোই এই ঘরে পাহারা দেওয়া গার্ডরাও অপেক্ষাকৃত নরম। স্বাভাবিক স্বরে তারা আদেশ করছে।

‘নাহ! এদের ব্যবস্থাপত্র অতটাও খারাপ নয়, কি বলুন!’ একজন বৃদ্ধ বেশ হৃষ্টচিত্তে ফ্রিৎজের দিকে তাকালেন।

ফ্রিৎজ চুপ করে রইলেন, কিছু বললেন না, কিন্তু মনের মধ্যে কেমন একটা অস্বস্তি ঘুরপাক খাচ্ছিল।

বৃদ্ধ আবার বললেন, ‘ডুসেলডর্ফে বড়ো দোকান ছিল আমার, বুঝলেন! সব ছেড়েছুড়ে এরকম গোরুছাগলের মতো করে নিয়ে এল দোকান, বাড়ি সব লুঠপাট করেছে। সোনাদানা, টাকাপয়সা সব!’ যন্ত্রণায় বৃদ্ধের মুখে একটা কালো বিষাদ ফুটে উঠল, ‘ভেবেছিলাম এখানে নিয়ে আসছেই মারবার জন্য। যাক, তা দেখছি নয়। শেষ ক—টা বছর যদি এখানেও একটু শান্তিতে থাকা যায়…!’

বৃদ্ধের কথা শেষ হল না, জুতোয় মসমস আওয়াজ তুলে একদল সশস্ত্র গার্ড ঢুকল হল ঘরে, ‘এই, তোমরা সবাই নিজেদের জামাকাপড় খুলে ফেলো। খুলে ওইদিকের হুকে ঝুলিয়ে দাও প্রত্যেকে। ঝটপট!’

এবার সবাই একটু অবাক হয়ে গেল। এ কী রে বাবা, সবাইকে জামা খুলতে হবে কেন!

কেউ কেউ মৃদু আপত্তি তুলতে লাগল। বিশেষ করে এই দলের পঙ্গু বা অসুস্থ অল্পবয়সি মেয়েগুলো। কিন্তু এই সশস্ত্র গার্ডগুলো কারুর কোনো কথা শুনল না, নিজে থেকে না খুললে ওরাই জোর করে জামাকাপড় খুলিয়ে দেবে সবার।

ফ্রিৎজ কোনো ঝামেলায় গেলেন না, লজ্জা, মান—সম্মান সব অনেক আগেই গিয়েছে, জামাকাপড় খুলে তিনি রেখে এলেন হুকে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রায় পাঁচশো সম্পূর্ণ উলঙ্গ মানুষে হল ঘরটা ছেয়ে গেল। মেয়েরা আড়ষ্ট, জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।

একজন গার্ড সামনে এসে একটা চোঙা মুখে লাগিয়ে বলল, ‘ভয়ের কিছু নেই। আগে তোমাদের সবাইকে পরিষ্কার করানো হবে, যাতে ক্যাম্পে কোনো রোগ না বাসা বাঁধে। সব মিটে গেলে আবার নতুন জামা দেওয়া হবে।’

লোকজন আবার আশ্বস্ত হল। অনেকেরই ঘর থেকে উচ্ছেদের কারণে বেশ কয়েকদিন সাফসুতরো হওয়া হয়নি, স্নান করে জামা যখন দেবে, এ আর মন্দ কী!

এবার সবাইকে ওই অবস্থায় পাশের আরেকটা ঘরে নিয়ে যাওয়া হল। এই ঘরটাও ফাঁকা, কিন্তু এর বিশেষত্ব হল, প্রতি বর্গফুটে একটা করে সরু সরু থাম একদম মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত বসানো রয়েছে। কংক্রিটের থাম নয়, লোহার পাইপ, যেগুলোর গায়ে প্রচুর ছিদ্র। ওইরকম পাইপে গোটা ঘরটা ভরতি।

‘কী অদ্ভুত দেখতে না এই থামগুলো?’ ফ্রিৎজ প্রশ্ন না করে পারলেন না।

সেই বৃদ্ধ পাশেই ছিলেন, বললেন, ‘আরে বুঝলেন না, এদের ব্যবস্থা অনেক ভালো। এই ফুটোগুলো দিয়ে শাওয়ারের মতো জোরে জল বেরোবে, এভাবেই এখানে সবাই স্নান করবে।’ প্রসন্ন মুখে বৃদ্ধ একটা থামের একদম মুখোমুখি দাঁড়িয়ে পড়লেন, ‘আহ, কতদিন যে ভালো করে স্নান করিনি!’

প্রায় পাঁচশো উলঙ্গ মানুষ গোটা ঘরটায় ওই লম্বা লম্বা থামগুলোর আনাচে কানাচে দাঁড়িয়ে রইল।

গার্ডরা ধীরে ধীরে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। বেরিয়ে গিয়েই ঘরটার একমাত্র দরজাটা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিল। লাইটও নিভিয়ে দেওয়া হল।

এবার সবাই বেশ ভয় পেয়ে গেল। মিশমিশে কালো অন্ধকার হলে কেউ কাউকে দেখতে পাচ্ছে না, বাচ্চারা চিৎকার করতে শুরু করল, তবুও সবাই পাশাপাশি দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগল, কখন শরীরে সামনের থামগুলো থেকে ঠান্ডা জল বেরিয়ে একটু শান্তি দেবে।

ফ্রিৎজের মনে কেমন একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছিল। ওঁর অভিজ্ঞতা বলছে এর বাইরেও অন্য কিছু একটা ঘটছে যেটা ওঁদের কারুর চোখে পড়ছে না। স্নান, নির্জীবাণুকরণ ঘর, সবই যেন মনে হচ্ছে ফাঁকি।

ওই হল ঘরের অতগুলো মানুষ এবং ফ্রিৎজ জানতেও পারলেন না, বাইরের লনে ততক্ষণে গার্ডরা নিয়ে এসেছে বড়ো বড়ো কয়েকটা টিন। লনটায় কিছুটা ছাড়া ছাড়া একটা করে কংক্রিটের পাইপের মুখ বেরিয়ে রয়েছে, সেগুলোর মুখগুলো শক্ত করে আঁটা।

এই পাইপগুলোই চলে গেছে ওই বিশাল হল ঘরের প্রতিটা থামে।

গার্ডরা জলদি মুখে মুখোশ পরে নিল, তারপর লনে মাথা বের করে থাকা ওই পাইপগুলোর মুখ সাবধানে খুলে কিছু একটা রাসায়নিক পদার্থ ঢেলে দিতে লাগল ভেতরে। তারপর মুখগুলো আবার বন্ধ করে দিল।

ওদিকে এখনও ওই থামগুলো থেকে জল না বেরোনোয় অন্ধকারে একটা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, কেউ ভয়ে চিৎকার করছে, কেউ আবার কাঁপছে থরথর করে অজানা আশঙ্কায়।

বাইরের লনের পাইপে ঢেলে দেওয়া পদার্থটা ঘরের মধ্যের পাইপগুলোয় এসেই এক মারাত্মক বিষাক্ত গ্যাস উৎপন্ন করল, আর ছিদ্র দিয়ে বেরিয়ে এসে সারা ঘর ভরে ফেলল।

অমানুষিক জান্তব চিৎকারে গোটা হলটা যেন মনে হল নরকের কোনো এক কুণ্ড। আর্তনাদে যেন মনে হল ফেটে যাবে ঘরটা। তীব্র বিষাক্ত গ্যাসে ও দহনজ্বালায় কিছুক্ষণ চলল নিজেদের প্রাণ বাঁচাবার আপ্রাণ বৃথা চেষ্টা। কেউ অন্যকে পিষে উপরে উঠে গ্যাসের বিষক্রিয়া থেকে সাময়িক মুক্তি পেতে চাইল, কেউ কোনো বাচ্চার শরীরটাকে দলা পাকিয়ে নাকের কাছে নিয়ে বাঁচতে চাইল সেই বিষ নিশ্বাস থেকে।

কোনো লাভ নেই।

মিনিট দশেকের মধ্যেই সব চুপচাপ হয়ে গেল।

ফ্রিৎজের দলা পাকানো শরীরটা অনেকের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছিল। সঙ্গে চাপা পড়ে গিয়েছিল শোষণের বিরুদ্ধে এক ছাইচাপা প্রতিবাদ।

কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর মাস্ক পরা গার্ডগুলো দরজাটা খুলল। ততক্ষণে বাইরে থেকে এই ঘরের মোটরচালিত ভেন্টিলেটর চালিয়ে দেওয়া হয়েছে, গ্যাস যেটুকু মৃতদেহগুলোর আনাচেকানাচে ঢুকে আছে, সেটা বেরিয়ে যাক।

বাইরে কয়েকটা বিশাল ট্রাক অপেক্ষা করছিল। গাদাগাদি করে পড়ে থাকা মৃতদেহ গুলোকে কপিকলে বেঁধে ট্রাকে তোলা হল। অন্যদিকে এই হতভাগ্যদের ছেড়ে আসা জামাকাপড়গুলো পাঠিয়ে দেওয়া হল ক্যাম্পের লন্ড্রিতে, কেচে সাফসুতরো করে সেগুলো পরতে দেওয়া হবে কর্মঠ বন্দিদের।

বেশ ভালো খরচ বাঁচানোর উপায়।

তালগোল পাকানো মৃতদেহর স্তূপগুলো একটু দূরের সেই বিশাল বিশাল ক্রিমেটোরিয়ামের চুল্লিগুলোতে গিয়ে ফেলে দেওয়া হল।

পোড়া মাংস আর চুলের গন্ধে ভরে উঠল জায়গাটা।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *