গর্ভপাত : নারীর একক ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত
সাম্প্রতিক একটি জরিপে জানা গেছে, প্রতি বছর সারা দেশে গড়ে ৮ লাখ মহিলা অবৈধ গর্ভপাত ঘটায় এবং তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৮ হাজার মহিলা গর্ভপাত-উত্তর নানান জটিলতায় মারা যায়। অর্থাৎ এরকম প্রতি একশ জন মহিলার মধ্যে এক জন মহিলা মারা যাচ্ছে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে জানা গেল, ১৩শ গর্ভপাতকারী মহিলার মধ্যে ৯০ শতাংশ মহিলারই প্রবল রক্তপাতসহ অসম্পূর্ণ গর্ভপাত ঘটে। পরিসংখ্যান থেকে আরো জানা যায়, মোট সংখ্যার অর্ধেকের বেশি মহিলার গর্ভপাত অদক্ষ হাতুড়ে ডাক্তারদের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। যেসব মহিলা গর্ভপাত ঘটায় তাদের অধিকাংশের বয়স ত্রিশের নিচে, তারা স্বল্পশিক্ষিত ও স্বল্প আয়ের। কিছুদিন আগে ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত এক অবিবাহিত ছাত্রী গোপনে গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণ অপারেশন ও প্রবল রক্তক্ষরণের ফলে মারা যায়। অনুসন্ধান করে জানা যায়, রাজধানীর অভিজাত অঞ্চলের একটি ক্লিনিকে যে-মহিলা নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে গর্ভপাত অপারেশন করেছিল, সে আসলে ক্লিনিক মালিকের নিকট- আত্মীয়, ডাক্তার নয়। গর্ভপাতের জন্যে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের বদলে হাতুড়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবার প্রধান কারণ তিনটি : (১) গর্ভপাত সর্বকালে সর্বত্র প্রচলিত থাকলেও এখন পর্যন্ত আমাদের মতো দেশে সামাজিক, নৈতিক বা ধর্মীয় দৃষ্টিতে ব্যাপারটি স্বাভাবিক বা গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয় না। ফলে সব সময়েই একটা গোপনীয়তা, একটা আড়ালের প্রয়োজন হয়। বিবাহিত মহিলার চাইতে অবিবাহিত মেয়েদের জন্যে এই রাখঢাকের দরকার আরো বেশি। তাদের অপরাধবোধ পর্বতসমান। (২) আর্থিক অসঙ্গতির জন্যে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ক্লিনিকে গিয়ে গর্ভপাত করানো অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। (৩) অবিভক্ত ভারতের মান্ধাতা আমলের একটি আইনের ধারা এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে প্রচলিত, যার ফলে ক্লিনিক বা হাসপাতালে গর্ভপাত করাবার জন্যে স্বামীর নাম ও তার সম্মতির প্রয়োজন হয়। এই বাধ্যবাধকতা থাকার দরুন স্বামীবিহীন মেয়েদের অযথা হয়রানির শিকার হতে হয়। স্বামী হিসেবে একটি নাম খাতায় রেজিস্ট্রি করা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই এই স্বামীটি হয় কাল্পনিক অথবা তার প্রদত্ত নামটি সঠিক নাম নয়। ফলে মেয়েটির স্বাস্থ্যগত বা আইনগত কোনো সমস্যা বা জটিলতা দেখা দিলে স্বামীটির টিকিটিও দেখা যায় না। গর্ভপাতের বিপক্ষে দেশে ও বিদেশে যারা সোচ্চার তারা সাধারণত দু ধরনের লোক— (১) প্রধানত ধর্মীয় অনুশাসনের কারণে একে মেনে নিতে পারেন না অনেকে; (২) ভ্রূণের যেহেতু আত্মসমর্থনের ক্ষমতা নেই, অথচ সে জীবন্ত এবং তার বেশ কিছু বোধের ক্ষমতা রয়েছে, অতএব একদল অতিমানব তাদের বেঁচে থাকার অধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হয়ে মায়ের জীবন, তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং কল্যাণের ব্যাপারটা অগ্রাহ্য করেন। গর্ভপাত কখনো পরিবার পরিকল্পনার রুটিন পদ্ধতি বলে বিবেচিত হতে পারে না—গর্ভরোধের প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতিগুলোর বিকল্প এটা নয়। এটি একটি অবাঞ্ছনীয় ঘটনা, তবে অনেক মেয়ের জন্যে কখনো কখনো তা একমাত্র এবং শেষ উপায়। অবশ্যই এটি একটি জরুরি ব্যবস্থা এবং কেবলমাত্র জরুরি ভিত্তিতেই একে প্রয়োগ করা হবে। গর্ভধারণের মতো প্রাকৃতিক একটি ঘটনা ঘটে গেছে একমাত্র এই কারণে সামর্থ্য, আগ্রহ বা প্রয়োজন ছাড়াও একটি নতুন প্রাণ সংযোজন করতেই হবে জীবনে— এ বাধ্যবাধকতা সমাজের জন্যে যেমন কল্যাণকর নয়, ব্যক্তি হিসেবে একটি নারীর জন্যেও তা অবমাননাকর এবং সমাজে তার গভীর অবমূল্যায়ন ও অসহায়ত্বেরই স্বাক্ষর বয়ে আনে তা। অনিচ্ছা, দুর্ঘটনা, অপরাধ অথবা অসতর্কতায় যে প্রাণের সূচনা, যা পরিবারে বা সমাজে কাম্য নয়, যার আগমন সুখকর নয় মাতাপিতা উভয়ের জন্যেই, যা মায়ের জীবনে অযথা জটিলতার সৃষ্টি করে, সে-প্রাণ চিকিৎসাবিদ্যায় উল্লিখিত নিরাপদ সময়সীমার মধ্যে বিনষ্ট করার অধিকার প্রতিটি নারীর থাকা উচিত। এ সিদ্ধান্ত নারীর এবং শুধুমাত্র নারীরই হতে হবে। স্বামী, প্রেমিক, বন্ধু অথবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের তাতে সহযোগিতা থাকলে ভালো, কিন্তু তাদের অবগতি বা সম্মতির বাধ্যবাধকতা থাকা চলবে না। গর্ভধারণ যেহেতু যুগ্ম-কর্মের ফসল, পুরুষসঙ্গী তার নৈতিক, সামাজিক ও আর্থিক দায়িত্ব বহন করবে—এটাই স্বাভাবিক ও কাম্য। গর্ভপাতের মতো একটি জটিল ও হৃদয়বিদারক সিদ্ধান্ত নিতে সংবেদনশীলতার সঙ্গে পুরুষটি যদি তার নারী সাথীটিকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসে, এর চেয়ে ভালো কিছু হয় না। কিন্তু শেষ সিদ্ধান্তটা নিতে হবে মেয়েটিকেই। গর্ভধারণ, প্রসব, স্তন্যদানের মতো দায়িত্বগুলো পরিপূর্ণভাবে এবং সন্তান প্রতিপালনের দায়িত্ব প্রধানত যেহেতু গ্রহণ করতে হয় তাকে, সে ছাড়া গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত আর কেউ নিতে পারে না, নেওয়া উচিত নয়। এই প্রসঙ্গে পশ্চিমা দুটি দেশে গর্ভপাত সম্পর্কিত আইনের সাম্প্রতিক দু- একটি পরিবর্তন, যা বর্তমান সময় ও পরিস্থিতির সাথে অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ, উল্লেখ না করে পারছি না। বিভক্ত অবস্থায় পশ্চিম-জার্মানিতে আইনগতভাবে গর্ভপাত একমাত্র সম্ভব হত— (১) যদি ডাক্তারের মতে এই গর্ভাবস্থা বা প্রসব মায়ের জীবন সংশয় করে; (২) যদি গর্ভের সন্তান মানসিক বা শরীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়; অথবা (৩) যদি এই গর্ভাবস্থা সামাজিক-মনস্তাত্ত্বিক গভীর কোনো সংকট বা সমস্যার সৃষ্টি করে। পূর্ব- জার্মানিতে অবশ্য ইচ্ছে করলেই কেউ গর্ভপাত করতে পারত। এখন দুই জার্মানি একত্রিত হয়ে যাওয়ায় এক দেশে দুই নিয়ম যেহেতু প্রযোজ্য হতে পারে না, সম্প্ৰতি নতুন একটি আইন পাস হয়েছে যা সমগ্র জার্মানিতে কার্যকর হবে। সেটা হলো- গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত এখন থেকে কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সরকার বা ডাক্তারের কারো নয়, একমাত্র মহিলার নিজের। অন্তঃসত্তা হবার প্রথম তিন মাসে যে-কোনো মহিলা চাইলে গর্ভপাত ঘটাতে পারে; একমাত্র শর্ত—তাকে এ ব্যাপারে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে, যে-পরামর্শের একমাত্র উদ্দেশ্য এ প্রক্রিয়া থেকে নারীটিকে বিরত করা এবং বিকল্প ব্যবস্থার জন্যে সুপারিশ করা। গর্ভপাতের এই আইনের সঙ্গে অবশ্য আরো একটি আইন পাস হয়েছিল যা নিশ্চয়তা দিয়েছিল যে, প্রতিটি জার্মান শিশুর জন্যে কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থান সঙ্কুলান হবে। গর্ভপাত সম্পর্কে এ নতুন ব্যবস্থায় সরকার ও ডাক্তাররা খুশি এই জন্যে যে, তাদের আর এই অপ্রীতিকর ব্যাপারটিতে সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে না, মেয়েরাই সে দায়িত্ব বহন করবে। কিন্তু রোমান ক্যাথলিক চার্চ ইতোমধ্যে গরিব মেয়েদের মধ্যে বিনে পয়সায় গর্ভপাত সম্পর্কিত পরামর্শ দেওয়া বন্ধ করে দেবার কথা গভীরভাবে বিবেচনা করছে। কেননা তারা মনে করে, মেয়েরা এ ব্যাপারে পুরোপুরি সিদ্ধান্ত নেবার পরই পরামর্শ নিতে আসে গির্জায় কেবলমাত্র নিয়মটুকু রক্ষা করতে। ফলে ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চ মনে করে, বিনা পয়সায় গর্ভপাত সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকারান্তরে গর্ভপাতের সহযোগী শক্তি হিসেবেই কাজ করবে যা তারা ধর্মীয় কারণে অনুমোদন করতে পারে না। যাই হোক, মেয়েদের ইচ্ছায় গর্ভপাত ঘটবে—এ আইন পাস হবার পর কয়েকটি মৌলবাদী রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় একটি সংস্থা এই বিশেষ আইনটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোর্টে ইনজাংশন দিয়েছে। তারা দাবি করেছে, এই সংশোধিত আইন জার্মানির সংবিধান বহির্ভূত। আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাতের ব্যাপারে নিয়মকানুন ভিন্ন। সম্প্রতি আদালতে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাতবিষয়ক আইনের কিছুটা রদবদল হয়েছে। ওখানকার আইনের ধারায় একটি মেয়েকে এ পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যাবার আগে কতগুলো শর্ত মেনে চলতে হত। (১) প্রথমত তাকে সমাজকল্যাণ সংস্থা বোঝাতে চেষ্টা করে গর্ভপাতের চাইতে সন্তান প্রসবের বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক সুবিধেগুলো। তাকে এ নিশ্চয়তাও দেওয়া হয় যে, ভূমিষ্ঠ সন্তানের দায়িত্ব সে অনায়াসে সমাজকল্যাণ সংস্থা অথবা সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে পারে। (২) গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত হয়ে যাবার পর আরো বাড়তি ২৪ ঘণ্টা তাকে অপেক্ষা করতে হবে তার মতের স্থিরতা যাচাই করার জন্যে। (৩) যদি আঠারো বছরের নিচে বয়স হয় মেয়েটির, তা হলে তার মা-বাবার অনুমতির প্রয়োজন হয়; তবে বিশেষ জরুরি অবস্থায় (ধর্ষণ বা অবৈধ পারিবারিক যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে) মাতাপিতার মতামতকে অহেতুক বাড়াবাড়ি বলে বিবেচিত হলে বিচারকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। (৪) ব্যাপারটা স্বামীকে অবগত করাতে হবে (একমাত্র যে ক্ষেত্রে স্বামীর অজ্ঞাতে গর্ভপাত সম্ভব, তা হলো যদি স্ত্রী প্রমাণ করতে পারে এ অবগতির জন্যে তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বা তা করা হতে পারে)। পেনসিলভেনিয়ার সাম্প্রতিক আইনের পরিবর্তনের ফলে ওপরে উল্লিখিত সবগুলো নিয়মই বহাল রাখা হয়েছে। শুধু স্বামীর অবগতির শর্তটা তুলে নেওয়া হয়েছে। কেননা কোর্টের মতে স্বেচ্ছায় যদি স্বামী মত না দেয়, তা হলে স্বামীর অবগতির ব্যাপারটা আইনে জুড়ে দেবার ফলে গর্ভপাত ঘটাবার সম্ভাবনা একটি মেয়ের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের তুলনায় আমেরিকায় সামাজিক ও আইনগতভাবে গর্ভপাতের ব্যাপারে নিয়মকানুন ও বিধিনিষেধ একটু বেশি কড়া। তা সত্ত্বেও সেখানকার কোনো কোনো অঞ্চলে স্বামীর অবগতির ব্যাপারটিকে আইন থেকে পরিত্রাণ দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশেও অনুরূপ নিয়ম হওয়া একান্ত জরুরি। গর্ভপাত একটি মেয়ের জন্যে কোনো সুখকর ঘটনা নয়—শরীর ও মন দুই দিক বিবেচনা করেই। তা সত্ত্বেও কোনো মহিলা যখন এই যন্ত্রণাদায়ক পদ্ধতির ভেতর দিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন এই ব্যাপারটি তার স্বাস্থ্যের জন্যে যদি ঝুঁকিপূর্ণ না হয়, তা হলে সে ব্যাপারে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। প্রত্যেকের মনে রাখা উচিত—গর্ভধারণ ও গর্ভপাত দুটি প্রাকৃতিক ও শারীরিক প্রক্রিয়ার সঙ্গেই মেয়েদের গভীর আবেগের সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে। যে গর্ভপাত করতে মনস্থির করেছে সে তা করবেই। আইনকানুন, পুলিশ, আদালত, ধর্ম, শাস্তির ভয় কোনো কিছুই তা রোধ করতে পারবে না। গর্ভপাতের নিয়মকানুনে শিথিলতা কোনো সমাজে নৈতিক অবক্ষয় বয়ে এনেছে এমন দৃষ্টান্ত দেওয়া যায় না। কেননা কোনো দেশ বা সমাজ শুধু নয়, ব্যক্তিগতভাবেও কেউ এ পদ্ধতিকে গর্ভরোধের সাধারণ ও স্থায়ী উপায় বলে বিবেচনা করে না। তবে যখন এর প্রয়োজন বোধ করা যায়, তখন প্রচলিত আইনের মাধ্যমে সহজভাবে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে সেটি ঘটানো যদি সম্ভব না হয়, তখন মানুষ বিকল্প উপায়ে তা করার চেষ্টা করে যা অহেতুক মেয়েদের জীবন সংশয়াপন্ন করে তোলে। গর্ভপাতের ব্যাপারে অযথা জটিলতা ও কড়াকড়ি প্রকারান্তরে সমাজের কোনো কল্যাণ বয়ে আনে না। আমেরিকার National Abortion Federation, “These hurdles will be responsible for an increase in delayed and therefore riskier abortion procedures.” মেয়েদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ ও নিয়মকানুন রোধ করতে এবং সভ্যতার স্বার্থে গর্ভপাতের ব্যাপারে তাদের একক সিদ্ধান্তকে মেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। খাদ্যগ্রহণ থেকে শুরু করে চিকিৎসার অধিকার, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রতিটি ব্যাপারে এদেশে মেয়েরা বৈষম্যের শিকার। তাদের স্বাস্থ্য, তাদের কল্যাণ, তাদের বিকাশের কথা বিবেচনা করে গর্ভপাত সম্পর্কে সুস্থ আইনকানুন ও দৃষ্টিভঙ্গি এবং বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ একান্ত প্রয়োজন-যাতে করে ত্রুটিপূর্ণ এই পদ্ধতির সুযোগ নিতে গিয়ে প্রতি বছর হাজার হাজার সম্ভাবনাময় তরুণীকে অকালে প্রাণ হারাতে না হয়। (বাংলাদেশে গর্ভপাত বৈধ না হলেও “মাসিক নিয়মিতকরণ”-এর নামে এটি এখন প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেতে ও আইনগত জটিলতা এড়াতে সক্ষম।)