কেন আমায় পাগল করে যায়

কেন গো সে মোরে যেন করে না বিশ্বাস

কেন ধরে রাখা ও যে যাবে চলে

কেন বাজাও কাঁকন কনকন কত ছলভরে

কেন বাণী তব নাহি শুনি নাথ হে

কেন যে মন ভোলে আমার

কেন রে এই দুয়ারটুকু পার হতে সংশয়

কেন রে এতই যাবার ত্বরা

কেন রে চাস ফিরে ফিরে, চলে আয় রে চলে আয়

কেন সারা দিন ধীরে ধীরে

কেমনে ফিরিয়া যাও না দেখি তাঁহারে

কেমনে রাখিবি তোরা তাঁরে লুকায়ে

কেমনে শুধিব বলো তোমার এ ঋণ

কেহ কারো মন বুঝে না

কোথা বাইরে দূরে যায় রে উড়ে

কোথা যে উধাও হল মোর প্রাণ উদাসী

কোথা হতে বাজে প্রেমবেদনা রে

কোথা হতে শুনতে যেন পাই

কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে

কোথায় আলো কোথায় ওরে আলো

কোথায় তুমি, আমি কোথায়

কোথায় ফিরিস পরম শেষের অন্বেষণে

কোন্‌ খেপা শ্রাবণ ছুটে এল আশ্বিনেরই আঙিনায়

কোন্‌ গহন অরণ্যে তারে এলেম হারায়ে

কোন্‌ সুদূর হতে আমার মনোমাঝে

কোন্‌ অযাচিত আশার আলো

কোন্‌ আলোতে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে তুমি ধরায় আস

কোন্‌ খেলা যে খেলব কখন ভাবি বসে সেই কথাটাই

কোন্‌ দেবতা সে

কোন্‌ পুরাতন প্রাণের টানে

কোন্‌ বাঁধনের গ্রন্থি বাঁধিল দুই অজানারে

কোন্‌ শুভখনে উদিবে নয়নে অপরূপ রূপ-ইন্দু

কোন্‌ সে ঝড়ের ভুল ঝরিয়ে দিল ফুল

কোলাহল তো বারণ হল, এবার কথা কানে কানে

ক্লান্ত বাঁশির শেষ রাগিণী বাজে শেষের রাতে

ক্লান্ত যখন আম্রকলির কাল

ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্রভু

ক্ষত যত ক্ষতি যত মিছে হতে মিছে

ক্ষমা করো মোরে সখী, শুধায়ো না আর

খরবায়ু বয় বেগে চারি দিক ছায় মেঘে

খুলে দে তরণী খুলে দে তোরা

খেলা কর্ খেলা কর্ তোরা কামিনীকুসুমগুলি

খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি আমার মনের ভিতরে

খেলার ছলে সাজিয়ে আমার গানের বাণী

খোলো খোলো দ্বার রাখিয়ো না আর

খ্যাপা তুই আছিস আপন খেয়াল ধরে।

গগনে গগনে আপনার মনে কী খেলা তব

গগনে গগনে ধায় হাঁকি

গন্ধরেখার পন্থে তোমার শূন্যে গতি

গভীর রজনী নামিল হৃদয়ে, আর কোলাহল নাই

গরব মম হরেছ, প্রভু, দিয়েছ বহু লাজ

গহন ঘন ছাইল গগন ঘনাইয়া

গহন ঘন বনে পিয়াল-তমাল-সহকার-ছায়ে

গহন রাতে শ্রাবণধারা পড়িছে ঝরে

গা সখী গাইলি যদি আবার সে গান

গাও বীণা– বীণা, গাও রে

গান আমার যায় ভেসে যায়

গানগুলি মোর শৈবালেরই দল

গানে গানে তব বন্ধন যাক টুটে

গানের ঝরনাতলায় তুমি সাঁঝের বেলায় এলে