আকাশ আমায় ভরল আলোয়

ওই ভাঙল হাসির বাঁধ

মন যে বলে চিনি চিনি

এবার ভাসিয়ে দিতে হবে আমার এই তরী

চেনা ফুলের গন্ধস্রোতে ফাগুন-রাতের অন্ধকারে

দারুণ অগ্নিবাণে রে হৃদয় তৃষায় হানে রে

ওই আসে ওই অতি ভৈরব হরষে

ছায়া ঘনাইছে বনে বনে

ওরে ঝড় নেমে আয়

ভোর হল যেই শ্রাবণশর্বরী

গগনে গগনে আপনার মনে কী খেলা তব

ভোর থেকে আজ বাদল ছুটেছে

মোর ভাবনারে কী হাওয়ায় মাতালো

মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি

সারা নিশি ছিলেম শুয়ে বিজন ভুঁয়ে

সে দিন আমায় বলেছিলে আমার সময় হয় নাই

আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে

মোর বীণা ওঠে কোন্‌ সুরে বাজি

ও আমার চাঁদের আলো

বকুলগন্ধে বন্যা এল দখিন হাওয়ার স্রোতে

বসন্তে আজ ধরার চিত্ত হল উতলা

মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে

এসো এসো হে তৃষ্ণার জল

ঝরঝর বরিষে বারিধারা

এই শ্রাবণ-বেলা বাদল-ঝরা

এই শ্রাবণের বুকের ভিতর আগুন আছে

বৃষ্টিশেষের হাওয়া কিসের খোঁজে

শ্রাবণ তুমি বাতাসে কার আভাস পেলে

নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে

আমার প্রিয়ার ছায়া

আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরি খেলা

দেখো দেখো দেখো শুকতারা আঁখি মেলি চায়

নমো নমো নমো

এনেছ ওই শিরীষ বকুল আমের মুকুল

ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে

ও চাঁদ তোমায় দোলা দেবে কে

বাসন্তী হে ভুবনমোহিনী

তুমি কোন্‌ পথে যে এলে পথিক

আমার মালার ফুলের দলে আছে লেখা

হৃদয় আমার ওই বুঝি তোর বৈশাখী ঝড় আসে

গহন ঘন ছাইল গগন ঘনাইয়া

শ্রাবণবরিষন পার হয়ে কী বাণী আসে ওই রয়ে রয়ে

মেঘের কোলে কোলে যায় রে চলে বকের পাঁতি

বাদল-ধারা হল সারা

কেন পান্থ এ চঞ্চলতা

থামাও রিমিকি-ঝিমিকি বরিষন

ওগো সাঁওতালি ছেলে

আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ

ওলো শেফালি ওলো শেফালি

শীতের হাওয়ার লাগল নাচন

ও মঞ্জরী ও মঞ্জরী আমের মঞ্জরী

এতদিন যে বসেছিলেম পথ চেয়ে আর কাল গুনে

শুক্‌নো পাতা কে যে ছড়ায় ওই দূরে

আন্‌ গো তোরা কার কী আছে

অনেক দিনের মনের মানুষ যেন এলে কে

আজি কমলমুকুলদল খুলিল

এসো এসো এসো হে বৈশাখ

হেরিয়া শ্যামল ঘন নীল গগনে

আজ কিছুতেই যায় না মনের ভার

উতল-ধারা বাদল ঝরে