৩৯. শুক্লযজুর্বেদ – ঊনচত্বারিংশ অধ্যায়

ঊনচত্বারিংশ অধ্যায়

মন্ত্রঃ– স্বাহা প্রাণেভ্যঃ সাধিপতিকেভ্যঃ। পৃথিব্যৈ স্বাহাইয়ে স্বাহান্তরীক্ষায় স্বাহা বায়বে স্বাহা।দিবে স্বাহা সুর্যায় স্বাহা।১৷ দিভ্যঃস্বাহা চায় স্বাহা। নক্ষত্রেভ্যঃস্বাহাইত্তঃ স্বাহা বহুণায় স্বাহা। নাভ্যৈ স্বাহা পূতায় স্বাহা৷৷২। বাঁচে স্বাহা প্ৰাণায় স্বাহা প্রাণায় স্বাহা। চক্ষুষে স্বাহা চক্ষুষে স্বাহা। শ্রোত্রায় স্বাহা শ্রোতায় স্বাহা।।৩৷৷ মনসঃ কামমাকুতিং বাচঃ সত্যমশীয়। পপুনাং রূপমন্নস্য রসো যশঃ শ্ৰী শ্ৰয়তাং ময়ি স্বাহা৷৷৷৷ প্রজাপতিঃ সম্রিয়মাণঃ সম্রাট সংভূতো বৈশ্বদেবঃ সংসগো ঘর্মঃ প্রবৃক্তস্তেজ উদ্যত আশ্বিনঃ পয়সানীয়মানে পৌষ্ণো বিষন্দমানে মারুতঃ ক্লথ। মৈত্রঃ শরসিসন্তাষ্যমানেবায়বব্যাহ্রিয়মাণ আগ্নেয়ো হুয়মানো বাথুতঃ।৫৷৷ সবিতা প্রথমেহগিৰ্বিতীয়ে বায়ুস্তৃতীয় আদিত্যশ্চতুর্থে চন্দ্ৰমাঃ পঞ্চম ঋতুঃ ষষ্ঠে মরুতঃ সপ্তমে বৃহস্পতিরষ্টমে। মিত্রা নবমে বরুণো দশম ইন্দ্র একাদশে বিশ্বে দেবা কাদশে।।৬। উগ্র ভীমশ্চ ধ্বান্তশ্চ ধুনিস্ট। সাসাশ্চাভিযুথা চ বিক্ষিপঃ পাহা৷৷৷৷ অগ্নিং হৃদয়েনাশনিং হৃদয়াণে পশুপতিং কৃৎস্নহৃদয়েন ভবং যা। শর্বং মতাভ্যামীশানং মনা মহাদেবমন্তঃ পৰ্শবোনোগ্রং দেবং বনিষ্ঠুনা বসিষ্ঠহনুঃ শিঙ্গীনি কোশ্যাভ্যাম্।৮৷৷ উগ্রং লোহিতেন মিত্রং সৌব্রত্যেন রুদ্রং দৌব্রত্যেনেং প্রীড়েন মরুততা বলেন সাধ্যান্ প্রমুদা। ভস্য কণ্ঠ্যং রূদ্রস্যান্তঃ পার্শ্বং মহাদেবস্য যকৃচ্ছস্য নিষ্ঠুঃ পশুপতেঃপুরীতং৯৷ লোমভ্যঃ স্বাহা লোমভ্যঃস্বাহাত্বচেস্বাহা কাঁচে স্বাহা লোহিতায় স্বাহা লোহিতায় স্বাহা মেদোভ্যঃ স্বাহা মেদোভ্যঃ স্বাহা মাংসেভ্যঃ স্বাহা মাসেভ্যঃ স্বাহা স্নাবভ্যঃ স্বাহা স্নাবভ্যঃ স্বাহাইস্থভ্যঃ স্বাহাইস্থভ্যঃ স্বাহা মজ্জাভ্যঃ স্বাহা মজ্ঞভ্যঃস্বাহা। রেতসে স্বাহা পায়বে স্বাহা।১০। আয়াসায়, যাহা প্রায়াসায় স্বাহা সংযাসায় স্বাহা বিয়াসায় স্বাহোদ্যাসায় স্বাহা। শুচে স্বাহা শশাচতে স্বাহা শোচমানায় স্বাহা শশাকায় স্বাহা।১১। তপসে স্বাহা প্যতে স্বাহা প্যমানায় স্বাহা তপ্তায় স্বাহা ঘর্মায় স্বাহা। নিষ্কৃত্যৈ স্বাহা প্রায়শ্চিত্যৈ স্বাহা ভেষজায় স্বাহা।১২৷৷ যায় স্বাহাইস্তকায় স্বাহামৃত্যবেস্বাহা।ব্রহ্মণেস্বাহাব্ৰহ্মহত্যায়ৈ স্বাহা। বিশ্বেভ্যো দেবেভ্যঃ স্বাহা দ্যাবা পৃথিবীভ্যাং স্বাহা।১৩৷৷

 [কাণ্ড-১৩, মন্ত্র-১১৬]

.

মন্ত্ৰার্থঃ— ১।(প্রবর্গ বা ঘর্ম ভেদিত বা ভগ্ন হওয়ার পর প্রায়শ্চিত্তি সম্পর্কিত আহুতিসমূহ বিধৃত হচ্ছে)–হিরণ্যগর্ভের সাথে বর্তমান প্রাণসমূহের উদ্দেশ্যে স্বাহা মন্ত্রে পূর্ণাহুতি প্রদান করছি। পৃথিবী, অগ্নি, অন্তরিক্ষ, বায়ু, দুলোক ও সূর্যের উদ্দেশ্যে স্বাহা মন্ত্রে পূর্ণাহুতি প্রদান করছি।

২। দিকসমূহ, চন্দ্রমা, নক্ষত্র সমুদায়, আপঃ (জলরাশি) বরুণ, নাভিনামক দেবদ্বয় ও পূতায় (অর্থাৎ শোধক দেবতার) উদ্দেশ্য স্বাহা মন্ত্রে পূর্ণাহুতি প্রদান করছি।

৩। বাক্, প্রাণদ্বয়, চক্ষুদ্বয় ও শ্রোত্রদ্বয়ের অধিষ্টাতৃ দেবতাগণের উদ্দেশ্যে স্বাহা মন্ত্রে পূর্ণাহুতি প্রদান করছি।

৪। মনের কামনার পূর্তি সঙ্কল্পের সিদ্ধি এবং বাক্যের সত্যতাকে আমি যেন প্রাপ্ত হই। পশুসমূহের রূপ, অন্নের রস, যশ ও লক্ষ্মী (বা ঐশ্বর্য) আমাতে আশ্রয়ণ করুক। সেই উদ্দেশ্যে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি।

৫। (নিষ্ঠিত অভিস্পর্শ হতে গ্রহণ পূর্বক ছাগদুগ্ধের দ্বারা সিঞ্চন পর্যন্ত কালে মহাবীরের সংজ্ঞা সম্রিয়মাণ হয়ে থাকে। এই অবস্থায় এর অধিপতি প্রজাপতি হয়ে থাকে। এই সময় ভগ্নের পর প্রজাপতির উদ্দেশ্যে আহুতি প্রদান করণীয়)–সস্রিয়মাণ ঘর্ম প্রজাপতিদেবতাক। প্রজাপতির উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (এরপর কুশসমূহের উপর ধারণ পর্যন্ত কালে, ভগ্ন হলে ঘর্মকে সস্তৃত বলা হয়। তাতে সম্রাট প্রায়শ্চিত্ত দেবতা হয়ে থাকে)–আমি সস্তৃত ও সম্রাট দেবদ্বয়ের উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে আহুতি প্রদান করছি। তারপর কুশের শূন্যস্থানের উপর ধারণ পর্যন্ত তাকে সংসন্ন বলা হয়। সেই সময় বৈশ্বদেব প্রায়শ্চিত্তীয় দেবতা হয়ে থাকে। অতএব–আমি সংসন্ন ও বৈশ্বদেবগণের উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে আহুতি প্রদান করছি। (পরিশাসসমূহের দ্বারা গ্রহণ পর্যন্ত তা প্রবৃক্ত: সংজ্ঞক হয়ে থাকে। সেই কালে ভগ্ন হলে কেবল ঘর্মের নিমিত্ত স্বাহা বলা উচিত। অর্থাৎ)–আমি প্রবৃক্ত ঘর্মদেবের উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (উদ্যতপন হতে গ্রহণ পূর্বক ছাগ দুগ্ধে সিঞ্চন পর্যন্ত তাকে উদ্যত বলা হয়। তখন ভগ্ন হলে তেজের নিমিত্ত স্বাহা বলা উচিত)–আমি উদ্যত তেজের উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (দুগ্ধ লওয়ার দিকে ছাগকে দুগ্ধের দ্বারা সিঞ্চন পর্যন্ত ঘর্ম আশ্বিদেবতাক হয়ে থাকে। তখন ভগ্ন হওয়ার পর অশ্বিনদ্বয়কে স্বাহা বলা উচিত)–আমি অশ্বিনদ্বয়ের উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি।(ঘৃতের বাহিরে সুবিত হওয়ার সময় ভগ্ন হবার পর ঘর্ম পূষাদেবতাক হয়ে যায়। তখন বলতে হয়)–আমি পূষা দেবতার উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (ঘর্মের অন্দরে ঘৃত অবর্তনকালে ঘর্ম মরুৎদেবতাক হয়ে যায়। তখন ভগ্ন হলে বলতে হয়)–আমি মরুৎদেবতার উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (মথনের সময় ঘৃতের বিন্দুকে বা গাঢ়তাকে পরীক্ষার সময় ঘর্ম মিত্রদেবতাক হয়। তখন ভগ্ন হলে বলতে হয়)–আমি মিত্র দেবতার– উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (আহবনীয়ে হ্রিয়মান ঘর্ম বায়ুদেবতাক হয়ে থাকে। তখন ভগ্ন হলে, বলতে হয়)–আমি বায়ুর উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (আহ্বায়মাণ ঘর্ম, অগ্নিদেবতাক হয়ে থাকে। তখন ঘর্ম যদি ভগ্ন হয়, বলতে হয়) আমি অগ্নি দেবতার উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি।

৬। (প্রথম দিনটি সবিতা দেবতার হয়ে থাকে। অতএব প্রথম দিনে ঘর্ম ভগ্ন হওয়ার পরে বলতে হয়)–আমি সবিতা দেবতার উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (দ্বিতীয় দিনটি অগ্নি দেবতার হয়ে থাকে। অতএব দ্বিতীয় দিনে ঘর্ম ভগ্ন হলে বলতে হয়)–আমি অগ্নি দেবতার উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (তৃতীয় দিন ঘর্মদেব বায়ু দেবতার হয়ে থাকে। অতএব তৃতীয় দিনে ঘর্ম ভগ্ন হলে বলতে হয়)–আমি বায়ুর উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (চতুর্থ দিনটি আদিত্য দেবতার হয়ে থাকে। অতএব চতুর্থ দিনে ঘর্ম ভগ্ন হলে বলতে হয়) আমি আদিত্যের উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (পঞ্চম দিনটিতে ঘর্ম চন্দ্রদেবতার হয়ে থাকে। তখন ভগ্ন হলে বলতে হয়)–আমি চন্দ্রমার উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (ষষ্ঠ : দিনে ঘর্ম ভগ্ন হলে বলতে হয়) –আমি ঋতুসমূহের উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (সপ্তম দিনের মরুৎ দেবতা। তখন ভগ্ন হলে বলতে হয়)–আমি মরুত্ত্বর্গের উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (অষ্টম দিনটি বৃহস্পতি দেবতার হয়ে থাকে। তখন ভগ্ন হলে বলতে হয়)–আমি বৃহস্পতি দেবতার উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (নবম দিনের দেবতা মিত্র। অতএব তখন ঘর্ম ভগ্ন হলে বলতে হয়)–আমি মিত্র দেবের উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (দশম দিনটিতে ঘুমের দেবতার বরুণ। তখন ভগ্ন হলে বলতে হয়)–আমি বরুণ দেবতার উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (একাদশতম দিনটি ইন্দ্র দেবতার। তখন ঘর্ম ভগ্ন হলে পর বলতে হয়) আমি ইন্দ্রের উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (দ্বাদশতম দিনটিতে ঘর্মের দেবতা হয়। বিশ্বদেবগণ। অতএব ঐ দিবসে ঘর্ম ভগ্ন হলে বলতে হয়)–আমি বিশ্বদেবগণের উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদান করছি। (এইভাবে বলে প্রায়শ্চিত্ত করা উচিত)৷

৭। উগ্র (উৎকৃষ্ট), ভীম (বিভেদকারী), ধ্বস্ত (ধ্বনি উৎসারণকারী), ধুনি (শত্রুগণকে কম্পিতকারী), সাসন (শত্রুগণের যুদ্ধাহ্বান সহনশালী। বা গ্রহণকারী), অভিযুথা (সম্মুখে যোগপ্রাপ্তশীল) এবং বিক্ষিপঃ (শগণকে বিক্ষিপ্তকারী)–এই নামে  অভিহিত সপ্ত মরুতের উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে আহুতি প্রদান করছি।

৮। (এই অধায়ের অবশিষ্ট মন্ত্রগুলি অশ্বমেধের আহুতি)–আমি অশ্বের হৃৎপিণ্ডের দ্বারা অগ্নিদেবতাকে প্রীণিত করছি, হৃৎপিণ্ডের অগ্রভাগেরদ্বারা অশনিদেবতাকে প্রীণিত করছি। সমস্ত হৃদয় খণ্ডের দ্বারা পশুপতিদেবকে প্রীণিত করছি। অশ্বের যকৃতের দ্বারা আমি ভবদেবকে, মতব (হৃদয়াস্থিবিশেষের) দ্বারা শর্ব দেবতাকে, অশ্বের ক্রোধের দ্বারা ঈশান দেবতাকে, পার্শ্বের অস্থিসংলগ্ন মাংসের দ্বারা মহাদেব দেবকে, বৃহদন্ত্রের (অর্থাৎ ভুল অন্ত্রের) দ্বারা উগ্রদেবকে এবং বসিষ্ঠের হনুঃ বা কপোলের নিম্নভাগ ও হৃদয়কোশস্থ মাংসপিণ্ডের দ্বারা শিঙ্গীনি নাম্নী দেবতার প্রীতিসাধন করছি।

৯। আমি অষের রক্তের দ্বারা উগ্রকে, অশ্বের শুভ। কার্যসমূহের দ্বারা মিত্রদেবকে, অশ্বের দুষ্ট কর্মসমূহের দ্বারা রুদ্রকে, অশ্বের প্রক্রীড়ন অর্থাৎ প্রকৃষ্ট ক্রীড়ার দ্বারা ইন্দ্রকে, বলের দ্বারা মরুৎবর্গকে এবং প্রকৃষ্টরূপ হর্ষের দ্বারা সাধ্য দেবতাগণকে প্রীণিত করছি। অশ্বের কণ্ঠস্থিত মাংসের দ্বারা ভগদেবকে, পার্শ্বের অন্তর্মধ্যে অর্থাৎ মাংসবন্ত পার্শ্বদেশের দ্বারা রুদ্রদেবতাকে, যকৃতের দ্বারা মহাদেবকে, বৃহদন্ত্রের দ্বারা শর্বদেবকে এবং অশ্বের হৃদয়াচ্ছাদক নাড়ীর দ্বারা পশুদেবতাকে প্রীণিত করছি।

১০। অশ্বের লোমের উদ্দেশে স্বাহা স্বাহা; ত্বকের উদ্দেশে স্বাহা স্বাহা; লোহিত বা রক্তের উদ্দেশে স্বাহা স্বাহা, মেদের উদ্দেশে স্বাহা স্বাহা; মাংসের উদ্দেশে স্বাহা স্বাহা। স্নায়ুসমূহের উদ্দেশে স্বাহা স্বাহা; অস্থিসমূহের উদ্দেশে স্বাহা স্বাহা; মজ্জার উদ্দেশে স্বাহা স্বাহা; বীর্যের উদ্দেশে স্বাহা; এবং পায়ুর উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে আহুতি প্রদান করছি।

১১। আমি আয়াস নামক দেববিশেষের উদ্দেশে, প্রয়াস নামক দেবের নিমিত্ত, সংয়াস নামক দেবতার উদ্দেশে, বিয়াস নামক দেবতার নিমিত্ত, উদ্যাস নামক দেবের উদ্দেশে, শু (অর্থাৎ মনস্তাপের অধিষ্ঠাতা) দেবের উদ্দেশে, শোককে প্রাপ্ত করণশালী দেবের উদ্দেশে, শোচমান দেবতার নিমিত্ত এবং শোকের উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে। আহুতি প্রদান করছি।

১২। আমি তপের উদ্দেশে, তপ করণশালীর উদ্দেশে, তপ্যমানের উদ্দেশে, তপ্তের উদ্দেশে, ঘর্মের উদ্দেশে, নিষ্কৃতির উদ্দেশে, প্রায়শ্চিত্তের উদ্দেশে, প্রায়শ্চিত্তের উদ্দেশে এবং ভেষজের উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে আহুতি প্রদান করছি।

১৩। আমি যমের উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে আহুতি প্রদান করছি। আমি অন্তকের উদ্দেশে, মৃত্যুর উদ্দেশে, ব্রহ্মের উদ্দেশে, ব্রহ্মহত্যার উদ্দেশে, বিশ্বদেবগণের উদ্দেশে এবং দ্যাবাপৃথিবীর উদ্দেশে স্বাহা মন্ত্রে আহুতি প্রদান করছি।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *