২৬. শুক্লযজুর্বেদ – ষড়বিংশ অধ্যায়

ষড়বিংশ অধ্যায়

মন্ত্রঃ– অগ্নিশ্চ পৃথিবী চ সন্নতে তে মে সং নমতামদো। বায়ুশ্চান্তরিক্ষং চ সন্নতে তে মে সং নমতামদ। আদিতাশ্চ দৌশ্চ সন্নতে তে মে সংনমতামদ। আপশ্চ বরুণশ্চ সন্নতে তে মে সং নমতামদঃ। সপ্ত সংসদো অষ্টমী ভূতসাধনী। সকাম অনঙ্কুরু সংজ্ঞানমস্তু মেহমুনা ॥১॥ যথোমাং বাচং কল্যাণীমাবদানি জনেভ্যঃ। ব্রহ্মরাজন্যাভ্যাং শুদ্রায় চার্যায় চ স্বয় চারণায় চ। প্রিয়ো দেবানাং দক্ষিণায়ৈ দাতুরিহ ভূয়াসময়ং মে কামঃ সমৃধ্যতামূপ মাদো নমতু৷৷২। বৃহস্পতে অতি যদৰ্যো অহাদ দুমদ্বিভাতি তুমজ্জনেষু। যদ্দীদয়চ্ছবস ঋতপ্ৰজাত তদস্মাসু দ্রবিণং ধেহি চিত্র। উপযামগৃহীতোহসি বৃহস্পতয়ে ত্বৈ ষ তে যোনি বৃহস্পতয়ে ত্বা৷৷৩৷৷ ইন্দ্ৰ গোমন্নিহা বাহি পিবা সোমং শতক্রতো। বিদ্যক্তিগ্রাবভিঃ সুত। উপযামগৃহীতোহসীন্দ্রায় ত্বা। গোমত এষ তে যোনিরিদ্ৰায় ত্বা গোমতে।৪৷ ইন্দ্রা যাহি বৃত্ৰহম্পিৰা সোমং শতক্রতো৷ গোমদ্ভিগ্নাবভিঃ সুত। উপযামগৃহীতোহসায় ত্বা গোমত এষ তে। যোনিরিদ্ৰায় ত্বা গোমতে৷৷৷৷ ঋতাবানং বৈশ্বানরমৃতস্য জ্যোতিষম্পতি। অজস্রং ধর্মমীমহে। উপযামগৃহীতোহসি বৈশ্বানরায় দ্বৈষ তে যোনি বৈশ্বানরায় ত্বা৷৬৷৷ বৈদ্বানরস্য সুমতৌ স্যাম রাজা হি কং ভুবনানামভিশ্রীঃ। ইতো জাতো বিশ্বমিদং বিচষ্টে বৈশ্বানররা যততে সূর্যেণ। উপযামগৃহীতোহসি বৈশ্বানরায় দ্বৈষ তে যোনি, বৈশ্বানরায় ত্বা।।৭৷ বৈশ্বানররা ন উতয় আ প্র যাতু পরাবতঃ। অগ্নিরূথেন বাহসা। উপযামগৃহীতোহসি বৈশ্বানরায় ত্বৈষ তে যোনি বৈশ্বানরায় ত্বা।৮। অগ্নিঋষিঃ পবমানঃ পাঞ্চজন্যঃ পুরোহিতঃ। তমীমহে মহাগয়। উপযামগৃহীতোহস্যষ্ময়ে ত্বা। বৰ্চস এষ তে যোনিরগয়ে ত্বা বসে৷৯৷ মহা ইন্দ্রো বজ্রহস্তঃ যোড়শী শৰ্ম যচ্ছতু। হেতু পাআনং যোহপ্যান্বেষ্টি। উপযামগৃহীতোহসি মহেন্দ্রায় ত্বৈষ তে যোনি মহেন্দ্রায় ত্বা।১০তং বো দম্মমৃতীষহং বসোর্মন্দানমন্ধসঃ। অভিবৎসং ন স্বসরে ধেনব ইন্দ্রং গীর্ভিনর্বামহে৷৷১১। যদ্বাহিষ্টং তদষ্ময়ে বৃহদর্চ বিভাবসসা। মহিষীব ত্বদ্রয়িস্তৃদ্বাজা উদীর৷১২৷৷ এত্যু যু ব্ৰবাণি তেহগ্ন ইথেতরা গিরঃ। এভিধাস ইন্দুভিঃ।।১৩৷৷ ঋতবস্তে যজ্ঞং বি তন্বন্তু মাস রক্ষন্তু তে হবিঃ। সংবৎসরন্তে যজ্ঞং দধাতু নঃ প্রজাং চ পরি পাতু নঃ।১৪। উপরে গিরীণাং সঙ্গমে চ নদীনা। ধিয়া বিপ্রো অজায়ত।১৫৷ উচ্চতা তে জাতমন্ধসসা দিবি সদ্ভুম্যা দে। উগ্রং শৰ্ম মহি শ্ৰবঃ ॥১৬৷ স ন ইন্দ্রায় যজ্যবে বরুণায় মরুদ্ভঃ। বরিবোবিৎ পরি স্ৰব৷১৭৷ এনা বিশ্বান্য আ দ্যুম্নানি মানুষাণা। সিসন্তো বনামহে৷৷১৮৷ অনু বীরৈরনু পুষ্যাস্ম গোভুরন্থশ্বৈর সর্বেণ পুষ্টৈঃ। অনু দ্বিপদাহনু চতুষ্পদা বয়ং দেবা নো যজ্ঞমৃতুথা নয৷১৯৷ অগ্নে পত্নীরিহাবহ দেবানামুশতীরূপ। ত্বষ্টারং সোমপীতয়ে৷৷২০৷ অভি যজ্ঞং গৃণীহি নোগ্লাবো নেষ্টঃ পিব ঋতুন। ত্বং হি রত্নধা অসি৷৷২১। দ্রবিণোদাঃ পিপীষতি জুহোত প্র চ তিষ্ঠত। নোতুভিৱিষ্যত৷৷২২৷৷ তবায়ং সোমমেহ্যবাঙ শশ্বত্তমং সুমনা অস্য পাহি। অস্মিন্ যজ্ঞে বহিষ্যা নিষদ্যা দধিম্বেমং জঠর ইলুমিন্দ্র৷৷২৩৷৷ অমেব নঃ সুহবা আ হি গন্তন নি বহিষি সদতনা রণিষ্ঠন। তথা মদস্ব জুজুষাণো অন্ধসর্দেবেভিৰ্জনিভিঃ সমগণঃ ॥২৪৷ স্বদিয়া মদিয়া পবস্ব সোম ধারয়া। ইন্দ্রায় পবতে সুতঃ ॥২৫৷৷ রক্ষোহা বিশ্বচণিরভি যোনিময়োহতে। দ্রোণে সধস্থমাসদ২৬৷   

[কাণ্ড২৬, মন্ত্র সংখ্যা–৬৩]

.

মন্ত্ৰার্থঃ– (এই অধ্যায়ে দর্শপৌর্ণমাস-পিতৃযজ্ঞ-অগ্নিহোত্র-উপস্থান ইত্যাদি অশ্বমেধসম্বন্ধী মন্ত্ৰসমূহ ব্যাখ্যাত)

১। অগ্নি ও পৃথ্বী পরস্পর সম্ভোগের নিমিত্ত সঙ্গত; তারা আমাকে… (অভীষ্ট দেবতার নাম উল্লেখনীয়)-এর সাথে সঙ্গত করুক। এই বায়ু ও অন্তরিক্ষ পরস্পর; তারা আমাকে…. সাথে সঙ্গত করুক। আদিত্য ও দুলোক পরস্পর সঙ্গত; তারা আমাকে…. সাথে সঙ্গীত করুক। আপঃ (জলদেবতা) ও বরুণ পরস্পর সঙ্গত; তারা আমাকে…. সাথে সঙ্গত করুক। হে পরমাত্মন! তোমার অগ্নি, বায়ু, অন্তরিক্ষ, আদিত্য, দ্যুলোক, জা ও বরুণ এই সপ্ত অধিষ্ঠান আছে। অষ্টম অধিষ্ঠান পৃথিবী ভূতমাত্রের অর্থাৎ প্রাণীজাতের সাধিকা (উৎপাদিকা)। হে দেব! তুমি আমাদের পথকে আমাদের অভীষ্টের সাথে পূর্ণ (অর্থাৎ সংযোজিত) করো। হে পরমাত্মন্! সেই… (অভীষ্ট দেবতার নাম উল্লেখনীয়)-এর সাথে আমার সঙ্গম (সংজ্ঞান বা সংযোগ) হোক।

২। যে ভাবে আমি এই কল্যাণী বাণীর উচ্চারণ করি-ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, শূদ্র, বৈশ্য এবং আপন ভক্তজনের নিমিত্ত–তাতে, দক্ষিণা দানশীল আমি দেবগণের প্রিয় হবো। আমার মনোরথ অভিবৃদ্ধ হোক। এই….(অভীষ্টের নাম) আমার প্রতি নমন (আত্মসমর্পণ করুক)।

৩। হে বৃহস্পতি! যে রমণীয় রত্ন ইত্যাদির নিমিত্ত বৈশ্য বা পালক অত্যন্ত স্পৃহা করে; যা যজনের হেতু; যা জনসাধারণে অত্যন্ত আভামা এবং যা বলকে দীপিত করে, হে সত্যোৎপন্ন! সেই বিচিত্র ধন তুমি আমাদের মধ্যে ধারিত (স্থাপিত করো)। হে সোম! তুমি উপযামের (গ্রহের বা পাত্রের) দ্বারা গৃহীত হয়েছ। আমি তোমাকে বৃহস্পতির নিমিত্ত গ্রহণ করছি। এই তোমার স্থান। বৃহস্পতি দেবতার নিমিত্ত আমি তোমাকে ধারণ করছি।

৪। গাভীশালী (গোমন) হে ইন্দ্র! এই স্থলে যজ্ঞে আগত হও। হে। শতক্রতু! খণ্ডকারী প্রস্তরে অভিষবকৃত এই সোমরস পান করো। হে সোম! তুমি উপযামে (গ্রহে)। গৃহীত হয়েছ। গোমান্ ইন্দ্রের নিমিত্ত আমি তোমাকে এই স্থানে ধারণ করছি৷৷

৫। হে বৃহন্তা ইন্দ্র! এই। স্থানে যজ্ঞে আগমন করো। হে শতপ্রজ্ঞ! তুমি সোমরসকে পান করো। এই সোমরস গো-দুগ্ধ প্রভৃতির সাথে প্রস্তরের দ্বারা অভিযুত হয়েছে। হে সোম!তুমি উপযাম পাত্রের দ্বারা গৃহীত হয়েছ। আমি তোমাকে গোমা ইন্দ্রের নিমিত্ত গ্রহণ করছি। এই তোমার স্থান। গোমা ইন্দ্রের নিমিত্ত আমি তোমাকে এই স্থানে ধারণ করছি৷৷

৬। যজ্ঞবান, সত্য জ্যোতির পালক, অনুপক্ষীণ এবং প্রদীপ্ত বৈশ্বানরকে যাচিত করছি। হে সোম! তুমি উপযামের দ্বারা গৃহীত হয়েছ। আমি তোমাকে বৈশ্বানরের নিমিত্ত গ্রহণ করছি। এই তোমার স্থান। আমি তোমাকে বৈশ্বানরের নিমিত্ত ধারণ করছি।

৭। আমি বৈশ্বানর দেবের সৎ-ভাবনায় স্থিত হবো। এই রাজা বৈশ্বানর সর্বলোকের সুখ-শোভার স্বরূপ। এই পৃথিবীতে উৎপন্ন সেই বৈশ্বানর এই বিশ্বকে দর্শন করে থাকে। বৈশ্বানর অগ্নি সূর্যের সাথে সঙ্গত হয়ে থাকে। হে সোম! তুমি উপম পাত্রের দ্বারা গৃহীত হয়েছ। আমি তোমাকে বৈশ্বানরের নিমিত্ত গ্রহণ করছি। এই তোমার স্থান। আমি তোমাকে বৈশ্বানরের নিমিত্ত ধারণ (অর্থাৎ স্থাপন করছি)।

৮। আমাদের রক্ষার নিমিত্ত বহনক্ষম উথ মন্ত্রের দ্বারা। বৈশ্বানর অগ্নি সুদূর দেশ হতে আগত হোন। হে সোম! তুমি উপযাম পাত্রের দ্বারা গৃহীত হয়েছ। আমি তোমাকে বৈশ্বানরে নিমিত্ত গ্রহণ করছি। হে সোম! এই তোমার স্থান। আমি তোমাকে বৈশ্বানর দেবের নিমিত্ত এই স্থানে স্থাপন (ব। ধারণ) করছি।

৯। অগ্নি দ্রষ্টা, পবিত্রকারী, চারিজন ঋত্বিক ও যজমান সম্পন্ন এবং পুরস্কৃত সর্বকলকারী। এই মহাগতিকে আমি যাচিত করছি। হে সোম! তুমি উপযাম পাত্রের দ্বারা গৃহিত হয়েছ। তেজস্বী অগ্নির নিমিত্ত আমি তোমাকে গ্রহণ করছি। হে সোম! এই তোমার স্থান আমি তেজ ৰী অগ্নির নিমিত্ত তোমাকে এইস্থানে ধারণ করছি।

১০। মহান, বজ্রহস্তএবং ষোড়শী (পঞ্চ প্রাণ, মন পঞ্চ বুদ্ধীন্দ্রিয় ও পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয়ের অধিষ্ঠাতা বা আত্মস্বরূপ) ইন্দ্রদেব আমাদের সুখ প্রদান করুক। ইন্দ্রদেব সেই পাপীকে হনন করুক, যে আমাদের দ্বেষ করে। হে সোম! তুমি উপযাম পাত্রে গৃহীত হয়েছ। আমি তোমাকে মহেন্দ্রের নিমিত্ত গ্রহণ করছি। হে সোম! এই তোমার স্থান। আমি তোমাকে মহেন্দ্রের নিমিত্ত এই স্থানে স্থাপিত করছি।

১১। হে যজমানবৃন্দ! দর্শনীয়, আক্রান্ত (বা আক্রমণকারী) শত্রুকে অভিভূত করণশালী এবং সোমান্নে মদমত্ত ইন্দ্রকে আমি তোমাদের নিমিত্ত সংস্তুত করছি- যেমন দিবাভাগে নবপ্রসূতা গাভী আপন বৎসকে শব্দ করে আহ্বান করে ৷৷

১২। হে উদ্গাতা! বিভীন অগ্নির উ;শ্যে সেই বৃহৎসামের গান করো। যা অত্যন্ত প্রাপণ সমর্থ (অর্থাৎ যে বৃহসাম অগ্নি প্রভৃতি দেবগণকে যজ্ঞে প্রাপ্ত করাতে অত্যন্ত সক্ষম)। হে অগ্নি! মহিষী (পরিণীতা পত্নী) যেমন পতির প্রতি গমন করে, সেই রকমই তোমার ধন এবং তোমার অন্ন উদ্গমিত হচ্ছে৷

১৩। হে অগ্নি! শীঘ্র যজ্ঞে আগত হও।!মরা এই স্তুতিসমূহে গান করছি এবং আরও এইরকমই স্তুতিসমূহে গান করব। তুমি উপস্থিত এই মেরসকে পান করে মদমত্ত হতে পারবে। (অতএব শীঘ্ৰ আগমন করো) ॥

১৪। হে যজমান (বা জমানরূপী অগ্নি)! ঋতুসমূহ তোমার যক্ষকে বিস্তারিত করুক। তোমার হবিঃ-কে মাসগুলি রক্ষা করুক সম্বৎসর তোমার যজ্ঞাকে ধারণ করুক। সে-ই (অর্থাৎ সম্বৎসরই) আমাদের সন্ততিগণকে পালন করুক।

১৫। পর্বতের নিকটে এবং নদীসমূহের সঙ্গমস্থলে যজ্ঞের উপযোগী বুদ্ধির দ্বারা সোম উৎপন্ন হয়ে থাকে৷

১৬। হে সোম! তোমার রসের যে অংশ ঊর্ধ্বে উত্থিত হয়ে আহুতির দ্বারা দ্যুলোকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, বর্ষণরূপে তোমার সেই উগ্র, সুখস্বরূপ, মহৎ ও কীর্তিময় রস এই পৃথিবী গ্রহণ করছে৷৷

১৭। হে সোম! সেই ধনপ্রাপক তুমি যজনীয় ইন্দ্র, বরুণ এবং মরুবৃন্দের নির্মিত আমাদের যজ্ঞে অভিযুত হও।

১৮। মনুষ্যগণের এই সম্পূর্ণ ধনের পালক সোম আমাদের নিকট তা (অর্থাৎ সম্পূর্ণ ধন) আনয়ন করুক। সেই ধনকে আমরা বিতরিত করে নিজেরাও ভোগ করব।

১৯। পুত্রগণ, গাভীবর্গ, অশ্বসমূহ এবং অন্য পদার্থ সমুদায়ের দ্বারা আমরা সমৃদ্ধ হচ্ছে। দ্বিপাদ ও চতুষ্পদ সকলের দ্বারা আমরা পুষ্ট হচ্ছি। দেবতা আমাদের যজ্ঞকে যথাঋতু স্বীকার করুক৷

২০। হে অগ্নি! সকামা দেবপত্নীগণকে এবং ত্বষ্টাকেও সোম পানের নিমিত্ত এই স্থানে (যজ্ঞে) আনয়ন করো।

২১। হে ঋতু-দেবগণ (অর্থাৎ ঋতু যাগে আহূত দেবগণ)! আমাদের এই যজ্ঞের স্তুতি করো। অনেক পত্নী-সম্পন্ন হে অগ্নিদেব! তথা হে নেষ্টা (সোমযাগের প্রধান ঋত্বিকগণের মধ্যে এক)! তোমরা সোমপান করো; কারণ তোমরা রত্নদানশীল (বা রমণীয় ধনের দাতা) এবং তা ধারণকারী৷৷

২২। হে ঋত্বিকবর্গ! ধনদাতা অগ্নি সোমকে পানের নিমিত্ত অত্যন্ত ইচ্ছা করে। সেই নিমিত্ত সোমকে আহুতি প্রদান করো এবং তৎসম্পন্ধী কর্মে সংলগ্ন হও। যথাকালে নেষ্টার ধিষ্ণা (অর্থাৎ স্থান) হতে দেবতাগণের সাথে যথেচ্ছ সোমরস পান করো।

২৩। হে ইন্দ্র! এই সোমরস তোমারই। তুমি অগ্রে আগত হও। প্রসন্ন হয়ে তুমি এই চিরন্তন আপন অংশ যথেচ্ছ পান করো। এই যজ্ঞে দর্ভাসনে উপবেশন পূর্বক, হে ইন্দ্র! এই আহ্লাদক সোমরসকে আপন উদরে ধারিত করো ৷৷

২৪। হে দেবপত্নীগণ! আহ্বান করলে অত্যন্ত সরলা তোমরা আপন ঘর-সদৃশ এই যজ্ঞগৃহে আগমন করো এবং দুর্ভাসনের উপর বিরাজিতা হয়ে পরস্পর আলাপন করো। হে ত্বষ্টা! দেব-স্ত্রীগণের সাথে সুষ্ঠু গণবান তুমি এক্ষণে সোমান্নকে যথেচ্ছ সেবন পূর্বক মদমত্ত হও।

২৫। হে সোম! অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মদকারিণী ধারার সাথে তুমি পবিত্র (অর্থাৎ দশাপবিত্রে পরিত) হও। তুমি ইন্দ্রের পানের নিমিত্ত অভিযুত হয়েছ।

২৬। রাক্ষসগণের হস্তারক তথা বিশ্বের শুভাশুভ দর্শনশালী সোমরস কাষ্ঠ-খোদাই যন্ত্র ইত্যাদির দ্বারা উৎকীর্ণ এবং সহস্থানভৃত স্বাধিষ্ঠানে দ্রোণকলশে শান্তির সাথে বিরাজমান হোক।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *