১১. শুক্লযজুর্বেদ – একাদশ অধ্যায়

একাদশ অধ্যায়

মন্ত্রঃ– যুঞ্জানঃ প্রথমংমনস্তত্ত্বায় সবিতা ধিয়ঃ। অগ্নেজ্যোতির্নিচাৰ্য্য পৃথিব্যা অধ্যাহভরৎ৷৷৷৷ যুক্তেন মনসা বয়ং দেবস্য সবিতুঃ সবে। স্বর্গায় শক্ত্যা৷৷২। যুজ্জায় সবিতা দেবাস্বর্যতো ধিয়া দিব। বৃহজ্জ্যোতিঃ করিষ্যতঃ সবিতা প্ৰ সুবাতি তান্৷৷৩৷৷ যুঞ্জতে মন উত যুঞ্জতে ধিয়ো বিপ্রা বিপ্রস্য বৃহততা বিপশ্চিতঃ। বি হোত্রা দধে বয়ুনাবিদেক ইন্মহী দেবস্য সবিতুঃ পরিঙ্কুতিঃ৷৷৷৷ যুজে বাং ব্রহ্ম পূর্বং নমোভির্বি শ্লোক এতু পথ্যেৰ সূরেঃ শৃন্বন্তু বিশ্বেঅমৃতস্য পুত্ৰাঃ আ যে ধামানি দিব্যানিতঃ ৫৷৷ যস্য প্রয়াণমন্বন্য ইদাযুদো দেবস্য মহিমানমোজসা। য পার্থিবানি বিমমে স এতশো রজাংসি দেবঃ সবিতা মহিত্বনা।।৬। দেব সবিতঃ প্রসুব যজ্ঞং প্রসব যজ্ঞপতিং ভগায়। দিব্যো গন্ধর্বঃ কেতপূঃ কেতং নঃ পুনাতু বাচস্পতিবাচং নঃ স্বদতু৷৷৭৷৷ইমং নো দেব সবিতর্যজ্ঞং প্রণয় দেবাব্যং সখিবিদং সত্রাজিতম ধনজিতং স্বর্জিত। ঋচা স্তোমং সময় গায়ত্রেণ রথস্তরং বৃহদগায়ত্ৰবৰ্ত্তনি স্বাহা।।৮৷৷ দেবস্য বা সবিতুঃ প্রসবেংশ্বিনোর্বাহুভ্যাহং পূষ্ণো হস্তভ্যাম্। আদদে গায়ত্রণ ছন্দ্ৰসাহঙ্গিরস্বৎপৃথিব্যাঃ সধস্থাদগ্নিং পুরীষ্যমঙ্গিরস্বাভর ত্ৰৈষ্টুভেন ছন্দসাহঙ্গিরস্বৎ ॥৯৷ অরিসিনার্যসি ত্বয়া বয়মগ্নিং শকেম খনিতুং সধস্থ আ। জাগতেন ছন্দসাহঙ্গিরস্বৎ।১০৷৷ হস্ত আধায় সবিতা বিভ্রদভ্রিং হিরণ্যয়ী। অগ্নে-র্জোতির্নিচায্য পৃথিব্যা অধ্যাভরদানুষ্ঠুভেন ছন্দসাহঙ্গিরস্বৎ৷৷১১৷৷ প্রতৃৰ্ত্তং বাজিন্না দ্রব বরিষ্ঠামনু সংবত। দিবি তে জন্ম পরমমন্তরিক্ষে তব নাভিঃ পৃথিব্যামধি যোনিরিৎ।১২৷৷ যুঞ্জাথাং রাসভং যুবমস্মিন্ যামে বৃষসূ। অগ্নিং ভরন্তমম্মযু৷১৩৷ যোগে-যোগে তবস্তরং বাজেবাজে হবামহে। সখায় ইন্দ্ৰমূতয়ে৷১৪৷ প্রভূর্বঘ্নেহ্যবক্রামন্নশস্তী রুদ্রস্য গাণপত্যং ময়োভূরেহি। উর্বন্তরিক্ষং বীহি স্বস্তি গতিরভয়ানি কৃঞ্চ পূষ্ণা সযুজা সহ৷১৫৷৷ পৃথিব্যাঃ সধস্থাদগ্নিং পুরীষ্যমঙ্গিরস্বদা ভরাগ্নিং পুরীষ্যমঙ্গিরস্বদচ্ছেমমা হগ্নিং পুরীষ্যমঙ্গিরস্বরিষ্যামঃ ॥১৬৷৷ অগ্নিরুষসামগ্ৰমখ্যহানি প্রথমো জাতবেদাঃ। অনু সূর্যস্য পুরত্রা চ রশ্মীননু দ্যাবাপৃথিবী আ ততন্থ৷৷১৭৷৷ আগত্য বাজাধ্বানং সর্বা মৃধা বি ধূনুতে। অগ্নিং সধস্থে মহতি চক্ষুষা নি চিকীষতে৷৷১৮৷ আক্রম্য বার্জিন পৃথিবীমগ্নিমিচ্ছ রুচা ত্ব। ভৃম্যা বৃত্বায় নো ক্ৰহি যতঃ খনেম তং বয়৷৷১৯৷৷ দ্যৌস্তে পৃষ্ঠং পৃথিবী সধমাত্মাহন্তরিক্ষং সমুদ্রো যোনিঃ। বিখ্যায় চক্ষুষা ত্বমভি তিষ্ঠ পৃতন্যতঃ।২০৷ উক্ৰমা মহতে সৌভগায়াম্মাদাস্থানান্ দ্রবিণে বাজি।বয়ং স্যাম সুমতৌ পৃথিব্যা অগ্নিং খনন্ত উপস্থে অস্যাঃ ॥২১৷ উদক্রমী দ্রবিণোদা বাজ্যবাকঃ সুলোকং সুকৃতং পৃথিব্যা। ততঃ খনেম সুপ্রতীকমপ্পিং স্নো রুহাণা অধি নাকমুত্তমম্ ৷৷২২৷৷ আ ত্বা জিঘর্মি মনসা ঘৃতেন প্রতিক্ষয়ন্তং ভুবনানি বিশ্বা। পৃথুং। তিরা বয়সা বৃহন্তং ব্যষ্ঠিমন্নৈ রভসং দৃশান৷৷২৩৷৷ আ বিশ্বতঃ প্রত্যঞ্চং জিঘর্মরক্ষা মনসা তজুষেত। মর্যশ্রী শৃহয়দ্বর্ণো অগ্নিনাভিমৃশে তম্বা জর্ভুরাণঃ২৪৷৷ পরি বাজপতিঃ কবিরগ্নিহব্যান্যক্রমীৎ। দধদ্ৰত্নানি দাশুষে৷৷২৫৷৷ পরি ত্বাহগ্নে পুরং বয়ং বিপ্রং সহস্য ধীমহি। ধূষর্ণং দিবেদিবে হন্তারং ভঙ্গুরাবতা৷২৬৷ ত্বমগ্নে দ্যুভিমাশুশুক্ষণিমঙমশনম্পরি। ত্বং বনেভ্যস্তুমোষ ধীভ্যং নৃণাং নৃপতে জায়সে শুচিঃ৷৷২৭৷ দেবস্য ত্বা সবিতুঃ প্রসবেংশ্বিনোর্বাহুভ্যাং পূষ্ণো হস্তাভ্যাম্। পৃথিব্যাঃ সধস্থাদগ্নিং পুরীষ্যমঙ্গিরস্বৎখনামি। জ্যোতিষ্মন্তং ত্বাগ্নে সুপ্রতীকমজস্রেণ ভানুনা দীদ্যত। শিবং প্রজাপভ্যাহহিংসন্তং পৃথিব্যাঃ সধস্থাদগ্নিং পুরীষ্যমঙ্গিরস্বৎখনামঃ ॥২৮৷৷ অপাং পৃষ্ঠমসি যোনিরগ্নেঃ সমুদ্রমভিতঃ পিন্বমান। বর্ধমানো মহা আ চ পুষ্করে দিবো মাত্রয়া বরিণা প্রথস্ব৷৷২৯৷৷ শৰ্ম চ স্থা বর্ম চ স্থাইছিদ্রে বহুলে উভে। ব্যচস্বতী সং বসাথাং ভৃতমগিং পুরীষ্য৷৷৩০ সং বস্যথাং স্বর্বিদা সমীচী উরসাত্মনা। অগ্নিমন্তর্ভারিষ্যন্তী জ্যোতিষ্মন্তমজশ্রমিৎ৩১৷৷ পুরীষ্যোহসি বিশ্বভরা অথবা ত্বা প্রথমো নিরমন্থদগ্নে। ত্বমগ্নে পুষ্করাদধ্যথা নিরমন্থত। মূস্লো বিশ্বস্য বাঘতঃ।।৩২৷৷ তমু ত্বাদধ্যভৃষিঃ পুত্র ঈধে অথর্বণঃ। বৃত্ৰহণং পুরন্দর৷৩৩৷৷ তমু ত্বা পাথ্যা বৃষা সমীধে দহন্তমম্। ধনঞ্জয়ং রণে রণে।৩৪৷৷ সীদ হোতঃ স্ব উ লোকে চিকিত্বাদয়া যজ্ঞং সুকৃতস্য যোনৌ। দেবীর্দোন্ হবিষা যজাস্যগ্নে বৃহদ্যজমানে বয়ো ধাঃ৷৷৩৫৷৷ নি হোত হোতৃষদানে বিদানস্তৃষো দীদিবাঁ অসদৎসুদক্ষঃ। অদক্বব্রতপ্ৰমতিসিঃ সহস্রম্ভরঃ শুচিজিহ্বা অগ্নিঃ ॥৩৬৷৷ সংসীদ মহা অসি শোচস্ব দেববীতমঃ। বি ধূমমগ্নে অরুষং মিয়েধ্য সৃজ প্রশস্ত দর্শত৷৷৩৭৷৷ অপো দেবীরূপসৃজ মধুমতীরযক্ষ্মায় প্রজাভ্যঃ তাসামাস্থানাদুজ্জিহতামোষধয়ঃ সুপিপ্পলাঃ।।৩৮। সং তে বায়ুর্মাতরিশ্বা দধাতৃত্তানায়া হৃদয়ং যদ্বিকস্তম্। যো দেবানাং চরসি প্রাণথেন কস্মৈ দেব বষডস্তু তুভ্যম্ ৷৷৩৯৷ সুজাতো জ্যোতিষা সহ শর্ম বরুথমাসদৎ স্বঃ। বাসো অগ্নে বিশ্বরূপং সং ব্যয়স্ব বিভাবসো৷৷৪০৷ উদু তিষ্ঠ স্বরাবা নো দেব্যা ধিয়া। দৃশে চ ভাসা বৃহতা সুকৃনিরাগ্নে যাহি সুশস্তিভিঃ ৪১৷৷ ঊর্ধ্বো উ যুণ উতয়ে তিষ্ঠা দেবোন সবিতা। ঊর্ধ্বো বাজস্য সনিতা যদঞ্জিভিবাঘঙির্বিয়ামহে৷৷৪২৷৷ স জাত গভর্ভা অসি রোদসস্যারগ্নে চারুবির্ভূত ওষধীষু। চিত্রঃ শিশু পরি তমাংস্য মাতৃভ্যো অধি কনিক্ৰদাঃ ।।৪৩৷ হিরো ভব বীড়ঙ্গ আশুৰ্ভব বাজ্যৰ্ব। পৃথুৰ্ভব সুষমগ্নেঃ। পুরীষবাহণঃ।।৪৪৷৷ শিবো ভব প্রজাভ্যো মানুষীভ্যমঙ্গিরঃ। মা দ্যাবাপৃথিবী অভি শোচীমাহন্তরিক্ষং মা বনস্পতী৷৷৪৫৷ তু বাজী কনিক্ৰদন্নানদদ্রাসভঃ পত্বা। ভরন্নাগ্নিং পুরীষ্যং মা পাদ্যায়ুষঃ পুরা। বৃষাগ্নিংবৃষণং ভরন্নপাং গর্ভং সমুদ্রিয়ম্। অগ্ন আযাহি বীতয়ে৷৷৪৬৷৷ ঋতং সত্যমৃতং সত্যমগ্নিং পুরীষ্যমঙ্গিরস্বম্ভরামঃ। ওষধয়ঃ প্রতি মোদধ্বমগ্নিমেতং শিবমায়ন্তমভ্যত্র যুম্মঃ।ব্যস্য বিশ্বা অনিরা অমীবা নিষদন্নো অপদুর্মতিং জহি৷৷৪৭৷৷ ওষধয়ঃ প্রতিগৃভনীত পুষ্পবতীঃ সুপিপ্পলাঃ। অয়ং বো গর্ভ ঋত্বিয় প্রত্নং সধস্থমাসদৎ৪৮। বি পাজসা পৃথুনা শশাশুচানো বাধ দ্বিমো রক্ষসো অমীবাঃ। সুশর্মণো বৃহতঃ শর্মণি স্যামগেরহং সুহবস্য প্রণীতে।৪৯। আপো হিষ্ঠা ময়োভুবস্তা নউর্জে দধাতন। মহে রণায় চক্ষসে।।৫০৷৷ যোবঃ শিবতমো রসস্তস্য ভাজয়তেহনঃ। উশতীরিব মাতরঃ৫১৷৷ তম্মা অরং গমাম বো যস্য ক্ষয়ায় জিম্বথ। আপো জনয়থা চ নঃ৫২মিত্রঃ সংসৃজ্য পৃথিবীং ভূমিং চ জ্যোতিষা সহ। সুজাতং জাতবেদসময়ক্ষ্মায় ত্বা সংসৃজামি প্রজাভ্যঃ৫৩৷রূদ্রাঃ সংসৃজ্য পৃথিবীংবৃহজ্জ্যোতিঃ সমীধিরে। তেষাং ভানুরজ ইচ্ছুক্রো নোচতে।।৫৪৷৷ সংসৃষ্টাং বসুভী রূদ্ৰৈধীরেঃ কর্মণ্যাং মৃদম্। হস্তাভ্যাং মৃদ্বীং কৃত্বা সিনীবালী কৃপোতু তা৷৷৫৫৷৷ সিনীবালী সুকপর্দা স্বৌপশা। সা তুভ্যমদিতে মহ্যোখাং দধাতু হস্তয়োঃ]৫৬। উখাং কৃপোতু শক্ত্যা বাহুভ্যামদিতির্ধিয়া। মাতা পুত্রং যথোপন্থে সাহগ্নিং বিভণ্ডু গর্ভ আ। মখস্য শিরোসি।৫৭৷বসবা কৃন্বন্তু গায়ত্রেণ ছন্দসাহঙ্গিরস্ববাহসি পৃথিব্যসি ধারয়া ময়ি প্রজাং রায়স্পোষং গৌপত্যং সুবীর্যং সজাতা যজমানায়। রূদ্রাত্ত্বা কৃন্বন্তু ত্রৈষ্টুভেন ছন্দসাঙ্গির-স্ববহস্যন্তরিক্ষমসি ধারায় ময়ি প্রজাং রায়ম্পোষং গৌপত্যং সুবীর্যং সজাতন্যজমানায়াদিত্যান্ত্বা কৃণন্তু জাগতেন ছন্দসাহঙ্গিরস্ববাহসি দৌরসি ধারয়া ময়ি প্রজাং রায়ম্পোষং গৌপত্যং সুবীর্যং সজাতন্যজমানায় বিশ্বে ত্বা দেবা বৈশ্বানরাঃ কৃথন্তানুষ্ঠুভেন ছন্দসাঙ্গিরস্বদ ধ্রুবাহসি দিশোহসি ধারয়া ময়ি প্রজাং রায়ম্পোষং গৌপত্যং সুবীর্যং সজাতন্যজমানায়।৫৮৷ অদিত্যৈ রাস্যদিতিষ্টে বিলং গৃঙ্খতু। কৃত্বায় সা মহীমুখ্যং মৃন্ময়ীং যোনিমগ্নয়ে। পুত্রেভ্যঃ প্রায়চ্ছদিতিঃ শ্ৰপয়ানিতি।।৫৯৷ বসবা ধূপয়ন্তু গায়ত্রেণ ছন্দসাঙ্গিরস্বদ্রাত্ত্বা ধূপয়ন্তু ত্রৈষ্টুভেন। ছন্দসাঙ্গিরস্বাদাদিত্যান্ত্বা ধূপয়ন্তু জাগতেন ছন্দসাহঙ্গিরস্বদ্বিশ্বে ত্ব দেবা বৈশ্বানরা ধূপয়ানুফ্টভেন ছন্দসাহঙ্গিরদিন্দ্রা ধূপয়তু বরুণস্তা ধূপয়তু বিষ্ণুত্ত্বা ধূপয়তু।৬০৷৷ অদিতিষ্টা দেবী বিশ্বদেব্যাবতী পৃথিব্যাঃ সধস্থে অঙ্গিরস্ত খনত্ববট। দেবানাং ত্বা পত্নীদেবীর্বিশ্বদেব্যাবতীঃ পৃথিব্যাঃ সধস্থে অঙ্গিরস্বদ্ধতূখে। ধিষণাস্তা দেবীর্বিশ্বদেব্যাবতীঃ পৃথিব্যাং সধস্থে অঙ্গিরস্বদভীন্ধতামুখে। বরূত্ৰীষ্টা, দেবীর্বিশ্বদেব্যাবতীঃ পৃথিব্যাঃ সধস্থে অঙ্গিস্বচ্ছপয়খে। গাস্তা দেবীর্বিশ্বদেব্যাবতীঃ পৃথিব্যাঃ সধস্থে অঙ্গিরস্বৎপচন্তুখে। জনয়স্তাচ্ছিন্নপত্রা দেবীর্বিশ্বদেব্যাবতীঃ পৃথিব্যা সধস্থে অঙ্গিরস্বৎ-পচন্তুখে।।৬১। মিত্রস্য চর্ষণীভূতোহবো দেবস্য সানসি। দ্যুম্নং চিত্রবস্তমম্।।৬২। দেবস্থা সবিতোদ্বপতু সুপাণিঃ স্বরিঃ সুবাহুরুত শক্ত্যা। অব্যথমানা পৃথিব্যামাশা দিশ আ পৃণ৷৷৬৩৷ উত্থায় বৃহতী ভবোদু তিষ্ঠ ধ্ৰুবা ত্ব। মিত্রৈতাং ত উখাং পরি দদাম্যভিত্যা এষা মা ভেদি৷৷৬৪৷ বসবাইচ্ছন্তু গায়ত্রণ ছন্দসাহঙ্গিরস্ব দ্রুদ্রাস্তৃাচ্ছন্দস্তু ত্রৈভেন ছন্দসাহঙ্গিরস্ব দাদিত্যাাহচ্ছুন্তু জাগতেন ছন্দসাহঙ্গিরস্বদ্বিশ্বে ত্বা দেবা বৈশ্বানরা আচ্ছন্দানুষ্ঠুংভেদ ছন্দসাহঙ্গিরস্বৎ ৬৫৷৷ আকুতিমগ্নিং প্রযুজং স্বাহা। মনো মেধামগিং প্রযুজং স্বাহা। চিত্তং বিজ্ঞাতমগিং প্রযুজং স্বাহা। বাচো বিধৃতিমগ্নিং প্রযুজং স্বাহা। প্রজাপতয়ে মনবে স্বাহাইগ্নয়ে বৈশ্বানরায় স্বাহা।।৬৬। বিশ্বে দেবস্য নেতুর্মর্তো বুরীত সখ্য। বিশ্বে রায় ইষুধ্যতি দ্যুম্নং বৃণীত পুয্যসে স্বাহা।।৬৭৷৷ মা সু ভিথ্যা মা সু রিমোহস্ব ধৃষ্ণু বীরয়স্ব সু। অগ্নিশ্চেদং করিষ্যথঃ।৬৮৷৷ দৃংহ দেবি পৃথিবি স্বস্তয় আসুরী মায়া স্বধয়া কৃতাহসি। জুষ্টং  দেবেভ্য ইদমস্তু হব্যমরিষ্টা মুদিহি যজ্ঞে অস্মিন্৷৷৬৯৷৷ দ্রুন্নঃ সর্পিরাসুতিঃ প্রত্নে হোতা বরেণ্যঃ। সহসম্পুত্রো অদ্ভুতঃ ॥৭০৷৷ পরস্যা অধি সংবহোহবরাঁ অভ্যা তর। যত্ৰাহমস্মি হ্যাঁ অব।।৭১৷৷ পরমস্যাঃ পরাবততা বোহিদশ্ব ইহা গহি। পুরীষ্যঃ পুরূপ্রিয়োহগ্নে ত্বং তরা মৃধঃ৭২। যদগ্নে কানি কানি চিদা তে দারুণি দঋসি। সর্বং তদস্তু তে ঘৃতং তজুষস্ব যবিষ্ঠ্য।৭৩৷৷ যদত্যুপজিত্বিকা যদ্বম্রো অতিসর্পতি। সর্বং তদস্তু তে ঘৃতং তজুষস্ব যবিষ্ঠ্য।৭৪। অহরহরপ্রয়াবং ভরন্তোহশ্বায়ের তিষ্ঠতে ঘাসমস্মৈ। রায়ম্পোষেণ সমিষা মদন্তোইয়ে মা তে প্রতিবেশা রিষাম।৭৫৷ নাভা পৃথিব্যাঃ সমিধানে অগ্নেী রায়ম্পোষায় বৃহতে হবামহে। ইরম্মদং বৃহদুথং যজত্রং জেতারমগ্নিং পৃতনাসু সাসহি৷৭৬৷ যাঃ সেনা অভীত্বরীরাব্যাধনীরুগণা উত। য স্তেনা যে চ তস্করাস্তাঁস্তে অগ্নেহপি দধাম্যায্যে।৭৭৷ দংষ্ট্রাভ্যাং মলিন্নুঞ্জম্ভ্যেস্তস্করা উত। হনুভ্যাং স্তেনান্ ভগবস্তা ধৃং খাদ সুখাদিতা৷৭৮ জনেষু মলিস্নব স্তেনা সস্তস্করা বনে। যে কক্ষেঘায়বস্তাঁস্তে দধামি জ্যুয়োঃ।৭৯৷৷ যো অস্মভ্যমরাতীয়াদ্যশ্চ নো দ্বেষতে জনঃ। নিন্দাদো অম্মন্ধিত্সাচ্চ সর্বং তং মস্মসা কুরু।।৮০। সংশিতং মেব্রহ্ম সংশিতং বীর্যং বল। সংশিতংক্ষত্ৰং জিষ্ণু যস্যাহমাম্মি পুরোহিতঃ ৮১৷ উদেষাং বাহু অতিরমূদ্বৰ্চো অথো বল। ক্ষিপণামি ব্ৰহ্মণাহমিত্রানুন্নয়মি স্বাঁ অহ৷৮২৷৷ অন্নপতেহন্নস্য নো দেহ্যমীবস্য শুষ্মিণঃ। প্ৰ-প্র দাতারং তারিষ ঊর্জং নো ধেহি দ্বিপদে চতুষ্পদে।।৮৩৷৷

 [কণ্ডিকা-৮৩ মন্ত্র ১২২]

.

মন্ত্ৰার্থঃ– [এই একাদশ থেকে অষ্টাদশ অধ্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত মন্ত্রগুলিতে যজ্ঞের বেদি নির্মাণ সম্পর্কিত মন্ত্রসমূহ কথিত হয়েছে। পৃথ্বীভূমিতে অর্থাৎ মাটিতে গর্ত খনন করে বেদি নির্মাণ করা হয়। আহুতির পরিমাণ এবং যজ্ঞকর্মের উদ্দেশ্যভেদে বেদির নির্মাণের ক্ষেত্রেও অনেক ভেদপ্রভেদ আছে। বেদীর মধ্যস্থ দেওয়াল নির্মাণে ইষ্টকের (ইটের) প্রয়োজন হয়। এই ইষ্টকের দ্বারা বেদিকে যথাযথ লম্বা চওড়া করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনীয়। ইষ্টকের এই চিহ্নকে চিতি বলে। সাধারণ বেদিতে পাঁচটি চিতি হয়ে থাকে]।

১। সর্বপ্রথম সর্বপ্রেরক বা উৎপাদক সবিতাদেব-আপন মনে বেদিচয়নের নিশ্চয়তা এবং তার প্রকার প্রভৃতি পর্যালোচনা করেছিলেন। তখন তিনি আপন বুদ্ধিতে নিশ্চিতরূপে জানলেন যে, সকল কর্মের সাধকত্ব হলো অগ্নির তেজঃ; সুতরাং তিনি অগ্নিকে পৃথিবীতে স্থাপন করার উদ্দেশ্যে ইষ্টক ইত্যাদি আহরণ করেছিলেন৷৷

২। সেই প্রথম সর্বপ্রেরক সবিতাদেবের প্রেরণায় বিদ্যমান আমরা যজমানগণ বর্তমানে যজ্ঞকর্তা ব্রহ্মগণও আপন মনে যজ্ঞকর্ম পিরণ পূর্বক স্বশক্তিভর, স্বর্গ-গমনের কামনায় বেদিকে চয়ন করছি৷৷

৩। অগ্নিকর্ম সংযোজিত করে সর্বপ্রেরক সবিতাদেব স্বর্গে গমনোদ্যত, আপন বুদ্ধিতে দ্যুলোককে চিন্তাকারী ও সর্বফল সাধক অগ্নির মহতী ও জ্যোতির্ময় যজ্ঞরূপের প্রচলনকারী দেবগণকে বেদি চয়নের নিমিত্ত সম্প্রেরিত করেছেন৷

৪। মহান্ ও বিদ্বান্ যজমানের মেধাবী বেদিচয়নকর্তা ঋত্বিকগণ আপন মনকে অন্য বিষয় হতে নিরস্ত করে বেদিচয়নের কর্মে নিয়োজিত করেছেন এবং তারা আপন বুদ্ধি অনুসারে বেদির পরিমাণ এবং ইষ্টক প্রভৃতির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা ইত্যাদি বিষয় নির্ধারিত করেন। যজ্ঞকর্মের সকল বিষয় সম্পর্কে বিজ্ঞাত সবিতাদেবই এই যজমান ও হোমকর্তা ঋত্বিকগণকে ধারণ করেছেন। তিনি একাকীইএই যজমান ও ঋত্বিকগণকে তাদের স্বামী ও সেবকরূপে নিয়মিত করছেন। সেই সবিতাদেবের এই এক পরম স্তুতি (বা মহিমা)।

৫। হে যজমান ও যমমান-পত্নী! তোমাদের দুজনের কল্যাণের নিমিত্ত অন্ন ইত্যাদি সহ শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণগণকে সংযোজিত ও সন্তুষ্ট করছি। দুই লোককে প্রাপ্তকারী এই আহুতির মতো তোমাদের যশও সেই দুই লোককে প্রাপ্ত হোক। মরণরহিত প্রজাপতির সেই দেবপুত্রগণ সকলে এই যজমানের কীর্তিকথা শ্রবণ করুন–যে দেবপুত্রগণ দিব্যস্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

৬। যে সবিতাদেবের গমনকে অন্য সকল দেবতা অনুসরণ করে থাকেন এবং যে দেবতার মহতী মহিমাকে সকল দেবতা আপন ওজ-তেজে অনুগমিত করে থাকেন, যিনি এই সকল পার্থিব পদার্থকে সৃষ্টি করেছেন–সেই সর্বপ্রেরক পরমাত্মা স্বমহিমায় সর্বত্র ব্যাপ্ত হয়ে আছেন৷

৭। হে সবিতাদেব! আপনি যজ্ঞকে প্রেরিত করুন এবং যজ্ঞকর্তা যজমানকেও পরম সৌভাগ্যের (অর্থাৎ স্বর্গ ইত্যাদি ফলের) নিমিত্ত প্রেরিত করুন। স্বর্গস্থ জ্ঞানকে পবিত্রকারী ও বেদবাণীকে ধারণকারী এই সবিতাপে আমার জ্ঞানকে পবিত্র করুন। বাণীর স্বামী এই প্রজাপতি আমাদের এই স্তুতিবাক্য গ্রহণ করুন।

৮। হে সবিতাদেব! দেবতাগণকে প্রীণিতকারী, স্বনিম্পাদক যজমান-মিত্রের জ্ঞাপক, সত্যব্রহ্মকে জয়কারী, ধন-জয়ী, স্বর্গ-বিজয়ী আমাদের এই প্রবর্তমান যজ্ঞকে আপনি নির্বিঘ্নতার সাথে সম্পন্ন করিয়ে দিন। হে সবিতাদেব! ঋকের দ্বারা আমাদের ত্রিবৃৎ ইত্যাদি স্তোত্রকে পূর্ণভাবে পল্লবিত করুন। গায়ত্রসামের দ্বারা রথস্তর ও বৃহৎসামকে বর্ধিত করুন যে বৃহৎসাম গায়ত্রসামের মার্গভূত।

৯। হে অভ্রি (কাষ্ঠনির্মিত কুঠার)! সবিতাদেবের অনুজ্ঞায় আমি তোমাকে অশ্বিনযুগলের বাহুদ্বয় এবং পূষাদেবতার দুই হস্তের দ্বারা, পূর্বজ অঙ্গিরা ঋষিগণের ন্যায়, গায়ত্রী ছন্দের উচ্চারণে গ্রহণ করছি। হে অদ্রি! এখন তুমি অঙ্গিরা ঋষিগণের অনুরূপ আমার নিমিত্তও পৃথিবীর (মৃত্তিকার) নিম্ন হতে জলীয় বা পশুহিতকরী অগ্নিকে আহুত করো–আঙ্গিরস ঋষিগণ যেমন ত্রিষ্টুপ ছন্দে করেছিলেন।

১০। হে অভ্রি তুমি বাঁশ বা কাষ্ঠের দ্বারা নির্মিত কুঠার। তুমি স্ত্রীলিঙ্গা (অর্থাৎ নারীরূপা)। হে অভি! আঙ্গিরসগণের ন্যায় আমরাও তোমার দ্বারা জগতীছন্দে পৃথিবীর উৎসঙ্গে (ক্রোড়ে) বিদ্যমান অগ্নিকে খনন পূর্বক বাহিরে আনয়নে সমর্থ হবো।

১১। প্রজাপতি স্বর্ণবর্ণের অদ্রি হস্তে ধারণ করে অঙ্গিরাগণের ন্যায় অনুষ্ঠুভ ছন্দে পৃথিবীর নিম্নভাগে অগ্নির জ্যোতির বিদ্যমানতাকে নিশ্চয় করে তাকে সেখান হতে আহরণ করে এনেছিলেন।

১২। [হস্তে অত্রি ধারণ করে অশ্বকে সম্বোধন করে পঠিতব্য মন্ত্র] হে অশ্ব! পাষাণ ইত্যাদির অভাবজনিত কারণে খননের পক্ষে সুখসাধ্য এই শ্রেষ্ঠ ভূমির উপরে তুমি শীঘ্রতার সাথে আগমন করো। হে অশ্ব! তোমার জন্ম দ্যুলোকে, তোমার নাভি (মধ্যভাগ) উৎকৃষ্ট অন্তরিক্ষলাকে এবং তোমার পদ (বা যোনি) এই পৃথিবীর উপর রয়েছে৷৷

১৩। হে ধনবৰ্ষক পত্নীয়যজমান (যজমান ও পত্নী বা অধ্বর্যু ও যজমান)! তোমরা দুজনে এই কর্মবিশেষে অগ্নিকে আহ্বানকারী ও আমাদের হিতকামনাকারী গর্দভকে বন্ধন করো ৷

১৪। গের্দভকে বন্ধন পূর্বক ছাগকে আহ্বান করণীয়]। যথাযথ কর্মে (বা যে যে কর্মে) সেই সেই দেবতার হবিরান্নের অপেক্ষায় অত্যন্ত উৎসাহবান এই মিত্র ছাগকে আমরা ঋত্বিক-যজমান হবির অভাবরূপ বিপত্তি হতে রক্ষার নিমিত্ত আহ্বান করছি৷৷

১৫। [স্পর্শ না করে অশ্ব ও গর্দভকে অগ্রে চালিত করণীয়–] হে অশ্ব! আমাদের শত্রুদের দ্বারা কৃত অপকীর্তিকে আপন পদে দলিত করে এবং শত্রুদের প্রতি হিংসান্বিত হয়ে তুমি অগ্রে আগত হও। হে অশ্ব! তুমি আমাদের সুখকে সম্ভাবিত করতে রুদ্রের গণপতিত্ব প্রাপ্তির অভিলাষে অগ্রে আগত হও। হে গর্দভ! কল্যাণ-মার্গশালী তুমি আমাদের নিমিত্ত ভয়কে দূর করো; সহযোগিনী পৃথিবীর সাথে বিস্তৃত আকাশকে সম্প্রপ্ত হও।

১৬। [ছাগকে উকরিমিত করার উদ্দেশ্যে পঠনীয় মন্ত্র–] হে অভ্রি! পৃথিবীর অভ্যন্তর হতে তুমি পশুহিতকারী বা জলীয় অগ্নিকে আহরণ করো; যেমন–অঙ্গিরা ঋষিগণের নিমিত্ত নিয়ে এসেছিলে। এখন আমরা এই পশুর (অর্থাৎ অশ্ব, রাসভ ও অজের) হিতকারী অগ্নির অভিমুখ্য হচ্ছি। আমরা অঙ্গিরা ঋষিগণের মতো এই পশুহিতকারী অগ্নিকে সম্পাদিত করব।

১৭। উৎপন্ন পদার্থমাত্রকেই জ্ঞাতশালী এই অগ্নি, বেদিতে সর্বপ্রথম সম্পাদিত হয়ে, সর্বদা উষার অগ্রভাগ (অর্থাৎ প্রথম প্রকাশ) দর্শন করছেন। ইনি সূর্যের প্রথম রশ্মিমালাকেও বিবিধ রূপে প্রসারিত হতে দর্শন করেছেন। অন্তেও স্বয়ং এই অগ্নি দ্যাবাপৃথিবীর অনুকূলতায় উভয় লোককে বিস্তারিত করছেন (অর্থাৎ সর্বত্র সকলের যজ্ঞ ইত্যাদি কর্মকে সিদ্ধ করছেন)।(আমরা সেই অগ্নিকে দর্শন করছি)৷

১৮। মৃত্তিকার স্কুপের নিকট স্থিত যজ্ঞীয় অশ্বকে সম্বোধন) এই অশ্ব মার্গ অবলম্বন পূর্বক আগমন করছে এবং এখানকার সকল হিংসককে অত্যন্ত কম্পিত করছে। অনন্তর মহাসংস্থান পৃথিবীতে বর্তমান অগ্নির কারণে মৃত্তিকা আপন চক্ষে দর্শন করছেন।

১৯৷ হে বেগবান অশ্ব! তুমি অগ্নির স্থান বেদীর যোগ্য কিনা তা নিশ্চয় করার নিমিত্ত পৃথিবীকে (পদের দ্বারা) আক্রমণ করো। হে অশ্ব! এইভাবে আপন পদের দ্বারা সেই ভূমিকে স্পর্শ করে তুমি সেই মৃত্তিকা আমাদের নিকট সূচিত করো, যাতে আমরা তা শুদ্ধ জেনে (উখার নিমিত্ত) খনন করতে পারি৷৷

২০৷ হে অশ্ব! দ্যুলোক তোমার পৃষ্ঠ, পৃথিবী তোমার সহস্থান, অন্তরিক্ষ তোমার আত্মা এবং এই সমুদ্র তোমার উৎপত্তি স্থলী। এইরকম স্কুয়মান হে অশ্ব! তুমি আপন চক্ষে উখার যোগ্য মৃত্তিকার পরিচয় জ্ঞাত হও, এবং সেই মৃত্তিকায় শত্রুভাবে নিহিত রাক্ষস ইত্যাদিকে আপন পদে দলিত করো ৷৷

২১৷ হে বেগবান অশ্ব! ধনদাতা তুমি মহান্ সৌভাগ্যের নিমিত্ত এই মৃত্তিকার স্তূপ (বা পিণ্ড) হতে অবতরণ করো। এই পৃথিবীর উপর হতে মৃত্তিকা খননের কর্মে আমরা অধ্বর্যু, যজমান ইত্যাদি সকলে এই পৃথিবীর অনুগ্রহ-বুদ্ধিতে অবস্থান করতে পারব ৷৷

২২। এই বেগবান ও ধনদাতা অশ্ব মৃত্তিকা খননের স্থান হতে পৃথক্ (অর্থাৎ অপসারিত) হয়েছে। পৃথক্‌ হয়ে সেই স্থান এই অশ্বের দ্বারা পুণ্যবান হয়েছে। (অর্থাৎ আপন উপস্থিতির দ্বারা ঐ স্থলকে অগ্নিচয়নের মৃত্তিকা খননের অহতা বা যোগ্যতা প্রদান করে দিয়েছে)। এখন আমরা ঐ স্থান হতে শুভ মুখসম্পন্ন অগ্নির বেদির উখার নিমিত্তি মৃত্তিকা খনন করছি, কারণ আমরা বৈকুণ্ঠের উত্তম সুখে আরোহণ করার অভিলাষী হয়ে আছি৷৷

২৩। হে অভ্রি! তোমার দ্বারা সকল ভূতে (প্রাণীতে) নিবাসকারী অগ্নিকে আমি শ্রদ্ধাযুক্ত মনে ঘৃতের দ্বারা আসিঞ্চিত করছি। হে অগ্নি! আপন তির্যক্-গামিনী জ্যোতির দ্বারা অত্যন্ত ব্যাপ্তশালী এবং ধূমে অত্যন্ত মহান্ অবকাশবান্ তথা বিবিধ ঘৃত ইত্যাদি হবিরান্নের আহুতির দ্বারা ঊর্ধ্বে অতি বেগবান্ তুমি সকলের প্রত্যক্ষদ্রষ্টা দেবতা। (আমি ঘৃতের দ্বারা সিঞ্চিত করছি)

২৪। প্রত্যগাত্মতয়া সর্বত্র প্রতীয়মান সেই অগ্নিকে আমি ঘৃতের দ্বারা সর্বথা আপ্লুত করছি। এই অগ্নি আমার এই ঘৃতধারাকে ক্রৌর্যরহিত মনে (প্রসন্নচিত্তে) সেবন করুক। মনুষ্যের দ্বারা আশ্রয়ণীয়, স্পৃহনীয় বর্ণশালী এবং আপন জ্বালাময় শরীরে ইতস্ততঃ সঞ্চরণকারী (বা বিস্তারলাভী) এই অগ্নি (দাহক হওয়ার কারণে) কোনও রকমে স্পর্শ করার যোগ্য নয়৷

২৫। অন্নের পালক এবং ক্রান্তদ্রষ্টা অগ্নি হবিদাতা যজমানকে বিবিধ রমণীয় ধন প্রদান পূর্বক বিবিধ হবিঃ ভক্ষণের উদ্দেশ্যে পরিসংক্রান্ত (সপ্রাপ্ত) হচ্ছে৷

২৬। বলকে মন্থন করে উৎপাদ্যমান হে অভ্রি! সর্বরক্ষক পুরী রূপে স্থিত, মেধাবী, ধর্ষক (অসহ্য) স্বরূপ এবং দিন-প্রতিদিন বিঘাতক রাক্ষস ইত্যাদিকে বিনাশকারী তুমি অগ্নিকে আমাদের সকলের নিমিত্ত সর্বথা আঋত (ধ্যান) করে থাকো।

২৭। হে অগ্নি! তুমি মন্থনের দ্বারা দিনে প্রতিদিনে, উৎপন্নশালী, জল হতে বিদ্যুৎরূপে উৎপন্নশালী প্রস্তরে স্তরে সঙ্র্ষণের দ্বারা উৎপাদ্যমান এবং তুমি অরণি হতে উৎপন্নশালী। মানুষের পালক তথা অতিশীঘ্র আপন দীপ্তিতে তমঃ প্রভৃতির নাশকারী তুমি ঔষধি হতেও উৎপন্ন হয়ে থাকো, অথবা তুমি পরম পবিত্রকারী৷

২৮। হে অভি! এখন আমরা অঙ্গিরাগণের মতো,সবিতাদেবতার অনুজ্ঞায় এবং অশ্বিনযুগলের বাহুদ্বয় ও পূষাদেবতার হস্তদ্বেয়ের দ্বারা পশুহিতকরী অগ্নির নিমিত্ত তোমার সাহায্যে পৃথিবীর সহস্থানে খনন করছি। জ্যোতি-জ্বালা যুক্ত, সুন্দর মুখশালী ও সতত তেজের সাথে প্রকাশমান, প্রজাগণের নিমিত্ত সদা কল্যাণকারী তথা অহিংসক পশব্য (অর্থাৎ পশু-সম্বন্ধীয়) অগ্নির নিমিত্ত আমরা অভ্রির দ্বারা (চিতিতে চয়নযোগ্য মৃত্তিকা) খনন করছি। (পুনঃ পাঠ শ্রদ্ধার নিমিত্ত)।

২৯। [বিস্তৃত কৃষ্ণাজিনের উপরে কমলিনীদল ছড়িয়ে–] হে কমলিনীদল! তুমি জলের পৃষ্ঠ অগ্নির নিমিত্ত এই মৃত্তিকার স্কুপ খননের তুমি কারণভূত। সকলের অপেক্ষা বর্ধমান সমুদ্রকেও তুমি বর্ধিতকারী; তুমি মহান্। হে পুষ্করপর্ণ! তুমি দ্যুলোকের মাত্রা অনুসারে নিজেকে স্বমহিমায় বিস্তারিত করো (অর্থাৎ অতি দীর্ঘ প্রাপ্ত হত)।

৩০। হে কৃষ্ণাজিন ও পুষ্করপূর্ণ! তোমরা উভয়ে অগ্নির নিমিত্ত সুখকর হও এবং কবচের (বর্মের) ন্যায় রক্ষক হও। তোমরা উভয়ে ছিদ্ররহিত ও সাবকাশ হও। তোমরা উভয়ে পশুহিতকারী অগ্নিকে সম্যক্ আচ্ছাদিত করো এবং আচ্ছাদিত করে তোমরা দুজনে ঐ অগ্নিকেও ধারণ করো।

৩১৷ স্বর্গ (কিম্বা যজ্ঞ অথবা সূর্যকে) জ্ঞাতশালী, সংগত (এক চিত্ত-মন) এবং জ্যোতিষ্মন্ বা অনুপক্ষীণ (সতত প্রজ্বলিত) অগ্নিকে আপন অন্তরে ধারণ পূর্বক এখন তাকে (অগ্নিকে) স্বশরীরে আচ্ছাদিত করো ৷

৩২। হে অগ্নি তুমি পশুগণের হিতকরী; তুমি সমস্ত বিশ্বের ধারণ-পোষণকারী। সর্বপ্রথম অথবা ঋষি (কিম্বা প্রাণ) তোমাকে মন্থন করে প্রকট করেছিলেন। হে অগ্নি! সর্বপ্রথম অথবা ঋষি (বা প্রাণ) তোমাকে জলের উপর মন্থন করে সপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। অদ্য বিশ্বের হিতৈষী ঋত্বিগণ তোমাকে অরণির শির মন্থন করে প্রাপ্ত হচ্ছেন৷৷

৩৩৷ হে অগ্নি! এখন আজ অথবা ঋষির পুত্র দধ্য নামক ঋষি সেই বৃত্রহস্তা এবং পুরবিদারক অগ্নিরূপী তোমাকে প্রজ্জ্বলিত করছেন।

৩৪। হে অগ্নি! সৎপথে নিরত আমাদের মন সেই শত্ৰুহতম এবং প্রতি যুদ্ধে ধনজয়কারী সেই অগ্নিরূপী তোমাকে সন্দীপিত করছি৷৷

৩৫। দেবগণকে যজ্ঞে আহ্বানকারী হে অগ্নি! আপন অধিকার সম্পর্কে জ্ঞান সম্পন্ন তুমি আপন নির্দিষ্ট স্থান কৃষ্ণাজিনের উপর উপবেশন করো এবং শুভ কর্মের মূলস্থানভূত ঐ কৃষ্ণাজিনের উপর যজ্ঞাকে সংস্থাপিত করো। হে অগ্নি! দেবতাগণকে প্রীণিতকারী তুমি বিবিধ হবিঃর দ্বারা দেবতাগণের যজন করো। হে অগ্নি! প্রসন্ন হয়ে তুমি আমাদের এই যজমানকে বিপুল অন্নধন প্রদান (ধারিত) করো।

৩৬৷ দেবগণকে হবিঃ গ্রহণের নিমিত্ত আহ্বানকারী, আপন অধিকার কর্তব্য সম্পর্কে অভিজ্ঞ, দীপ্তিমান, হোমনিস্পাদক স্থান ইত্যাদিতে অবস্থানকারী সাধু কুশল (ক্ষিপ্রকারী), স্বকর্মে অনুপহিংসিত, প্রকৃষ্ট মতি সম্পন্ন, আপন স্থানেই সদা বিদ্যমান, সহস্র ঋত্বিক-যজমানের ভরণ-পোষণকারী এবং পবিত্ৰজিহ্বাশালী অগ্নি যজ্ঞকে সুসম্পন্ন করার নিমিত্ত আপন উত্তরবেদি রূপ স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

৩৭৷ হে মেধ্য (যজ্ঞের অনুকূল বা পবিত্র) অগ্নি! তুমি কমলপত্রের উপরে সম্যক্ প্রতিষ্ঠিত হও। বহু যজ্ঞের নিমিত্তভূত তুমি সর্বথা মহান্। দেবগণকে অত্যন্ত কম্পিতকারী (বা তৃপ্তিদানকারী) হয়ে তুমি প্রদীপ্ত হও। তুমি দর্শনীয় পরন্তু নিষ্প্রভ স্বধূম (ধোঁয়া) নির্গত করো।

৩৮৷ হে অধ্বর্যু!মৃৎখনপ্রদেশে প্রজাগণের নিরোগত্বের নিমিত্ত মধুর ও প্রশস্ত জল অসিঞ্চিত করো। সেই মধুমতী রসবতী ও আরোগ্যদাত্রী জলে উপসিক্ত স্থান ফলদায়িনী ঔষধিসমূহ উৎপন্ন হবে।

৩৯। হে ভূমি! মৃত্তিকা খননের ফলে তোমার হৃদয়ের বিদীর্ণ স্থানের উপর যে বিকৃতি ঘটেছে, তা অন্তরিক্ষ-সঞ্চারী বায়ু শীঘ্র পূর্ণ করে দেবে। হে বায়ু! তুমি দেবগণের প্রাণের ন্যায় উপকারী হয়ে সর্বত্র সঞ্চরণ করে থাকে। সেই তোমারূপী প্রজাপতিস্বরূপ বায়ুদেবতার উদ্দেশ্যে এই হবিঃ বষটকৃত (স্বাহা মন্ত্রে উৎসর্গীকৃত) হচ্ছে।

৪০৷ সুষ্ঠু উৎপন্ন এই অগ্নি আপন তেজের সাথে সুখপূর্বক এই (স্বর্গাপেক্ষা বরণীয় কৃষ্ণাজিনের দ্বারা নির্মিত) ভবনে স্থান লাভ করুক। হে প্রভাধন অগ্নি! এই বিচিত্র বর্ণ কৃষ্ণাজিনরূপ বস্তুকে তুমি সম্যক্ (অনুরাগ সহকারে) ধারণ করো।

৪১৷ হে শুভ যজ্ঞশালী অগ্নি! তুমি উত্থিত হও (প্রজ্বলিত হও)। তুমি আপন দয়াপরা বুদ্ধিতে আমাদের রক্ষা করো। হে অগ্নি! তুমি ঋত্বিকগণের সৎ (নিত্য) স্ততিতে প্রীণিত হয়ে আমাদের যজ্ঞে আগমন করো। আপন বিশাল তেজের সাথে সকলের দর্শনের নিমিত্ত ব্যক্ত হও। হৈ অগ্নি! সুষ্ঠু রশ্মি-প্রকীর্ণকারী তুমি যজ্ঞে আগত হও।

৪২। হে অগ্নি! আমাদের রক্ষার নিমিত্ত তুমি এখন উপরে প্রতিষ্ঠিত হও, যেমন সবিতাদেব (সদা উপরে অবস্থান করে থাকেন)। হে অগ্নি! ঊধ্বস্থ তুমি আমাদের অন্নদাতা হও, যেহেতু আমরা তোমাকে অভিব্যক্তকারী ঋত্বিগণের দ্বারা আহ্বান করছি৷৷

৪৩। [অধ্বর্যু কর্তৃক অশ্ব গর্দভ ছাগকে এক এক মন্ত্রে আমন্ত্রণ]। হে অগ্নি (অশ্বকে অগ্নিরূপে মান্য করে সম্বোধন)! দর্শনীয়, বিবিধ ওষধির দ্বারা বিধৃত, নানাবর্ণ, প্রশংসনীয় এবং রাত্রির অন্ধকার দূরকারী তুমি এখন এই দ্যাবাপৃথিবীর গর্ভস্থ হয়ে আছ (নাভির পাশে অন্তরিক্ষে স্থিত হয়ে আছ)। এখন তুমি আপন হ্রেষার তুমুল নাদ করতে করতে মাতা জলের (বা ঔষধিসমূহের) নিকট গমন করো (বা সপ্রাপ্ত হও)।

৪৪৷ [গদর্ভকে সম্বোধন] হে গমনশীল গর্দভ! তুমি স্থির হও; দৃঢ় অঙ্গশালী হও; শীঘ্রগামী হও এবং আমাদের অন্নদানশালী হও। বিস্তীর্ণ হয়ে, হে রাসভ! তুমি অগ্নির (ভূমিতে) সুখপূর্বক উপবেশনের (ধজারণের) স্থান হও। তুমি পুরীষ (মৃৎপিণ্ড বা লিকা) বহনকারী হও

৪৫৷ [অধ্বর্যু কর্তৃক ছাগকে আবাহন–]। হে আগ্নেয় ছাগ! তুমি মানব প্রজার নিমিত্ত হও। হে অজ! তুমি। দ্যাবাপৃথিবীকে অভিতপ্ত করো না; অন্তরিক্ষকেও নয় এবং ওষধি বনস্পতিকেওএ নয় (অর্থাৎ এদেরও অভিতপ্ত করো না)

৪৬৷ অত্যন্ত হ্রেষা শব্দ করতে করতে অশ্ব প্রকর্ষের সাথে অগ্রে গমন করুক। আপন বিশ্রী শব্দে সর্বদিক প্রতিধ্বনিত করতে করতে গর্দভ মন্দ গতিতে অগ্রে গমন করুক। পণ্ডহিতকরী অগ্নিকে (তদর্থ মৃৎপিণ্ডকে) ধারণ পূর্বক এই অশ্ব আয়ুষ্যের (যজ্ঞ সমাপ্তির পূর্বে যেন মৃত্যুকে না প্রাপ্ত হয়। ফলাভিবর্ষণসমর্থ, জলকে গর্ভে ধারণকারী বা জলের গর্ভে ধারিত (বিদ্যুতাগ্নি রূপ) এবং সমুদ্রীয় বড়বাগ্নিকে ধারণকারী এই সেচক গর্দভও শীঘ্র গমন করুক। হে অগ্নি! এখন তুমি হবিঃ ভক্ষণের নিমিত্ত শীঘ্র যজ্ঞে আগত হও।

৪৭৷ [আদিত্য ও অগ্নিকে বা আদিত্যরূপ অগ্নিকে] অঙ্গিরাগণের ন্যায় আমরা ঋত্বিকগণ পশুহিতকরী অগ্নিকে আহূত করছি। হে ওষধিসমূহ! এই কল্যাণকারী ও তোমাদের অভিমুখ প্রাপ্ত অগ্নিকে প্রসন্ন করো–গঠন করো। হে অগ্নি! তুমি এই স্থানে স্থিত হয়ে আমাদের সকল দুর্বুদ্ধিকে, ফসল নাশের সকল কারণসমূহকে এবং ব্যাধি সমূহকে দূর পূর্বক বিনষ্ট করো।

৪৮৷ হে ওষধিসমূহ! সুন্দর-সুন্দর ফুল ও সুষ্ঠু ফলযুক্ত তোমরা এই অগ্নিকে স্বীকার করো। হে ওষধিসমূহ! ঋতুতে-ঋতুতে (উচিত সময়ে) প্রাপ্তিযোগ্য তোমাদের গর্ভভূত অগ্নি আপন পুরাতন সহস্থানকে (বা গর্ভস্থানকে) আসাদিত (প্রাপ্ত) হয়ে থাকে৷৷

৪৯৷ আপন বিস্তীর্ণ তেজোবলে অত্যন্ত দীপ্ত হে অগ্নি! তুমি আমাদের শত্রুগণকে, রাক্ষসগণকে এবং ব্যাধিগুলিকে বিবাধিত করো। শরণ্য, সুখদায়ক, প্রৌঢ় (প্রবৃদ্ধ) এবং সুখপূর্বক আহ্বানীয় অগ্নির পরিচর্যায় বিদ্যমান, আমরা এঁর সুখে বিদ্যমান থাকব (অর্থাৎ সুখ লাভ করব)।

৫০৷ হে আপঃ (জলদেবীগণ)! তোমরা সুখ সম্পন্ন করে থাকো; তাই তোমরা আমাদের বল বা অন্নের বিধৃত করো–যাতে সেই মহৎ ও রমণীয় ব্রহ্মকে আমরা দর্শন করতে পারি।

৫১৷ হে আপঃ! তোমাদের যে অত্যন্ত কল্যাণকারী রস আছে, তোমরা আমাদের তার ভাগী, করো–যেমন অভিলাষকারিণী মাতা তার শিশুকে আপন স্তন্য প্রদান করেন।

৫২। হে আপঃ! যে যজমানের যজ্ঞগৃহে– তোমরা আমাদের সকলকে প্রীত করে থাকো, সেই যজমানের স্বর্গ প্রাপ্তি তোমরা সম্পন্ন করো। হে আপঃ আমাদেরও তোমরা সেই স্বর্গপ্রাপ্তির যোগ্য করো বা পুত্রপৌত্র ইত্যাদি ভাবে (মে) সদা বর্ধন করো।

৫৩৷ সকলের মিত্র সূর্য আপন জ্যোতিতে ভূলোককে দ্যুলোকের সাথে সম্বন্ধিত করেন। প্রজাগণের অনরোগত্বের নিমিত্ত, হে অজলোম (যজ্ঞীয় অজের যে লোম পূর্বে গৃহীত)! আমরা সুষ্ঠু উৎপন্ন এবং জাতপ্রজ্ঞান তোমাকে (অজলোমরূপী অগ্নিকে)এই মৃৎপিণ্ডে সংসৃষ্ট করছি। [এই মন্ত্রে অজের লোমকে মৃৎপিণ্ডে মিশ্রণ কর্তব্য] ॥

৫৪৷ রুদ্রগণ মৃৎপিণ্ডের বালু-লৌহচূর্ণ-প্রস্তরচূর্ণে সংসৃষ্ট করে অগ্নির মহতী জ্যোতিকে সমীন্ধিত করেছিলেন। সেই রুদ্রগণের এই অজস্র শুভ্র তেজঃ এখনও দেবগণের মধ্যে দীপ্তি প্রাপ্ত হয়ে আছে।

৫৫৷ বুদ্ধিমান্ বসুবর্গ এবং রুদ্রগণের দ্বারা বালুকা ইত্যাদির সাথে সংমিশ্ৰিত এই মৃৎপিণ্ডকে অমাবস্যার পশ্চাতে আগতা শুক্লা প্রতিপদার অভিমানিনী দেবতা সিনিবালী স্বয়ং আপন হস্তে কোমল করে উখা নির্মাণের যোগ্য করুন।

৫৬৷ শুক্লা প্রতিপদার অভিমানিনী দেবতা সিনীবালী সুন্দর জটাজুটশালিনী, সুন্দ্র কবরীবিশিষ্টা এবং বৃত্তাকার (শোভন) মুকুটশোভিতা। হে মহতীদেবমাতা অদিতি! এই বিলাসচতুরা সিনীবালী স্বয়ং তোমার হস্তদ্বয়ে উখাকে ধারণ করাক স্থাপন করুক।

৫৭৷ অদিতি দেবী আপন বুদ্ধি ও শক্তির সামঞ্জস্যে আপন হস্তদ্বয়ে উখা নির্মাণ করেবেন। অদিতি কর্তৃক নির্মিত এই উখা আপন অভ্যন্তরে অগ্নিকে ঐভাবেই ধারণ করেন, যেমন মাতা তার পুত্রকে আপন ক্রোড়ে ধারণ করে থাকেন। [যজমান আপন পত্নীর হস্ত হতে মৃৎপিণ্ড গ্রহণ করে উখা নির্মাণ করবেন]। হে মৃৎপিণ্ড! তুমি যজ্ঞের মস্তক স্বরূপ৷৷

৫৮৷ হে উখা! অঙ্গিরা ঋষিগণের মতো বসুগণ তোমাকে গায়ত্রী ছন্দে নির্মিত করেছেন। বসুগণের দ্বারা নির্মিতা তুমি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে স্থিতিশীলা। তুমি বিস্তারশালিনী। হে উখা! তুমি যজমানরূপী আমাতে প্রজা, ধনপুষ্টি, গাভীর (বা গো সম্পদের) স্বামিত্ব এবং সুন্দর বীর্য (বীরকর্ম) ধারিত করো। আমার সজাতিগণকে (সমানজন্মাগণকে) যজমানরূপী আমার নিমিত্ত স্ববশে আনীত করো। হে উখা! অঙ্গিরা ঋষিগণের ন্যায় রুদ্র তোমাকে ত্রিষ্টুপ ছন্দে নির্মিত করেছেন। তুমি ধ্রুবা (স্থিরা) ও অন্তরিক্ষ ব্যাপিনী। তুমি যজমানরূপী আমাতে প্রজা, ধনপুষ্টি, গাভীসমূহের প্রভূত্ব এবং সুষ্ঠু বীরকর্ম ধারিত করো (বা প্রদান করো)। হে উখা! তুমি যজমানরূপী আমার নিমিত্ত আমার সজাতগণকে (সহোদরগণকে) আপন বশীভূত করে দাও। হে উখা! আদিত্যগণ তোমাকে জগতী ছন্দে নির্মিত করেছেন, যেমন অঙ্গিরা ঋষিগণ করেছিলেন। আদিত্যবর্গের দ্বারা নির্মিত তুমি অত্যন্ত দৃঢ় এবং দ্যুলোকের সমান প্রকাশ ও প্রসন্নতা দানকারিণী। হে উখা! তুমি যজমানরূপী আমাতে প্রজা, ধনপুষ্টি, গাভীসমূহের স্বামিত্ব এবং সুরীরত্ব ধারিত করো। তুমি যজমানরূপী আমার নিমিত্ত আমার সজাতীয়গণকে স্ববশে আনীত করো। হে উখা! অঙ্গিরা ঋষিগণের মতো বিশ্বের নেতা বিশ্বদেবগণ তোমাকে অনুষ্ঠু ছন্দে নির্মিত করেছেন। বিশ্বদেবগণের দ্বারা নির্মিতা তুমি, হে উখা! (তুমি) অত্যন্ত দৃঢ়া এবং দিস্বরূপা। হে উখা! তুমি যজমানরূপী আমাতে প্রজা, ধনপুষ্টি, গো-সমূহের স্বামিত্ব ও সুবীর্যত্ব ধারিত করো। হে উখা! যজমানরূপী আমাদের নিমিত্ত তুমি আমার সজাতীয়গণকে অবশে আনীত করো।

৫৯। [উখার উপরে মৃত্তিকার মেখলা প্রস্তুত করণীয়] হে মেখলা! তুমিউখার কাঞ্চী (স্বর্ণ বা রূপানির্মিত কটিভূষণ) স্বরূপ। হে উখা! দেবমাতা অদিতি তোমাকে মধ্যভাগে ধারণ করুন। অদিতি দেবী এই রকম মহতী, মৃত্তিকাময়ী উখাকে নির্মাণ পূৰ্ব্বক দেবপুত্রগণের নিমিত্ত–এইরকম বলে দেবগণকে প্রদান করেন। হে পুত্র দেবগণ! অগ্নির যোনিভূতা (বা ধারিকা) এই উখায় তোমরা পাক করো।

৬০৷ হে উখা! অঙ্গিরা ঋষিগণের ন্যায় বসুগণ তোমাকে গায়ত্রী ছন্দে ধূপিত করুন; অঙ্গিরা ঋষিগণের ন্যায় রুদ্রগণ তোমাকে ত্রিষ্ঠুভ ছন্দে ধূপিত করুন; অঙ্গিরা ঋষিগণের ন্যায় আদিত্যগণ তোমাকে জগতী ছন্দে ধূপিত করুন; অঙ্গিরা ঋষিগণের ন্যায় বিশ্বের নেতা বিশ্বদেবগণ তোমাকে অনুষ্ঠুভ ছন্দে ধূপিত করুন। অঙ্গিরা ঋষিগণের ন্যায় ইন্দ্রদেব তোমাকে ধূপিত করুন, বরুণ তোমাকে ধূপিত করুন এবং যজ্ঞাভিমানী দেব বিষ্ণু তোমাকে ধূপিত করুন।

৬১৷ [উখায় পাকের নিমিত্ত একটি চতুকোণবিশিষ্ট গর্ত খননীয়] হে গর্ত! বিশ্বদেবতা বা সকল দেবতাগণের সাথে যুক্তা অদিতিদেবী, অঙ্গিরা ঋষিগণের মতো, পৃথিবীর সহস্থান (উপরে) তোমাকে খনন করুন। হে উখা! দেবতাগণের দ্যোতমানা পত্নীগণ, ওষধিবর্গ, অঙ্গিরা ঋষিগণের ন্যায় তোমাকে পৃথিবীর সহস্থান গর্তে স্থাপিত করুন। সকল দেবগণের সাথে যুক্তা বাকের অভিমানিনী বুদ্ধিমতী দেবীগণ, অঙ্গিরা ঋষিগণের ন্যায়, পৃথিবীর সহস্থান (উপরস্থ) গর্তের মধ্যে, হে উখা! তোমাকে সম্যক দীপিত করুন। সকল দেবতাগণের সাথে যুক্তা অহোরাত্রির অভিমানী দেবীগণ, অঙ্গিরা ঋষিগণের ন্যায়, হে উখা! তোমার পচ্যমানতা (বা পাকযোগ্যতা) সম্পাদিত করুন। ছন্দের অভিমানিনী দেবীগণ, অঙ্গিরা ঋষিগণের মতো, হে উখা! তোমাতে পৃথিবীর সহস্থান গর্তে পাক করুন। সতত নক্ষত্রে গমনকারিণী অভিমানিনী দেবীগণ, অঙ্গিরা ঋষিগণের ন্যায়, হে উখা! তোমাতে পৃথিবীর সহস্থান গর্তে পাক করুন।

৬২। মানব প্রজাগণের পোষক, ধারক এবং দ্যোতমান মিত্র (সূর্য) দেবতাগণ পুরাতন সংরক্ষণ তথা অত্যন্ত শ্রবণীয় ধন-অন্নের (অর্থাৎ ঐশ্বর্য ও যশের) নিমিত্ত প্রার্থনা করছি৷৷

৬৩৷ হে উখা! সুন্দর হস্তশালী, সুন্দর অঙ্গুলিশালী এবং সুন্দর বাহুশালী সবিতা (সূর্য) দেব আপন শক্তির দ্বারা তোমাকে গহ্বর হতে নিষ্ক্রান্ত করুন। হে উখা! সবিতাদেবের দ্বারা নিষ্কান্ত (প্রকাশিত) হয়ে তুমি পৃথিবীর উপর অচল হয়ে এখন সকল দিক বিদিকে আহুতি-রসে আপূরিত করে দাও।

৬৪। তাহে উখা! এই গর্ত হতে নিষ্কান্ত হয়ে (বাহিরে আগত হয়ে) এখন তুমি মহিমাময়ী হয়ে ওঠো। তুমি আপন কর্মে প্রবর্তমানা হও। তুমি স্বভাবতঃ স্থিরা। হে সর্বোপকারী মিত্র (সূর্য) দেবতা! আমি এই উখাকে তোমায় অভেদানার্থে সমর্পিত করছি। তোমার দ্বারা পরিগৃহীতা এই উখা, হে দেব! এখন যেন বিশীর্ণ না হয়।

৬৫৷ হে উখা! অঙ্গিরা ঋষিগণের ন্যায় বসুগণ গায়ত্রী ছন্দে তোমার উপরে রস-সেচন করুন। অঙ্গিরা ঋষিবৃন্দের ন্যায় রুদ্ৰবৃন্দ ত্রিষ্টুপ ছন্দের দ্বারা তোমার উপর রস-সিঞ্চিত করুন। অঙ্গিরা ঋষিবর্গের ন্যায় আদিতবর্গ জগতী ছন্দে তোমার উপর রসের সিঞ্চন করুন। অঙ্গিরা ঋষিগণের ন্যায় বিশ্বের নেতা (সকলের পরিচালক) বিশ্বদেবগণ অনুষ্ঠুভ ছন্দের দ্বারা তোমার উপর রসের আসিঞ্চন করুন।

৬৬। অগ্নিচয়ন কর্মের অনুষ্ঠানের সমন্বিত আমাদের সংকল্পকে স্বকর্মে প্রযুক্তকারী অগ্নির নিমিত্ত এই আহুতি (স্বাহা মন্ত্রে) প্রদান করছি। মন ও ধারণাবুদ্ধিকে স্বকর্মে প্রযুক্তকারী অগ্নির নিমিত্ত এই আহুতি প্রদান করছি। চিত্ত ও বিজ্ঞানের প্রেরক অগ্নির নিমিত্ত এই আহুতি প্রদত্ত হচ্ছে। বাণী ও বিধৃতিকে প্রেরিতকারী অগ্নির নিমিত্ত এই আহুতি প্রদান করছি। প্রজাপতি তথা মনুর নিমিত্ত এই আহুতি প্রদান করছি। বিশ্বের নেতা অগ্নির নিমিত্ত এই আহুতি (স্বাহা মন্ত্রে) প্রদান করছি।

৬৭। ফল-প্রাপক নেতা সবিতাদেবের মিত্রত্ব সকল মনুষ্য বরণ করে থাকে (অর্থাৎ সূর্যোদয়ের পর যজ্ঞ ইত্যাদি কর্ম অনুষ্ঠিত করে)। সকল ধনের জন্য যাচনা করে এবং পোষণের নিমিত্ত অন্ন প্রাপ্ত হয়। সেই উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্তই এই আহুতি প্রদান করছি৷

৬৮। ৷হে মাতা উখা! তুমি রকমারিভাবে খণ্ড খণ্ড হয়ে যেও না এবং কোনভাবে ভীত হয়ো না। তুমি দৃঢ়া হয়ে অগ্নি-ধারণ রূপ বীরকর্ম সম্পাদিত করো তুমি আমাদের অভীষ্ট কর্মের সমাপ্তি পর্যন্ত অগ্নিকে ধারণ করতে থাকো।

৬৯। হে পৃথিবী (মৃত্তিকা) নির্মিত এবং দ্যোতন ইত্যাদি গুণযুক্তা উখা! আমাদের কল্যাণের নিমিত্ত তুমি দৃঢ়া হও। তুমি স্বধার (অন্নের) কামনায় প্রাণধারিকা মায়া বিস্তার করে থাকো। তোমাতে আহুতিরূপে প্রদত্ত এই দ্রব্য দেবতাগণের প্রীতিকারক হোক। হে উখা! তুমি এই যজ্ঞে সর্বথা অক্ষতা হয়ে বিদ্যমান থাকো।

৭০। বৃক্ষকে অন্নরূপে (খাদ্যরূপে গ্রহণকারী, ঘৃতে তৃপ্তিশালী, পুরাতন, দেবগণের আহ্বতা বরণীয়, বলের পুত্র (মন্থনের দ্বারা উৎপন্নবান্ হওয়ার নিমিত্ত) এবং সর্বথা অদ্ভুত (বিস্ময়কর্মকারী) অগ্নি এই সমিধ ভক্ষণ করুক।

৭১। হে অগ্নি! শত্রুর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে যাওয়া আমাদের বীরগণকে পার করো (বিজয়ী করো এবং আমি যেখানে স্বয়ং বিদ্যমান আছি তুমি সেই স্থাকে রক্ষা করো।

৭২। হে রোহিত অশ্বশালী অগ্নি! তুমি সেই আপন রোহিত অশ্বের উপর আরোহণ পূর্বক সুদূর স্বর্গ ইত্যাদি হতে শীঘ্র আমাদের যজ্ঞস্থলে আগত হও। পশুহিতকারী এবং বহু ঋত্বিক-যজমান ইত্যাদির প্রিয়, হে অগ্নি! এই স্থলে আগমন পূর্বক তুমি হিংসক রাক্ষস ইত্যাদি হতে আমাদের ত্রাণ করো।

৭৩। হে অগ্নি! আমরা কর্তিত বা পতিত যে সমিধগুলি (কাষ্ঠগুলি) তোমাতে প্রদান করি, এই সবই তোমার নিমিত্ত ঘৃতবৎ প্রিয় হোক। হে সদা-তরুণ অগ্নি! তুমি সেইগুলি ঘৃতের সাথেই প্রীতি পূর্বক সেবন করো। [এই মন্ত্রে আপনা আপনি ভগ্ন হয়ে পতিত কাষ্ঠে হোম কর্তব্য]।

৭৪। যে সমিধকে উপজিৱিকা (পিপড়ার মতো কোন কীট) কুড়ে খেয়েছে এবং বল্মীক (উই পোকা) চলাচল করছে, সেই সব সমিধগুলি, হে অগ্নি! তোমার নিকট ঘৃতের ন্যায় প্রিয় হোক। হে সদাতরুণ বা যুবতম অগ্নি! তুমি সেই সকল সমিধগুলিকে প্রীতি পূর্বক সেবন করো।

৭৫। অশ্বশালায় আবদ্ধ অশ্বেরও নিমিত্ত, নিরালস্যভাবে প্রতিদিন দানা-ঘাস প্রদানের ন্যায় এই তুমি অগ্নিকে আমরা প্রচুর, সমিধ প্রদান করে ধনপুষ্টি এবং অন্নে সর্বথা আনন্দিত হয়ে থাকি। হে অগ্নি! তোমার প্রতিবেশী আমরা (তোমার নিকটে উপবিষ্ট সমিধাদানকারী ঋত্বিক-যজমানগণ) কখনও যেন হিংসিত না হই।

৭৬। পৃথিবীর নাভি (কেন্দ্র) এই আহবনীয় বেদীতে স্থিত উখায় সমিধ্যমান, হবিরান্নে তৃপ্তিশালী, মহৎ স্ততশাস্ত্রশালী, যজনীয়, যজনশীল এবং যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুগণকে সদাই অভিভূতকারী অগ্নিদেবকে আমরা বিস্তৃত ধনের পুষ্টির নিমিত্ত আহ্বান করছি৷৷

৭৭। যে শত্রুসেনাগণ প্রতি-আক্রমণের নিরত, যারা আপন অস্ত্র-শস্ত্রে আমাদের শরীরকে বিদ্ধকারী এবং যে শত্রুসেনাগণ বড় বড় বলশালী সেনানায়ক ইত্যাদিতে যুক্ত, যারা চোর, যারা লুণ্ঠনকারী, হে অগ্নি! সেই সব সেনাচোর ইত্যাদিকে আমরা তোমার মুখে ধারণ করচি (বা নিক্ষেপ করছি)।

৭৮। চোয়ালের দ্বারা লুটেরাগণকে, তীক্ষ্ণ দন্তে তস্করগণকে তথা সম্মুখবর্তী দন্তে চোরগুণকে, হে মহাভাগ্যবান্ অগ্নি,–তাদের সকলকে চর্বণপূর্বক ভক্ষণ করো। [এই স্থানে বলা হয়েছে–গুপ্ত অর্থাৎ অদৃশ্য প্রকটভেদে চোর দুপ্রকার। প্রকট চোরও আবার দুপ্রকার। অরণ্যে বা পথে প্রহারপূর্বক পলায়মান এবং নির্ভয়ে গ্রামে প্রবেশ পূর্বক মলিম্লচ নামধারী চোর–এরা প্রকট চোর। এই সব রকমের চোরগণকে অগ্নি যেন ভক্ষণ করে বিনাশ করেন]।

৭৯। গ্রাম ইত্যাদিতে প্রবেশপূর্বক যারা লোককে প্রহার করে, কর্তন করে এবং বন্দী করে, বনের মধ্যে যে পাপকামী দস্যু (লুটেরা) লতা-গুল্মের আচ্ছাদিত থেকে লোককে আঘাত করে, তাদের সকলকে, হে অগ্নি! আমি তোমার চোয়ালের মধ্যে নিক্ষেপ করছি।

৮০। যারা আমাদের প্রতি শত্ৰুবৎ আচরণ করে; যে মনুষ্য আমাদের দ্বেষ করে, যারা আমাদের নিন্দা করে এবং রাক্ষস ইত্যাদি যারা আমাদের প্রতি হিংসা করতে অভিলাষী, হে অগ্নি! তাদের সকলকে তুমি ভস্মসাৎ করে ফেলো।

৮১। হে অগ্নি! আমারূপী পুরোহিতের মন্ত্রবল তোমার দয়ায় সংতীক্ষ হয়েছে এবং আমার বলবীর্যও সংতীক্ষ্ণ হয়েছে। আমি যে রাজন্যের পুরোহিত, সেই ক্ষত্রিয় রাজন্যও আমার মন্ত্র ইত্যাদির দ্বারা সংতীক্ষ্ণ হয়ে সর্বৰ্থা বিজয়শীল হয়ে থাকেন।

৮২। আমি আপন মন্ত্রবলে আপন রাজার বীর সেনাগণের বাহুবল অত্যন্ত বৃদ্ধি করেছি, তাদের তেজঃ (বৰ্চ) বৃদ্ধি করেছি এবং তাদের বল (সাহস) বৃদ্ধি করেছি। সেই সাথে আমি মন্ত্রের দ্বারা শত্রুগণকে ক্ষীণ করে দিয়েছি। আমি আপনজনকে উন্নত করেছি।

৮৩। হে অন্নের পালক দাতা অগ্নিদেব! বোগরহিত ও বলকারী অন্নকে আমাদের ভাগ্যের অংশীভূত করে দাও। যিনি অন্নের দানকারী, সেই যজমান ইত্যাদিকে বিপত্তি হতে উত্তীর্ণ করো। আমাদের অর্থাৎ মনুষ্য পশু ইত্যাদিকে তুমি এই অন্ন ইত্যাদি খাদ্য-পানীয়ের দ্বারা বলবীর্য-বুদ্ধির আধান করো।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *