২৮. শুক্লযজুর্বেদ – অষ্টাবিংশ অধ্যায়

অষ্টাবিংশ অধ্যায়

মন্ত্রঃ– হোতা যক্ষৎসমিধেন্দ্ৰমিড়ম্পদে না পৃথিব্যা অধি। দিব্যে বৰ্মন্সমিধ্যত ওজিষ্ঠশ্চর্ষণীসহাং বেত্বাজ্যস্য হোতর্যজ৷৷১। হোতা যত্তনপাতমূতিভির্জেরম পরাজিত। ইন্দ্রং দেবং স্বর্বিদং পথিভিমধুমত্তমৈনরাশংসেন তেজসা বেত্তাজ্যস্য হোতজ৷৷২৷৷ হোতা যদিড়াভিরিন্দ্রমীড়িতমাজুনমমর্ত। দেবো দেবৈঃ সবীর্যো বজ্রহস্তঃ পুরন্দররা বেত্বাজ্যস্য হোতজ।।৩৷৷ হোতা যক্ষদ্বহিষীন্দ্রং নিষদ্বরং বৃষভং নর্যাপস। বসুভী রুদ্রৈরাদিত্যৈঃ সযুভিহিরাসদদ্বেত্বাজ্যস্য হোতর্যজ৷৷৷৷ হোতা যক্ষদোজো ন বীর্যং সহো দ্বার ইন্দ্রমবর্ধয়। সুপ্ৰায়ণা অস্মিন্ যজ্ঞে বি স্রয়ন্তামৃতাবৃধো দ্বার ইন্দ্রায় মীচুষে ব্যন্ড্রাজ্যস্য হোতর্যজ৷৷৷৷ হোতাযক্ষদুষে ইন্দ্রস্য ধেনূ সুদুঘে মাতরা মহী। সবাতরৌ ন তেজসা বৎসমিন্দ্রমবর্ধতাং বীতামাজ্যস্য হোতজ৷৷৬৷৷ হোতা যক্ষর্দৈব্যা হোতারা ভিষজা সখায়া হবিযেং ভিষজ্যতঃ।কবী দেবৌ প্রচেতসাবীন্দ্রায় ধৰ্ত্ত ইন্দ্রিয়ং বীতামাজ্যস্য হোতজ।।৭৷ হোতা যক্ষত্তিস্রো। দেবীর্ন ভেষজং ত্রয়স্ত্রিধাতবোহপস ইডা সরস্বতী ভারতী মহীঃ। ইন্দ্ৰপত্নীহ বিষ্মতীৰ্বত্ত্বাজস্য হোতজ৷৷৷৷ হোতা যক্ষষ্টারমিং দেবং ভিষজং সুষজং ঘৃতশ্রিয়। পুরুরূপং সুরেতসং মযোনমিল্লায় ত্বষ্টা দুধদিন্দ্রিয়া ণি বেত্বাজ্যস্য হোতজ।৯। হোতা যক্ষদ্বনস্পতিং শমিতারং শতক্রতুং ধিয়ো জোষ্টারমিয়িম্। মধ্বা সমঞ্জপথিভিঃ সুগেভিঃস্বদাতি যজ্ঞং মধুনা ঘৃতেন বেত্বাজ্যস্য হোতজ৷৷১০৷৷ হোতা যক্ষদিন্দ্ৰং স্বাহাইজ্যস্য স্বাহা মেদসঃ স্তোকানাং স্বাহা স্বাহাকৃতীনাং স্বাহা হব্যসূক্তীনা। স্বাহা দেবা আজ্যপা জুষাণা ইন্দ্র আজ্যস্য ব্যন্তু হোতর্যজ৷৷১১৷ দেবং বহিরিং সুদেবং দেবৈীরবত্তীর্ণং বেদ্যামবর্ধয়ৎ। বস্তোবৃতং প্রাক্তোভৃতং রায়া বহিষ্মতোইত্যগাদ্বসুবনে বসুধেয়স্য বেতু যজ৷১২৷৷ দেবীদ্বার ইন্দ্ৰং সংঘাতে বীত্বীৰ্যামবর্ধয়। আ বৎসেন তরুণেন কুমারেণ চ মীবতাপার্বাণং রেণুককাটং নুদস্তাং বসুবনে বসুধেয়স্য ব্যস্তু যজ৷১৩৷৷ দেবী উষাসানক্তেং যজ্ঞে প্রত্যতো। দৈবীর্বিশঃ প্রায়াসিষ্টাং সুপ্রীতে সুধিতে বসুবনে বসুধেয়স্য বীতাং যজ৷৷১৪৷৷ দেবী জোষ্ট্ৰী বসুধিতী দেবমিন্দ্রমবর্ধতা। অয়াব্যন্যাঘা দ্বেষাংস্যান্যা বসু বার্ষাণি যজমানায় শিক্ষিতে বসুবনে বসুধেয়স্য বীতাং যজ৷৷১৫৷৷ দেবী ঊর্জাহুতী দুঘে সুদুঘে পয়সেমবর্ধতা। ইষমূৰ্জমন্যা বক্ষৎসঞ্জিং সপীতিমন্যা নবেন পূর্বং দয়মানে পুরাণেন নবমধাতামূর্জমূর্জাহুতী উর্জয়মানে বসু বার্যাণি যজমানায় শিক্ষিতে বসুবনে বসুধেয়স্য বীতাং যজ৷১৬৷৷ দেবা দৈব্যা হোতারা দেবমিম বর্ধতা। হতাঘশংসাবাভাাং বসু বার্ষাণি যজমানায় শিক্ষিতৌ বসুবনে বসুধেয়স্য বীতাং যজ৷১৭৷৷ দেবীস্তিস্তিম্রো দেবীঃ পতিমিন্দ্রমবর্ধয়। অস্পক্ষারতী দিবং রুদ্রৈর্যজ্ঞং সরস্বতী বসুমতী গৃহা বসুবনে বসুধেয়স্য ব্যন্তু অজ৷১৮৷ দেব ইন্দ্রো নরাশংসঠুবরূথস্ত্রিবন্ধুরো দেবমিন্দ্রমবর্ধয়ৎ। শতেন শিতিপৃষ্ঠানামাহিতঃ সহস্রেণ প্রাবর্ততে মিত্রা বরুণেদস্য হোমতো বৃহস্পতিঃ স্তোত্রমশ্বিনাধ্বর্যবং বসুবনে বসুধেয়স্য বেতু যজ৷৷১৯৷৷ দেবো দৈবৈর্বনস্পতিহিরণ্যপর্ণো মধুশাখঃ সুপিপ্পলো দেবমিন্দ্রমবর্ধয়ৎ। দিবমগ্ৰেণাম্পৃক্ষদান্তরিক্ষং পৃথিবীমংহীদ্বসুবনে বসুধৈয়স্য বেতু যজ৷৷২০৷৷ দেবং বহির্বারিতীনাং দেবমিন্দ্রমবর্ধয়ৎ। স্বাসস্থমিন্ত্রেণাসন্নমন্যা বহীং ষ্যভ্যভূবনে বসুধেয়স্য বেতু যজ৷৷২১৷ দেব অগ্নিঃ স্বিষ্টকৃদ্দেবমিন্দ্রমবর্ধয়ৎ। স্পিষ্টংকুর্ব স্বিকৃৎষ্টিমদ্যকরোতু নো বসুবনে বসুধেয়স্য বেতু যজ৷৷২২৷ অগ্নিমদ্য হোতারমবৃণীতায়ং যজমানঃ পচম্পক্তীঃ পচন্ডুরোডাশং বধুন্নিায় ছাগ। সূপস্থা অদ্য দেবো বনম্পতিরভবদিন্দ্রায় ছাগেন। অধত্তং মেদঃ প্রতি পচতাগ্রভীবীবৃধৎ পুরোডাশেন। মদ্য ঋযে৷৷২৩৷৷ হোতা যক্ষৎসমিধানং মহদ্যশঃ মিদ্ধং বরেণ্য মগ্নিমিং বয়োস। গায়ত্ৰীং ছন্দ ইন্দ্রিয়ং বিং গাং বয়ো দখদ্বেত্বাজ্যস্য হোতজ।২৪৷৷ হোতা যত্তনপাতমুদ্ভিদং যং গর্ভমদিতির্দধে শুচিমিং বয়ো ধস। উষ্ণিহং ছন্দ ইন্দ্রিয়ং দিত্যবাহং গাং বয়ো দখদ্বেত্বাজ্যস্য হোতজ৷২৫৷৷ হোতা যক্ষদীডেন্যমীড়িতং বৃহন্তমমিড়াভিরীডং সহ সোমমিং বয়োধসম্। অনুষ্ঠুভং ছন্দ ইন্দ্রিয়ং পঞ্চাবিং গাং বয়ো দখদ্বেত্বাজ্যস্য হোতজ৷৷২৪৷৷ হোতা যক্ষৎসুবহিষং পুষন্তমমর্ত্যং সীদন্তং বহিষিপ্রিয়েমৃতেং বয়োস। বৃহতীং ছন্দ ইন্দ্রিয়ং ত্রিবৎসং গাং বয়্যে দধদ্বেত্বাজ্যস্য হোতজ৷৷২৭৷ হোতা যক্ষদ্ব্যচস্বতীঃ সুপ্ৰায়ণা ঋতাবৃধো দ্বাররা দেবীৰ্হিরণ্যয়ীব্ৰহ্মাণমিং বয়োধসম্পংক্তি ছন্দইহেন্দ্ৰিয়ং তুর্যবাহং গাং বয়ো দধদ্ব্যর্ন্তাজ্যস্য হোতজ৷৷২৮৷৷ হোতা যক্ষৎসুপেশসা সুশিল্পে বৃহতী উভে নন্তোষাসা ন দর্শতে বিশ্বমিং বয়োধস। ত্রিভং ছন্দ্ৰ ইহেন্দ্ৰিয়ং ষষ্ঠবাহং গাং বয়ো দধদ্বীতামাজ্যস্য হোতজ।।২৯। হোতা যক্ষপ্রচেতসা দেবানা মুত্তমং যশো হোতারা দৈব্যা কবী সযুজেন্দ্র বয়োধসম্। জগতীংছদ ইন্দ্রিয়মনহং গাং বয়ো দধদ্বীতামাজ্যস্য হোতর্জ।৩০ হোতা যক্ষৎপেশস্বতীস্তিম্রো দেবী হিরণ্যয়ীভারতীবৃহতীমহঃ পতিমিং বয়োধস। বিরাজং ছন্দ ইহেন্দ্ৰিয়ং ধেনুং গাং ন বয়ো দধদ্ব্যন্ড্রাজ্যস্য হোতর্যজ৷৷৩১৷৷ হোতা যক্ষৎসুরেত সং ত্বষ্টারং পুষ্টিবর্ধনং রূপাণি বিভ্রতং পৃথক পুষ্টিমিং বয়োধস। দ্বিপদং ছন্দ ইন্দ্রিয়মুক্ষাণং গাংন বয়ো দধদ্বেত্বাজ্যস্য হোতজ।৩২৷৷ হোতা যক্ষদ্বনস্পতিং শমিতারং শতক্রতুং হিরণ্য পর্ণমুথিনং রশনাং বিভ্রতং বণিং ভবমিং বয়োধস। ককুভং ছন্দ ইহেন্দ্ৰিয়ং বশ্যাং বেতহং গাং বয়ো দধদ্বোত্বাজ্যস্য হোতজ।।৩৩৷৷ হোতা যক্ষৎস্বাহাকৃতীরগিং গৃহপতিং পৃথরুণং ভেষজং কবিং ক্ষত্রমিং বয়োধস। অতিচ্ছদসং ছন্দ ইন্দ্রিয়ং বৃহদৃষভং গাং বয়ো দধদ্ব্যজ্যসা হোতজ।৩৪৷৷ দেবং বৰ্হি বয়োধসং দেবমিন্দ্রমবর্ধয়ৎ। গায়া ছদসেয়িং চক্ষুরিন্দ্রে বয়ো দধদ্বসুবনে বসুধেয়স্য বেতু যজ৷৷৩৫৷৷ দেবীদ্বাররা বয়োধসং শুচিমিন্দ্রমবর্ধয়। উষ্ণিহা ছদসেন্দ্ৰিয়ং প্রাণমিন্দ্রে বয়ে দধদ্বসুবনে বসুধেয়স্য ব্যন্তু যজ।।৩৬৷৷ দেবী উষাসানক্তা দেবমিং বয়োধসং দেবী দেবমবর্ধতা। অনুষ্ঠুভা ছন্দসেন্দ্ৰিয়ং বলমিন্দ্রে বয়ো দধন্বসুবনে বসুধেয়স্য বীতাং যজ৷৷৩৭৷৷ দেবী জোষ্ট্ৰী বসুধিতী দেবমিং বয়োধসং দেবী দেবমবর্ধর্তাম্। বৃহত্যা ছন্দসেয়িং শ্রোত্রমিন্দ্রে বয়ো দধদ্বসুবনে বসুধেষস্য বীতাং যজ।।৩৮৷৷ দেবী ঊর্জাহুতী দুধে সুদুঘে পয়সেং বয়োধসং দেবী দেবমবর্ধতাম্। পক্ত্যা ছদসেয়িং শুক্রমিন্দ্রে বয়ো দধসুবনে বসুধেয়স্য বীতাং যজ৷৷৩৯। দেবা দৈব্যা হোতারা দেবমিং বয়োধসং দেবৌ দেবমববর্ধতা। ত্রিষ্ঠুভা ছদসেন্দ্ৰিয়ং ত্বিষমিন্দ্রে বো দুধদ্বসুবনে বসুধেয়স্য বীত্যাং যজ।৪০৷৷ দেবীস্তিস্তিম্রো দেবীর্বয়োধসং পতিমিন্দ্রমবর্ধয়। জগত্যা ছন্দসেন্দ্রিয়ুং শুষমিন্দ্রে দধদ্বষুবনে বসুধেয়স্য ব্যন্তু যজ।৪১৷৷ দেবো নরাশংসো দেবমিং বয়োধসং দেবো দেবমবর্ধয়ৎ। বিরাজা ছন্দসেয়িং রূপমিন্দ্রে বয়ে দধদ্বসুবনে বসুধেয়স্য বেতু যজ।৪২৷৷ দেবো বনম্পতিদেবমিং বয়োধস দেবো দেবমবর্ধয়ৎ। দ্বিপদা ছন্দসেন্দ্ৰিয়ং ভগমিন্দ্রে বয়ো দধসুবনে বসুধেয়স্য বেতু যজ৷৷৪তা দেবং বহির্বারিতীনাং দেবমিং দেবো দেবমবর্ধয়ৎ। ককুভা ছন্দসেয়িং যশ ইন্দ্ৰে বয়ো দধসুবনে বসুধেয়স্য বেতু । যজ৷৷৪৪৷৷ দেবো অগ্নিঃ স্বিষ্টকৃদ্দেবমিং বয়োধসং দেবো দেবমবর্ধয়ৎ। অতিচ্ছন্দসা ছদসেয়িং ক্ষত্রমিন্দ্রে বয়ো দধদ্বসুবনে বসুধেয়স্য বেতু যজ।৪৫৷৷ অগ্নিমদ্য হোরমবৃণীতায়ং যজমানঃ পচপীঃ পচপুরোডাশং বস্তুন্নিায় বয়োধসে ছাগ। সূপস্থা অদ্য দেবো বনস্পতিরভবদিন্দ্রায় বয়োধসে ছাগেন। অঘত্তং মেদঃ প্রতি পচতাগ্রভীবীবৃধং পুরোডাশেন। স্বামদ্য ঋষে।৪৬।

[কাণ্ড-৪৬, মন্ত্র-৫০]

.

মন্ত্ৰার্থঃ— ১।পৃথিবীর স্থানে বেদির উপরে দৈব হোতা ইন্দ্রকে অগ্নিভাবে সমিধের দ্বারা যজন করুক। অন্তরিক্ষের নাভিস্থানে বিদ্যুৎরূপে এবং দ্যুলোকের উত্তম স্থানেও সূর্যরূপে ইন্দ্র যজনকৃত হয়ে থাকে। প্রজা বা মনুষ্যগণকে অভিভূত করণশালী সেই অত্যন্ত ওজস্বী ইন্দ্র ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যজন করো।

২। জেতা, অপরাজিতা এবং স্বৰ্গবেত্তা ইন্দ্রের ও তনূনপাৎ অগ্নির যজন দৈব হোতা অত্যন্ত মধুর হবিঃর দ্বারা করে থাকে। তেজস্বী নরাশংস অগ্নির সাথে ইন্দ্র ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো ৷

৩। দৈব হোতা প্রযাজ দেবতা ইড়া প্রভৃতির সাথে সংস্তুত, আহ্বায়মান তথা অমর ইন্দ্রকে যজন করুক। দেবগণের সমান বীর্যশালী, বজ্রহস্ত এবং অসুরপুরীকে বিদারণকারী ইন্দ্রদেব ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্যহোত! তুমিও যজন করো।

৪। বেদির উপর উপবেশনকারীগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, অভীষ্টবৰ্ষক এবং যজমানের হিতকর কার্য করণশালী ইন্দ্রকে দৈব হোতা দর্ভাসনের উপর যজন করছে। সেই ইন্দ্র বসু, রুদ্র এবং আদিত্যগণের সাথে সংযুক্ত বা সম্মিলিত হয়ে দুর্ভাসনের উপর উপবেশন করুক। তারা ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যজন করো।

৫। ইন্দ্রের মধ্যে ওজ (অর্থাৎ ইন্দ্রিয়বল), বীর্য (অর্থাৎ শরীরবল) ও সহঃ (অর্থাৎ মনোবল) বৃদ্ধিকারিণী দ্বারদেবীগণকে দৈব হোতা যজিত করুক। সেচক ইন্দ্রের নিমিত্ত এই যজ্ঞে সুগমনা ও যজ্ঞবর্ধিনী দ্বারদেবীগণ পূর্ণভাবে প্রকাশ্যে স্থিতা হোক। দ্বারদেবীগণ ঘৃত পান করুক। হেমনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

৬। ইন্দ্রের সুদুঘা গাভীসমূহ তথা মহতী মাতৃদ্বয় (মাতৃবৃৎ পালিকা) উষা ও রাত্রিকে দৈব হোতা যজিত করুক। সেই দুজনা, সমানবসা গাভীর ন্যায়, ইন্দ্ররূপী বৎসকে তেজের দ্বারা বর্ধন করছে। সেই দুজনা ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তোমরাও যজন করো।

৭। দেববৈদ্য এবং পরস্পর মিত্র দৈবী হোতৃদ্বয় অগ্নি ও বায়ুর যজন দৈব হোতা করুক। তারা হবিঃর দ্বারা ইন্দ্রকে নিরোগ করে থাকে। ক্রান্তদ্রষ্টা এবং বিদ্বান্ সেই দুজন ইন্দ্রকে শক্তি প্রদান করতে থাকে। তারা ঘৃত পান করুক। হে হোতা! তুমিও যজন করো

৮। ভেষজরূপ, কর্মবান্ এবং অগ্নি-বায়ু-আদিত্যরূপ তিন ধারণকর্তাকে, তিনি লোকের এবং ইড়া-সরস্বতী ও ভারতী এই তিন দেবীর যজন দৈব হোতা করুক। ইন্দ্রের পালয়িত্ৰী তথা হবিযুক্তা সেই তিন দেবী ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যজন করো।

৯। ঐশ্বর্যবান্, দ্যোতমান, বৈদ্য, সুষজনীয় ঘৃতের দ্বারা শোভাপ্রাপ্তিশীল, অনেক রূপধারী, সুবীর্যবান্ এবং ধনবান্ ত্বষ্টাদেবকে দৈব হোতা যজন করুক। তৃষ্টাদেব ইন্দ্রকে ইন্দ্রিয়শক্তি প্রদান করেন। সেই ত্বষ্টাদেব ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা!তুমিও যজন করো।

১০। হবিঃসংস্কর্তা, বুদ্ধিকে কর্মে প্রয়োগশালী তথা শক্তিবান্ বনস্পতি-পকে দৈব হোতা যজন করুক। সুগম পথে আহুতির দ্বারা মধুর ঘৃতে যজ্ঞকে যুক্ত করে সেই ঘৃত দেবগণকে আস্বাদিত করিয়ে থাকে। সে ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

১১। দৈব হোতা ইন্দ্রদেবতার যজন ৬ করুক। মৃতের (আজ্যের) দেবতার উদ্দেশ্যে স্বাহা মন্ত্রে আহুতি প্রদান করছি। মেদবিন্দু সমূহের নিমিত্ত স্বাহা মন্ত্রে আহুতি প্রদান করছি। স্বাহাকৃতিশালী দেবগণের নিমিত্ত স্বাহা মন্ত্রে আহুতি প্রদান করছি। হব্যের সূক্তি সমূহশালী দেবগণের নিমিত্ত স্বাহা মন্ত্রে আহুতি প্রদান করছি। প্রসন্ন হয়ে ঘৃতপায়ী দেবতা ঘৃত পান করুক। ইন্দ্রও ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো৷

১২। ঋত্বিক ইত্যাদির দ্বারা সনাথ (নাথ বা বীরযুক্ত), ইন্দ্র প্রভৃতি দেবগণের দ্বারা সুষ্ঠু যুক্ত এবং বেদির উপর বিস্তৃত দ্যোতমান দৰ্ভ ইন্দ্রদেবের বৃদ্ধি সাধন করছে। দিবায় ছিন্নিকৃত, রাত্রে সতর্ক হয়ে ধারণ কৃত এবং দৰ্ভত্বধনের দ্বারা অন্য সামগ্রীগুলিকে উল্লঙঘনশালী বৰ্হিদেব ধনদান ও যজমান ধন ধারণের নিমিত্ত ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

১৩। দ্বারদেবীগণ দ্যোতমান দ্বার, অর্গলবদ্ধ দেহলী ইত্যাদি সংঘাত সম্পন্ন হওয়ার পর দৃঢ় যজ্ঞকর্মে ইন্দ্রের বৃদ্ধি সাধন করে থাকেন। কার্যক্ষম যুবা এবং হিংসাপ্রিয় বালকগণের দ্বারা অনুগম্যমান এবং ধূলিতে উন্মুক্ত হওয়া কূপ ইত্যাদি পথ হতে দ্বারদেবীগণ দূর করুক। ধনদান এবং যজমানের গৃহে ধন-ধারণের নিমিত্ত দ্বারদেবীগণ ঘৃত পান করুক।

১৪। দ্যোতমানা উষা ও রাত্রির অভিমানী দেবীদ্বয় যজ্ঞে ইন্দ্রকে আহ্বান করুক। তারা দৈবী প্রজা বসু রুদ্র-আদিত্যগণকে প্রাপ্ত হোক। সুপ্রসন্না ও সুহিতকারিণী সেই দুইজনা ধনদান এবং যজমানের গৃহে ধন-ধারণের নিমিত্ত ঘৃত পান করুক। হে দৈব হোতা! তুমিও যজন করো ৷

১৫। দ্যোতমানা, সপ্রীতি তথা ধন ধারিত করণশালিনী দ্যাবাপৃথিবী ইন্দ্রের বৃদ্ধি সাধন করে। তাদের মধ্যে একজনা পাপ ও দ্বেষ (বা দুর্ভাগ্য) দূর করে, অন্য জনা ধন এবং বরণীয় বস্তুসমূহকে ঘরে আনয়ন করে অর্থাৎ দান করে। সেই দুজনা জ্ঞানবতী। ধনদান তথা যজমানের নিমিত্ত ধন স্থাপিত করণশালিনী সেই দুজানা ঘাত পান করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যজন করো।

১৬। সুষ্ঠু দোগ্ধী এবং দ্যোতমানা পূর্বা ও প্রৈষা (বা ঊর্জ ও আহুতি) নাম্না দুই দেবী দুগ্ধের দ্বারা ইন্দ্রের বৃদ্ধি সাধন করে। তাদের মধ্যে একজনা যজমানের নিমিত্ত অন্ন ও বল আনয়ন করে এবং অন্যজনা পুত্র ইত্যাদি সম্পর্কিত সহজে ও সহপান আনয়ন করে। দয়া পূর্বক সেই ঊর্জ ও আহুতি দেবীদ্বয় পুরাতন অন্নের দ্বারা নূতন অন্নকে আবৃত (ধারণ) করে থাকে। বল ব্যক্ত করে ঊর্জ ও আহুতি দেবীদ্বয় যজমানের নিমিত্ত ধন ও বরণীয় পদার্থ আনয়ন করে। শিক্ষিতা ঐ দুজানা ধনদান তথা যজমানের গৃহে ধন স্থাপনের কারণে ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

১৭৷ দৈবী হোত অগ্নি-বায়ু দুই জন, ইন্দ্রদেবের বৃদ্ধি সাধন করে। নিন্দককে মারণশীল ঐ দুই জন, যজমানের নিমিত্ত ধন তথা অন্য বরণীয় পদার্থ আনয়ন করে। শিক্ষিত ঐ দুই দৈবী হোতা ধনদান তথা যজমানের গৃহে ধন পূর্ণ করার নিমিত্ত ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা। তুমিও যজন করো।

১৮। তিন দেবী পালক ইন্দ্রের বর্ধন করে। ভারতী দেবী দ্যুলোককে স্পর্শ করে; সরস্বতী দেবী রুদ্রগণের সাথে যজ্ঞকে স্পর্শ করে; এবং ধনবতী ইড়া দেবী গৃহ অর্থাৎ পৃথিবীকে স্পর্শ করে। ধন দান তথা যজমানের গৃহকে ধনের দ্বারা পূর্ণ করার নিমিত্ত ঐ দেবীত্রয় ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যজন করো।

১৯। ঋত্বিবৃন্দের দ্বারা প্রশংস্যমান, দ্যোতমান, ঐশ্বর্যশালী, তিনটি গৃহ-সম্পন্ন এবং ঋক্‌-যজুঃ-সামের তিন বন্ধনযুক্ত এই নরাসংস যজ্ঞ ইন্দ্রদেবের বৃদ্ধি সাধন করছে। কৃষ্ণপৃষ্ঠশালিনী শত গাভীর দ্বারা অধ্যাসিত সেই যজ্ঞ গো সহস্রের দ্বারা প্রবর্তিত হয়ে থাকে। মিত্র ও বরুণ এর হোতৃকর্মের যোগ্য। বৃহস্পতি-এর উদগাতৃকর্মের এবং অশ্বিনদ্বয় এর অধ্বর্যুকর্মের যোগ্য। ধনদান ও ধন-ধারণের নিমিত্ত সেই যজ্ঞ (বা নরাশংসক দেবতা) ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা!তুমিও যজন করো।

২০৷ দেববর্গের দ্বারা হিরণ্যবর্ণ, মধুর শাখাসম্পন্ন এবং অশ্বিদ্বয় ও সরস্বতীর দ্বারা সুফলবান্ ঘূপদেব বনস্পতি ইন্দ্রদেবের বৃদ্ধি সাধন করে। সেই ঘূপ আপন অগ্রভাগে দ্যুলোককে স্পর্শ করে; অন্তরিক্ষকে মধ্যভাগের দ্বারা স্পর্শ করে এবং শেষভাগের দ্বারা পৃথিবীকে দৃঢ়রূপে নির্মাণ করে। সেই ঘূপ ধনদান এবং যজমানের গৃহে ধন ধারণের নিমিত্ত ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো৷

২১। ওষধি সমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বৰ্হি ইন্দ্রদেবের বৃদ্ধি সাধন করে। আপন স্থানের উপর সুখে স্থিত এবং ইন্দ্রের দ্বারা অধ্যাসিত বহি অপর বৰ্হি সমূহকে অভিভূত করে দিয়েছে। ধনদান তথা যজমানের গৃহে ধনকে ধারণের নিমিত্ত ঐ বৰ্হি ঘৃতপান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

২২। সুষ্ঠু যুজনকারী অগ্নিদেব ইন্দ্রদেবতার বৃদ্ধি সাধন করে। স্বিষ্টকৃৎ (অর্থাৎ শোভন ইষ্ট বা যজ্ঞকারী) সেই অগ্নি সুষ্ঠু যজন করে আমাদের অভষ্ট পূর্ণ করুক। ধনদান ও ধন ধারণের নিমিত্ত অগ্নি ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যজন করো ৷

২৩। আজ তবে এই যজমান অগ্নিকে হোতরূপে বরণ করেছেন। রন্ধন যোগ্য সামগ্রী সমূহকে রন্ধন করে, পুরোডাশ প্রস্তুত। করে এবং ইন্দ্রের নিমিত্ত ছাগকে বন্ধন করেছেন। এই বনস্পতি যুপদেবও ইন্দ্রের নিমিত্ত ছাগকে বন্ধন পূর্বক যজ্ঞস্থলে সুষ্ঠু উপস্থিত হয়েছে। ধারণ করেছে। অশ্বিনদ্বয় প্রভৃতি দেবগণ যজমানের দ্বারা প্রদত্ত পশু সমূহের মেদ হতে প্রারম্ভ পূর্বক সর্বাঙ্গ পর্যন্ত ভক্ষণ করেছে। পককৃত শেষ অবয়বগুলিকেও ভক্ষণ করেছে। সেই পুরোশের দ্বারা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়েছে। হে অগ্নি! আজ আর্ষেয় (ঋষি সম্পর্কিত) রীতিতে হোতা তোমাকেই বরণ করেছে।

২৪। মহাযজ্ঞে সুসমিদ্ধ, সমিদ্ধ্যমান তথা বরণীয় অগ্নি ও অন্নদাতা ইন্দ্রকে দেবী হোতা যজন করুক। গায়ত্রী ছন্দ, দেড় বৎসর বয়স্ক গাভী এবং আয়ু দান করে প্রযাজদেবতার সাথে ইন্দ্র ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

২৫। দৈবী হোতা তনুনপাৎ অগ্নি এবং যজ্ঞফলের উদভেত্তা (অর্থাৎ প্রকটনকারী) সেই ইন্দ্রের যজন করুক, যে পবিত্র ও অনুধাতা (অর্থাৎ অন্নের বা আয়ুর ধারক) ইন্দ্রকে অদিতি দেবী গর্ভে ধারণ করেছিলেন। উষ্ণিক ছন্দ, শক্তি, দুই বর্ষ বয়স্ক গাভী এবং অন্নকে ইন্দ্রে ধারণ করে প্রজদেবতা ও ইন্দ্র ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

২৬। দৈবী হোতা ইড়া প্রভৃতি দেবগণের স্তুতিযোগ্য, ঋষিসঙ্রে দ্বারা স্তুত, শিলার দ্বারা বৃত্রঘাতী, বলের দ্বারা সোমের সমান আহ্লাদক এবং অন্নধাতা ইন্দ্রের যজন করুক। ইন্দ্রে অনুষ্ঠুভ ছন্দ, শক্তি, আড়াই বৎসর বয়স্কা গাভী এবং আয়ু ধারণ পূর্বক প্রযাজ দেবতা ও ইন্দ্র ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যজন করো।

২৭। দেবী হোতা শোভন বহি, পূষাযুক্তা, অমর্ত্য, প্রিয় ও অনশ্বর বৰ্হির উপর উপবিষ্ট এবং অন্নধাতা ইন্দ্রের যজন করুক। বৃহতী ছন্দ, শক্তি, তিন বৎসর বয়স্কা গাভী এবং আয়ু ইন্দ্রে ধারিত করে প্রযাজ দেবতা ও ইন্দ্র ঘৃত পান করুক। হে হোত! তুমিও যজন করো।

২৮। দৈবী হোতা সাবকাশা, সুগমনা, যজ্ঞবর্ধিক এবং স্বর্ণময়ী দ্বারদেবীগণ ও অন্নধাতা ইন্দ্রের যজন করুক। পংক্তি ছন্দ, শক্তি, সাড়ে তিন বৎসর বয়স্কা গাভী এবং আয়ুকে ইন্দ্রে ধারণ করে প্রযাজদেবতা ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হো! তুমিও যজন করো।

২৯। দৈবী হোতা সুখরূপা, সুকুশলা, মহতী ও দর্শনীয়া উষা ও রাত্রির এবং অন্নধাতা ইন্দ্রের যজন করুক। ত্রিষ্টুপ ছন্দ, শক্তি, দুই বৎসর বয়স্কা, গাভী এবং আয়ু ইন্দ্রে ধারণ করে প্রজদেবতা ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যজন করো।

৩০। দৈবী হোতা প্রকৃষ্ট জ্ঞানী দেবগণের যশঃস্বরূপ,ক্রান্তদ্রষ্টা, পরস্পর সঙ্গত এবং দৈবী হোতা। অগ্নি-বায়ু ও অন্নধাতা ইন্দ্রের যজন করুক। জগতী ছন্দ, শক্তি, শকটবহনক্ষম বলদ ও আয়ু ইন্দ্রে ধারিত করে প্রয়াজ দেবতা ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

৩১। সুখরূপা এবং স্বর্ণময় রূপশালিনীমহতী ভারতী-সরস্বতী-ইড়া, এই তিন দেবী এবং পালক ইন্দ্রের যজন–দৈবী হোতা করুক। বিরাট ছন্দ,শক্তি,নবপ্রসূতা গাভী এবং আয়ু ইন্দ্রে ধারিত করে প্রযাজ দেবতা ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

৩২৷ দৈবী হোতা সুবীর্যশালী, পুষ্টি বর্ধনশালী ও রূপকে ধারণ করণশীল তৃষ্টা এবং পৃথক পুষ্টিকারী ও অনুধাতা ইন্দ্রের যজন করুক। দ্বিপদা ছন্দ, শক্তি, রেতঃসেকক্ষম বৃষ এবং আয়ু ইন্দ্রে ধারিত করে প্রযাজ দেবতা ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

৩৩। হবিঃকে সংস্কৃত করণশালী, শতক্রতু অর্থাৎবহু যজ্ঞকারী, সুবর্ণময় পত্রশলী, উথশস্ত্র-সম্পন্ন, অশ্বরজ্ঞ ধারণকারী, জিতেন্দ্রিয় ও ভজনীয় এবং ঐশ্বর্যবান্ যুপ ও অন্নধাতা ইন্দ্রের যজন–দৈবী হোতা করুক। ককুভ ছন্দ, শক্তি, বন্ধ্যা-গর্ভঘাতিনী গাভী এবং আয়ুকে ইন্দ্রে ধারিত করে প্রযাজ দেবতা ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যাগ করো।

৩৪। স্বাহার আকারশালিনী প্রযাজ দেবতা, গৃহপতি অগ্নি, বৈদ্য, কবি (ক্রান্তদর্শী) ও বরেণ্য (বা বরুণের পৃথক) এবং অনুধাতা ইন্দ্রের যজন–দৈবী হোতা করুক। অতি ছন্দ, শক্তি, বৃহৎ বৃষ এবং আয়ুকে ইন্দ্রে ধারিত করে প্রযাজদেবতা ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো৷

৩৫। দ্যোতমান বৰ্হি অন্নধাতা ইন্দ্রের বর্ধন করুক। গায়ত্রী ছন্দের সাথে শক্তি, চক্ষু এবং আয়ু ইন্দ্রে ধারিত করে, ধনদান এবং যজমানে ধনধারণের নিমিত্ত অনুযাজ দেবতা ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

৩৬। দ্বারদেবীগণ অনুধাতা এবং পবিত্র ইন্দ্রে উষ্ণিক্ ছন্দের দ্বারা শক্তি, প্রাণ এবং আয়ুকে ধারিত করে তার বর্ধন করে। ধনদান এবং যজমানে ধনধারণের নিমিত্ত অনুযাজ দেবতা ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যজন করো।

৩৭। দ্যোতমামা উষা ও রাত্রি অন্নধাতা ইন্দ্রকে অনুষ্টুপ ছন্দের দ্বারা তাতে (ইন্দ্রে) শক্তি, বল এবং আয়ু ধারিত করে বর্ধন করে। ] ধনদান ও ধনধারণের নিমিত্ত অনুযাজ দেবতা ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যজন। করো।

৩৮৷ প্রীতিকারিণী এবং ধনধারিকা দেবীগণ অনুধাতা ইন্দ্রে বৃহতী ছন্দের দ্বারা শক্তি, শ্রোত্র, এবং আয়ুকে ধারিত করে বর্ধন করে। ধনদান ও ধনধারণের নিমিত্ত অনুযাজ দেবতা ঘৃত পান করুক।

৩৯। সুষ্ঠু দোগ্ধী ঊ ও আহুতি দেবীদ্বয় দুগ্ধের দ্বারা অনুধাতা ইন্দ্রের বর্ধন করে। পংক্তি ছন্দের দ্বারা ইন্দ্রে শক্তি, বীর্য এবং আয়ু ধারিত করে অনুযাজ দেবতা ধনদান ও যজমানে ধনধারণের নিমিত্ত ঘৃত পান। করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও য়জন করো।

৪০। দৈবী হোতা অগ্নি ও বায়ু অনুধাতা ইন্দ্রে ত্রিষ্টুপ ছন্দের দ্বারা শক্তি, দীপ্তি এবং আয়ু ধারিত করে তাকে বর্ধন করে। ধনদান ও যজমানে ধনধারণের নিমিত্ত, অনুযাজ দেবতা ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোত! তুমিও যজন করো।

৪১। ভারতী-সরস্বতী-ইড়া, এই তিন দেবী অন্নধাতা এবং পালক ইন্দ্রকে জগতী ছন্দের দ্বারা তাতে (ইন্দ্রে) শক্তি, বল ও আয়ু ধারিত করে বর্ধন করে। ধনদান এবং যজমানে ধনধারণের নিমিত্ত তারা ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তোমরাও যজন করো।

৪২। ঋত্বিকগণের দ্বারা স্কৃয়মান নরাশংস যজ্ঞদেব অন্নধাতা ইন্দ্রদেবকে বিরাট ছন্দের দ্বারা তাতে শক্তি, রূপ এবং আয়ুকে ধারণ করে বর্ধন করে। ধনদান এবং যজমানে ধনধারণের নিমিত্ত সেই যজ্ঞদেব ইন্দ্রের সাথে ঘৃত পান করুক। হেমনুষ্য হোত! তুমিও যজন করো।

৪৩৷ বনস্পতি যুপদেব অনুধাতা ইন্দ্রদেবকে দ্বিপদা ছন্দের দ্বারা তাতে শক্তি, ঐশ্বর্য এবং আয়ু ধারিত করে বর্ধন করে। ধনদান এবং ধনধারণের নিমিত্ত সেই বনস্পতি দেবতা ও ইন্দ্রদেব ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো।

৪৪। ওষধিসমূহের দেবস্বরূপ বৰ্হিদেব অনুধাতা ইন্দ্রদেবকে ককুপ ছন্দের দ্বারা তাতে শক্তি, যশ এবং আয়ু ধারিত করে বর্ধন করে। ধনদান এবং ধনধারণের নিমিত্ত তারা (অর্থাৎ বৰ্হিদেব ও ইন্দ্রদেব) ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও ঘৃত পান করো।

৪৫। স্বিষ্টকৃৎ অগ্নিদেব অন্নধাতা ইন্দ্রদেবকে অতিছন্দের দ্বারা বর্ধন করে। সেই অগ্নিদেব ইন্দ্রে শক্তি, ক্ষত্র (অর্থাৎ ক্ষতাত্ৰাণরূপ ইন্দ্রিয়) এবং আয়ু স্থাপিত করে। যজমানকে ধনদান ও যজমানে ধন স্থাপনের কারণে তারা উভয়ে ঘৃত পান করুক। হে মনুষ্য হোতা! তুমিও যজন করো। ৪৬। এই যজমান আজ অগ্নিকে পনযোগ্য সামগ্ৰীসমূহে সমৃদ্ধ করেছেন। পুরোডাশ পন করে অন্নধাতা ইন্দ্রের নিমিত্ত ছাগ আলম্ভন পূর্বক তাকে (অর্থাৎ ইন্দ্রকে) আপন হোতরূপে বরণ করেছেন। যূপদেব বনস্পতিও আজ অন্নধাতা ইন্দ্রের নিমিত্ত ছাগকে বন্ধন পূর্বক ঠিকমতো যজ্ঞস্থলে সমুপস্থিত হয়েছে। সেই দেবদ্বয় মেদ হতে শুরু করে অন্য অঙ্গ পর্যন্ত পশুটিকে ভক্ষণ করেছে। তারা পনকৃত পশুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলিকেও ভক্ষণ করেছে। ইন্দ্র পুরোতাশের দ্বারা বর্ধনপ্রাপ্ত হয়েছে। হে অগ্নি! আজ এই যজমান অশেষ প্রকারে তোমাকেই আপন ৬ হোতারূপে বরণ করেছেন। হে ঋষি আজ তুমি তৃপ্তি লাভ করো। (আদি মন্ত্র ২৩ কণ্ডিকার সমান)।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *