১০. শুক্লযজুর্বেদ – দশম অধ্যায়

দশম অধ্যায়

মন্ত্রঃ– অপো দেবা মধুমতীরগৃভনূর্জস্বতী রাজস্বশ্চিতানাঃ। যাভির্মিত্রাবরুণাবভ্যষিঞ্চন্যাভি রিমনয়ন্নত্যরাতীঃ ॥১৷ বৃষ্ণ ঊর্মিরসি রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রং মে দেহি স্বাহা। বৃষ্ণ ঊর্মিরসি রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমমুস্মৈ দেহি। বৃষসেনোহসি রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রং মে দেহি স্বাহা। বৃষসে নাইসি রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমমুস্মৈ দেহি৷৷২৷৷ অর্থেত স্ব রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রং মে দত্ত স্বাহাইৰ্থেত স্থ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমমুস্মৈ দত্তেীজস্বতী স্থ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রং মে দত্ত স্বাহৌজস্বতী স্থ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমমুস্মৈ দত্তাপ পরিবাহিণী স্থ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রং মে দত্ত স্বাহাপঃ পরিবাহিণী স্থ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমমুদ্মৈ দত্তাপাং পতিরসি রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রং মে দেহি স্বাহাপাং পতিরসি রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমমুষ্মৈ দেহাপং গর্ভেইসি রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রং মে দেহি স্বাহাপাং গর্ভোহসি রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমমুদ্মৈ দেহি৷৩৷৷ সূর্যচস স্থ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রং মে দত্ত স্বাহা। সূর্যত্বচস স্থ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমমুস্মৈ দত্ত। সূৰ্যবৰ্চসস্থ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রং মে দত্ত স্বাহা। সূৰ্যবৰ্চসস্থ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমমুস্মৈ দত্ত। মান্দা স্থ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রং মে দত্ত স্বাহা। মান্দা স্বরাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমমুষ্মৈ দত্ত। ব্রজক্ষিত স্থ রাষ্ট্রদা মে দত্ত স্বাহা। ব্রজক্ষিত স্থ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমমুষ্মৈ দত্ত। বাশা স্থ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রং মে দত্ত স্বাহা। বাশা স্থ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমমুষ্মৈ দত্ত। শবিষ্টা স্থ রাষ্ট্রদা মে দত্ত স্বাহা। শবিষ্টা স্থ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমমুষ্মৈ দত্ত শকৃরী স্থ রাষ্ট্রদা মে দত্ত স্বাহা। শকৃরী স্থ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমমুষ্মৈ দত্ত। জনভৃত স্বরাষ্ট্রদা রাষ্ট্রং মেদত্ত জনভৃত স্বরাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমমুষ্মৈ দত্ত। বিশ্বভৃত স্থ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রং মেদত্ত স্বাহা, বিশ্বভৃত স্বরাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমমুষ্মৈ দত্তাপঃস্বরাজ রাষ্ট্রদা রাষ্ট্রমুমষ্মৈ দত্ত। মধুমতী মধুমতীভিঃ পৃচ্যাং মহি ক্ষত্রং ক্ষত্রিয়ায় বানাং অনাধৃষ্টাঃ সীদত সহৌজসো মহি ক্ষত্রং ক্ষত্রিয়ার দধতীঃ।৪। সোমস্য ত্বিষিরসি তবেব মেহিষির্ভূয়াৎ। অগ্নয়ে স্বাহা সোমায় স্বাহা সবিত্রে স্বাহা সরস্বত্যৈ স্বাহা পূষ্ণে স্বাহা বৃহস্পতয়ে স্বাহেন্দ্রায় স্বাহা ঘোয় স্বাহা শ্লোকায় স্বাহা অংশায় স্বাহা ভগায় স্বাহাইগ্নে স্বাহা।৫৷ পবিত্রে হো বৈষ্ণবৌ। সবিতুর্বঃ প্রসব উৎপুনাম্যচ্ছিদ্রেণ পবিত্ৰেণ সূর্যস্য রশ্মিভিঃ। অনিভৃষ্টমসি বাচো বন্ধুস্তপোজাঃ সোমস্য দামসি স্বাহা রাজস্বঃ ৷৷৬৷৷ বধমাদোমিনীরাপ এতা অনাধৃষ্টা অপস্যো বসানাঃ। পস্তাসু চক্রে বরুণঃ সধস্থঅপাং শিশুৰ্মাতৃতমিস্বন্তঃ।।৭।। ক্ষত্রস্যোমসি ক্ষত্রস্য জরাযুসি ক্ষত্রস্য যোনিরসি কস্য নাভিরসীন্দ্রস্য বাত্ৰয়মসি মিত্রস্যাসি বরুণস্যাসি ত্বয়ায়ং বৃত্রং বধেৎ। দৃবাসি দুজাহসি ক্ষুমাহসি। পাতৈনং প্রাঞ্চং পাতৈনং প্রত্যঞ্চং পাতৈনং তিঞ্চং দিভ্যঃ পাত।।৮৷৷ আবিমর্ষা আবিত্তো অগ্নিহপতিরাবিত্ত ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবা আবিত্তৌ মিত্রাবরুণেী ধৃতাবাবিত্তঃ পূষা বিশ্ববেদা আবিত্তে দ্যাবাপৃথিবী বিশ্বশম্ভুবাববিত্তাদিতি রুবৃশর্মা৷৷৷৷ অবেষ্টা দন্দকাঃ প্রাচীমা বোহ গায়ত্রী ত্বহতু থন্তরং সাম ত্রিবৃৎস্তোমো বসন্ত ঋতুব্রহ্ম দ্রবিণ৷১০৷ দক্ষিণামায়োহ ত্রিষ্টুপ ত্বাহবতু বৃহৎসাম পঞ্চদশ স্তোমো গ্রীষ্ম ঋতুঃ ক্ষত্ৰং দ্রবিণ৷১১৷ প্রতীচীমারোহ জগতী ত্বাহবতু বৈরূপং সাম সপ্তদশ স্তোমো বর্ষা ঋতুর্বি দ্রবিণ৷৷১২৷৷ উদীচীমাবোহানুষ্টুপ, ত্বাবতু বৈরাজং সামৈকবিংশ স্তোমঃ শরতুঃ ফলং দ্রবিণ৷১৩৷৷ উধূামারোহ পঙক্তিস্তাহবতু শাকৃররৈবতে সামনী ত্ৰিণবয়স্ত্রিংশৌ স্লোমৌ হেমন্তশিশিরাবৃত্ বর্চো দ্রবিণং প্রত্যক্তং নমুচেঃ শিরঃ৷৷১৪৷৷ সোমস্য ত্বিষিরসি তবে মে ত্বিষির্ভূয়াৎ। মৃত্যোঃ পাহাজোইসি সহোস্যমৃতমসি।১৫৷৷ হিরণ্যরূপা উষসসা বিয়োক উভাবিন্দ্রা উদিথঃ সূর্যশ্চ। আ রোহতংবরুণ মিত্র গর্তং তত ক্ষাথামদিতিং দিতিংচ। মিত্রোহসি বরুণোহসি৷৷১৬ সোমস্য ত্বা দ্যুম্নেনাভিষিঞ্চাম্যগ্নেভ্রাজসা সূর্যস্য বৰ্চসেন্দ্রস্যে ন্দ্রিয়েণ। ক্ষত্ৰাণাং ক্ষত্ৰাপতিরেধ্যতি দিন পাহি।১৭৷ ইমং দেবা অসপত্নং সুবধ্বং মহতে ক্ষত্রায় মহতে জৈষ্ঠ্যায় মহতে জানরাজ্যায়েন্দ্রস্যেন্দ্রিয়ায়। ইমমনুষ্য পুত্রমমুষ্মৈ পুত্ৰমস্যৈ বিশ এষ বোহমী রাজা সোমোস্মাকং ব্রাহ্মণানাং রাজা৷৷১৮৷৷ প্ৰ পৰ্বতস্য বৃষভস্য পৃষ্ঠান্নাবশ্চরন্তি স্বসিচ ইয়ানাঃ। তা আহববৃন্নধরাগুক্তা অহিং বুধ্যমনু রীয়মাণাঃ। বিষ্ণোর্বিক্রমণমসি বিষ্ণোর্বিক্ৰান্তমসি বিষ্ণোঃ ক্রান্তমসি।১৯৷প্রজাপতে ন ত্বদেন্যন্যা বিশ্ব রূপাণি পরি তা বর্ভূব। যক্কামাস্তে জুহুমস্তন্নে অস্তৃয়মনুষ্য পিসাবস্য পিতা বয়ং স্যাম পতয়ো রয়ীণাং স্বাহা। রুদ্র যত্তে ক্রিবি পরং নাম তস্মিন্ হুতমস্যমেষ্টমসি স্বাহা।২০৷ ইন্দ্রস্য বজ্রোইসি মিত্রাবরুণোস্তা প্রশাস্ত্রোঃ প্রশিষা যুনজিম। অব্যথায়ৈ ত্বা স্বধায়ৈ ত্বাহরিষ্টো অৰ্জুনো মরুতাং প্রসবেন জয়াপাম মনসা। সমিন্দ্রিয়েণ৷৷২১৷৷ মা ত ইন্দ্র তে বয়ং তুরাষাড়যুক্তাসো অব্ৰহ্মতা বিদোম। তিষ্ঠা রথমধি যং বজ্রহস্তা রশ্মী দেব যমসে স্বশ্বা৷৷২২৷৷ অগ্নয়ে গৃহপতয়ে স্বাহা সোমায় বনম্পতয়ে স্বাহা মরুতামোজসে স্বাহেন্দ্রস্যেন্দ্রিয়ায় স্বাহা। পৃথিবি মাতৰ্মা মা হিংসীর্মো অহং ত্বা৷৷২৩৷৷ হংসঃ সুচিষদ্বসুরন্তরিক্ষসদ্ধোতা বেদিষদতিথিদ্বাণসৎ। নৃষদ্ধরস দৃতসদ্ধ্যোমসদজা গোজা ঋতজা অদ্রিজা ঋতংবৃহৎ৷৷২৪৷৷ইয়দস্যাযুরস্যাযুময়ি ধেহি যুঙসি বর্চোহসি বর্চো ময়ি ধের্গসূর্জং ময়ি ধেহি। ইন্দ্রস্য বাং বীর্যকৃতো বাহু অভোবহরামি৷৷২৫৷৷ স্যোনাসি সুষদাসি ক্ষত্রস্য যোনিরসি। সোনামাসীদ সুষদামাসীদক্ষত্রস্য যোনিমাসীদ৷৷২৬৷৷ নিষসাদ ধৃত্মতোবরুণঃ পস্তাস্বা। সাম্রাজ্যায় সুতুঃ ৷৷২৭৷৷ অভিভূরস্যেতাস্তে পঞ্চ দিশঃ কল্পন্তাং ব্রহ্মং ব্রহ্মাসি সবিতসি সত্যপ্ৰসাবো বরুণোহসি সত্যৌজা ইন্দ্রোহসি বিশৌজা রুদ্ৰোহসি সুশেবঃ। বহুঁকার শ্রেয়স্কর ভূয়স্করেন্দ্রস্য বজ্রোহসি তেন মে বধ্য৷৷২৮৷ অগ্নিঃ পৃথুধর্মণস্পতিৰ্জুষাণো অগ্নিঃ পৃথুধর্মণম্পতিরাজ্যস্য বেতু স্বাহা। স্বাহাকৃতাঃ সূর্যস্য রশ্মিভিতধ্বংসজাতানাং মধ্যমেষ্ঠ্যায়৷৷২৯৷ সবিত্রা প্রসবিত্রা সরস্বত্যা বাঁচা ত্বা রূপৈঃ পৃষ্ণা পশু ভিরিন্দ্রেণাস্মে বৃহস্পতিনাব্ৰহ্মণাবরুণেনৌজসাহগিনা তেজসা সোমেন রাজ্ঞা বিষ্ণুনা দশম্যা দেবতয়া প্রসূতঃ প্র সামি।৩০৷ অশ্বিভ্যাং পচ্যস্ব সরস্বত্যৈ পচ্যস্বোয় সুত্রাশ্নে পচ্যস্ব। বায়ুঃ পূতঃ পবিত্রেণ প্রত্যঙ্কসোমো অতিসুতঃ। ইন্দ্রস্য যুজ্যঃ সখা।।৩১৷ কুবিদঙ্গ যমন্তো যবং চিদ্যথা দাস্ত্যনু পূর্বং বিমূয়। ইহেহৈষাং কৃণুহি ভোজনানি যে বহিষো নম উক্তিং যজন্তি। উপযামগৃহীতোহস্যশ্বিভ্যাং ত্বা সরস্বত্যৈ তোয় ত্বা সুত্রামে।৩২। সুরামমশ্বিনা নমুচাবাসুরে সচা। বিপিপানা শুভশতী ইন্দ্রং কৰ্মাবত৷৩৩ পুত্ৰমিব পিতরাবশ্বিনোভোবুথঃ কাব্যৈদংসনাভিঃ। যৎসুরামং ব্যপিবঃ শচীভিঃ সরস্বতী ত্বা মঘবন্নভিষ্ণ৷৩৪৷৷

[কাণ্ড-৩৪, মন্ত্র-১৩৯]

.

মন্ত্রার্থঃ– [এই দশম অধ্যায়ে রাজসূয়ের শেষ কর্ম এবং চরক সৌত্রামণি যজ্ঞের বর্ণনা আছে। অভিষেকের নিমিত্ত উদুম্বর কাষ্ঠনির্মিত পাত্রে সরস্বতী প্রভৃতি নদীর জল গ্রহণ করা হয়। পূর্ব থেকে গাভীর উল্ক (গর্ভবেষ্টন চর্ম) ইত্যাদি অন্য অপেক্ষিত বস্তুসমূহ সংগ্রহ করে রাখতে হয় এবং যথাকালে সেগুলি নিয়ে যুপের উত্তর ভাগে ধারণ করতে হয়]।

১। দেবতাগণ যে মধুর, উর্জযুক্ত, রাজগণের উৎপন্নকারী ও চেতনাপ্রদ জল গ্রহণ করেছিলেন, আমি সেই জল গ্রহণ করছি। দেবতাগণ সেই জল গ্রহণ করেছিলেন, যে জলের দ্বারা তাঁরা মিত্র-বরুণকে অভিসিঞ্চিত করেছিলেন এবং অভিসিঞ্চনের দ্বারা দেবতা ইন্দ্রকে শত্রুদের অতিক্রম করিয়েছিলেন (অর্থাৎ ইন্দ্রকে শত্রুদের দ্বারা অজেয় করে দিয়েছিলেন)।

২। [এই দ্বিতীয় মন্ত্রটির মধ্যে এক-এক যজুর দুবার পাঠ আছে। স্বাহান্ত পাঠে আহুতি দেওয়া হয় এবং দ্বিতীয় পাঠে ভিন্ন ভিন্ন জল গ্রহণ করা হয়। কোন মনুষ্য বা পশু নদীজলে প্রবেশ করলে যে ক্ষুদ্র ঢেউ (লহরী) ওঠে–সেই ঢেউ বা লহরীকে উদ্দেশ্য করতে হয়]। হে লহর! তুমি সেচন-সমর্থ জনের লহরী সদৃশ, তুমি রাষ্ট্রদানকারী, আমাকেও রাষ্ট্র প্রদান করো। এই হবিঃ আহুত হচ্ছে। হে লহর (দ্বিতীয়)! তুমি সেচন-সমর্থ জনের লহরী সদৃশ। [এইবার গ্রহণ করণীয়]। তুমি রাষ্ট্র দানকারী। তুমি এই দেবদত্ত প্রভৃতিকে রাষ্ট্র প্রদান করো। এই হবিঃ আহুত হচ্ছে। হে লহর! তুমি সেচক জলরাশি সদৃশ; তুমি রাষ্ট্রদানকারী, আমাকে রাষ্ট্র প্রদান, করো। এই হবিঃ আহুত হচ্ছে। হে লহর! তুমি সেচক জলরাশি সদৃশ। তুমি রাষ্ট্র দানকারী, তুমি এই দেবদত্ত প্রভৃতিকে রাষ্ট্র প্রদান করো-।

৩। হে জল! অভিষেকের প্রয়োজনার্থে তুমি (বা তোমরা) যজ্ঞস্থলকে প্রাপ্ত হয়ে থাকো; তুমি রাষ্ট্রদানকারী; আমাদের তুমি রাষ্ট্র প্রদান করো। এই আহুতি প্রদান করছি। হে জল! অভিষেকের প্রয়োজনের নিমিত্ত তুমি যজ্ঞ-স্থল প্রাপ্ত হয়ে থাকো; তুমি অভিষেচনের দ্বারা রাষ্ট্র-প্রদানকারী হয়ে থাকো। তুমি এই দেবদত্ত প্রভৃতিকে রাষ্ট্র প্রদান করো। হে জল! তুমি ওজসের (বলের) সাথে যুক্ত, রাষ্ট্রের প্রদানকারী। হে জল! তুমি আমাকে রাষ্ট্র প্রদান করো। হে জল! তুমি সর্বত্র গমনশীল, তুমি রাষ্ট্রের প্রদানকারী; তুমি আমাকে রাষ্ট্র প্রদান করো।.হে জল! তুমি সর্বত্রগমনশীল, তুমি রাষ্ট্রের প্রদানকারী; তুমি এই দেবদত্ত প্রভৃতিকে রাষ্ট্র প্রদান করো। হে সমুদ্র জল! তুমি নদী ইত্যাদি জলের স্বামী, তুমি রাষ্ট্র-প্রদানকারী; তুমি আমাকে রাষ্ট্র প্রদান করো। এই হবিঃ আহুত হচ্ছে। হে সমুদ্রজল! তুমি নদী ইত্যাদি জলের স্বামী; তুমি অভিষেকের দ্বারা রাষ্ট্রপ্রদানকারী। তুমি এই দেবদত্ত প্রভৃতিকে অভিষেচনের দ্বারা রাষ্ট্র প্রদান করো। জলাবর্ত! তুমি জলের গর্ভ-সদৃশ, তুমি রাষ্ট্রদায়ক; তুমি আমাকে রাষ্ট্র প্রদান করো। এই হবিঃ আহুত হচ্ছে। হে জলাবর্ত! তুমি জলের গর্ভ, তুমি রাষ্ট্রদায়ক; তুমি এই দেবদত্ত প্রভৃতিকে রাষ্ট্র প্রদান করো ৷

৪। হে স্থির ও সদা রৌদ্রযুক্ত জল! তুমি সূর্যের কান্তির সাথে সদা যুক্ত হয়ে থাকো, তুমি রাষ্ট্র-দায়ক; তুমি আমাকে রাষ্ট্র প্রদান করো। এই হবিঃ আহুত হচ্ছে। হে স্থির সঘর্ম-জল (অর্থাৎ সূর্যতাপিত জল)! তুমি সূর্যতেজঃ সম্পন্ন, তুমি রাষ্ট্রদানকারী; তুমি এই দেবদত্ত প্রভৃতিকে রাষ্ট্র প্রদান করো। হে তাপে বর্ষণকারী জল! তুমি সূর্যের বর্ভস বা তেজঃসম্পন্ন, তুমি রাষ্ট্রদাতা; তুমি আমাকে রাষ্ট্র প্রদান করো। এই হবিঃ আহুত হচ্ছে। হে ঘর্মধর্ষিত (বা তাপ-পরাহত) জল! তুমি সূর্যের তেজঃদ্বারা যুক্ত; তুমি রাষ্ট্র দানকারী, তুমি এই দেবদত্ত প্রভৃতিকে রাষ্ট্র প্রদান করো। হে পুষ্করিণী ইত্যাদিতে স্থিত আনন্দদায়ী জল! তুমি পশু-পক্ষী ইত্যাদির আনন্দদায়ক, তুমি রাষ্ট্রদানকারী; তুমি আমাকে রাষ্ট্র প্রদান করো। এই হবিঃ আহুত হচ্ছে। হে পুষ্করিণীর আনন্দপ্রদ জল! তুমি পশু ইত্যাদির আনন্দদায়ক, তুমি রাষ্ট্রদায়ক; তুমি এই দেবদত্ত প্রভৃতিকে আনন্দ প্রদান করো, হে কূপজল! তুমি কূপে বাসকারী এবং রাষ্ট্রদাতা; তুমি আমাকে রাষ্ট্র প্রদান করো। এই হবিঃ আহুত হচ্ছে। হে কূপজল! তুমি কূপে স্থিত ও রাষ্ট্রদাতা; তুমি এই দেবদত্ত প্রভৃতিকে রাষ্ট্র প্রদান করো। হে শিশির জল! অন্নের উৎপত্তির নিমিত্ত সকলের কামনা স্বরূপ তুমি, তুমি রাষ্ট্র দানকারী; তুমি আমাকে রাষ্ট্র প্রদান করো। এই হবির আহুতি প্রদান করছি। হে অবশ্যায় (শিশির) জল! তুমি সকলের কাম্য, তুমি রাষ্ট্রদানকারী; তুমি এই দেবদত্ত প্রভৃতিকে রাষ্ট্র প্রদান করো। হে মধুরূপ জল! তুমি বল ও রাষ্ট্রদানকারী; তুমি আমাকে রাষ্ট্র প্রদান করো। এই হবিঃ আহুত হচ্ছে। হেমধুজল!তুমি বলপ্রদ ও রাষ্ট্রদ। তুমি এই দেবদত্ত প্রভৃতিকে রাষ্ট্র প্রধান করো! হে গর্ভ চর্মধৃত জল! তুমি গাভী হতে লভ্য, তুমি রাষ্ট্রদানকারী; তুমি আমাকে রাষ্ট্র প্রদান করো। এই হবিঃ আহুত হচ্ছে। হে চর্মজল! তুমি গাভী-সম্বন্ধী ও রাষ্ট্রদা; তুমি এই দেবদত্ত প্রভৃতিকে রাষ্ট্র প্রদান করো। হে দুগ্ধজল! তুমি লোককে পান ইত্যাদির দ্বারা ধারণ করে থাকো, তুমি রাষ্ট্রপ্রদ; তুমি আমাকে রাষ্ট্র প্রদান করো। এই হবিঃ আহুত হচ্ছে। হে দুগ্ধরূপ জল! তুমি লোককে ধারণকারী ও রাষ্ট্রপ্রদ; তুমি এই দেবদত্ত প্রভৃতিকে রাষ্ট্র প্রদান করো। হে ধৃতরূপ জল! তুমি বিশ্বের ধারক, তুমি রাষ্ট্রপ্রদ; তুমি আমাকে রাষ্ট্রপ্রদান করো। এই হবিঃ আহুত হচ্ছে। হে ধৃতরূপ জল!তুমি বিশ্বের ধারণকারী, তুমি রাষ্ট্রদায়ক। তুমি এই দেবদত্ত প্রভৃতিকে রাষ্ট্র প্রদান করো। [এই ভাবে যোড়শ প্রকার জলে হোম কর্তব্য]। মিরীচি ও সরস্বতী নদীর জলে প্রত্যক্ষ হোম হয় না। সূর্যকিরণে তাপিত জলকে মরীচি বলে। এই মরীচি-জলকে অঞ্জলিতে গ্রহণ পূর্বক শেষ অর্থাৎ শীতল জলের সাথে মিশ্রিত করে নিয়ে হোম কর্তব্য]। হে মরীচি জল! তুমি স্বয়ং শোভিত হয়ে থাকো, তুমি রাষ্ট্র-প্রদ, তুমি এই দেবদত্ত প্রভৃতি যজমানকে রাষ্ট্র প্রদান করো। [আবার, সরস্বতী নদী প্রভৃতি থেকে গৃহীত জলকে উদুম্বর কাষ্ঠ নির্মিত পাত্রের জল মিশ্রিত করে হোম কর্তব্য]। হে মধুর-জলের সাথে বিমিশ্রিত মধুর জল! এই মহৎ-রাজ্য এই ক্ষত্রিয় রাজার জন্য বরণ কর। [উদুম্বর পাত্রে সংমিশ্রিত জলকে মিত্র বরুণ-সম্বন্ধী চিন্তা পূর্বক ধারণীয়]। হে জল! রাক্ষসগণের দ্বারা অপরাভূত ওজবল-যুক্ত হয়ে ও এই ক্ষত্রিয় যজমানের নিমিত্ত মহৎ রাজ্যকে ধারণ করা জন্য তুমি স্থিত হও।

৫। [পলাশ ইত্যাদি পাত্রের পূর্বে ব্যাঘ্রচর্ম বিন্যস্ত করণীয়]। হে ব্যাঘ্রচর্ম! তুমি সোমের দীপ্তি স্বরূপ, তোমার ন্যায় আমি যেন কান্তিযুক্ত হই। আমি অগ্নিদেবের উদ্দেশ্যে, সোমদেবের উদ্দেশ্যে, সবিতা দেবতার উদ্দেশ্যে, সরস্বতী দেবতার উদ্দেশ্যে, পূষা দেবতার উদ্দেশ্যে, বৃহস্পতি দেবের উদ্দেশ্যে,ইন্দ্রদেবের উদ্দেশ্যে, ঘোষের উদ্দেশ্যে, শ্লোসের উদ্দেশ্যে, অংশের উদ্দেশ্যে, ভগের উদ্দেশ্যে ও অর্যমার উদ্দেশ্যে স্বাহা মন্ত্রে আহুতি প্রদান করছি।

৬। [যজ্ঞে আজ্যসংস্কারের নিমিত্ত কুশের দ্বারা নির্মিত দুটি কুশ নির্মাণ পূর্বক সেই সুখদ্বয়কে পবিত্র স্থ মন্ত্রে পবিত্ৰীকৃত করণীয়। এই কুশ পবিত্র নামে অভিহিত]। হে পবিত্র! তোমরা দুজনে বিষ্ণু-সম্বন্ধি পবিত্র। হও। সর্বপ্রেরক সবিতা দেবের অনুজ্ঞায় বর্তমান আমি ছিদ্ররহিত পবিত্র তথা সূর্যের রশ্মির দ্বারা এই অভিষেক জলকে পবিত্র করছি। রাক্ষসদের দ্বার অতিক্ষুব্ধ হে জল! তুমি বাণীর বা বাকের বন্ধু তপ (অর্থাৎ অগ্নি হতে উৎপন্ন এবং সোমের দাতা। এই আহুতি প্রদত্ত হচ্ছে। তুমি অভিষেকের দ্বারা রাজার উৎপাদক হও।

৭। অভিষেকের জন্য পবিত্ৰীকৃত জলকে পলাশ-উদুম্বর-অশ্বত্থ বট ইত্যাদি কাষ্ঠে নির্মিত পাত্রে অভিষেকের উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা কর্তব্য]। এক পাত্রে হর্ষিত, যশ বা অন্নপ্রাপ্ত, রাক্ষসগণের দ্বারা অনভিভূত কর্মসমর্থ ও পাত্রের অত্যন্ত পাবন-সমর্থ এবং গৃহরূপ জলে জলের পুত্রকে আচ্ছাদনকারী এবং যে জল, এর মধ্যে বরুণদেব আপন সহস্থান নির্মাণ করে থাকেন (অর্থাৎ বরুণ বাস করেন)।

৮। [মন্ত্র পাঠ পূর্বক বস্ত্র ইত্যাদি ধারণ কর্তব্য]। হে রেশম বা বল্কল বা ঘৃতাক্ত বস্ত্র! তুমি যজমানে ধারণীয় গর্ভবেষ্টনী। হে রক্তকম্বল! তুমি এই গর্ভস্থ যজমানকে আবরণকারী চর্ম। হে কঞ্চকরূপ অধিবাস! তুমি এই যজমানকে গর্ভে ধারণকারী যযানি। হে শিরোবেষ্টন! তুমি ক্ষত্রিয় যজমানের গর্ভবন্ধন স্থান। [ধনুকে উদ্দেশ পূর্বক] হে ধনুঃ! তুমি বৃত্রহননকারী ধনুঃ। হে (ধনুর) দক্ষিণ কোটি (দক্ষিণদিকের ছিলা)! তুমি মিত্র সম্বন্ধিনী। হে উত্তর কোটি! তুমি বরুণ সম্বন্ধিনী। [অধ্বর্যু কর্তৃক যজমানকে ধনুঃ প্রদান করণীয়]। হে ধনুঃ! তোমার দ্বারা এই যজমান আপন শত্রুকে বধ করতে সমর্থ হবে। [এক এক মন্ত্রে অধ্বর্যু তিনটি বাণ গ্রহণ করবেন এবং এক এক মন্ত্রে যজমানকে এক এক বাণ প্রদান করবেন]। হে বাণ! তুমি শত্রুকে। বিদীর্ণকারী। হে দ্বিতীয়বাণ! তুমি শত্রুকে ভেদকারী। হে তৃতীয় বাণ! তুমি শত্রুকে কম্পিতকারী। হে বাণ! তুমি এই যজমানকে পূর্বদিক হতে রক্ষা করো। হে বাণ! তুমি এই যজমানকে পশ্চিম দিক হতে রক্ষা করো। হে বাণ! তুমি এই যজমানকে যত্র-তত্র রক্ষা করো। হে বাণ! তুমি এই যজমানকে সর্বদিক হতে রক্ষা করো।

৯। হে মনুষ্য-ঋত্বিকগণ! এই যজমান সকলকে সম্মুখে আনয়ন করেছে। গৃহস্বামী অগ্নিকে এই যজমান সম্মুখে প্রকট করেছে। প্রবৃদ্ধ বা চিরন্তন কীর্তিশালী ইন্দ্রকে এই যজমান সম্মুখে প্রকট করেছে। দেবানুশাসনের ধারকদ্বয় মিত্র বরুণকে এই যজমান সমক্ষে প্রকট করেছে। বিশ্বধন-প্রাপ্তকারক পূষাকে এই যজমান সম্মুখে প্রকট করেছে। সমগ্র সংসারের কল্যাণকারণ দ্যাবাপৃথিবীকে এই যজমান সম্মুখে প্রকট করেছে। বিস্তৃত সুখসম্পন্না অদিতিকে এই যজমান সম্মুখে প্রকট করেছে৷৷

১০। [এই যজুতে মৃত্যু নাশ হয়]। যজ্ঞের বিনষ্টকারী সর্পসদৃশ, অর্থাৎ অত্যন্ত দংশনশীল রাক্ষসগণ বিনষ্ট হোক। [সোমরস অভিষব করতে করতে যজমান কর্তৃক পাঁচটি যজুঃ পঠনীয়]। হে যজমান! এখন আমি পূর্ব দিকে বিহরণ করো। গায়ত্রী তোমাকে রক্ষা করুক; অভিত্বা শূরনোনুম ঋকের আশ্রিত রথন্তর সাম তোমাকে রক্ষা করুক; ত্রিবৎ স্তোম তোমাকে রক্ষা করুক; বসন্ত ঋতু তোমাকে রক্ষা করুক; ব্রাহ্মণের ধন। বা ধনরূপ ব্রাহ্মণ তোমাকে রক্ষা করুক।

১১। হে যজমান! তুমি দক্ষিণ দিকে বিহরণ করো। ত্রিষ্টুপ ছন্দ তোমাকে রক্ষা করুক; ত্বামিদ্ধি হবামহে ঋকের আশ্রিত বৃহৎ সাম তোমাকে রক্ষা করুক; পঞ্চদশ স্তোম তোমাকে রক্ষা করুক; গ্রীষ্ম ঋতু তোমাকে রক্ষা করুক। ধনরূপা ক্ষত্রিয় জাতি, তোমাকে রক্ষা করুক।

১২। এখন তুমি পশ্চিম দিকে বিহরণ করো। জগতী ছন্দ তোমাকে রক্ষা করুক; বৈরূপ সাম তোমাকে রক্ষা করুক; সপ্তদশ স্তোম তোমাকে রক্ষা করুক; বর্ষা ঋতু তোমাকে রক্ষা করুক; ধনরূপা বৈশ্যজাতি তোমাকে রক্ষা করুক।

১৩। হে যজমান! এখন তুমি উত্তর দিকে বিহরণ করো। অনুষ্টুপ ছন্দ তোমাকে রক্ষা করুক; পিবা সোমমিন্দ্র মন্দতু ত্ব ঋকের আশ্রিত ধৈরাজ সাম তোমাকে রক্ষা করুক; একবিংশ স্তোম তোমাকে রক্ষা করুক;শরৎ ঋতু তোমাকে রক্ষা করুক; যজ্ঞের ফলরূপ ধন তোমাকে রক্ষা করুক।

১৪। হে যজমান! এখন তুমি ঊর্ধ্ব দিকে বিহরণ করো। পংক্তি ছন্দ তোমাকে রক্ষা করুক; শাকর ও রৈবত সামদ্বয় তোমাকে রক্ষা করুক; ত্রিণব ও ত্রয়স্ত্রিংশ স্তোমদ্বয় তোমাকে রক্ষা করুক; হেমন্ত ও শিশির ঋতুদ্বয় তোমাকে রক্ষা করুক; তেজরূপ ধন তোমাকে রক্ষা করুক। [ব্যাঘ্রচর্মের নীচে (বা পশ্চাতে) রক্ষিত সীসা-ধাতুর খণ্ডটিকে পায়ের দ্বারা দাবিয়ে দূরে নিক্ষেপ করণীয়]। এই সীসারূপনমুচি অসুরের মুণ্ড দূরে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।

১৫। [স্নানের জন্য যজমান ব্যাঘ্রচর্মের উপর উপবেশন করবেন]। হে ব্যাঘ্রচর্ম! তুমি সোমের কান্তি; তোমার যেমন কান্তি, আমারও যেন তেমন কান্তি হয়। [পায়ের নীচে রক্ষিত স্বর্ণখণ্ডটিকে যজমান চাপ দেবেন]। হে সুবর্ণ! মৃত্যুর হাত হতে তুমি আমাকে রক্ষা করো; তুমি উৎসাহরূপ ওজঃ; তুমি শারীরিক বল এবং তুমিই অমৃত।

১৬। হে মিত্র! হে বরুণ! উষাকালের অবসানে পরমৈশ্বর্যবান তোমরা দুজন উদয় লাভ করে থাকো এবং সূর্যও উদিত হয়। তোমরা দুজন সুবর্ণ বর্ণশালী। হে বরুণ! হে মিত্র! তোমরা দুজন রথে আরূঢ় হয়ে থাকো; তখন তোমরা দুজনে দেবমাতা অদিতিকে ও দৈত্যমাতা দিতিকে দেখতে পাও। হে দক্ষিণ বাহু! তুমি মিত্র হয়ে থাকো। হে বাম বাহু! তুমি মিত্র হয়ে থাকো। [এই দুই যজুঃ পাঠ করে যজমান আপন বাহু দুটিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরবেন]

১৭। হে যজমান! আমি তোমাকে চন্দ্রের দীপ্তিতে (যশ প্রকাশে) অভিসিঞ্চিত করছি। ক্ষত্রিয়গণের মধ্যে একমাত্র ছত্রপতি হয়ে তুমি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হও। রাজা হয়ে তুমি আমাদের শত্রুগণের বাণ ইত্যাদি অস্ত্র হতে রক্ষা করে পালন করো। হে যজমান! আমি তোমাকে অগ্নির তেজে অভিসিঞ্চিত করছি। ক্ষত্রিয়গণের মধ্যে একমাত্র ছত্রপতি রূপে তুমি অভিবৃদ্ধ হও। শত্রুগণের বাণ ইত্যাদি অস্ত্র হতে রক্ষা করে পালন করো। হে যজমান! আমি তোমাকে সূর্যের প্রভায় (রোচিষা) স্নান করাচ্ছি; ক্ষত্রিয়গণের একমাত্র অধিপতি হয়ে তুমি খুব উন্নতি লাভ করে এবং শত্রুগণের বাণ ইত্যাদি হতে আমাদের রক্ষা করে পালন করো। হে যজমান! আমি তোমাদের ইন্দ্রের বিপুল শরীর-বলে অভিসিঞ্চিত করছি। তুমি ক্ষত্রিয়গণের একমাত্র ছত্রপতি হয়ে অভিবর্ধিত হও। শত্রুগণের বাণ ইত্যাদি হতে রক্ষা পূর্বক তুমি আমাদের পালন করো ৷

১৮। [রাজন্য যজমানকে অভিসিঞ্চন করবার সময় অধ্বর্যু বা পুরোহিত এই মন্ত্র উচ্চারণ করবেন]। হে দেবগণ! আপনারা এই যজমানকে মহান্ ক্ষত্র (বা মুকুট), মহান প্রভুত্ব ও মহৎ সাম্রাজ্যে নিমিত্ত, শত্রুরহিত করে প্রেরণ করুন। (যেন, দশরথ-কৌশল্যার রাম ইত্যাদি পুত্রগণকে কেশল ইত্যাদি দেশের প্রজাগণকে পালনের নিমিত্ত শত্রুরহিত করে প্রেরিত করুন)। একে (অর্থাৎ এই যজমানকে) ইন্দ্রের বিপুল বলের (অর্থাৎ দিগ্বিজয়ের) নিমিত্ত প্রেরিত করুন। হে অধিবাসীগণ (যেন, কেশল ইত্যাদি দেশের অধিবাসীগণ)! সম্প্রতি অভিষিক্ত এই রাজাই তোমাদের যথার্থ রাজা; পরন্তু, ব্রাহ্মণ আমরা, আমাদের রাজা হলেন সোম৷

১৯। এই জল ঔত্য, স্বয়ংই সেচনশীল ও গমনকারী জল-বর্ষণশীল পর্বতের পৃষ্ঠ হতে (বা সূর্য হতে) নিম্নে অবতরণ পূর্বক সঞ্চরণ করে থাকে। উপর হতে প্রাপ্ত ঐ জল অন্তরিক্ষীয় মেঘকে সম্প্রাপ্ত হয়ে এবং আর্দ্র (বাষ্পে তরলত্ব বা জলভাব প্রাপ্ত) হয়ে সূর্যের নীচে আসে (অর্থাৎ পালটিয়ে যায়)। ব্যিাঘ্রচর্মের উপরে অধ্বর্যু তার যজমানকে তিনবার পদবিক্ষেপ করাবেন]। হে আমার প্রথম পাদ-প্রক্ষেপ! তুমি ব্যাপনশীল যজ্ঞপুরুষ জগদীশ্বরর সেই প্রথম পাদপ্রক্ষেপ, যার দ্বারা ভূলোক বিজিত হয়। হে আমার দ্বিতীয় পাদ-প্রক্ষেপ!তুমি যজ্ঞপুরুষের সেই দ্বিতীয় পাদ-প্রক্ষেপ, যাতে অন্তরিক্ষ লোক বিজিত হয়। হে তৃতীয় পাদপ্রক্ষেপ! তুমি যজ্ঞপুরুষ বিষ্ণুর (অর্থাৎ ব্যাপনশীল দেবতার) সেই তৃতীয় পদক্ষেপ, যার দ্বারা বৈকুণ্ঠলোক বিজিত হয়।

২০। হে প্রজাগণের স্বামী! তুমি ভিন্ন কোন দেবতা এই সব ভূত-ভবিষ্য-বর্তমান বিবিধ সৃষ্টি- জীবকে উৎপন্ন করতে ও সংহার করতে সমর্থ হন না। যে যে পদার্থের অভিলাষে আমরা হোম করছি সেই সেই পদার্থ আমাদের প্রাপ্ত হোক। এই ওর পিতা আর এই আমারা ধনের স্বামী হবো। হে রোদনশীল অগ্নি! ভক্ষক বলে তোমার পরম নাম আছে। হে হবিঃ! সেই সবর্ভক্ষক অগ্নিতে তুমি আহুত হচ্ছো। তুমি আমাদের গৃহে অভিপ্রেত, সেই নিমিত্ত স্বাহা মন্ত্রে এই আহুতি প্রদত্ত হচ্ছে। (মদীয় গৃহে ইষ্টং দত্তমসি স্বাহা সুহুতমস্তু)।

২১। [বাজপেয় যাগে বেদির দক্ষিণ ভাগে রথকে আনয়ন কর্তব্য]। হে রথ! তুমি ইন্দ্রের বজ্রতুল্য। প্রশাসক মিত্র ও বরুণের আনুজ্ঞাক্রমে আমি তোমাকে অশ্বের সাথে সংযোজিত করছি। অনুপহিংসিত ও ইন্দ্রতুল্য আমি অভয়ত্বের নিমিত্ত তোমার উপর আরূঢ় হচ্ছি। অগ্রভাগে সংজুত (জুড়ে থাকা) হে অশ্ব! তুমি মরুৎ দেবের অনুজ্ঞায় আমার শত্রুগণকে জয় করো। আমি আপন মনের সাথে প্রারব্ধ কর্মের ফল প্রাপ্ত হবো; আমি বলবীর্যে সঙ্গত (সম্পন্ন) হবো।

২২। হে বজ্রহস্ত ইন্দ্রদেব! আপনি যে রথে আরোহিত হয়ে থাকেন এবং আপনি যে রথে সংযোজিত অশ্বের লাগাম ধরে (সংযমন করে থাকেন–সেই লাগামে সন্নদ্ধ অশ্ব রথের চেয়েও সুন্দর। শত্রুর তীব্রতাকে অভিভূতাকে অভিভূতকারী এবং পরমৈশ্বর্যযুক্ত হে ইন্দ্র! আপনার ভক্ত আমরা, যজমান ইত্যাদি, অযাজক হয়ে আপনার ঐ রথ হতে পৃথক করে যেন নানাভাবে উপেক্ষিত না হই।

২৩। গৃহের পালক অগ্নির উদ্দেশ্যে এই আহুতি প্রদত্ত হচ্ছে। বনস্পতির স্বামী সোমের উদ্দেশ্যে এই আহুতি প্রদত্ত হচ্ছে। ইন্দ্রের শরীরবলের নিমিত্ত এই আহুতি প্রদত্ত হচ্ছে। মরুতের তেজের নিমিত্ত এই হবিঃ আহুত হচ্ছে। হে পৃথ্বীমাতা! আপনি আমাকে আপনার অন্ন-পান (খাদ্য-পানীয়) ইত্যাদি হতে বিরহিত (বা বঞ্চিত) করবেন না। হে মাতা! আমি অনর্থক খনন ইত্যাদির দ্বারা আপনাকে হিংসা করব না৷৷

২৪। [যজমান রথ হতে নিম্নে অবতরণ করবেন]। আমি সেই পরমাত্মাকে প্রাপ্তির নিমিত্ত ভূমিতে অবতরণ করছি, যিনি আপনার অহঙ্কারের হননকারী, পবিত্রতায় স্থিতিকারী, দেবতাগণকে আহ্বানকারী, অগ্নিভাবে বেদিতে স্থিতিকারী, সকলের পূজ্য, আহ্বানীয় ইত্যাদি রূপে যজ্ঞগৃহে বসকারী, প্রাণভাব রূপে মনুষ্যগণের মধ্যে বাসকারী, উৎকৃষ্ট স্থানে উপবেশনকারী, যজ্ঞে স্থিতিকারী, মণ্ডলবাবে আকাশ অবস্থানকারী, মৎস্য ইত্যাদি রূপে জলে উৎপত্তিলাভকারী, স্বেদজ-অণ্ডজ-পিণ্ডজ-উদ্ভিদরূপে পৃথিবীতে উৎপত্তিলাভকারী, সত্য হতে উৎপন্ন, পাষাণের অগ্নিভাব বা মেঘের জলভাব হতে উৎপত্তিলাভকারী, সর্বত্র বিদ্যমান এবং মহাপরিমাণ পরমাত্মা (বা অদ্বৈতভাব)।

২৫। [যজ্ঞশালার দক্ষিণভাগে যজমান স্বর্ণ স্পর্শ করবেন]। হে শতমান সুবর্ণ! তুমি শত রত্নি পরিমিত; তুমি জীবনস্বরূপ। তুমি আমাকেত শতবর্ষব্যাপী আয়ুস্মান করো। দক্ষিণারূপে প্রদত্ত হয়ে তুমি যজ্ঞের বিনিযোক্তা হও। অতএব তুমি তেজোরূপ। তুমি আমাকে ব্রহ্মতেজ দান করো। হে উডুম্বর শাখা! তুমি স্বয়ং অগ্নময়, আমাতে অন্ন স্থাপিত করো। হে যজমানের বাহুদ্বয়! পরাক্রমশালী ও পরমৈশ্বর্যশালী এই যজমানের তোমরা দুই বাহু, আমি অধ্বর্যু এই (মিত্র বরুণ সম্বন্ধী) জলঘটিকাটিকে (ঘটিটিকে) আরও অবনমিত করছি৷৷

২৬। হে আসন্দি (অর্থাৎ মঞ্চ)! তুমি সুখদাত্রী ও সুখস্বরূপা। তুমি সুখ উপবেশনের যোগ্য। [আসন্দীকে বস্ত্রাবৃত করণীয়]। হে বস্ত্র! তুমি! যজমানের ধারণ করার কারণে তার উৎপত্তির কারণরূপ। [আসন্দীতে যজমানকে উপবিষ্ট করণীয়]। হে যজমান! তুমি এই সুখকারিণী আসন্দীর উপরে উপবিষ্ট হও। তুমি সুখে উপবেশন যোগ্য এই আসন্দীর উপর উপবেশন করো। ক্ষত্রিয়ের যোনিভূতা এই আসন্দীর উপর উপবেশন করো।

২৭। [আসন্দীতে উপবিষ্ট যজমানের হৃদয় স্পর্শ পূর্বক অধ্বর্যু মন্ত্রপাঠ করবেন]। যজ্ঞরূপী কর্মের স্বীকারকারী, অনিষ্ট নিবারণকারী তথা শুভ সঙ্কল্প বা প্রজ্ঞাসম্পন্ন এই যজমান প্রজাগণ কর্তৃক বরণীয় হয়ে স্থিত হয়েছেন। এই যজমান এই আসন্দীর উপরে সার্বভৌম সাম্রাজ্যের জন্য স্থিত হয়েছেন।

২৮। হে সর্ববিজয়কারী কলি নাম অক্ষ (দণ্ড) ও তার (কলির) বিজয়ী কলিঅক্ষবান যজমান! তুমি সর্বত্র ব্যাপ্ত। এই পাঁচটি কড়িতে (বা কপর্দকে) আলক্ষিত এই পাঁচ দিক তোমার প্রয়োজনকে সিদ্ধকারী হোক। ব্রিহ্মা নামক ঋত্বিক যতবার যজমান কর্তৃক ব্ৰহ্মণ বলে সম্বোধিত হবেন, ব্রহ্মা ততবার উত্তর দেবেন]। হে ব্রাহ্মণ! হে ব্রহ্মা নামক ঋত্বিক! আমি যজমান আপনাকে সম্বোধন! করছি। … হে যজমান! তুমি সর্বত্র ব্যাপ্ত, তুমি সত্য, তুমি পরম মহান; তোমার আদেশ অবিরথ (অর্থাৎ সকলে মান্য করে)।…হে যজমান! তুমি সত্যপরাক্রম বরুণ (অর্থাৎ অনিষ্ট নিবারণকারী)।… হে যজমান! তুমি প্রজাগণের মধ্যে ব্যাপ্ততেজ মহান্ ইন্দ্র।…হে যজমান! মহান্ তুমি সুখে সেবার যোগ্য রুদ্রদেব! …. হে যজমান! তুমি সত্যই পরম মহান্। যেজমান এইবার বলবেন]। হে বহু কর্মকারী, হে কল্যাণকারী, হে বহুতর কার্য সম্পাদক সজ্জন! আমি আপনাদের সম্বোধিত করছি। [অধ্বর্যু বা পুরোহিত এইবার যজমানের হাতে স্ফী অর্থাৎ কাষ্ঠনির্মিত তরবার তুলে দেবেন]। হে স্ক্য! তুমি ইন্দ্রের বজ্র নামক অস্ত্রের অংশ। অতএব তুমি আমার শত্রুগণকে আমার বশীভূত করো বা এই ক্রীড়াভূমিকে ন্যূতক্রীড়ার যোগ্য করো। (অতঃপর যজমান দূতভূমিকে স্ফীর দ্বারা সমতল করবেন]

২৯। মহান, ধর্মের পালক এবং প্রদত্ত হবিঃ কে প্রীতির সাথে সেবনকারী অগ্নি ঘৃত পান করেন। মহান্ ও ধর্মের পালক অগ্নিদেব। সেই অগ্নি উদ্দেশ্যে এই আহুতি প্রদত্ত হচ্ছে। যজমান এইবার ঐ ক্রীড়াভূমির উপরে পাঁচটি কড়ি (বা কপর্দক) নিক্ষেপ করবেন]। হে পঞ্চ কড়ি! আহুতির দ্বারা তর্পিত তোমরা সূর্যের রশ্মির সাথে সাথে আমাকে আমার সজাতীয়গণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্থান প্রদানের নিমিত্ত প্রযত্ন করো।

৩০। অভ্যনুজ্ঞা (অর্থাৎ আদেশ) কারী সূর্যের, বাণীরূপা সরস্বতীর, রূপের দ্বারা উপলক্ষিত তৃষ্টা-দেবের, পশুর সাথে সঙ্গত পূষাদেবের, এই প্রত্যক্ষদ্রষ্টা ইন্দ্রদেবের দেবযাগের ব্রহ্মা বৃহস্পতির, ওজস্বী বরুণের, তেজস্বী অগ্নির, রাজা সোমের এবং দশম যজ্ঞদেবতা বিষ্ণু দ্বারা আদেশ প্রাপ্ত হয়ে আমি গমন করছি৷৷

৩১। [রাজসূয় যজ্ঞের শেষে পঠিত নিম্নোধৃত চারটি মন্ত্রের নাম চরক সৌভ্রামণী। রেশম বস্ত্রে অঙ্কুর সহ ও অঙ্কুররহিত ধান্যকে বদ্ধ করে রাখতে হয়। তারপর অঙ্কুরিত ধান্যকে পাক করে অনঙ্কুরিত ধান্যের সাথে মিশ্রিত করণীয়]। হে সুরা (অর্থাৎ মদ্য)! তুমি অশ্বিনীকুমারদ্বয়ের নিমিত্ত পাক করো, সরস্বতী দেবীর নিমিত্ত পাক করো, এবং সুষ্ঠু এাতা ইন্দ্রের পানের নিমিত্ত পাক করো। পেশুর মাংস থেকে মেদ পৃথক করে সুরাকে দুর্ভের দ্বারা পবিত্র করণীয়]। বায়ুর দ্বারা পবিত্ৰকৃত এবং কুশনির্মিত পবিত্রে (অর্থাৎ ছাঁকনিতে) শোধিত হয়ে অধোগামী (অর্থাৎ স্রাবী) সোম অতিসুত (বা পূত) হয়েছে। এই সোম (বা সুরা) ইন্দ্রের যোগ্য মিত্র ৷

৩২। [শুদ্ধীকৃত সুরাকে কুবিদঙ্গ উপযাম গৃহীতোহসি…ইত্যাদি মন্ত্র পাঠ করে অশ্বিদ্বয়, সরস্বতী ও ইন্দ্রের নিমিত্ত তিনটি পাত্রে গ্রহণ করণীয়]। হে সুরা (বা সোম)! যে রকমে বহু্যবসম্পন্ন কৃষক আপন খেতসু যবকে পৃথক (বাছাই) করে শীঘ্রতার সাথে ছেদন করে, সেই রকমে তুমি অন্য যজমানের ভোজন ইত্যাদি পদার্থ এই উপস্থিত যজমানের সপ্রাপ্ত করো–যে যজমান দর্ভাসনে উপবিষ্ট হয়ে হবিঃ সহ (সহবি) বা মন্ত্র সহকারে (সমন্ত্র) যজন করছেন। হে সোম! তুমি উপযাম পাত্রের দ্বারা গৃহীত হয়েছ। আমি তোমাকে দুই অশ্বিনীকুমারের নিমিত্ত গ্রহণ করছি; সরস্বতীর নিমিত্ত গ্রহণ করছি এবং সুষ্ঠু ত্রাতা ইন্দ্রের নিমিত্ত গ্রহণ করছি৷৷

৩৩। [পুরাকালে নমুচি নামক অসুর ইন্দ্রের বিশ্বাসপ্রাপ্ত হয়ে সোমের সাথে সাথে ইন্দ্রের বীর্যটুকুও পান করে নিয়েছিল। ইন্দ্র অশ্বিনীকুমার যুগল ও সরস্বতী দেবীকে বলেছিলেন আমি নমুচির দ্বারা পীতবীর্যে পরিণত হয়েছি। তখন অশ্বিদ্বয় ও দেবী সরস্বতী ইন্দ্রকে ফেনরূপ (অর্থাৎ বায়ুমিশ্রিত তরলরূপ) বজ্র প্রদান করেন। ইন্দ্র সেই ফেনের দ্বারা নমুচিকে হত্যা করলেন। তখন নমুচির উদর হতে রক্তের সাথে সাথে সোম নির্গত হলে অশ্বিনীকুমারদ্বয় তা পান করলেন। তারপর ঐ সোম শুদ্ধ করে তা ইন্দ্রকে প্রদান করলেন। এইভাবে অশ্বিনদ্বয়ের দ্বারা! রক্ষালাভ করে ইন্দ্র পুনরায় স্বকার্যক্ষম হয়েছিলেন। এই তথ্যই মন্ত্রে বিধৃত হচ্ছে]। বিবিধ রূপে বা ছলনায় সোম পানকারী ও শুভ যজ্ঞ ইত্যাদি কর্মের পাবক, হে অশ্বিনদ্বয়! নমুচি অসুরের সঙ্গত হয়ে। আপনারা দুজনে রমণীয় সোম পান করেছিলেন এবং পানের পর সেই সোম শুদ্ধ করে ইন্দ্রদেবকে প্রদান করেছিলেন। এ প্রকারে আপনার দুজন ইন্দ্রদেবকে স্বকর্ম সাধনে সক্ষম করেছিলেন।

৩৪। (হে ইন্দ্রদেব! ক্রান্তদ্রষ্টা ঋষিগণের কাব্যের (বা মন্ত্রের) দ্বারা এবং আপন কর্মের দ্বারা অশ্বিনীকুমার যুগল আপনাকে পূর্বকাল হতে রক্ষা করেছেন, যেমন মাতা-পিতা আপন আপদগ্রস্ত পুত্রকে রক্ষা করেন। যেহেতু, হে ইন্দ্রদেব! আপনি আপন কার্যের দ্বারা সুষ্ঠু রমণীয় সোম পান করেছিলেন, এবং সেইজন্য হে ধনবন্ ইন্দ্রদেব! সোমপায়ী আপনাকে দেবী সরস্বতী (স্তুতি বাণীর দ্বারা) উপসেবিত করেছেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *