১৯. শুক্লযজুর্বেদ – ঊনবিংশ অধ্যায়

ঊনবিংশ অধ্যায়

ন্ত্রঃ– স্বাদ্বীং ত্বা স্বাদুনা তীব্ৰাং তীব্রেণামৃতামমৃতেন। মধুমতীং মধুমতা সৃজামি সং সসামেন। সোমোহস্যশ্বিভ্যাং পচ্যস্ব সরস্বত্যৈ পচ্যম্বোন্দ্রিয় সুত্রামে পচ্যস্ব৷১।পরীত ফিঞ্চতা সুতং সোমো য উত্তমং হবিঃ। দধন্বা যো নৰ্যো অন্তরা সুষাব সোমমদ্রিভিঃ ॥২॥ বায়োঃ পূতঃ পবিত্রেণ প্রত্যক্সোমো অতিদ্রুতঃ ইন্দ্রস্য যুজ্যঃ সখা। বায়োঃ পূতঃ পবিত্রেণ প্রাক্সোমো অতিদ্রুতঃ। ইন্দ্রস্য যুজ্যঃ সখা৷৷৩৷পুনাতি তে পরিসুতং সোমং সূর্যস্য দুহিতা। বারেণ শশ্বতা তনা৷৷৷৷ ব্ৰহ্ম ক্ষত্রং পবতে তেজ ইন্দ্রিয়ং সুরয়া সোমঃ সুত আসুতো মদায়। শুক্রেণ দেব দেবতাঃ পিপৃদ্ধি রসেনান্নং যজনান্নং যজমানায় ধেহি৷৷৫৷ কুবিদঙ্গ যমন্তো যবং চিদ্যথা দন্ত্যনুপূর্বং বিমূয়। ইহৈহৈং কৃণুহি ভোজনানি যে বহিষো নম উক্তিং যজন্তি। উপর্যমগৃহীতোহস্যশ্বিভ্যাং ত্বা সরস্বত্যৈ, ত্বোয় ত্বা সুত্রামে এষ তে যোনিস্তেজসে ত্বা বীর্যায় ত্বা বলায় ত্বা৷৬৷ নানা হি বাং দেবহিতং সদস্কৃতং মা সংসৃক্ষাথাং পরমে ব্যোম। সুরা ত্বমসি শুষ্মিণী সোম এষ মা। মা হিংসীঃ স্বাং যোনিমাবিশন্তী।৭৷৷ উপযামগৃহীতোহস্যানিং তেজঃ সারস্বতং বীর্যমৈং বল। এষ তে যোনিমোর্দায় ত্বানন্দায় ত্বা মহসে ত্বা।৮৷৷ তেজোহসি তেজো ময়ি ধেহি বীর্যমসি বীর্যং ময়ি ধেহি বলমসি বলং ময়ি ধেহ্যো-জেহস্যোজো ময়ি ধেহি মনুরসি মং ময়ি ধেহি সহোহসি সহো ময়ি ধেহি।৯। যা ব্যাং বিষুচিকোভৌ বৃকং চ রক্ষতি। শ্যেনং পতত্রিণং সিংহং সেমং পাত্বংহসঃ৷১০৷৷ যদাপিপেষ মাতরং পুত্রঃ প্রমুদিততা ধয়। এতত্তদগ্নে অনৃণো ভবাম্যহতে পিতরো ময়া। সম্পৃচ স্থ সং মা ভদ্রেণ পৃক্ত বিশৃচ স্থ বি মা পাদ্মনা পৃক্ত৷১১৷ দেবা যজ্ঞমতন্বত ভেষজং ভেষজাহশ্বিনা। বাঁচা সরস্বতী ভিষগিন্দ্রায়েন্দ্রিয়ণি দধতঃ ॥১২৷৷ দীক্ষায়ৈ রূপং শম্পাণি প্রায়ণীয়স্য তোক্সনি। ক্রয়স্য রূপং সোমস্য লাজাঃ সোমাংশবো মধু।।১৩৷৷ আতিথ্যরূপং মাসরং মহাবীরস্য নগ্নহু। রূপমুপসদা মেত্তিম্রো রাত্রীঃ সুরাইহসুতা৷১৪৷৷ স্যেমস্য রূপং ক্রীতস্য পরিৎ পরি ষিচ্যতে। অশ্বিভ্যাং দুগ্ধং ভেষজমিন্দ্রায়ৈং সরস্বত্যা৷১৫৷৷ আসন্দী রূপং রাজাসন্দ্যৈ বেদ্যৈ কুম্ভী সুরাধানী। অন্তর উত্তরবেদ্যা রূপং কারোতরো ভিষ৷১৬৷৷ বেদ্যা বেদিঃ সমাপ্যতে বহিষ বহিরিন্দ্রিয়। যুপেন ঘূপ আপ্যতে প্রণীত অগ্নিরপ্পিনা৷১৭৷৷ হবির্ধানং যদখিনাহগ্নীং যৎসরস্বতী। ইন্দ্রায়ৈং সদস্কৃতং পত্নীশালং গার্হপত্যঃ ১৮৷৷ প্রৈযোভিঃ প্রৈনাপ্নোত্যাপ্রীভিরাপ্ৰীৰ্যজ্ঞস্য। প্রযাজেভিরনুযাজা বষারেভিরাহুতীঃ।১৯। পশুভিঃ পশূনাগরীতি পুরোডাশৈহ্বীংখ্যা। ছন্দোভিঃ সামিধেনীৰ্যাজ্যাভিবর্ষারা৷৷২০৷৷ ধানাঃ করম্ভঃ সক্তবঃ পরীবাপঃ পয়ো দধি। সোমস্য রূপং হবিষ আমিক্ষা বাজিনং মধু৷২১.ধানানাং রূপং কুবলং পরীবাপস্য গোধুমাঃ। সনাং রূপং বদরমুপবাকাঃ করম্ভস্য৷৷২২ পয়সো রূপং যদ্যবা দুয়ো রূপং কর্কনি। সোমস্য রূপং বাজিনং রূপামামিক্ষা।২৩৷৷ আ শ্রাবয়েতি স্তোত্রিয়াঃ প্রত্যাশ্রাবো অনুরূপঃ। যজেতি ধাৰ্যারূপং প্রগাথা যেযজামহাঃ৷২৪৷৷ অর্ধঋচৈরু থানাং রূপং পদৈরাগ্নোতি নিবিদঃ। প্রণবৈঃ শস্ত্রাণাং রূপং পয়সা সোম আপাতে৷৷২৫৷ অশ্বিভ্যাং প্রাতঃসবনমিন্দ্রেণৈন্দ্রং মাধ্যন্দিন। বৈশ্বদেবং সরস্বত্যা তৃতীয়মাপ্তং সবন৷২৬৷ বায়ব্যৈ দ্বায়ব্যান্যাপ্নোতি সতেন দ্রোণকলশ। কুম্ভীভ্যামন্ড্রণৌ সুতো স্থালীভি স্থালীরাপ্নোতি৷৷২৭৷ যজুৰ্ভিরাপ্যম্ভে গ্ৰহা গ্রহৈঃ স্তোমাশ্চ বিদ্ভুতীঃ। ছন্দোভিরুথাশস্রাণি সাম্রাবভভ্রিথ আপ্যতে।২৮।ইড়াভিভক্ষানা প্নোতি সূক্তবাকেনাশিষঃ। শংযুনা পত্নীসংযাজা সমিষ্টযজুষা সংস্থা৷৷২৯। ব্ৰতেন দীক্ষামাপ্নোতি দীক্ষয়াহপ্নোতি দক্ষিণা। দক্ষিণ্য শ্রদ্ধামাগোতি শ্রদ্ধয়া সত্যমা প্যতে।৩০৷ এতাবদ্রুপং যজ্ঞস্য যদ্দেব্রৈহ্মণা কৃত৷ তদেতৎ সর্বমান্নোতি যজ্ঞে সৌভ্রামণী সুতে৷৩১। সুরাবন্তং বহিষদং সুবীরং যজ্ঞং হিন্তি মহিষা নমোভিঃ। দধানাঃ সোমং দিবি দেবতাসু মদেমে যজমানাঃ স্বৰ্কাঃ ৩২। যস্তে রসঃ সম্ভত ওষধীষু সোমস্য শুষ্মঃ সুরয়া সুতস্য। তেন জিম্ব যজমানং মদেন সরস্বতীমশিনাবিন্দ্রমগ্নি৷৩৩৷৷ যমশ্বিনা নমুচেরাসুরাদধি সরস্বত্যসুনোদিন্দ্রিয়ায়। ইমং তং শুক্রং মধুমমিন্দুং সোমং রাজানমিহ ভক্ষয়ামি৷৷৩৪। যত্র রিপ্তং রসিনঃ সুতস্য যদিম্রো অপিবচ্ছচীভিঃ। অহং তদস্য মনসা শিবেন সোমং রাজানমিহ ভক্ষয়ামি৷৷৩৫৷৷ পিতৃভ্যঃ স্বধায়িভ্যঃ স্বধা নমঃ। পিতামহেভ্যঃ স্বধায়িভ্যঃ স্বধা নমঃ। প্রপিতামহেভ্যঃ স্বাধায়িভ্য স্বধা নমঃ। অক্ষন্ পিতরো হমীমদন্ত পিতরোহতীতৃপন্ত পিতরঃ পিতরঃ শুন্ধ৷৷৩৬।পুনন্তু মা পিতরঃ সোম্যাসঃ পুন মা পিতামহাঃ পুনন্তু প্রপিতামহাঃ। পবিত্রেণ শতায়ু পুনস্তু মা পিতামহাঃ পুনস্তু প্রপিতামহাঃ। শতায়ুষা বিশ্বয়ুৰ্যশ্নবৈ৷৩৭৷ অগ্ন আয়ুংষি পবস আ সুবোর্জমিষং চ নঃ। আরে বাধ দুচ্ছ ৩৮৷ পুন মা দেবজনাঃ পুনন্তু মনসা ধিয়ঃ। পুনন্তু বিশ্বা ভূতানি জাতবেদঃ পুনীমা।৩৯। পবিত্রেণ পুনীহি মা শুক্রেণ দেব দীদ্যৎ। অগ্নে ক্ৰত্বা কুর৷৷৪০। যত্তে পবিত্ৰমর্চিষ্যগ্নে বিততমন্তরা। ব্রহ্ম তেন পুনাতু মা।৪১ পবমানঃ সো অদ্য নঃ পবিত্ৰেণ বিচৰ্ষণিঃ। যঃ পোতা স পুনাতু মা৷৪২৷৷ উভাভ্যাং দেব সবিতঃ পবিত্রেণ সবেন চ। মা পুনীহি বিশ্বতঃ॥৪৩৷৷ বৈশ্বদেবী পুনতী দেব্যাগাদ্যস্যামিমা ব্যস্তম্বো বীতপৃষ্ঠাঃ। তয়া মদন্তঃ সধমাদেষু বয়ং স্যাম পতয়ো রয়ীণা৷৪৪৷৷ যে সমানাঃ সমনসঃ পিতরো যমরাজ্যে। তেযাল্লোকঃ স্বধা নমো যজ্ঞো দেবেষু কল্পতা৷৪৫৷ যে সমানাঃ সমনসো জীবা জীবেষু মামকাঃ। তেষাং শ্রীময়ি কল্পতামস্মিল্লোকে শতং সমাঃ ৪৬৷৷ দ্বে সৃতী অণবং পিতৃ ণামহং দেবানামুত মানা। ভ্যামিদং বিশ্বমেজৎসমেতি যদন্তরা পিতরং মাতরং চ ৷৷৪৭৷ ইদং হবিঃ প্রজননং মে অস্ত্র দশবীরং সর্বগণং স্বস্তয়ে। আত্মসনি প্রজাসনি পশুসনি লোকসন্যভয়সনি। অগ্নিঃ প্রজাং বহুলাং মে করোত্বগ্নং পয়ো রেতো অস্মাসু ধ৷৷৪৮৷৷ উদীরতামবর উৎপরাস উন্মধ্যমাঃ পিতরঃ সোম্যাসঃ। অসুং য ঈয়ুরবৃকা ঋতজ্ঞাস্তে নোহবস্তু পিতরো হবে।৪৯৷৷ অঙ্গিরসোনঃ পিতরো নবগ অথবাণো ভৃগবঃ সোম্যাসঃ। তেষাং বয়ং সুমতৌ যজ্ঞিয়ানামপি ভদ্রে সৌমনসে স্যাম৷৫০৷৷ যে নঃ পূর্বে পিতরঃ সোম্যাসোহনুহিরে সোমপীথং বসিষ্ঠাঃ। তেভিৰ্যম সংররাণো হবীংযুশন্নশদ্ভিঃ প্রতিকামমভু৷৷৫১৷৷ ত্বং সোম প্র চিকিতো মনীষা ত্বং রজিষ্ঠমনু নেষি পন্থা। তব প্রণীতী পিতরো ন ইন্দো দেবেষু রত্নমভজন্ত ধীরঃ৫২৷৷ ত্বয়া হি নঃ পিতরঃ সোম পূর্বে কর্মাণি চত্রুঃ পবমান ধীরা। বন্বন্নবাতঃ পরিধী রপোর্ণ বীরেভিরমৈঘবা ভবা নঃ ॥৫৩৷ ত্বং সোম পিতৃভিঃ সংবিদানোহনু দ্যাবাপৃথিবী আ ততন্থ। তস্মৈ ত ইন্দো হবিষা বিধেম বয়ং স্যাম পতয়ো রয়ীণা৷৷৫৪৷৷ বহিষদঃ পিতর উত্যর্বাগিমা বো হব্যা চকৃমা জুষধ্বম্। ত আ গতাবসা শম্ভমেনাথা নঃ শং যোররপো দধাত৷৷৫৫৷৷ আহহং পিতৃসুবিদা অবিৎসি নপাতং চ বিক্রমণং চ বিষ্ণোঃ। বহিষদো যে স্বধয়া সুতস্য ভজন্ত পিত্বস্ত ইহাগমিষ্ঠাঃ ৫৬৷ উপহৃতাঃ পিতরঃ সোম্যাসোবর্তিষ্যেষু নিধিযু প্রিয়ে। ত আ গমন্তু ত ইহ বধি ব্রুবন্তু তেহবস্মা৷৫৭৷৷ আ যন্তু নঃ পিতরঃ সোম্যাসোহগ্নিদাত্তাঃ পথিভির্দেবযানেঃ। অস্মিন্ যজ্ঞে স্বধয়া মদন্তোহধি ব্রুবন্তু তেহবস্ম৷৫৮৷ অগ্নিদাত্তাঃ পিতর এই গচ্ছত সদঃ সদঃ সদত সুপ্রণীতয়ঃ। অত্তা হবীংষি প্ৰয়তানি বহিষাথারয়িংসর্ববীরংদধাতন৷৫৯৷৷ যে অগ্নিদাত্তা যে অনগ্নিদাত্তা মধ্যে দিবঃ স্বধয়া মাদয়ন্তে। তেভ্যঃ স্বরাড়সুনীতিমেতাং যথাবশং তম্বং কল্পয়াতি৷৬০৷ অগ্নিদাত্তান্তুমতো হবামহে নারাশংসে সোমপীথং য আশু। তে নো বিপ্রাসঃ সুহবা ভবন্তু রয়ং স্যাম পতয়ো রয়ীণা৷৬১। আচ্যা জানু দক্ষিণতো নিষদ্যেমং যজ্ঞমভি গৃণীত বিশ্বে। মা হিংসিষ্ট পিতরঃ কেন চিন্নে যদ্ব আগঃ পুরুষতা করাম।।৬২। আসীনাসো অরুণীনামুপন্থে রয়িং ধত্ত দাশুষে মর্তায়। পুত্রেভ্যঃ পিতরস্তস্য বস্কঃ প্র যচ্ছত ত ইহোর্জং দধাত।৬৩৷৷ যমগ্নে কব্যবাহন ত্বং চন্মন্যসে রয়িম্। তন্নে গীর্ভিঃ শ্ৰবায্যং দেবত্ৰা পনয়া যুজ৷৬৪৷ যো অগ্নিঃব্যবাহনঃ পিতৃন যক্ষদৃতাবৃধঃ। প্ৰেদু হব্যানি বোচতি দেবেভ্যশ্চ পিতৃভ্য আ॥৬৫। ত্বমগ্ন ঈডিতঃ কব্যবাহনা বাবানি সুরভীণি কৃত্বী। প্রাদাঃ পিতৃভ্যঃ স্বধয়া তে অন্নদ্ধি ত্বং দেব প্রযতা বহীং৷৷৬৬৷ যে চেহ পিতরো যে চ নেহ যবিপ্ন যা উ চ ন প্রবিন্দু। ত্বং বেথ যতি তে জাতবেদঃ স্বধাভির্যজ্ঞং সুকৃতংজুষস্ব৷৬৭৷ ইদংপিতৃভভ্যা নমো অদ্য যে পূর্বাসো য উপরাশ ইয়ুঃ। যে পার্থিবে রাজস্যা নিষত্তা যে বা নূনং সুবৃজানাসু বিক্ষু৷৷৬৮। অধা যথা নঃ পিতরঃ পরাসঃ প্রত্নসো অগ্ন ঋতমানূষাণাঃ। শুচীদয় দীধিতিমুকথশাসঃ ক্ষামা ভিন্তো অরুণীরপ ব্রন।৬৯৷৷ উশন্তস্তা নি ধীমহুশন্তঃ সমিধীমহি। উশনুশত আ বহ পিতৃ হবিষে অত্তবে।৭০৷ অপাং ফেনেন নমুচেঃ শির ইন্দ্রোদবর্তয়ঃ। বিশ্বা যদজয় স্মৃধঃ৭১ সোমমা রাজামৃতং সুত ঋজীষেণাজহামৃত্যু। ঋতেন সত্যমিয়িং বিপিনং শুক্রমন্ধস ইন্দ্রস্যেন্দ্রিয়মিদং । পয়োহমৃতং মধু৷৷৭২৷৷ অদ্ভ্যঃ ক্ষীরং ব্যপিবৎ ক্রুঙঙাঙ্গিরসো ধিয়া। ঋতেন সত্যমিন্দ্ৰিয়ং বিপিনং শুক্রমন্ধস ইন্দ্রস্যেন্দ্রিয়মিদং পয়োহমৃতং মধু।৭৩৷৷ সোমমদ্ভো ব্যপিবচ্ছন্দসা হংসঃ শুচিষৎ। ঋতেন সত্যমিন্দ্রিয়ংবিপিনং শুক্রমন্ধসইন্দ্রস্যেন্দ্রিয়মিদং পয়োহমৃতং মধু।৭৪৷৷ অন্নাৎপরিশ্রুততা রসং ব্ৰহ্মণা ব্যপিবৎ ক্ষত্ৰং পয়ঃ সোমং প্রজাপতিঃ। ঋতেন সত্যমিন্দ্ৰিয়ং বিপিনং শুক্রমন্ধস ইন্দ্রস্যেন্দ্ৰিযমিদং পয়োহমৃতং মথু।।৭৫৷৷ রেতো মুত্রং বি জহাতি যোনিং প্রবিশদিন্দ্রিয়। গর্ভো জরায়ুণাহহাবৃত উন্বং জহাতি জন্মনা। ঋতেন সত্যমিয়িং বিপিনং শুক্রমন্ধস ইন্দ্রস্যেন্দ্রিয়মিদং পোেহমৃতং মধু।৭৬৷ দৃষ্টা রূপে ব্যাকরোৎ সত্যানৃতে প্রজাপতিঃ। অশ্রদ্ধামতেই দধাচ্ছুদ্ধাং সত্যে প্রজাপতিঃ। ঋতেন সত্যমিয়িং বিপিনং শুক্রঃমন্ধস ইন্দ্রস্যেন্দ্রিয়মিদং পয়োহমৃতং মধু৷৷৭৭৷ বেদেন রূপে ব্যপিবৎ সুতাসুতৌ। প্রজাপতিঃ। ঋতেন সত্যমিয়িং বিপিনং শুক্রমন্ধস ইন্দ্রস্যেন্দ্রিয়মিদং পয়োন্নহমৃতং মধু৷৷৭৮৷ দৃষ্টা পরিষুতো রসং শুক্রেণ শুক্রং ব্যপিষৎ পয়ঃ সোমং প্রজাপতিঃ। ঋতেন সত্যমিয়িং বিপিনং শুক্রমন্ধস ইন্দ্রস্যেন্দ্রিয়মিদং পয়োহমৃতং মধু৷৷৭৯। সীসেন তন্ত্র মনসা মনীষিণ ঊর্ণাসূত্রেণ কবয়ো বয়ন্তি। অশ্বিনা যজ্ঞং সবিতা সরস্বতীন্দ্রস্য রূপং বরুণণা ভিষজন।।৮০৷৷ তদস্য রূপমমৃতং শচীভিস্তিস্রো দধুর্দেবতাঃ সংররাণাঃ। লোমানি শপৈর্বহুধা ন তোক্সভিস্তুগস্য মাং সমভবন্ন লাজাঃ।।৮১৷৷ তদর্শিনা ভিষজা রুদ্রবর্তনী সরস্বতী বয়তি পেশো অন্তর। অস্থি মজ্জানং মাসরৈঃ কারোতরেণ দধ গৰাং ত্বচি৷৮২৷ সরস্বতী মনসা পেশলং নাসত্যাভ্যাং বয়তি দৰ্শতং রপুঃ। রসং পরিসুতা ন রোহিতং নগ্নহুধীরস্তসরং ন বেম৷৮৩ পয়স শুক্ৰমমৃতং জনিং সুরয়া মুত্রাজ্জনয়ন্ত রেতঃ। অপামতিং দুর্মতিং বাধমান ঊবধ্যং বাতং সব্বং তদারাৎ৮৪৷ ইন্দ্রঃ সুত্রামা হৃদয়েন সত্যং পুরোডাশেন সবিতা জজান। যকৃৎ ক্লোমানং বরুণণা ভিষজ্য মতক্ষে বায়ব্যৈর্ন মিনাতি পিত্তম্।।৮৫৷ আন্ত্রাণি স্থালীমধু পিন্থমানা গুদাঃ পাত্রাণি সুদুঘা ন ধেনুঃ। শোনস্য পত্রং ন প্লীহা শচীভিরাসী নাভিরুদরং ন মাতা৷৮৬৷ কুম্ভো বনিষ্ঠুর্জনি শচীভির্যস্মিন্নগ্রে যোন্যাং গর্ভো অন্তঃ। প্লাশিৰ্যক্তঃ শতধার উৎসো দুহে ন কুম্ভী সুধাং পিতৃভ্যঃ।।৮৭৷৷ মুখং সদস্য শির ইৎ সতেন জিহ্বা পবিত্রমশ্বিনাসন্ত সরস্বতী৷৷ চপ্পন্ন পার্ভিষগস্য বালো বস্তির্ন শেপো হরসা তরস্বী৷৮৮অশ্বিভ্যাং চক্ষুরমৃতং গ্রহাভ্যাং ছাগেন তেজো হবিষা শৃতেন। পক্ষ্মাণি গোধূমৈঃ কুবলৈরুতানি পেশোন শুক্রমসিং বসাতে।৮৯৷৷ অবির্ন মেয়ো নসি বীর্যায় প্রাণস্য পন্থা অমৃতো গ্রহাভ্যাম্। সরস্বতুপবাকৈৰ্যানং নস্যানি বহিবরৈর্জজান।৯০৷ ইন্দ্রস্য রূপমৃষভো বলায় কর্ণাভ্যাং শ্রোমমৃতং গ্রহাভ্যাম্। যবান বহির্ভুবি কেসরাণি কর্কন্ধু জজ্ঞে মধু সারঘং মুখাৎ৯১। আত্মনুপস্থে ন বৃকস্য লোম মুখে শ্মশ্রুণি ন ব্যাঘ্রলোম। কেশা ন শীর্ষন্যশসে শ্রিয়ৈ শিখা সিংহস্য লেম ত্বিষিরিন্দ্রিয়ণি৷৯২৷৷ অঙ্গান্যাত্মন্ ভিষজা তদখিনাত্মানমঙ্গৈঃ সমধাৎ সরস্বতী। ইন্দ্রস্য রূপং শতমানমায়ুশ্চন্দ্রেণ জ্যোতিরমৃতং দধানাঃ ॥৯৩৷৷ সরস্বতী যোন্যাং গর্ভমন্তরশ্বিভ্যাং পত্নী সুতং বিভর্তি। অপাং রসেন বরুণো ন সামেন্দ্রং শ্রিয়ৈ জনয়ষ্ণু রাজা৷৷৯৪৷৷ তেজঃ পশুনাং হবিরিন্দ্রিয়াবৎ পরিজুতা পয়সা সারঘং মধু। অশ্বিভ্যাংদুগ্ধং ভিষজা সরস্বত্যা সুতাসুতাভ্যামমৃতঃ সোম ইন্দুঃ ॥৯৫৷৷

[কণ্ডি-৯৫, মন্ত্র ১২০]

.

মন্ত্ৰার্থঃ– (এই অধ্যায়ে সৌত্ৰামণি যাগের মন্ত্রসমূহের প্রারম্ভ হচ্ছে। এই মন্ত্র তিনটি অধ্যায় পর্যন্ত কথিত হবে)

১। হে সুরা! তুমি হেন সুস্বাদু সুরাকে আমি সুস্বাদু সোমের সাথে সংযোজিত করছি, তুমি হেন তীব্রা সুরাকে আমি তীব্র সোমরসের সাথে, তুমি হেন অমৃতময়ীকে আমি অমৃতময় সোমের সাথে এবং তুমি হেন মধুমতী সুরাকে আমি মধুময় সোমরসের সাথে সংযোজিত করছি। হে সোম-সংমিশ্রিতা সুরা! তুমি সোমময়ী। তুমি অশ্বিনীকুমার যুগলের নিমিত্ত পরিপক্ক (উৎকৃষ্টরূপে পাকনিষ্পন্ন) হও; সরস্বতীর নিমিত্ত পক্ক হও এবং সুষ্ঠুত্রাতা ইন্দ্রের নিমিত্ত পাক প্রাপ্ত হও।

২। হে ঋত্বিকগণ! অভিযুত সোমকে গাভীর দুগ্ধে আসিঞ্চিত করো, যে সোম সর্বোত্তম হবিঃ; যা যজমানকে ধারণ করে, যা মানুষের পক্ষে হিতকরী এবং জলের অন্দরে বর্তমান যাকে অধ্বর্যু প্রস্তরে চূর্ণ পূর্বক অভিযুত করে থাকে৷৷

৩। উদরের মধ্যে বর্তমান বায়ুকে দশা পবিত্রে পবিত্ৰীকৃত করে সোমরস বাহিত হয়ে অধোগত হয়ে থাকে। সে ইন্দ্রের অনুকূল মিত্র হয়। হৃদয়ের মধ্যে বর্তমান বায়ুর দ্বারা পবিত্ৰীকৃত সোমরস ঊর্ধ্বগত হয়ে মুখের প্রান্তে বাহিত হয়ে থাকে। সে ইন্দ্রের অনুকূল মিত্র হয় ৷

৪। (অধ্বর্যু যজমানকে বলছে)–হে যজমান! তোমার অভিমুত সোমকে সূর্যের পুত্ৰী শ্ৰদ্ধা পবিত্র করছে–অনাদি এবং ধনোৎপত্তির নিমিত্তভূত গো-অশ্বের রোমে৷

৫। হে সোম! অভিযুত হয়ে তুমি ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং ইন্দ্রিয়সমূহের তেজকে উৎপন্ন করে থাক। সবার সাথে সংমিশ্রিত হয়ে তুমি মদকারীও হয়ে গিয়ে থাকে। হে সোমদেব! তুমি আপন শুদ্ধ বীর্যের দ্বারা অগ্নি প্রভৃতি দেবগণকে প্রসন্ন করো এবং তারপর ঘৃত ইত্যাদির সাথে যজমানের নিমিত্ত অন্ন ধারণ করো; (অর্থাৎ যজমানকে অন্নরস প্রদান করো)।

৬। হে মিত্র অগ্নি! যে প্রকারের শস্য বপনকারী কৃষক যব প্রভৃতি শস্যসমূহকে ঘাস হতে পৃথক করে যথাক্রমে ছেদন করে নেয়, সেই প্রকারে এই সংসারে যে যে যজমান কুশ গ্রহণ পূর্বক নমস্কার সহকারে তোমার যজন করেন-তুমি পৃথক পৃথক রূপে তাদের নিমিত্ত অন্ন-পান ইত্যাদির প্রবন্ধ (ব্যবস্থা) করো। হে গ্রহ! তুমি উপযামপাত্রের দ্বারা গৃহীত হয়েছে। আমি তোমাকে অশ্বিদ্বয়ের নিমিত্ত, সরস্বতীর নিমিত্ত, এবং সুষ্ঠুত্ৰাতা (সুরক্ষক) ইন্দ্রের নিমিত্ত গ্রহণ করছি। এই তোমার স্থান; এইস্থানে আমি তোমাকে তেজঃ ও বলের নিমিত্ত স্থাপন করছি৷৷

৭। (সুরাগ্রহকে গ্রহণ করণীয়)–হে সুরা ও সোম! তোমাদের দুজনের নিমিত্ত পৃথক পৃথক্ স্থান নির্মাণ করা হয়েছে। সেই স্থান দেবগণের হিত সাধনশীল। উত্তম বেদীস্থানে তোমরা দুজন কখনও মিলিত হয়ে যেও না। হে সুরা! তুমি বলশালিনী সুরা এবং এই শুদ্ধ সোমরস স্বরূপা। তুমি আপন ভূমিতে স্থান গ্রহণ করে কখনও এই সোমকে হিংসিত করো না। (আহবনীয় অগ্নিতে সোমকে আহুতি প্রদান করা হয় এবং দক্ষিণাগ্নিতে সুরাকে আহুতি প্রদান করা হয়। এই প্রকারে এই দুজনের সম্পূর্ণ পৃথক্‌ পৃথক্ স্থান)।

৮। হে গ্রহ! তুমি উপযামগ্রহের দ্বারা গৃহীত হয়েছ। তুমি অশ্বিযুগলের তেজঃ (অর্থাৎ সাক্ষাৎ অশ্বিযুগলের মতো), তুমি সরস্বতীর বীর্য (অর্থাৎ সামর্থ্যসম্পন্ন), এবং ইন্দ্রের বলসম্পন্ন। এই তোমার স্থান। প্রমোদের নিমিত্ত, আনন্দের নিমিত্ত এবং তেজঃ প্রাপ্তির নিমিত্ত আমি তোমাকে এইস্থানে স্থাপিত করছি৷

৯। (পয়োগ্রহকে গ্রহণীয়)-হে পয়োগ্রহ! তুমি তেজঃস্বরূপ, আমাতেও তেজঃ পূর্ণ করে দাও। তুমি বীর্যস্বরূপ, আমাতেও বীর্য পূর্ণ করে দাও। তুমি বুলস্বরূপ, আমাতেও বল পূর্ণ করে দাও। তুমি ওজঃস্বরূপ, আমাতেও ওজঃ পূর্ণ করে দাও। তুমি মনুস্বরূপ (অর্থাৎ ক্রোধের স্বরূপ), আমাতেও মন পূর্ণ করে দাও। তুমি সহঃ (অর্থাৎ শত্রুকে অভিভূতকারী বলস্বরূপ), আমাতেও সহঃ পূর্ণ করো ৷

১০। যে বিষুচিকা ব্যাধিবিশেষ ব্যাঘ্র ও বৃক (নেকড়ে), দুজনকে রক্ষা করে, সেই-ই উড্ডীয়মান বাজপক্ষী ও সিংহকে রক্ষা করে। সেই বিষুচিকা (অর্থাৎ বিষুচিৎকার অধিষ্ঠাত্ দেবতা) ব্যাধিহেতু পাপ হতে এই যজমানকে রক্ষা করুক৷

১১। প্রসন্নতার সাথে স্তন্যপান করতে করতে যে আমি (পুত্র) আপন পদে মাতাকে প্রপীড়িত (পদাঘাত) করেছি, হে অগ্নি! এই আমি সেই ঋণ বা অপরাধ) হতে উত্তীর্ণ হলাম–আমার দ্বারা মাতা পিতা হিংসিত হলেন না। (আমি সন্তান উৎপাদনের দ্বারা মাতা-পিতার ঋণ পরিশোধ করে দিয়েছি)। (যজমান কর্তৃক সমগ্ৰহকে স্পর্শ করণীয়)–হে সোমগ্রহ! তুমি স্বয়ংই সংযোজক। তুমি আমাকে কল্যাণের সাথে সঙ্গত করো। (সুরাহকে স্পর্শ করণীয়)–হে সুরাগ্রহ! তুমি স্বয়ং পৃথক্‌ অবস্থানকারী। তুমি আমাকে পাপ হতে পৃথক্ করো৷৷

১২। দেবগণ (সৌত্রামণি নামক) যজ্ঞ বিস্তারিত করেন; অশ্বিনযুগল বৈদ্যরূপে এই যজ্ঞকে ভৈষজ্য করেছিলেন; বাণীর দ্বারা সরস্বতীও এই যজ্ঞের বৈদ্য ছিলেন; যখন তারা ইন্দ্রের নিমিত্ত ইন্দ্রিয়বলকে প্রাপ্ত করাচ্ছিলেন।

১৩। নব যবাংকুর দীক্ষিণীয় যজ্ঞের (দীক্ষণীয়েষ্টির) স্বরূপ। নবরূঢ় যবাংকুর প্রায়নীয় যজ্ঞের স্বরূপ। লাজসমূহ সোমক্রয়ের স্বরূপ। সোমখণ্ড মধুর সোমরসের স্বরূপ

১৪। মাসর আতিথ্যেষ্টির স্বরূপ অবগত হওয়া উচিত।নগ্নঃ মহাবীর ঘটের স্বরূপ। তিন রাত্রি পর্যন্ত অভিয়ুত সুরাকে যদি তিন রাত্রি পর্যন্ত গর্তে নত করে রাখা হয় তবে তা উপসদ্ সংজ্ঞক যজ্ঞের স্বরূপ৷

১৫। এক-দুই-তিন গাভীর দুগ্ধে যদি অভিমুত সুরা পরিসিঞ্চিত করা হয়, তবে তা সোমক্রয়ের স্বরূপ। অশ্বিন্দ্বয়ের নিমিত্ত একটি গাভীর দুগ্ধে প্রথম দিবস, সরস্বতীর নিমিত্ত দুটি গাভীর দুগ্ধে দ্বিতীয় দিবস, ও ইন্দ্রের নিমিত্ত তিনটি গাভীর দুগ্ধে তৃতীয় দিবস আসিঞ্চিত করা হয়।

১৬। সোমকে রক্ষণের (বা স্থাপনের) আসন্দী (মঞ্চ বা চৌকি) রাজার আসন্দীর স্বরূপ। সুরা-ধারণের কুম্ভ সৌমিকী বেদীর স্বরূপ। দুটি বেদীর মধ্যের ভাগ উত্তর বেদির স্বরূপ। সুরাকে পবিত্র করণশীল চালনী (অর্থাৎ ছাঁকনি)-কে ইন্দ্র ও যজমানের বৈদ্যরূপে জ্ঞাত হওয়া উচিত৷৷

১৭। বর্তমান বেদির দ্বারা সৌমিকী (সোমের বেদি) প্রাপ্ত হয়ে থাকে, বৰ্হির দ্বারা বহি (অর্থাৎ কুশ)-রূপ বল প্রাপ্তি হওয়া যায়; যুপ হতে ঘূপ প্রাপ্ত হওয়া যায় এবং অগ্নির দ্বারা অগ্নি প্রণীত হয়ে থাকে৷

১৮। এই সৌত্রামণি যাগে অশ্বিন্দ্বয়ের সৎ-ভাবের দ্বারা হবিধান; সরস্বতীর উপস্থিতির দ্বারা আগ্নীব্র এবং ইন্দ্রের নিমিত্ত যে হবিঃ প্রদত্ত হয়, তা হতে গার্হপত্য পত্নীশালার সম্ভাবনা করা উচিত৷

১৯। প্রৈষ যজ্ঞের দ্বারা প্রৈষকে প্রাপ্ত হওয়া যায়, আগ্রী যজ্ঞের দ্বারা আপ্রীযজ্ঞকে; প্রজের দ্বারা প্রযাজকে, অনুযাজের দ্বারা অনুযাজকে, বষট্‌কারের দ্বারা বষট্‌কারকে তথা আহুতির দ্বারা আহুতিসমূহকে লাভ করা হয়।

২০। পশুর দ্বারা পশুসমূহকে; পুরোডাশের দ্বারা পুরোডাশসমূহকে; অন্য হবির দ্বারা অন্য হবিসমূহকে; ছন্দের দ্বারা ছন্দসমূহকে; সামিধেন্য বেদমন্ত্রের দ্বারা সামিধেনী বেদমন্ত্ৰসমূহকে; যাজ্যার দ্বারা যাজ্যাসমূহকে এবং বষট্‌কারের দ্বারা বষট্‌কারসমূহকে লাভ করা হয়।

২১। ধানাঃ (অর্থাৎ ভাজা ধান বা খৈ), জলের মন্থ (বা মাখন) ছাতু, হবিঃ বা ঘৃতধারা, দুগ্ধ ও দধি–এইগুলি সোমের প্রতিনিধিরূপে জ্ঞাত হওয়া উচিত। আমিক্ষা (ছানা), বাজিন (ছানার জল) এবং মধু–এইগুলি অন্য হবির স্বরূপ৷

২২। বড় বদরি (কুল) ভৃষ্ট ধান্যের (বা অন্নের) প্রতীক; গোধূম (গম) হবিষ্পংক্তির বা ঘৃতধারার রূপ; কোমল বদরী সঙ্কু বা ছাতুর প্রতিনিধি, তথা যব জলমন্থ বা মাখনের প্রতীক।

২৩৷ যব দুগ্ধের রূপ; স্থূল কুল দধির রূপ; ছানার জল সোমের রূপ এবং ছানা সৌম্যচরুর রূপ ॥

২৪। আশ্রাবয় শব্দ স্তোত্রিয়ের (অর্থাৎ স্তোত্রে প্রথম তৃচ পাঠের) রূপ; প্রত্যাশ্রাব অস্তু ঔষভশব্দ অনুরূপ (অর্থাৎ অন্তিম তৃচ); যজশব্দ ধাজ্যার (ঋসমূহের) রূপ এবং যেয়জামহ শব্দ প্রগাথা, বলে জ্ঞাত হওয়া উচিত৷৷

২৫। অর্ধ ঋকের দ্বারা উথকে; পদসমূহের দ্বারা নিবিদসমূহকে (অর্থাৎ ন্যূত্থাগুলিকে); ওঁ (অর্থাৎ প্রণব)-এর দ্বারা শাস্ত্রকে এবং দুগ্ধের দ্বারা সোমকে প্রাপ্ত হওয়া যায়৷

২৬৷ অশ্বিনীকুমারদ্বয়ের সৎ-ভাবে প্রাপ্তঃসবন; ইন্দ্রের সৎ-ভাবে মাধ্যন্দিন ঐন্দ্রসবর্ন এবং সরস্বতীর সৎ-ভাবে তৃতীয় বৈশ্বদেব সবন সিদ্ধি হয়–এইরকম জ্ঞাত হওয়া উচিত ৷৷

২৭। বায়ব্য বা সোম পাত্রের দ্বারা বায়ব্য (সকল) পাত্রকে; বেতসপাত্রের সৎ-ভাবে দ্রোণকলশকে; কুম্ভী-সুরাধানীর দ্বারা অভিযুত সোমের নিমিত্ত অপেক্ষিত পূতভৃৎ ঘটগুলিকে এবং স্থালীসমূহের দ্বারা স্থালীগুলিকে প্রাপ্ত করা হয়।

২৮৷ যজুঃসমূহের দ্বারা যজুঃ; গ্রহসমূহের দ্বারা গ্রহ; স্তোমসমূহের দ্বারা স্তোম; বিবিধ স্তুতিসমূহের দ্বারা বিবিধ স্তুতি সমূহ; ছন্দ সমূহের দ্বারা উথ শস্ত্র; সামের দ্বারা সাম এবং অবভৃথের দ্বারা অবর্ভূথ প্রাপ্ত হওয়া যায়।

২৯। ইড়ার দ্বারা ইড়াকে, ভক্ষের দ্বারা ভক্ষকে, সূক্তবাকের দ্বারা সূক্তবাককে, আশীর্বচনসমূহের দ্বারা আশীর্বচনসমূহকে, শংযু (হোমবিশেষ) এর দ্বারা শংযুকে, পত্নীসংজসমূহের দ্বারা পত্নীসংজসমূহকে, সমষ্টিযজুষের দ্বারা সমিষ্টযজুকে এবং সংস্থার দ্বারা সংস্থাকে প্রাপ্ত করা হয়।

৩০। ব্রতের দ্বারা দীক্ষাকে লাভ করা হয়; দীক্ষার দ্বারা দক্ষিণাকে লাভ করা হয়; দক্ষিণার দ্বারা শ্রদ্ধাকে লাভ করা হয় এবং শ্রদ্ধার দ্বারা সত্যব্রহ্মকে (সত্যস্বরূপ জ্ঞানস্বরূপ ও অনন্তস্বরূপ ব্রহ্মকে) লাভ করা হয়ে থাকে।

৩১। এত মাত্র সোমযজ্ঞের যে স্বরূপ ব্রহ্মা ও অন্য দেবগণ কর্তৃক দৃষ্ট হয়েছিল, সৌত্ৰামণি যজ্ঞে সুরা ও সোমের অভিযুত হওয়ার পর যজমান এই সকল সোমযাগ প্রাপ্ত হয়ে থাকেন ৷

৩২। সুরার সাথে যুক্ত দেবগণের উপবেশনের নিমিত্ত দর্ভাসনের সাথে যুক্ত ও বীরগণের সাথে যুক্ত সৌত্ৰামণি যাগকে মহান্ ঋত্বিগণ নমস্কারের সাথে বর্ধন করেন; আমরা ঋত্বিকগণ এবং যজমান দেবলোকে পূজনীয় দেবগণের মধ্যে মন্ত্রের দ্বারা সোমকে উপস্থিত করিয়ে (পৌঁছে দিয়ে) ইন্দ্রকে মদমত্ত করি।

৩৩। হে সুরা! ওষধিতে বর্তমান তোমার যে রস একত্ৰীকৃত হয়ে গিয়েছে, এবং সুরার সাথে অভিযুত সোমের যে বল আছে, সেই মদকর রসের দ্বারা তুমি যজমান, সরস্বতী, অশ্বিনযুগল, ইন্দ্র ও অগ্নিকে তৃপ্ত করো ৷

৩৪৷ যে সোমকে অশ্বিনদ্বয় নমুচি অসুরের নিকট হতে আনয়ন করেছিল এবং যে বলস্বরূপকে ইন্দ্রের নিমিত্ত সরস্বতী পরিশোধিত করেছিল, এই সেই শুদ্ধ, মধুর ও আহ্লাদক রাজা সোমকে আমি এইস্থানে যজ্ঞের ভক্ষণ করছি৷৷

৩৫। সেই সোমের যা কিছু ভাগ এই সুরায় লিপ্ত হয়ে গিয়েছিল এবং যা ইন্দ্র পদ্ধতি অনুসারে শুদ্ধ করে পান করেছিল, রাজা সোমের সেই অংশ মাত্রকে আমিও আপন শুভ মনের দ্বারা যজ্ঞে ভক্ষণ করছি।

৩৬। স্বধা (অন্ন) ভক্ষিতবন্ত পিতৃগণের নিমিত্ত এই স্বধা অন্ন প্রদান করছি। তাদের নমস্কার। স্বধাপ্রিয় পিতামহাগণের উদ্দেশ্যে এই স্বধান্ন প্রদান করছি। তাদের নমস্কার। স্বধাভিলাষী প্রপিতামহগণের উদ্দেশ্যে এই স্বধান্ন প্রদান করছি। তাদের নমস্কার। পিতৃগণ সুরাকে ভক্ষণ করেছেন। তারা মদমত্ত হয়েছেন, পরিতৃপ্ত হয়েছেন। হে পিতৃগণ! হস্ত ধৌত করে এক্ষণে আপনারা সকলে শুদ্ধ হোন।

৩৭। (এই যজুমন্ত্রগুলিকে জপ করণীয়)–সোমপ্রিয় পিতৃজন আমাকে পবিত্র করুন। পিতামহ আমাকে পবিত্র করুন। শত আয়ুষ্যশালী পবিত্রের দ্বারা প্রপিতামহ আমাকে পবিত্র করুন। পিতামহ-প্রপিতামহ আমাকে শতায়ুষ পবিত্রের দ্বারা পবিত্র করুন। তাদের দ্বারা পবিত্ৰকৃত হয়ে আমি আপন সম্পূর্ণ আয়ু লাভ করব৷

৩৮। হে অগ্নি! তুমি স্বয়ং আয়ুষ্য প্রাপক কর্মসমূহকে আমাদের দ্বারা করিয়ে থাকো। তুমি আমাদের নিমিত্ত আয়ুষ্যপ্রাপক বল-অন্ন প্রভৃতি আনয়ন করো। দুষ্ট প্রবৃত্তিশালী ব্যক্তিগণকে তুমি আমাদের নিকট হতে দূরেই রাখো॥

৩৯। দেবজন (অর্থাৎ দেবানুগামীগণ) আমাকে পবিত্র করুক, তারা মনের দ্বারা আমার বুদ্ধিকে পবিত্র করুক, সকল প্রাণী আমাকে পবিত্র করুক; এবং উৎপন্ন মাত্রকেই জ্ঞাতশালী (জাতবেদা) হে অগ্নি! তুমি আমাকে পবিত্র করো ৷৷

৪০। হে অগ্নিদেব! দীপ্যমান তুমি আমাকে শুদ্ধ পবিত্রের দ্বারা (ব্রতশৌচাদির দ্বারা) পবিত্র করো। হে অগ্নি! তুমি যজ্ঞসমূহকে লক্ষ্য করে আমাকে আপন কর্মের দ্বারা। পবিত্র করো।

৪১৷ হে অগ্নি! তোমার যে পবিত্র করণশীল সামর্থ্য অর্চি বা জ্বালাসমূহের মধ্যে বিস্তৃত হয়ে রয়েছে, আপন সেই বৃহৎ পবিত্র বলের দ্বারা তুমি আমাদের পবিত্র করো।

৪২। সবকিছুর দ্রষ্টা এই পাবক (পবমান) সোম আজ আপন পবিত্র বলের দ্বারা আমাদের পবিত্র করুক এবং যে পবিত্রকারী বায়ু আছে, তারাও আমাদের পবিত্র করুক।

৪৩। হে সবিতাদেব! তুমি আপন পবিত্র ও অনুজ্ঞা–এই দুটির দ্বারা আমাকে সর্বতঃ পবিত্র করো ৷

৪৪। বিশ্বদেবগণের সাথে সম্বন্ধিতা এবং পবিত্ৰকারিকা এই সুরাকুম্ভী (বা বৈশ্বদেবী) প্রাপ্ত হয়েছে (বা আগত হয়েছে। এতে (অর্থাৎ এই সুরাকুম্ভীতে) অনেক কমনীয় শরীর ধারা বিদ্যমান। এই সুরাকুম্ভীর দ্বারা দেবতাগণের সাথে উপবেশনের স্থান যজ্ঞে আনন্দিত হয়ে আমরা ধনের পালক হবো।

৪৫। সমান মন সম্পন্ন এবং পদ ও অধিকারে সমান যে পিতৃগণ যমরাজের লোকে বিদ্যমান আছে, সেই পিতৃগণের লোকে স্বধা অন্ন প্রাপ্ত হোক। এই যজ্ঞ তবে দেবগণের লোককে প্রাপ্ত হোক।

৪৬। সমান মন ও সমান পদ ও অধিকার সম্পন্ন আমার যে জীব এই জীবলোকে বিদ্যমান আছে, সেই সকলের শ্রী-সম্পত্তি শত বর্ষ পর্যন্ত এই লোকে আমাতেই আশ্রয়ণ করতে থাকুক।

৪৭। এই সংসারে মরণশীল মনুষ্যগণের দুটিই গতি আমি শ্রবণ করেছি পিতৃযান ও দেবযান। সেই দুই গতিতে এই সমগ্ৰ সংসার গতাগত হয় (যাওয়া-আশা করে)। সেই গতিরূপ দুই লোকের মধ্যে (অর্থাৎ ভূলোক। ও দ্যুলোকের মধ্যে) চলমান এই সংসার পিত্যলোক বৈকুণ্ঠকে এবং মাতৃলোক ভূমিকে প্রাপ্ত হয়ে থাকে৷

৪৮। এই পয়ঃ হবিঃ আমাতে প্রজনন শক্তি তৈরী করুক; প্রাণ, অপান ইত্যাদি এবং সকল অঙ্গে বল প্রদান করুক এবং আমার কল্যাণের হেতু হোক। আত্মবল প্রদানশালিনী, প্রজা প্রদানশালিনী, পশু প্রদানশালিনী,,লোক প্রদানশালিনী এবং স্বর্গ প্রদানশালিনী হোক। অগ্নি আমার প্রজাগণকে বহুসংখ্যক করুক। হে ঋত্বিকবৃন্দ! তোমরা অন্ন, দুগ্ধ ও বীর্য আমাদের মধ্যে স্থাপিত করো।

৪৯। সোমের সম্পাদনশালী আমাদের যে পিতৃগণ এই নিম্ন ভূলোকে স্থিত আছেন–তারা উন্নত মধ্যমলোকে আরূঢ় হোন; যাঁরা মধ্যমলোকবাসী হয়ে আছেন তারা উত্তম লোকবাসী হোন; এবং যাঁরা উত্তম লোকে বাস করছেন–তাঁরা মুক্ত হয়ে যান। কৌটিল্যরহিত ও যজ্ঞ বা সত্যকে জ্ঞাতশীল যে পিতৃগণ বায়ব্য শরীরধারী হয়ে গিয়েছেন, সেই পিতৃজন আমাদের আহ্বানে রক্ষা করুন।

৫০। সোমের সম্পাদনশীল অঙ্গিরস, স্তুতগতি অথবা এবং ভৃগুর অপত্যজনই আমাদের পিতৃপুরুষ। সেই যজনশীল পিতৃগণ আমাদের সুমতিতে বিদ্যমান হোন এবং আমরা তাদের শুভ সঙ্কল্পতেও যেন সদা বিদ্যমান থাকি।

৫১। বশিষ্ঠগোত্রীয় আমাদের যে সোমপায়ী পিতৃগণ দেবতাগণের উদ্দেশ্যে সোমযাগ করেছিলেন, কামনাকারী। আমাদের সেই পিতৃগণের সাথে সাভিলাষী যম, অভীষ্ট দান পূর্বক, হবিঃসমূহকে যথেচ্ছ ভক্ষণ করুন।

৫২। প্রকৃষ্ট চেতনাবান্ হে সোম! আপন মনীষা (অর্থাৎ বুদ্ধির) দ্বারা সরলতম পথে (দেবযান মার্গে) আমাদের নিয়ে গমন করো। হে ইন্দো (সোমলতা)! আমাদের ধীর (অর্থাৎ যজ্ঞজ্ঞানবন্ত) পিতৃবর্গ তোমারই প্রদর্শিত মার্গ অবলম্বনেই দেবতাগণের মধ্যে রমণীয় যজ্ঞফল প্রাপ্ত হয়েছিলেন (অর্থাৎ স্বর্গ লাভ করেছিলেন)।

৫৩। হে পাবক সোম! তোমার দ্বারা অনুনীত হয়ে আমাদের পূর্বজ পিতৃগণ সেই সেই সোমযাগ ইত্যাদি কর্ম সম্পাদন করেছিলেন। হে সোম! আমাদের কর্মকে সম্প্রপ্ত করতে বায়ু প্রভৃতি উপদ্রব হতে শূন্য তুমি, যজ্ঞের উপদ্রবকে দূর করো এবং বীর পুত্র ও অশ্ব দানের দ্বারা আমাদের নিমিত্ত তুমি ধনবান্ হও।

৫৪। হে সোম! আমাদের পিতৃগণের সাথে ঐকমত্য প্রাপ্ত হয়ে তুমি দ্যাবাপৃথিবীকে বিস্তারিত করেছ। হে ইন্দো (সোমলতা)! সেই তুমি হেন সোমের উদ্দেশ্যে আমরা হবিঃসমূহে পরিচরণ করছি। তোমারই কৃপায় আমরা ধনের পালক (বা অধিকারী) হই।

৫৫। (এই পর্যন্ত সোমপায়ী পিতৃগণের ছয়টি ঋক্ সমাপ্ত হলো। এর পর বৰ্হি অর্থাৎ কুশের উপর উপবিষ্ট অর্থাৎ যজ্ঞের অধিকার রক্ষণশীল পিতৃগণের মন্ত্র প্রারম্ভ হচ্ছে)–হে বৰ্হির উপর উপবেশনশীল পিতৃগণ! তোমার রক্ষার নিমিত্ত সরাসরি যজ্ঞে আগত হও। আমরা তোমাদের নিমিত্ত এই হবিঃ সম্পাদিত করেছি; আগত হয়ে তোমরা সকলে এগুলি, সেবন করো। অত্যন্ত শান্তিকর অন্নে তর্পিত হয়ে, হে পিতৃগণ! তোমরা সকলে আমাদের প্রাপ্ত দুঃখকে প্রশমিত করো এবং অপ্রাপ্ত দুঃখের ভয় দূর করো।

৫৬। সুষ্ঠু জ্ঞানবান্ বহিষ পিতৃগণকে আমি উৎকৃষ্টভাবে জ্ঞাত আছি এবং যজ্ঞের দেবযান ও পিতৃযানের পথকেও জ্ঞাত আছি, যাতে গমনাভাব ও পুনরাগমন সম্ভাবিত হয়ে থাকে। যে বহিষদ পিতৃগণ অভিভূত সোমের আপন অংশকে স্বধার দ্বারা সম্প্রপ্ত করেন, তারা এই যজ্ঞে প্রাপ্ত হোন।

৫৭। সোমপায়ী পিতৃগণ বহির উপর রক্ষিত প্রিয়ধন সোমরসের প্রতি উপহৃত হয়েছেন, তারা এই যজ্ঞের আগমন করেন। তারা আমাদের আহ্বান শ্রবণ করুন। তারা আমাদের সপক্ষপাত আপন কথা বলুন এবং প্রসন্ন হয়ে দুঃখ হতে আমাদের রক্ষা করুন৷৷

৫৮। সোমরস পান করণশীল আমাদের অগ্নি্যুত্ত (যাঁদের অগ্নি বিবিধ স্বধা হবিঃ আস্বাদিত করান এবং যারা শ্রৌত-স্মার্ত পুণ্যকর্ম করণশীল হয়ে থাকেন) পিতৃগণ দেব্যান পথে এই স্থানে যজ্ঞে আগমন করুন। তারা এই যজ্ঞে স্বধান্নের দ্বারা মদমত্ত হয়ে সপক্ষপাত আপন বক্তব্য বলুন এবং তারা আমাদের দুঃখ হতে রক্ষা করুন।

৫৯। হে অগ্নি্যুত্ত পিতৃগণ! এই স্থানে এই যজ্ঞে আগমন করুন এবং শুভপথে গ্রহণপূর্বক গমনশীল আপনারা সকলে প্রত্যেক স্থানে উপবেশন করুন। বৰ্হির উপর ধৃত (স্থাপিত) স্বধা হবিকে ভক্ষণ করুন। তারপর প্রসন্ন হয়ে আমাদের বীর পুত্রযুক্ত গো-অশ্বধন প্রদান করুন।

৬০৷ বিধান অনুসারে যে পিতৃগণের ঔধ্বদৈহিক কর্ম করা হয়েছিল, এবং যে পিতৃগণের মৃতক (অর্থাৎ মরণাশৌচ) সংস্কার করা হয়নি, সেই অগ্নিবৃত্ত ও অনগ্নি্যুত্ত পিতৃগণের মধ্যে যাঁরা দুলোকের মধ্যে স্বধার দ্বারা আনন্দিত হয়ে আছেন সেই সকল পিতৃগণের নিমিত্ত স্বয়ং শোভমান-যমরাজ স্বেচ্ছানুসারে এই প্রাণময় শরীর প্রদান করেন ৷

৬১। আপন আপন ঋতুতে সম্পন্নশীল যজ্ঞে আপন অংশ প্রাপ্তকরণশালী অগ্নিবৃত্ত পিতৃগণকে আমি আহ্বান করছি–যাঁরা নরাশংস চমসে (চমসপাত্রে) সোমরস পান করেছিলেন। সেই বিদ্বান্ পিতৃগণ আমাদের নিমিত্ত সুষ্ঠু আহ্বানীয় হোন। তাঁদের দয়ায় আমরা ধনের পালক বা অধিপতি হই৷

৬২। হে পিতৃগণ (অর্থাৎ সোমপায়ী বহিষদ ও অগ্নি্যুত্ত পিতৃবর্গ)! আপনারা সকলে দক্ষিণদিকে মুখ করে বাম জানুর উপর ভর করে উপবিষ্ট হয়ে আমাদের এই সৌত্ৰামণি যজ্ঞকে প্রশংসিত করুন। হে পিতৃগণ! আপনারা আমাদের কোনও অপরাধের কারণে হিংসিত করবেন না, যা আমরা মানবোচিত চঞ্চলতার কারণে করে ফেলি।

৬৩। রক্তাভ পশমের আসনে উপবিষ্ট (অরুণবর্ণ আদিত্য লোকস্থায়ী) হে পিতৃগণ! আপনারা হবিদাতা যজমানের নিমিত্ত ধন প্রদান করুন। হে পিতৃগণ! পুত্রগণকে আপনারা সেই ধনের অংশ প্রদান করুন। সেই আপনারা আমাদের বল ধারিত করুন৷

৬৪। হে পিতৃগণকে তাদের স্বধান্ন প্রাপ্তকরণশালী অগ্নি!তুমি যাকে উত্তম ধন মনে করো, বাণীর দ্বারা (অর্থাৎ পুরোনুবাক্যা যাজ্যা প্রভৃতি বাক্যের দ্বারা) স্তুত্য এবং প্রাপ্তকরণযোগ্য সেই ধনকে তুমি দেবতাগণকে প্রাপ্ত করাও (অর্থাৎ পুণ্য কর্মের দ্বারা প্রাপ্ত ধনের দ্বারা কৃত হরিকে দেবগণের নিকট পৌঁছিয়ে দাও)

৬৫। পিতৃ-ভোজ্য কব্যকে তাদের নিকট বহনশীল (বা উপস্থাপনশীল) অগ্নি, যজ্ঞ বা সত্যের বর্ধক পিতৃগণকে যজন করছে। সেই অগ্নি এই ক্ষণে এই হবিঃ নিয়ে গমন পূর্বক এইগুলি এই এই দেবগণের এবং এইগুলি পিতৃগণের–এমন বলছে।

৬৬৷ হে কব্যবাহন অগ্নি! প্রশংসিত তুমি হবিঃ সমূহকে সুগন্ধিত করে বহন করেছিলে। স্বধার দ্বারা তুমি সেগুলি পিতৃগণকে প্রদান করেছিলে। সেই পিতৃগণ সেগুলি ভক্ষণ করেছিলেন। হে দেব! এক্ষণে তুমিও সেই প্রদত্ত হবিঃ সমূহকে আস্বাদিত করো৷

৬৭। যে পিতৃজন এইস্থানে যজ্ঞে বিদ্যমান আছেন, যাঁরা বিদ্যমান হননি, যাদের আমরা জ্ঞাত আছি এবং যাঁদের আমরা সঠিক জ্ঞাত নই–হে জাতবেদা অগ্নি! তারা যতই হোন, তাদের তুমি উত্তমভাবে জ্ঞাত আছ। স্বধাসমূহের দ্বারা (অর্থাৎ পিতৃগণের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত অন্নের দ্বারা) কৃত আমাদের এই পুণ্য যজ্ঞকে আস্বাদিত করো (অর্থাৎ পিতৃগণকে স্বধা ভক্ষণ করাও এবং তুমিও ভক্ষণ করো) ॥

৬৮। আজ সেই পিতৃগণ এই হবিরান্ন প্রাপ্ত হোন, যাঁরা পূর্বেই গত হয়েছেন এবং যাঁরা কৃতকৃত্যা হয়ে পরব্রহ্মকে প্রাপ্ত হয়েছেন; যাঁরা এই পৃথীলোকে স্থিথ আছেন অথবা যাঁরা নিশ্চয় করে যজ্ঞ ইত্যাদিতে অগ্নিমুখী হয়ে আছেন, এবং যাঁরা যজমান প্রজাগণে অধিষ্ঠিত হয়ে আছেন৷

৬৯। হে অগ্নি! যে প্রকারে আমাদের পুরাতন এবং উৎকৃষ্ট পিতৃজন যজ্ঞের সেবা করে উথসমূহের শংসন করণশালী অন্তিমে পবিত্র জ্যোতিকে বা দেবযান পথ প্রাপ্ত হয়েছিলেন, সেইপ্রকারে আমরাও অরুণবর্ণা সূর্যদীধিতি আবৃত করে (বা অনুসরণ করে) নির্মল দেবযান পথে গমন করব; আমরা যজ্ঞে শাস্ত্রানুসারী এবং সর্ব উপকরণে যজ্ঞ-সাধনকারী।(রূপক এই যে, নব-দশথ অঙ্গির ঋষিগণ যজ্ঞ করেছিলেন। যজ্ঞতে তারা প্রকাশ বা জ্যোতি প্রাপ্ত হয়েছিলেন। তখন তারা পনি নামক অসুরগোত্ৰজদের আশ্রয় ভঙ্গু করে দিয়েছিলেন এবং তাদের দ্বারা অপহৃত গাভীগুলিকে বাহির করে এনেছিলেন)।

৭০। হে অগ্নি! কামনার সাথে আমরা তোমাকে বেদিতে স্থাপন করছি এবং কামনার সাথেই তোমাকে প্রজ্বলিত করছি। হে অগ্নি! কামনা করে তুমি হবিঃসমূহের নিমিত্ত আকাঙিক্ষত পৃতৃগণকে হবিঃ ভক্ষণের নিমিত্ত এইস্থানে আনয়ন করো।

৭১৷ হে ইন্দ্র! যখন তুমি সকল যুদ্ধে বিজয় লাভ করেছিলে, তখন তুমি জলের ফোপুঞ্জে নমুচি নামক অসুরের মস্তক বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিলে।

৭২৷ অভিযুত রাজা সোম অমৃত-স্বরূপ সূক্ষ্মতা প্রাপ্ত হয়ে গিয়েছে, কেন না তার রসহীন স্থূলরূপ মৃত্যু ত্যক্ত হয়ে গিয়েছে। দশাপবিত্রে বিচার করে (অর্থাৎ শুদ্ধ করে) পীত সোমরস সত্য ও বল প্রদান করে থাকে। এই দুগ্ধও ইন্দ্রের নিমিত্ত মধুর অমৃত হোক।

৭৩। অঙ্গের রস প্রাণ হয়ে হংস আপন প্রজ্ঞায় যে প্রকারে জলদুগ্ধ হতে দুগ্ধই পান করে থাকে, সেইভাবেই শুদ্ধ করে পীত সোমরস সত্য ও বলস্বরূপ হয়ে যায়। এক্ষণে ইন্দ্রেরও পীতবীর্য অমৃত হোক। (একবার নমুচি ইন্দ্রের বীর্যকে পান করে নিয়েছিল। নমুচির মৃত্যুর (হত্যার) পর ইন্দ্রের সেই বীর্য রক্তমিশ্রিত হয়েই বাহির হয়েছিল। তাকে অশ্বিদ্বয় নমুচির শরীর থেকে বাহিরে নিয়ে এসেছিল। সরস্বতী তাকে দশাপবিত্রে শুদ্ধ করেছিল। দশাপবিত্রে শোধিত এই সোমরসের রূপে ইন্দ্রের বীর্যই থাকে। এই প্রকারে ( পরিশোধিত ইন্দ্রের বীর্য অমৃত হোক)।

৭৪। পবিত্র আদিত্য জলের সম্পর্কে বেদের দ্বারা যে প্রকারে জলরূপী সোমকেই পান করেন (অর্থাৎ কর্দম ইত্যাদি সংমিশ্রিত জল হতে সূর্য আপন কিরণ প্রভাবে শুদ্ধ জলকেই পান করে থাকে)–সেই রকম দশাপবিত্রে পরিসুত করে পীত সোমরস শুদ্ধ অমৃত অথবা ইন্দ্রিয়বল দানকারী হোক।

৭৫। প্রজাপতি সুরা-সোমের মিশ্রণ হতে গায়ত্রীর দ্বারা বিবেক করে (অর্থাৎ সৎ-অসৎ বিবেচনার দ্বারা) শুদ্ধ সোমরসকেই পান করেছিলেন। তিনি ক্ষত্রিয়কে অবশে আনয়ন করেছিলেন। এই সত্য হতে সেই সত্যই প্রকাশিত (বা প্রমাণিত হয় যে, শুদ্ধ করে পীত সোমরস ইন্দ্রিয়কে বল দানকারী হয়ে থাকে।

৭৬। মনুষ্যের লিঙ্গ যোনিতে প্রবিষ্ট হয়ে তাতে বীর্যকে ক্ষরিত করে, পরন্তু ঐ লিঙ্গ অন্যত্র পরিত্যাগ করে। এই প্রকারে জরায়ু দ্বারা আবৃত গর্ভ জন্ম লাভের পর ঝিল্লিকে ত্যাগ, করে। এই সত্যনিয়ম হতে এই সত্যই প্রকটিত হয় যে, উচিতের সাথে উচিতের ত্যাগ বা স্বীকার করায়। অতএব শুদ্ধ করে পীত সোম ইন্দ্রিয়কে বল দানকারী হয়ে থাকে।

৭৭। প্রজাপতি দেখে বুঝেই সত্য ও, অসত্যকে পৃথক পৃথক করেছিলেন। তিনি সত্যে শ্রদ্ধাকে স্থাপিত করেছিলেন এবং অসত্যের অশ্রদ্ধাকে স্থাপিত করেছিলেন। এই প্রকারে স্পষ্ট হয়ে যে, পরিশোধিত সোম বল দানকারী হয়।

৭৮। প্রজাপতি জ্ঞানের দ্বারা পৃথক করেই সুত সোমকে এবং অসুত দুগ্ধকে পান করেছিলেন। অতএব সত্যের দ্বারা পবিত্ৰীকৃত পীত সোম ইন্দ্রিয় বলসসমূহকে প্রদানকারী হয়ে থাকে।

৭৯। প্রজাপতি অভিযুত সোম ও সুরা হতে দেখে বুঝেই সোমকেই পান করেছিলেন। এই প্রকারে দেখেই দুধকেও পান করেছিলেন, রক্ত ইত্যাদিকে নয়। এই প্রকারে দেখে পান করা সোম ইন্দ্রিয়বল সমূহকে প্রদান করে।

৮০। মনোবলধারী এবং ক্রান্তদর্শী জন মনের দ্বারা বিচার পূর্বক সীসায় তন্ত্র ভরণ করে, পুনরায় সেই তন্ত্রকে পশমের সূতায় বয়ন করে। এই প্রকারে অশ্বিনদ্বয়, সবিতা, সরস্বতী ও বরুণ ইন্দ্রের ভৈষজ্যের নিমিত্ত যজ্ঞতন্ত্রকে নির্মাণ করে থাকে এবং সেই যজ্ঞতন্ত্রকে সোম সূত্রের গ্রথিত করে দিয়ে থাকে।

৮১। আনন্দ স্বীকার করে অশ্বিনদ্বয় ও সরস্বতী –এই তিন দেবতা যুক্তির দ্বারা ইন্দ্রের শরীরকে নির্মাণ করেছিল। অঙ্কুরিত ধান্যে তার রোমগুলি নির্মাণ করেছিল, অঙ্কুরিত যবে ত্বক নির্মিত করেছিল এবং খইয়ে তার মাংস হয়েছিল।

৮২। বৈদ্য অশ্বিদ্বয় এবং রুদ্রের মার্গ অনুসরণকারিণী সরস্বতী এই ইন্দ্রের শরীরের অভ্যন্তরের রূপ নির্মাণ করেছিল। তারা তার অস্থিকে শম্প ইত্যাদির চর্ণের নিঃস্রাবে বন্ধন (নির্মাণ) করেছিল এবং গাভীর চর্মে সুরাকে পূর্ণ করে গলনবাসে মজ্জা নির্মাণ করেছিল।

৮৩। নাসত্যদ্বয়ের সাথে একমনা হয়ে সরস্বতী ইন্দ্রের মাংসল ও দর্শনীয় শরীর সৃষ্টি করে। তারা অভিযুত সুরার রস হতে লোহিত রস তৈরী করে। ধীর নগ্নহু (২৬ ওষধিসমূহের একীকৃত স্বরূপ) বয়নের তসর এবং বেমা ছিল।

৮৪। (অশ্বিনদ্বয় ও সরস্বতী) দুগ্ধের দ্বারা জয়শীল, অনাশমান এবং শ্বেত বীর্য প্রস্তুত করেছিল। নিকটে স্থিত হয়ে সুরা হতে মূত্রকে উৎপন্ন করেছিল। আমাশয়গত অপক্ক অন্নরূপ উবধ্য এবং পাশয়গত সব্ব অন্ন উৎপন্ন করেছিল। সেই অশ্বিদ্বয় ও সরস্বতী সেই সময় অমতি ও দুর্বুদ্ধিকে বাধিত (নিবর্তিত) করেছিল; (অর্থাৎ সুবুদ্ধি প্রদান করেছিল)।

৮৫। সুষ্ঠু রক্ষক ইন্দ্র (পুরোডাশ দেবতা) হৃদয়। হতে হৃদয়কে এবং সবিতাদেব পুরোডাশ হতে সত্যকে সৃষ্টি করেছেন। ইন্দ্রের চিকিৎসা করে বরুণদেব যকৃৎ (কুক্ষির দক্ষিণভাগস্থ মাংসপিণ্ড) এবং ক্লোম (ফুসফুস) নির্মাণ করেছেন)। বায়ব্য সংজ্ঞক সৌমিক যাগের ঊর্ধ্বপাত্র হতে মত (হৃদয়ের উভয়পার্শ্বস্থ অস্থি) ও পিত্ত নির্মিত্ত হয়েছে।

৮৬। মধু সিঞ্চিত হয়ে স্থালীসমূহে আন্ত্র বা নাড়ী নির্মিত হয়েছিল এবং দোহনপাত্র ও সুদুঘা গাভী পায়ুস্থান হয়েছিল, শ্যেনের পাখনায় প্লীহা নির্মিত হয়েছিল। জননী-স্থানীয় আসন্দী-যুক্তি সমূহ (মিলন সমূহ) হতে নাভি ও উদর নির্মিত হয়েছিল।

৮৭। সুরাপাত্র কর্মের (মিলনের) দ্বারা বৃহৎ আন্ত্রের উৎপাদনশীল হয়েছে, যে আন্ত্রে পূর্বে গর্ভ ধরা থাকে। শতছিদ্র সুরাকুম্ভ শিশ্ন নির্মাণ করেছে। সুরাকুম্ভী পিতৃগণের নিমিত্ত স্বধা (অন্ন) দোহন (স্থাপন) করেছিল৷

৮৮। সত (পাত্র বিশেষ) ইন্দ্রের মুখ নির্মাণ করেছিল। সেই সত হতেই শির নির্মিত হয়েছিল। পবিত্র (ছাঁকনি) জিহ্বা এবং অশ্বিদ্বয় ও সরস্বতী এর মুখস্থিত ছিল। চপ্য (পাস) পায়ু ইন্দ্রিয় নির্মাণ করেছিল। সুরা পরিসুত করার (ছাঁকার) বস্ত্র এই ইন্দ্রের বস্তি ও লিঙ্গ নির্মাণ করেছিল। এই লিঙ্গ বীর্যের দ্বারা অত্যন্ত বেগবান ছিল।

৮৯। অশ্বিনী গ্রহে ইন্দ্রের অমর চক্ষু নির্মিত হয়েছিল। পক্ককৃত (রন্ধনকৃত) ছাগের দ্বারা চক্ষুগত তেজ নির্মিত হয়েছিল। গোধূমের (গমের) দ্বারা নেত্রলোম (চক্ষুর পক্ষ্ম), কুলের দ্বারা চক্ষুর নীচের নিবিষ্টকারী রোমসমূহ নির্মিত হয়েছিল। রূপই চক্ষুর শ্বেত কৃষ্ণ রূপ নির্মাণ করেছিল।

৯০। মেষী ও সরস্বতীর মেষ ইন্দ্রের নাসিকায় বীর্যের নিমিত্ত স্থিত হয়েছিল। সারস্বত গ্রহগুলির দ্বারা প্রাণবায়ুর অমর মার্গ নির্মিত হয়েছিল। যবাঙ্কুরের দ্বারা সরস্বতী ইন্দ্রের ব্যানবায়ুকে নির্মাণ করেন। কুশসমূহ ও কুলসমূহের দ্বারা সরস্বতী ইন্দ্রের নাসিকার অভ্যন্তরস্থ রোমসমূহ নির্মাণ করেছিলেন।

৯১। ঋষভ ইন্দ্রের বলের নিমিত্ত তার রূপকে নির্মাণ করেছে; ঐন্দ্রগ্রহগুলির দ্বারা ত্রিকাল শব্দ সমর্থ ইন্দ্রের কর্ণী নির্মিত হয়েছে। যবাঙ্কুর ও কুশ চক্ষের জ্বর রোমরাজী নির্মাণ করেছে। মধু তুল্য কুল মুখগত লালা-শ্লেষ্ম নির্মাণ করেছে। বৃক অর্থাৎ নেকড়ে ব্যাঘ্রের রোম হতে শরীরের ও লিঙ্গের রোমসমূহ নির্মিত হয়েছে; ব্যাঘ্রের রোম হতে শ্মশু (ইন্দ্রের মুখস্থ রোমাবলী) নির্মিত হয়েছে। মস্তকে যশের জন্য যে কেশ, শোভার মূল যে শিখা (টিকি), এবং তেজঃ ও ইন্দ্রিয় ইত্যাদি সকল সিংহের কেশর– হতে সৃষ্ট হয়েছে৷৷

৯৩। ইন্দ্রের রূপ, শত বর্ষের আয়ু এবং চন্দ্রের দ্বারা অমৃত জ্যোতি মনকে সৃষ্টি করতে বৈদ্য অশ্বিদ্বয় বিবিধ অঙ্গকে একত্রিত করেছিল। সরস্বতী পরিশেষে অঙ্গের সাথে আত্মাকে সংযোজিত করেছিল।

৯৪। অশ্বিযুগলের পত্নী হয়ে সরস্বতী যোনির অভ্যন্তরে যেমন-তেমন করে ইন্দ্র-লক্ষণ গর্ভকে ধারণ করে। জলের রাজা বরুণ শ্রীর নিমিত্ত ইন্দ্রকে উৎপন্ন করে তাকে জলে ধারণ করে।

৯৫। পশুসমূহের তেজঃ, বীর্যশালী হবিঃ, পরিশ্রুত সুরা, অনভিষুত দুগ্ধ ও মৌচাকের মধু প্রভৃতি গ্রহণ পূর্বক বৈদ্য অশ্বিনদ্বয় ও সরস্বতীর দ্বারা ইন্দ্রের নিমিত্ত তেজঃ দোহন (বা সৃষ্টি) হয়েছিল। অভিযুত- অনভিষুতের দ্বারা অমৃত ও আহ্লাদক সোমও দোহিত (বা সৃষ্ট) হয়েছিল। (এই তিনটিই সৌত্রামণি যাগকেও দেখেছিল)।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *