শেষের আরম্ভ

শেষের আরম্ভ

নিজের মত ভালোই কেটে যাচ্ছে দিন। শুটিংফ্লোর হোক কিংবা বাড়ি। সবাই বড় আদরে রেখেছে। জীবন আমাকে ভরে দিয়েছে। কোথাও কোন অভিমান অবশিষ্ট নেই। ভালবাসায় ধুয়ে গেছে সমস্ত ক্লেদ। এই ছিয়াত্তরে পৌঁছেও কোন অবসর নেই আমার। কাজ আর কাজ। তারমধ্যেই ছুটি খুঁজে নিই এক আধটা দিন। ছুটি থাকলে দিনটা বাড়ি বসেই উপভোগ করি। ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায়। খানিক শরীরচর্চা সেরেই বই নিয়ে বসি। একসময় রবীন্দ্র রচনাবলীতে মুখ গুজে থাকা ছিল আমার অভ্যেস। আজও সুযোগ পেলেই নেড়েচেড়ে দেখতে ভুলিনা। রান্নাবাড়ির শখও কিছু কম নয়। কিন্তু বোনের কড়া শাসন। ওদিকে হাত বাড়াতে গেলেই জুটবে বকুনি— ”এই বয়েসে ওসব একদম নয়, তুমি রেস্ট নাও। আমরা আছি কী করতে!” ক্রিকেট দেখতে খুব ভালোবাসি। এক সময় সুযোগ পেলেই মাঠে গিয়ে টেস্ট ম্যাচ দেখতাম। সুনীল গাভাস্কার, ভিভ রিচার্ডস, গ্যারি সোবার্স এর খেলা ছিল ভীষণ প্রিয়। সৌরভও আমার হট ফেভারিট। তিনবার দাদাগিরিতে পার্টিসিপেট করেছি। খেলার মাঠের মত শুটিং ফ্লোরেও যে ছেলেটা এত সাবলীল কে জানত!

জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্ত আজ আমার কাছে ভীষণ মূল্যবান। আমার যা পাওনা ছিল তার থেকে অনেক বেশি দিয়েছেন ঈশ্বর। বিপদে, আনন্দে, কষ্টে, উচ্ছ্বাসে সেই শুরুর দিন থেকে বহু মানুষ সঙ্গ দিয়েছেন। তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। প্রার্থনা একটাই- শেষ দিন পর্যন্ত যেন তাদের সঙ্গেই হাত ধরাধরি করে চলতে পারি, আমি… লিলি…

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *