আট
ঘটা করে পরিচয় করিয়ে দিল উ-সেন রানাকে জেনারেলের সাথে। হ্যান্ডশেক করে সামান্য মাথা ঝাঁকাল রানা। বসে পড়ল চেয়ারে।
পাঁচজনের জন্যে ডিনার সার্ভ করছে দুজন বেয়ারা। টেবিলের দু’মাথায় রানা ও জেনারেল এহতেশাম, রানার ডানপাশে উ-সেন ও ডক্টর হুয়াং, বামপাশে স্যুই থি। প্রথমে কথা শুরু হলো আবহাওয়া ও টুকিটাকি কুশলাদি দিয়ে। সুপ আসতেই জমে গেল আলাপ।
উ-সেনের প্লেটের পাশে একটা ফাইল রাখা আছে। ওটার ওপর দুটো টোকা দিতেই মোড় ঘুরে গেল আলোচনার
‘এটা কি বলুন তো?’ প্রশ্ন করল উ-সেন রানাকে।
মাথা নাড়ল রানা। জানে না।
‘এর ভেতর রয়েছে ‘মুসলিম বাংলা’ আন্দোলনের যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। বলতে পারেন, এটাই আপনাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের খসড়া পরিকল্পনা।’ অভিভূত হয়ে যাবার ভাব করল উ-সেন। ‘আশ্চর্য! কি সাধারণভাবে শুরু হয় সবকিছু-কয়েকজনের কিছু ইচ্ছে, কোন একটা বিষয়ে একমত হওয়া, কিছু কাগজপত্রে মোটামুটি একটা খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করা, তারপর পালে হাওয়া লাগলে বাতাসে গা ভাসিয়ে দেয়া। বিশ্বাস করুন, এই মাস চারেক আগেও আমি বিশেষ গুরুত্ব দিইনি এই সম্ভাবনাকে। কিন্তু কার পালে কখন হাওয়া লাগে বোঝার উপায় নেই। যেভাবে চারদিক থেকে ফেঁপে উঠছে ব্যাপারটা, তাতে যেন চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি, অদূর ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুসলিম বাংলা’। অস্ত্র বা টাকার অভাব ছিল না, এখন দেখছি জনবলেরও অভাব পড়বে না। রীতিমত আশান্বিত হয়ে উঠছি আমি আপনাদের ব্যাপারে।’
‘আমার সত্যিকার পরিচয় জানলে হয়তো এতটা আশান্বিত বোধ নাও করতে পারেন, মিস্টার উ-সেন। জেনারেলের উৎসাহেও ভাটা পড়তে পারে।’ বলল রানা হাসিহাসি মুখে। ‘ভুলে যাবেন না, আমি আপনাদের দলে যোগ দিইনি এখনও, যোগ দেয়া যায় কিনা সেটা জানতে এসেছি কেবল। আপনাদের বক্তব্য শুনব, আমার বক্তব্য বলব। যদি মিল পড়ে, একসাথে কাজ করব, নইলে স্লামালেকুম বলে চলে যাব যে যার পথে।’
একটা ক্ষীণ মুচকি হাসি দেখা দিল উ-সেনের ঠোঁটে মুহূর্তের জন্যে-যার অর্থ, সেক্ষেত্রে তোমার পথটা সোজা স্বর্গের দিকে চলে যাবে। জেনারেলের দিকে ফিরল সে, ‘আপনি কিছুই বলছেন না যে, জেনারেল?’
ওঁর সত্যিকার পরিচয়টা জেনে নিয়ে বলাই বোধহয় ভাল।’ সবাই চাইল রানার দিকে। ফাইলটার ওপর আলতোভাবে চোখ বুলাল রানা। যে জিনিসের জন্যে সে রেঙ্গুন এসেছে আট-নয়শো মাইল পাড়ি দিয়ে, সেটা ওর হাতের ছয় ইঞ্চির মধ্যে রয়েছে বিশ্বাসই হতে চাইছে না ওর। চট করে চোখ সরিয়ে নিল সে, চাইল সবার মুখের দিকে। সবাই অপেক্ষা করছে ওর কথা শুনবার জন্যে।
‘আমি পাকিস্তানের বন্ধু নই।
একটু যেন ঘাবড়ে গেল সবাই। সুপের প্লেট সরিয়ে সেকেন্ড কোর্স সার্ভ করছে বেয়ারা। একটু নড়েচড়ে উ-সেন বলল, ‘ব্যাখ্যা করে বলুন।’
‘গত মুক্তিযুদ্ধে আমি যুদ্ধ করেছি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু আমার উদ্দেশ্য এবং একজন পাকিস্তানী জেনারেলের উদ্দেশ্যের মধ্যে আকাশ-পাতাল প্রভেদ রয়েছে। আমি যুক্ত পাকিস্তানের বিরোধী।’
হো হো করে হেসে উঠল জেনারেল। হাসিটা একটু কমতেই বলে উঠল, আমিও তাই। ভয় নেই, আবার আপনাদের শাসন বা শোষণের পরিকল্পনা নেই আমাদের, মিস্টার আব্বাস মির্জা।’
‘তাহলে কি উদ্দেশ্য আপনাদের? কেন এত টাকা ও সময় ব্যয় করছেন? ‘টাকা আমরা ব্যয় করছি না। ওটা আসছে তৃতীয় কোন পক্ষ থেকে। সময় যেটুকু দিচ্ছি তার একমাত্র কারণ আমরা বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে থাকতে চাই। আমাদের দুই দেশকে বিচ্ছিন্ন এবং শত্রুভাবাপন্ন করে রেখে দুজনের মাথাতেই ঘোল ঢালবে, ভারত, এটা চাই না আমরা। আপনারা যাতে সত্যিকারের স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেন, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেন, আমাদের প্রচেষ্টা সেজন্যেই।
‘এই প্রচেষ্টা একাত্তরের মার্চ মাসে চালালে এত রক্ত ব্যয় হত না কোন পক্ষেরই।’
‘ভুল হয়েছে আমাদের, স্বীকার করি, তাই বলে ভুল শোধরানো যাবে না, এমন কথা তো কোন হাদিসে লেখেনি।’ গম্ভীর হলো জেনারেল। ‘আপনাদের ক্ষোভের কারণ আমি বুঝতে পারি, মিস্টার আব্বাস মির্জা। কিন্তু অতীতের ডাস্টবিন না ঘেঁটে ইচ্ছে করলেই একটা সমঝোতায় আসতে পারি আমরা। কি বলেন, পারি না?’
চট করে কথার খেই ধরল উ-সেন। ‘নিশ্চয়ই! পারা তো উচিত জেনারেলের বক্তব্য শোনা গেল, এবার আপনার বক্তব্য কিছু শোনান আমাদের, মিস্টার আব্বাস মির্জা। ককটেল সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান দেখে সহজেই অনুমান করা যায়, ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আপনি ‘মুসলিম বাংলা’র প্রতিষ্ঠা কামনা করছেন না। কাজেই সহজ প্রশ্ন আসে, কোন আদর্শ অনুপ্রাণিত করল আপনাকে? প্রথমে বলুন, অস্ত্র পেলেন কোথায়?’
‘অস্ত্র আমরা জমা দিইনি যুদ্ধের পর।’
‘কেন?’
‘ভারতীয় প্রভুত্ব পছন্দ হয়নি আমাদের।’ হাসল রানা। ‘আপনারা দূরে বসে সব খবর রাখেন কিনা জানি না। ভারতীয় সৈনিকদের প্রাথমিক লুটতরাজের কথা বাদই দিলাম-ওটা স্বাভাবিক। কিন্তু ক্রমে ক্রমে আমাদের অর্থনীতি এখন সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে ভারতের ওপর, ভারতীয় নিয়ন্ত্রণ ক্রমেই নির্লজ্জভাবে প্রত্যক্ষ হয়ে উঠছে, আমাদের ফরেন পলিসির ডিকটেশন আসে এখন নয়াদিল্লী থেকে। কোন দেশ প্রেমিক সহ্য করবে এটা বলুন? এত রক্ত দিয়ে পাকিস্তানের হাত থেকে যে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনলাম, সে কি ভারতের আশ্রিত করদ রাজ্য হিসেবে কোনমতে ধুকধুক করে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যে? সাঁড়াশির চাপ যতই বাড়ছে, দেশের মানুষ ততই ভারতবিদ্বেষী হয়ে উঠছে। আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না কি পরিমাণ মাস-সাপোর্ট পাব আমরা।’
যতটা সম্ভব কণ্ঠস্বরে একটা দেশপ্রেমের আবেগ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করল রানা। জেনারেলের চোখদুটো চকচকে হয়ে উঠেছে দেখে বুঝল নেহায়েত মন্দ অভিনয় হয়নি। কিন্তু আর বেশি কিছু বলবার সাহস হলো না রানার। উ-সেনকে বলল, ‘আমার কথা তো শুনলেন, এবার আপনার কথা বলুন? এসবের মধ্যে আপনি জড়ালেন কি করে?’
‘এটাই আমার ব্যবসা।’ পরিষ্কার কণ্ঠে বলল উ-সেন। ‘আমার সৌভাগ্য, আমি আপনাদের মত ধর্ম বা দেশপ্রেমের জ্বালায় পীড়িত হই না কখনও। এই অঞ্চলে একসময় আমি দুর্ধর্ষ এক দস্যু বলে পরিচিত ছিলাম। অন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে আর ওসব ছোট কাজে হাত দিই না আমি সহজে। বুদ্ধি খাটিয়ে বড়সড় গোলমাল খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। কপালগুণে পেয়েও গেছি চমৎকার উর্বর এক ক্ষেত্র। তিন দেশের তিনটি সমস্যাকে একসাথে গেঁথে দিয়ে আমি এখন মিডল্-ম্যানের কাজ করছি। গোটা দুয়েক মহাশক্তিকেও গেঁথে নিয়েছি বড়শিতে। ফলে ঝর্ণাধারার মত টাকার স্রোত বইছে আমার দিকে। আমিও বেশ আছি, বলতে গেলে মজাই পাচ্ছি তিন তিনটে দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণে আমার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু একটাই দুঃখ, আপনাদের যার যার কাজ উদ্ধার হয়ে গেলেই ভুলে যাবেন আমার কথা বেমালুম। আপনাদের মধ্যে এক-আধজন হয়তো কালক্রমে ইতিহাসের চরিত্র হয়ে যাবেন, কিন্তু যে এই ইতিহাসের গোড়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করল, যার মাথায় প্রথম এল এই সম্ভাবনার কথা, তার কথা লেখা হবে না কোথাও। আমি দস্যু, দস্যুই থেকে যাব চিরকাল।’
‘তিন দেশের কথা বলছেন, ঠিক কি বোঝাতে চাইছেন বুঝতে পারলাম না।’
‘বাংলাদেশের মুসলিম বাংলা গেরিলা ফৌজ, বার্মার অসন্তুষ্ট কারেন উপজাতি, আর ভারতে নিপীড়িত নাগা ও মিজো। এরা পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। সমস্ত ডকুমেন্ট আছে এখানে, একটু পরেই দেখতে পাবেন। তিন দেশের তিনটে সমস্যা, এক এক করে সমাধান করা হবে। প্রথম-বাংলাদেশ।’
ডিনার সেরে ড্রইংরুমে এসে বসল সবাই।
‘বুঝলাম,’ বলল রানা। ‘কিভাবে কি করতে চান? আপনাদের প্ল্যানটা কি?’
উত্তর দিল জেনারেল এহতেশাম। ‘প্রথমত, প্রচুর পরিমাণে গেরিলা তৈরি করব আমরা। এখন আমাদের মোট সংখ্যা হচ্ছে আট হাজার, আপনার তিন হাজার পেলে হচ্ছে এগারো হাজার। ট্রেনিং কমপ্লিট হলেই এদেরকে পুশ করব আমরা দেশের অভ্যন্তরে। প্রথম কাজ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত করে দেয়া। সেই সাথে চলতে থাকবে পলিটিক্যাল কিলিং। একের পর এক মারা যাবে জননেতা। ধ্বংস হতে থাকবে একের পর এক বড় বড় কল কারখানা, ইন্ডাস্ট্রি। ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ লেগে যাবে সারাদেশে। আর এই অসন্তোষের সুযোগে আমরা তুমুলভাবে ছড়াতে শুরু করব ভারতবিদ্বেষ। আবার একটা গৃহযুদ্ধ বেধে যাবে, রক্তের প্লাবন বয়ে যাবে সারা বাংলাদেশে…
হাসি হাসি হয়ে উঠেছে পুলকিত জেনারেলের মুখ। রানা ভাবল, ওরে শালা হারামখোর, খুব মজা লাগছে বাংলাদেশের দুরবস্থার কথা কল্পনা করতেই। নেকড়ে বাবাজী ঠাকুমা সেজেছ! তোমরা যা খুশি করবে আর বাংলাদেশের লোক বসে বসে আঙুল চুষবে?
আরও কি কি বলে যাচ্ছে জেনারেল, রানার কানে ঢুকছে না, কারণ রানা ওর বাপ মা এবং চোদ্দগুষ্টি সংক্রান্ত নানান কথা ভাবছে আপনমনে, এমন সময় কর্কশ শব্দে বেজে উঠল টেলিফোন।
টেলিফোনটা কানে তুলে নিয়েই ভুরু কুঁচকে গেল উ-সেনের।
‘কি বললে? ইয়ট নিয়ে চলে গেছে তো তোমরা কি করছিলে?…কখন?…আমাদের চারজনই মারা গেছে? তিনজন?…ঠিক আছে, লাশ গায়েব করে ফেলো… হ্যাঁ, বুঝলাম, কি করতে হবে জানাচ্ছি আমি কিছুক্ষণের মধ্যেই।’
রিসিভার নামিয়ে রেখে উদ্বিগ্ন দৃষ্টিতে চাইল উ-সেন রানার দিকে বলল, ‘একশো আরাকানী আপনার ইয়র্ট দখল করে নিয়ে চলে গেছে।
‘বলেন কি।’ একলাফে উঠে দাঁড়াল রানা।
‘বসুন, ব্যস্ত হবার কিছুই নেই। ধরা পড়ে যাবে সবাই। অয়্যারলেসে খবর দিয়ে দেব ট্রেনিং ক্যাম্পে। কিন্তু ভাবছি, এত সাহস পেল কোথায় ওই জংলী ভূতগুলো? গাইডেন্স দিচ্ছে কে?
কিন্তু আরাকানীরা ইয়ট ছিনিয়ে নিতে গেল কেন? আপনার সাথে কোন গোলমাল আছে ওদের?’
‘ওদের নেতাকে বন্দী করে রেখেছি আমি মান্দালয়ে। হয়তো তার শোধ নিল এইভাবে।’
‘অস্ত্র দিয়ে কি করবে ওরা? ইয়টে অস্ত্র আছে সেকথাই বা জানল কি করে?’
‘সেই কথাই তো ভাবছি। লিকেজটা কোথায়!’ হুয়াং-এর দিকে ফিরল উ-সেন। ‘ডক্টর, তুমি কিছু বুঝতে পারছ?’
‘না।’ চিন্তিতমুখে উত্তর দিল হুয়াং। সরু লম্বা চুরুটে টান দিল, ‘শুধু একটা ব্যাপার বুঝতে পারছি, মিস্টার আব্বাস মির্জা আসার পর থেকেই অনেকগুলো অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে রেঙ্গুনে।
একজন বেয়ারা এসে দাঁড়াল। উ-সেনকে সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে চাইতে দেখে বলল, ‘কর্নেল সাহেব এসেছেন, এক্ষুণি দেখা করতে চান জেনারেল এহতেশামের সাথে। বলছেন, অত্যন্ত জরুরী দরকার।’
‘কি এমন জরুরী দরকার পড়ল আবার কর্নেলের।’ প্রশ্নটা যেন নিজেকেই নিজে করল উ-সেন। তারপর আদেশ দিল, ‘যাও, এখানে পাঠিয়ে দাও তাকে, তারপর দূর হয়ে যাও। আজকে আর দরকার হবে না তোমাদেরকে।’
সবার সামনে একগ্লাস করে শিকাগো ককটেল রাখল স্যুই থি।
আবার টেলিফোন এল। ভুরু কুঁচকে রিসিভার তুলে নিল উ-সেন।
‘কি বললে।’ ভুরু জোড়া কপালে উঠল উ-সেনের, ‘অ্যা! বেয়ারা বলছে একা ডিনার খায়নি? তাহলে কার সাথে খেয়েছে?…তাহলে মিথ্যে কথা বলেছে ফ্যান সু।…খোঁজ নাও।…কি? সিনেমায়? না, পালিয়েছে?’
দু’একটা কথা শুনেই বুঝেছে রানা, সময় উপস্থিত। সমূহ বিপদ এসে হাজির হয়েছে। ধরা পড়তে যাচ্ছে সে এক্ষুণি। এই অবস্থায় মন্ত্রমুগ্ধের মত উ-সেনের প্রত্যেকটি কথা শোনা উচিত ছিল, কিন্তু একটি কথাও কানে ঢুকছে না ওর।
কারণ আরও একটা বিপদ এসে হাজির হয়েছে তখন দরজায়। স্থিরদৃষ্টিতে চেয়ে রইল রানা নবাগত লোকটার দিকে
ঘরে এসে দাঁড়িয়েছে. পাকিস্তান কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের চীফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, রানার এককালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, কর্নেল শেখ।