প্রথম অংশ : অন্তর্ধান
দ্বিতীয় অংশ : অন্ধকারের অবতার
1 of 2

ব্ল্যাক বুদ্ধা – ৩৬

অধ্যায় ছত্রিশ – সময় : ১৮০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
পৃথুরা বসভূমি, কন্নোর, ভারতবর্ষ

হোক না অন্যের বাড়ি, তবুও তো ঘর, একান্তই নিজের ঘর, নিজের পরিবার।

এরকম বাড়িঘর-ছোটো গ্রাম দেখলে শামানের মনটা সবসময় কেমন জানি আনচান করে ওঠে। আজো নিজের স্থায়ী ঘরবাড়ি আর পরিবার হলো না। হয়তো কোনোদিনই হবে না। ছোটো ছোটো বাড়িগুলো থেকে দৃষ্টি সরিয়ে শামান ফিরে তাকাল ওর পাশে কুঁকড়েমুকড়ে বসে থাকা ঘোষিতের দিকে।

‘ঘোষিত, তুমি কি নিশ্চিত?’ শামান শেষবারের মতো প্রশ্ন করল। গায়ের শতছিন্ন পোশাক আর মাথার কালি মাখানো চুল সবমিলিয়ে খুবই বিচ্ছিরি লাগছে ওর। কিন্তু এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। ‘ঘোষিত, আমি মনে হয় কিছু একটা জানতে চেয়েছি?’

‘ওহ ওহ্,’ ঘোষিত তার কোমরে গুঁজে রাখা থলে থেকে কোনো এক ধরনের গুঁড়ো বের করে হাতের তালুতে রেখে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে নাক দিয়ে টেনে নিতে নিতে জবাব দিল। শামান খপ করে তার হাতের তালু থলেসহ চেপে ধরে জোরে মুচড়ে দিল। ‘কথা জিজ্ঞেস করি, কানে যায় না?’

‘আহ, আহ! আরে ওস্তাদ, ছাড়ো,’ বলে সে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ওদের সঙ্গেই পথের একপাশে অপেক্ষারত ভুখা-নাঙ্গা চেহারার ছোটো-খাটো লোকটার মাথায় চাটি মারল।এই ব্যাটা, ওস্তাদ কী বলে, উত্তর দে।’

‘আইবো হুজুর, ওরা আইতে বাইদ্য,’ ভয়ের চোটে রীতিমতো কাঁপতে থাকা লোকটা প্রায় সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিল। ‘হেগো নিজেগো ফায়দা আছে না?’

‘কথা যেন ঠিক থাকে, না থাকলে কিন্তু খবরই আছে,’ বলে সে একটা হাত তুলে শাঁসাতে শাঁসাতে বলে উঠল, ‘পরে যদি উলটো-পাল্টা কিছু হয় তাইলে কিন্তু জ্যান্ত চামড়া ছাড়ায়া নেব।’

অরে হুজুর, কিছুই হইবে না,’ হাত নেড়ে হাসির সঙ্গে বলে উঠে ঘোষিত। আবারো তার নেশা করার থলেটা মুখের সামনে ওঠাতে যাচ্ছিল তার আগেই শামানের কড়া চাহনি দেখে থেমে গেল। দুজনকে আবারো ঠিকঠাক মতো দাঁড়াতে বলে শামান মাথার ওপরে উঠতে থাকা গনগনে সূর্যের দিকে একবার দেখে নিয়ে জঙ্গলের দিকে তাকাল। ওখানেই ওর লোকেরা অপেক্ষা করার কথা।

ওরা এই মুহূর্তে অবস্থান করছে থারুদের বসতি থেকে মাইল তিনেক জঙ্গলের ভেতরে একটা বিশেষ জায়গায়। জায়গাটার একপাশে একটা ছোট্ট নালার মতো আছে, সেটা সরু থেকে ধীরে ধীরে চওড়া হয়ে দূরবর্তী নদীতে গিয়ে মিশেছে। এই নালাটার পাশেই জঙ্গলের মধ্যে ফাঁকা জায়গায় পর পর কয়েকটা ঘরে একাধিক পরিবার বসবাস করে। এই পরিবারগুলো অত্র এলাকায় একটা বিশেষ কারণে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই পরিবারগুলো বংশতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশেষ একটা পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

এরা জঙ্গল থেকে বিভিন্ন প্রাণী শিকার করে তাদের নাড়ি কিংবা অন্ত্রকে প্রক্রিয়াজাত করে সেটার সাহায্যে এক ধরনের ফিতার মতো তৈরি করে। রাজপরিবার থেকে শুরু করে অনেক সাধারণ মানুষের কাছে এই জিনিসটার কারণেই এই পরিবারের বিরাট গুরুত্ব। প্রশ্ন হলো, সমাজের উঁচু স্তর থেকে শুরু করে একেবারে নিচু স্তর পর্যন্ত এই সুতার এতটা গুরুত্ব কেন। গুরুত্ব থাকার কারণ হলো—এই বিশেষ ফিতা পাকিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস তৈরি করা হয়।

জিনিসটা হলো ধনুকের ছিলা। ধনুকের ছিলা-মানে ধনুকের যে অংশতে টেনে ধরে তির ছোঁড়া হয় সেই অংশটাকে ছিলা বলে। এই ছিলা জিনিসটা যেকোনো ধনুর্বিদদের জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটা ভালো ছিলার ওপরে অনেক কিছুই নির্ভর করে। যেকোনো ধরনের ধনুকের জন্যে উন্নত প্রাণীর অন্ত্র থেকে নির্মিত ছিলা সবচেয়ে ভালো মানের হয়ে থাকে। এই জিনিসটা নির্মাণে ছিলাটাকে কিভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে সেটার বিরাট একটা ভূমিকা থাকে। কাজেই এই পেশায় সবসময়ই দক্ষ হাতের অনেক দাম। সবাই এই পেশায় দক্ষ হয় না। এ কারণেই গুটিকয়েক পরিবার যারা এই কাজে দক্ষ তাদের বেশ কদর।

এই ব্যাপারটাই কাজে লাগাতে চাইছে শামান। তবে শামানেরা ধনুকের ছিলার জন্যে এখানে আসেনি বরং তারা এসেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক উদ্দেশ্য নিয়ে। রাজা বিক্রম গতদিন সব বর্ণনা করার পর শামান যখন ঘোষণা করে ওরা যে করেই হোক ডুকপা লামাকে উদ্ধার করবে সেইসঙ্গে এই অন্ধকারে অবতার-ফবতার যেটার কথাই বলুক না কেন সেটার শেষ দেখে ছাড়বে ও, তখন রাজা বিক্রম আর ওরা মিলে পরিকল্পনা করতে বসে।

প্রথমেই রাজা বিক্রম ওদেরকে সম্পূর্ণ ব্যাপারটার সবচেয়ে বড়ো সমস্যাটা তুলে ধরে। সেটা হলো, লিচ্ছবী আর উরগরা মিলে ডুকপা লামাকে আসলে কোথায় রেখেছে কিংবা এই অন্ধকারের অবতার কিংবা মূর্তি যাই নির্মাণ করুক ওরা সেটা আসলে করছেটা কোথায়—সেটা বের করাটাই সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার। রাজা বিক্রম আর শংকর মিলে ওদেরকে পুরো এলাকার একটা চিত্রের মতো এঁকে নিয়ে একটা একটা করে সম্ভাব্য সব জায়গাগুলোকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করে। রাজা বিক্রম আর শংকরকে সাহায্য করে থারু রাজা মানরু, কালন্তি আর সেইসঙ্গে ঘোষিত আর জাথুরিয়া। কারণ এলাকা ওরাও খুব ভালো চেনে। সমস্ত আলোচনা শেষে সবাই মিলে সিদ্ধান্তে আসে, ওরা ডুকপা লামাকে বন্দি করে এই মূর্তি নির্মাণের ব্যপারটা পুরো কন্নোর এলাকার শুধু দুটো জায়গাতেই সম্ভব।

এই এলাকাতে রাজ্য শাসন, মালামাল গুদামজাতসহ সামরিক কাজে ব্যবহার করার জন্যে তিনটে বড়ো আকৃতির স্থাপনা বা দুর্গ রয়েছে। এই দুর্গগুলোর ভেতরে রাজা বিক্রমকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল রামগড়ের দুর্গে। রাজা বিক্রম মোটামুটি নিশ্চিত ওই দুর্গে ডুকপা লামাকে রাখা হয়নি। তাহলে বাকি রইল অন্য দুটো দুর্গ। একটা হলো মধুসন্তলার আস্তানা আর অন্যটা হলো বিধোরীর দুর্গ। দুটো দুর্গই আকারে বিরাট আর প্রহরাও অনেক বেশি। কাজেই ডুকপা লামা এই দুটো দুর্গের ঠিক কোনোটাতে আছে আগে সেটা বের করতে হবে তারপর চালাতে হবে অভিযান।

সেটা করার জন্যে শামানই একটা বুদ্ধি দেয়। লিচ্ছবী রাজার বাহিনীতে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করে এমন সৈনিকরা অবশ্যই জানবে ডুকপা লামাকে কোথায় রাখা হয়েছে, কাজেই ওদেরকে সৈনিকদের কাছ থেকে তথ্য বের করতে হবে। যেহেতু মন্তলার হাটে একটা ঘটনা ঘটে গেছে আর সেটার কারণে এখন জঙ্গলের পথ থেকে শুরু করে সবখানে প্রহরা ইত্যাদি সব বেড়ে গেছে কাজেই ওদেরকে ফাঁদ পেতে সৈনিকদের দলটাকে ধরতে হবে। এ ছাড়া আরেকটা কারণে সৈনিকদের দরকার ওদের। ওদের পোশাক আর অস্ত্র।

ডুকপা লামাকে যেখানেই রাখা হয়ে থাকুক না কেন, সেই দুর্গে প্রবেশ করতে হলে হয় ওদেরকে সরাসরি সম্মুখ যুদ্ধে যেতে হবে আর না হয় কৌশলে কাজ উদ্ধার করতে হবে। সম্মুখ যুদ্ধে সেখানে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। আর তাই ওদেরকে লুকিয়ে দুর্গে ঢুকে উদ্দেশ্য হাসিল করতে হবে। আর সেটা করতে হলে একটা উপায় হতে পারে লিচ্ছবীদের সৈনিকের বেশে ভেতরে প্রবেশ করা। কাজেই ফাঁদ পেতে সৈনিক ধরা ছাড়া উপায় নেই।

তবে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে ওরা বুঝতে পারে কাজটা সহজ হবে না, কারণ মন্তলার হাটে ওই ঘটনার পর ওরা নিশ্চয়ই পাগলা কুত্তার মতো হয়ে গেছে। বিশেষ করে যেখানে রাজা বিক্রমের মস্তক ছিন্ন করার কথা সেখানে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে পুরো সৈন্যবাহিনীর সামনে থেকে, তাও গুটিকয়েক লোকজন এটা নিশ্চয়ই লিচ্ছবী রাজা হেমচন্দ্র মেনেই নিতে পারছে না। তাই সঠিকভাবে কাজটা করার জন্যে ঘোষিতরামের সাহায্যে পুরো এলাকায় খবরি বা জাসুস ছড়িয়ে দেয়া হয়। খবর না পেয়ে ওরা যখন মোটামুটি হতাশ, এমন সময় ঘোষিতের এক জাসুস অদ্ভুত এক খবর নিয়ে আসে। থারুদের ডেরার মোটামুটি কাছেই ধনুকের ছিলা প্রস্তুকারীদের ছোট্ট একটা বসতি আছে, সেখানে লিচ্ছবীদের রাজার তরফ থেকে আসন্ন পরিস্থিতির জন্যে সেরা মানের কিছু ছিলা প্রস্তুত করার জন্যে সেনাপতির সরাসরি নির্দেশ এসেছে কয়েকদিন আগে। ওদের ওপরে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেরা মানের ছিলা প্রস্তুত করে রাখতে হবে, খোদ সেনাপতির নিজের লোক এসে নিয়ে যাবে ওগুলো।

এই খবর শোনামাত্রই শামান উত্তেজিত হয়ে ওঠে। যদি এই খবর সত্যি হয়ে থাকে তবে ওদের জন্যে এটা একটা বিরাট ব্যাপার হতে পারে। কারণ লিচ্ছবীরা যদি সত্যি সত্যি কোনো পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এদের কাছ থেকে জিনিসগুলো নেয়ার জন্যে আসার কথা বলে থাকে অবশ্যই ব্যাপারটা ওদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ-কাজেই জিনিসগুলো নেয়ার জন্যে যারা আসবে তাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ কেউ না কেউ থাকবে। যদি এদেরকে ঠিকমতো কবজা করা যায় তবে অবশ্যই এদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। আর বাড়তি পাওনা হিসেবে পোশাকের ব্যাপারসহ অরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার তো আছেই।

সেই ভাবনা অনুযায়ী ওরা তিনটে দলে ভাগ হয়ে প্রস্তুতকারীদের সঙ্গে এসে দেখা করে খুব ভোরে। ঘোষিতরাম ওদেরকে অনেক আগে থেকে চেনে, কাজেই ওদের সঙ্গে কথা বলে ব্যাপারগুলো ঠিক করাটা কঠিন হয়নি। তার ওপরে বহু বছর ধরে এরা থারুদের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছে কাজেই পুরনো মালিকদের প্রাধান্য দেয়াটাই ওরা সমিচীন মনে করেছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী কালন্তির নেতৃতে তিরন্দাজদের পাঁচজনের একটা দলকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বাড়ির আঙিনার একদিকে, অ্যনদিকে বিধুর নেতৃত্বে আরেকটা দলকে রাখা হয়েছে ভিন্নদিকে। আর জাথুরিয়ার সঙ্গে আরো কয়েকজন তলোয়ারবাজদেরও একটা দল আছে বাড়ির পেছনে। জাথুরিয়াদের দলটার মূল কাজ বাড়ির বাসিন্দাদের যেকোনো ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করা, সেইসঙ্গে যদি একান্তই প্রয়োজন হয় তবে বিধু অথবা কালন্তিদের সহায়তা করা।

সবশেষে শামান আর ঘোষিত তারা দুজনে বাড়ির মূল কর্তা অর্থাৎ প্রধান ফিতা প্রস্তুতকারীর সঙ্গে ওদেরই লোক সেজে অবস্থান নিয়েছে বাড়ির মূল দরজার কাছে। ওদের কর্মচারী হিসেবে অবস্থান নেয়ার জন্যেই ওদের পুরনো পোশাক পরতে হয়েছে, সেইসঙ্গে নিজের চুল আর চেহারা আড়াল করার জন্যে শামানকে চুলে-চোখে-মুখে কালি মাখাতে হয়েছে। নিজের পোশাকের ওপরে চাপাতে হয়েছে ওদের পুরনো নোংরা পোশাক। শরীর কুট কুট করে ওঠাতে আরেকবার ফিতা প্রস্তুতকারীর দিকে তাকিয়ে জানতে চাইল, ‘ঠিক জানে তো আজ আসার কথা সৈন্যদের?’ শামান হিসেব করে দেখল প্রায় দুই ঘণ্টা হয়ে গেছে সকাল থেকে ওরা বসে অপেক্ষা করছে ওই লোকগুলোর জন্যে কিন্তু কারো কোনো খবর নেই এখনো।

‘জি হুজুর…ওরা তো আইজকাই আসুনের কতা,’ বলে লোকটা মাথা চুলকাতে লাগল। হঠাৎ অনুচ্চ শিসের শব্দ শুনে শামান জঙ্গলের দিকে ফিরে তাকাল। ওর লোকদের ওপরে নির্দেশ আছে দুই ধরনের শিস বাজানোর জন্যে বেশি জোরে মানে বিপদ আর অনুচ্চ শিস মানে নিজেদের কোনো সমস্যা হয়েছে। এইবার দ্বিতীয় ধরনের শিস বেজে ওঠাতে বুঝতে পারল নিশ্চয়ই ওর লোকেরাও বিরক্ত হয়ে উঠেছে অপেক্ষা করতে করতে। জঙ্গলের দিকে তাকিয়ে শামানের মন আনচান করে উঠল। আর একটানা বসে থাকতে থাকতে শরীরেও বেশ আড়ষ্টতা এসে গেছে, কাজেই সে উঠে দাঁড়িয়ে শরীরের আড়মোড়া ভেঙে ঘোষিতকে কিছু নির্দেশনা দিয়ে রওনা দিল জঙ্গলের দিকে।

ধনুকের ছিলা প্রস্তুতকারীদের বাড়ি আর জঙ্গলে মাঝে জায়গাটার দূরত্ব হবে প্রায় পাঁচশ গজের মতো। জায়গাটার মাঝামাঝি পৌঁছে গেছে এমন সময় খুবই উচ্চ স্বরে শিস বেজে উঠল। আগের জায়গায় ফিরে যাবে, নাকি জঙ্গলের দিকে যাবে সেটা ঠিক করার আগেই ঘোড়ার শব্দ শুনতে পেল ও। শামান দ্রুত সিদ্ধান্ত নিল আগের জায়গাতেই ফিরে যাবে কিন্তু দ্রুত পা চালিয়েও কাজ হলো না। গজ বিশেক এগোনোর আগেই কয়েকটা ঘোড়া আর একটা ঘোড়ার গাড়ি এসে থামল প্রাঙ্গণের মাঝামাঝি।

উঠানের ঠিক মাঝখানে আটকা পড়ে গেল শামান।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *