• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Bookmarks
  • My Account →
  • বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • Bookmarks
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

কিশোরসমগ্র ১ – শাহরিয়ার কবির

লাইব্রেরি » শাহরিয়ার কবির » কিশোরসমগ্র ১ – শাহরিয়ার কবির
কিশোরসমগ্র ১ – শাহরিয়ার কবির

কিশোরসমগ্র ১ – শাহরিয়ার কবির

কিশোরসমগ্র ১ – শাহরিয়ার কবির

ভূমিকা

রচনাসমগ্র প্রকাশের ব্যাপারে আমার সবসময় সংকোচ ছিলো। আগে দেখেছি কোন লেখক মারা গেলেই রচনাসমগ্র প্রকাশ করা হয়। কিংবা লেখক যদি হন খুবই প্রবীণ, যিনি লেখালেখি ছেড়ে দিয়েছেন বা ছেড়ে দেয়ার পর্যায়ে চলে গেছেন— তাঁরও রচনাসমগ্র প্রকাশ যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করছি আমাদের এমন সব জনপ্রিয় লেখকের রচনাসমগ্র প্রকাশিত হচ্ছে যাঁদের বয়স পঞ্চাশ পেরোয়নি। 

গত কয়েক বছর ধরে প্রকাশকরা ধরেছেন আমার রচনাসমগ্র বের করবেন, যা আমার জন্য খুবই অস্বস্তির ব্যাপার । নানা কথা বলে তাঁদের অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়েছি। বয়সের কথা বলে পার পাওয়া যায়নি, কারণ তাঁরা নাম উল্লেখ করে বলেছেন আমার কমবয়সী লেখকদেরও রচনাবলী বেরুচ্ছে। 

শেষে রাজী হতে হলো বন্ধু মুনতাসীর মামুনের কথায়। মামুন বললো, ‘তোমার তো টাকার দরকার । রচনাসমগ্র বেরুলে একসঙ্গে অনেকগুলো টাকা পাবে।’ মামুনেরও কিশোর রচনাসমগ্র বেরিয়ে গেছে। অগত্যা মত দিতে হলো সংকোচ সত্ত্বেও। 

ছোটদের জন্য লেখালেখি শুরু করেছি রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই সম্পাদিত ‘কচি ও কাঁচা’ পত্রিকায়। প্রথম গল্প বেরিয়েছিলো ১৯৬৭ সালে, “প্রায় তেত্রিশ বছর আগে । তখন স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে মাত্র কলেজে ঢুকেছি। 

দাদাভাইর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন জগন্নাথ কলেজে আমাদের বাংলার অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, বর্তমানে যিনি জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক । জামান স্যার ‘কচি কাঁচার মেলা’র অন্যতম উদ্যোক্তা, ‘কচি ও কাঁচা’র সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। সেবার তিনি ‘সূর্যমুখী’ নামে ছোটদের জন্য একটা গল্পের সংকলন বের করবেন। আমাকে বললেন লেখা দিতে। এর আগে বড়দের জন্য দু একটা গল্প এখানে সেখানে ছাপা হয়েছিলো, কিন্তু কখনও ভাবিনি ছোটদের জন্য লিখবো। জামান স্যারকে বলেছিলাম, আমাকে দিয়ে ছোটদের লেখা হবে না। কিন্তু তাঁর পিড়াপিড়িতে শেষ অবধি ‘সূর্যমুখী’র জন্য একটা গল্প ওঁকে দিয়েছিলাম। এর কিছু দিন পর জামান স্যার বললেন, ‘তোমার গল্পটা ভালো হয়েছে । দাদাভাই সূর্যমুখীতে ছাপার আগে ওটা কচি ও কাঁচায় ছাপতে চান । তোমার কি কোন আপত্তি আছে?” 

আপত্তি থাকার প্রশ্নই ওঠে না। জামান স্যার বললেন, ‘তুমি তাহলে দাদাভাইর সঙ্গে দেখা কর কচি কাঁচার অফিসে। তিনি তোমার সঙ্গে কথা বলতে চান।’ 

‘কচি ও কাঁচা’র দফতর ছিলো ৬৭ পটুয়াটুলিতে, ‘বেগম’ ও ‘সওগাত’ পত্রিকাও ওখান থেকে বেরুতো। ‘বেগম’ সম্পাদনা করতেন দাদাভাইর স্ত্রী নূরজাহান বেগম আর ‘সওগাত’ সম্পাদনা করতেন দাদাভাইর শ্বশুর মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন। আমরা তখন থাকতাম কুমারটুলিতে— বাড়ি থেকে পাঁচ মিনিটের পথ। সেদিন সন্ধ্যায় দাদাভাইর সঙ্গে দেখা করলাম । 

দাদাভাই মোটেই বাকপটু ছিলেন না, কিন্তু দু তিন ঘণ্টা কথা বলে আমাকে শুধু ‘কচি ও কাঁচা’য় নিয়মিত লেখার ব্যাপারেই রাজি করাননি, তাঁকে কথা দিয়েছিলাম ‘কচি ও কাঁচা’ প্রকাশনার কাজেও তাকে সহযোগিতা করবো। 

দাদাভাই হাতেকলমে শেখালেন লেখা কিভাবে সম্পাদনা করতে হয়, কিভাবে প্রেসে কপি পাঠাতে হয়, কিভাবে প্রুফ দেখতে হয়, কিভাবে মেকাপ করতে হয়, কিভাবে ছবি সম্পাদনা করতে হয় এবং কিভাবে পত্রিকা বেরুলে গ্রাহকদের হাতে পৌছোতে হয়। রীতিমতো নেশা ধরে গিয়েছিলো। বড় বড় সব লেখকের সঙ্গে পরিচয় হলো দাদাভাই আর ‘কচি ও কাঁচা’র সুবাদে। কাজ করতে করতে রাত এগারটা বারটা বেজে যেতো, বাড়ি ফিরে বকুনি খেতে হতো, কিন্তু নেশা কাটেনি । 

বছর না ঘুরতেই দাদাভাই ‘কচি ও কাঁচা’র উপদেষ্টামণ্ডলী ঢেলে সাজালেন। বয়োজ্যেষ্ঠ বেগম সুফিয়া কামালের নাম ছিলো সবার উপরে, আর বয়োকনিষ্ঠ আমার নাম ছিলো সবার নিচে। বিখ্যাত সব লেখক শিল্পীদের সঙ্গে নিয়মিত আমার নাম ছাপা হতে লাগলো। এভাবেই দাদাভাইর সঙ্গে রচিত হয়েছিলো কৃতজ্ঞতা আর শ্রদ্ধার অটুট বন্ধন । যখনই সুযোগ হয়েছে দাদাভাইর প্রতি সেই কৃতজ্ঞতা আর শ্রদ্ধার কথা উল্লেখ করেছি। 

ছোটদের জন্য আমার প্রথম গল্পের বইটি উৎসর্গ করেছিলাম চারজনকে। এঁরা হলেন রোকনুজ্জামান খান, এখলাসউদ্দিন আহমেদ, শামসুজ্জামান খান ও হাশেম খান ৷ এখলাস ভাই, জামান স্যার আর হাশেম ভাই— তিনজনই ছিলেন দাদাভাইর খুব কাছের মানুষ। শুধু আমি নই, আমরা যারা একসঙ্গে লেখালেখি শুরু করেছিলাম তাদের ভেতর মুনতাসীর মামুন আর আলী ইমাম এখনও লিখছে, যাদের লেখক হওয়ার পেছনে প্রধান কৃতিত্ব দাদাভাইর ৷ 

সেই সময় ‘কচি ও কাঁচা’ ও ‘টাপুর টুপুর’কে ঘিরে এক ঝাঁক তরুণ ও ক্ষমতাবান লেখকের আবির্ভাব ঘটেছিলো, যারা ছিলো তাদের পূর্বসূরীদের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রের; দুঃখের বিষয় তাদের অনেকেই আর লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত নেই। দাদাভাই নতুন লেখক সৃষ্টির ক্ষেত্রে সর্বদা উদ্যমী ছিলেন । 

মাত্র কদিন আগে দাদাভাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। কিশোর রচনাসমগ্রের প্রথম খণ্ডের ভূমিকা লিখতে গিয়ে বার বার দাদাভাইর কথা মনে হচ্ছে। দাদাভাই না থাকলে, ‘কচি ও কাঁচা’ না থাকলে হয়তো কোনদিনই ছোটদের জন্য লিখতাম না । 

দাদাভাই জানতেন কিভাবে নতুন লেখকদের উৎসাহ দিতে হয়। যারা লেখা পড়ে চিঠি লিখতো প্রশংসা করে, দাদাভাই সেগুলো পত্রিকায় ছেপে দিতেন। শুধু গল্প নয়, প্রবন্ধ কিংবা ফিচারও লিখতে হয়েছে দাদাভাইর অনুরোধে। ‘কচি ও কাঁচা’র এমনও সংখ্যা আছে যেখানে নামে বেনামে গল্প, প্রবন্ধ, ফিচার সবই ছাপা হয়েছে । 

‘কচি ও কাঁচা’ আর ইত্তেফাকের ‘কচি কাঁচার আসর’ ছাড়াও তখন এখলাসউদ্দিন আহমেদের ‘টাপুর টুপুর’ পত্রিকায়ও নিয়মিত লিখাম । ‘টাপুর টুপুর’ ছিলো অপেক্ষাকৃত পরিণত কিশোর কিশোরীদের জন্য, কিছুটা বাম রাজনীতির প্রভাব ছিলো, কিন্তু ‘কচি ও কাঁচা’ ছিলো রাজনীতি থেকে বহু দূরে। কচি ও কাঁচায় বেশি লিখতাম রহস্য ও এ্যাডভেঞ্চারধর্মী গল্প যা এই পত্রিকার ক্ষুদে পাঠকরা বেশি পছন্দ করতো । মনে আছে বয়স উনিশ না পেরুেতেই দাদাভাইর কল্যাণে লেখক হিসেবে পরিচিতি জুটে গিয়েছিলো । 

একাত্তরে যখন মুক্তিযুদ্ধে যাই তখন আমার বয়স একুশের নিচে। মেজদা জহির রায়হান যখন খবর পেলেন আমি ফ্রন্টে তখন কলকাতায় ডেকে পাঠালেন। বললেন, কলকাতায় অনেক কাজ, তাঁর কাছে থাকতে। তিনি তখন মুক্তিযুদ্ধের ওপর ছবি বানাবার পরিকল্পনা করছেন। এর দু বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পাশাপাশি ছবি বানানো শেখার জন্য মেজদার সহকারী হিসেবে কাজ করেছি। বড়দা শহীদুল্লা কায়সার অবশ্য আমার ছবিতে কাজ করার ব্যাপারটা পছন্দ করেননি । তিনি আমাকে লেখক আর সাংবাদিক বানাবার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী ছিলেন । 

কলকাতায় মেজদার খুব আর্থিক অনটন ছিলো। তাঁর বন্ধু চিত্রপরিচালক হরিসাধন দাসগুপ্ত আর লেখক দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দুজন প্রকাশক ঠিক করে দিয়েছিলেন যাঁরা তাঁর বইগুলো কলকাতায় ছেপেছিলেন। দীপেনদা আমার লেখাও কলকাতার বিভিন্ন পত্রিকায় ছেপে অর্থপ্রাপ্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন । 

আনন্দবাজারে একদিন লেখা দিতে গিয়ে পরিচয় হলো আমার প্রিয় লেখক শিবরাম চক্রবর্তীর সঙ্গে । শিবরামদা পরিচয় করিয়ে দিলেন এশিয়া পাবলিশিং কোম্পানির মৃণাল দত্তের সঙ্গে । মৃণালদা আর তাঁর স্ত্রী গীতাদি ছোটদের জন্য চমৎকার দুটি পত্রিকা বের করতেন ‘রোশনাই’ আর ‘ঝুমুঝুমি’ নামে। ‘ঝুমঝুমি’ একেবারে ছোটদের জন্য, ‘রোশনাই’ কিশোরদের জন্য। মৃণালদার কথায় ‘রোশনাই’তে লিখলাম । সবাই বেশ প্রশংসাও করলেন। সে সব শুনে মৃণালদা এক অসম্ভব প্রস্তাব করলেন। বললেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ছোটদের উপযোগী উপন্যাস লিখতে হবে । 

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে চার মাসও হয়নি, ভেবে পেলাম না কী লিখবো! মৃণালদা বললেন, ‘রোশনাই’-এর শারদীয়া সংখ্যায় উপন্যাসটা ছাপবেন, পরে ওটা বই আকারে বের করবেন। ছোটদের জন্য বিখ্যাত লেখকদের অনেক বই মৃণালদারা বের করেছেন, যাঁদের ভেতর শিবরাম চক্রবর্তী আর লীলা মজুমদারের মতো লেখকরাও রয়েছেন। এই সব বিখ্যাত লেখখদের তালিকায় নাম ছাপার লোভেই রাজী হয়ে গেলাম উপন্যাস লিখতে । মৃণালদা পাঁচশ টাকা অগ্রিম দিলেন । তখন কলকাতায় পাঁচশ টাকা মানে অনেক টাকা । 

মূলত মৃণালদার আগ্রহের কারণেই ‘পুবের সূর্য’ লিখেছিলাম, যেটি ছিলো মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রথম কিশোর উপন্যাস। বাহাত্তরে ‘পুবের সূর্য’ কলকাতা থেকে ছাপা হয়ে ঢাকার বাজারে আসে । কাগজে তখন এটা নিয়ে বেশ আলোচনাও হয়েছিলো । 

চুয়াত্তরে পত্রিকার এক সংবাদে দেখলাম এর আগের বছর বাংলাদেশ থেকে শিশু কিশোরদের জন্য একটি বইও বেরোয়নি । ততদিনে ‘কচি ও কাঁচা’ ও ‘টাপুর 

টাপুর’-এর মতো অসাধারণ দুটি পত্রিকা অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। ছোটদের জন্য মাঝে মাঝে ইত্তেফাকের ‘কচি কাঁচার আসর,’ দৈনিক বাংলার ‘সাত ভাই চম্পা’ আর বাংলা একাডেমীর ‘ধান শালিখের দেশে’ লিখি। বেশি লিখতাম দৈনিক গণকণ্ঠ আর সাপ্তাহিক বিচিত্রায়— সব বড়দের জন্য। ছোটদের জন্য বই বেরুচ্ছে না দেখে মন খারাপ হয়ে গেলো । সে বছরই ঠিক করলাম ছোটদের জন্য লিখতে হবে । 

লেখালেখি যখন শুরু করেছিলাম তখনই এটা মাথায় ছিলো— আমি লিখবো আমার মতো আর এমন লেখা লিখবো যা আমার আগে বাংলাদেশে কেউ লেখেনি ৷ স্কুলে থাকতে এ্যাডভেঞ্চার পড়া শুরু করেছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠে পড়লাম সোভিয়েত সাহিত্য। রুশ সাহিত্য নয়, সোভিয়েত সাহিত্য যা আমার সামনে ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছিলো। রাজনীতি যে শিশু কিশোর সাহিত্যের ভেতর থাকতে পারে এটা সোভিয়েত সাহিত্য পড়ার আগে আমার ধারণা ছিলো না। বাংলা শিশু কিশোর সাহিত্যে আমি যে ভিন্নধারা সৃষ্টি করেছি এর জন্য সোভিয়েত সাহিত্যের কাছে ঋণের অন্ত নেই । 

‘নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়’ আর ‘হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা’ বই আকারে বেরিয়েছিলো ১৯৭৬ সালে । নুলিয়াছড়ি অবশ্য এর আগে ‘ধান শালিখের দেশে’ শিল্পী হাশেম খানের অসাধারণ অলংকরণ সহ বেরিয়েছিলো। যদিও প্রথম দিকের লেখার ভেতর আমার এবং অনেক সমালোচকেরও মতে ‘হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা’ অনেক পরিণত লেখা কিন্তু ‘নুলিয়াছড়ি আমাকে জনপ্রিয়তা আর খ্যাতি দুই-ই এনে দিয়েছিলো। ‘৭৮-এ লাইপজিগ আন্তর্জাতিক গ্রন্থমেলায় ‘নুলিয়াছড়ি …’ সে বছর বিশ্বের সেরা পাঁচটি কিশোর সাহিত্যের একটি হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছিলো । 

‘হানাবাড়ির রহস্য’ আর ‘বহুরূপী’ প্রথমে ছিলো গল্প । প্রথমটি ‘রাজবাড়ির রহস্য’ নামে ‘কচি ও কাঁচা’য় বেরিয়েছিলো, দ্বিতীয়টি বেরিয়েছিলো ‘সাত ভাই চম্পা’য় ৷ প্ৰথম লেখার সময়ই ভেবেছিলাম এগুলো উপন্যাস হতে পারে, পরে তাই হয়েছে। ‘বহুরূপী’ লেখার সময় খুবই মজা পেয়েছিলাম । এখনও ভাবি ওদের নিয়ে আরো লেখার কথা । 

‘কিশোর রচনাসমগ্র’র প্রথম খণ্ডে রয়েছে আমার প্রথম পাঁচটি উপন্যাস, যেগুলোর আঙ্গিক আর বিষয়বস্তু সবই অন্যরকম। যদিও আমি এখন আর ‘পুবের সূর্য’-র ভাষায় ছোটদের জন্য লিখবো না কিন্তু তখন মনে হয়েছিলো আমি মুক্তিযুদ্ধের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখছি, ভাষায়ও গাম্ভীর্য থাকা দরকার ৷ 

তখন যারা ‘নুলিয়াছড়ি …’ বা ‘হারিয়ে যাওয়া …’ পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলো এখন তাদের ছেলেমেয়েরা সেসব বই পড়ে। আমার এখনকার পাঠকদের বাবা মায়েরা অভিযোগ করেন আমি আর আগের মতো লিখি না । অনেকে বলেছে আবির-বাবু কিংবা আবু-বিজুদের নিয়ে সিরিজ লেখার জন্য। সিরিজ লেখার ব্যাপারে কখনও মন থেকে সায় পাইনি। কখনও যদি মনে হয় নতুন কিছু লিখতে পারছি না তখন সিরিজের কথা ভাববো । 

নতুন শতাব্দীর শুরু হচ্ছে আমার রচনাসমগ্র দিয়ে। নতুন করে পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছে নতুন শতাব্দীর নতুন পাঠকদের ভালো লাগবে তো এসব লেখা!

শা. ক.
বইমেলা, ২০০০

Book Content

পুবের সূর্য 4 Topics
Lesson Content
0% Complete 0/4 Steps
০১-৫. ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন
০৬-১০. যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
১১-১৫. হাসপাতাল থেকে
১৬-২১. স্বপ্নের অর্থ
নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড় 5 Topics
Lesson Content
0% Complete 0/5 Steps
১-২. নেলী খালার জলপাই-সবুজ চিঠি
৩-৪. সোনার খনি আর অতৃপ্ত প্রেতাত্মা
৫-৬. আন্নাকালীর পাহাড়ে আলোর সংকেত
৭-৮. গভীর বনে মড়ার খুলি
৯-১১. পথ হারিয়ে গুপ্তধনের গুহায়
হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা 6 Topics
Lesson Content
0% Complete 0/6 Steps
০১-২. হারিয়ে যাওয়ার সময়
০৩-৪. একটি উত্তেজনাময় সন্ধ্যা
০৫-৬. দিদা আর পচার মার আবিষ্কার
০৭-৮. বিপ্লবীদের জন্য দিদার সহানুভূতি
০৯-১০. মেজদা ও তাঁর সঙ্গীরা
১১-১২. বিস্ময়ের চরম সীমানায়
বহুরূপী 5 Topics
Lesson Content
0% Complete 0/5 Steps
১-২. শিংটোলার ছআনি দশআনি
৩-৪. ভূপালী জেঠিমার আগমন
৫-৬. বড়দির বিয়ের প্রস্তাব
৭-৮. মুশকিল আসানের আগমন
৯-১০. বাঘের গুহায় ইতু
হানাবাড়ির রহস্য 5 Topics
Lesson Content
0% Complete 0/5 Steps
১-২. নতুন বইয়ের লিস্টি দেয়া হয় নি বলে
৩-৪. জ্বীনর আলো নয়–ওটা আলেয়া
৫-৬. একমাত্র সাহসী ছেলে নবুর সঙ্গে পরিচয়
৭-৮. ভয় দেখাতে গিয়ে ভয়ানক বিপদ
৯-১০. নবুকে খুঁজতে গিয়ে আরেক বিপদ
লেখক: শাহরিয়ার কবিরবইয়ের ধরন: কিশোর সাহিত্য

কিশোরসমগ্র ৪ – শাহরিয়ার কবির

রত্নেশ্বরীর কালোছায়া – শাহরিয়ার কবির

অনিকের জন্য ভালোবাসা – শাহরিয়ার কবির

কিশোরসমগ্র ৩ – শাহরিয়ার কবির

কিশোরসমগ্র ৩ – শাহরিয়ার কবির

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

বিবিধ রচনা

বাংলা ওসিআর

Download Bangla PDF

হেলথ

My Account – FB – PDF

top↑

Login
Accessing this book requires a login. Please enter your credentials below!

Lost Your Password?
Bangla Library Logo
Register
Don't have an account? Register one!
Register an Account

Registration confirmation will be emailed to you.