২৩. সর্বাত্মক বয়কট

চার সপ্তাহ বা তারচেয়ে কম সময়ের ভিতর পৌত্তলিকরা চারটি বড় ধরণের ধাক্কা খেলো। হযরত হামযা এবং হযরত ওমর (রা) ইসলাম গ্রহণ করেন। সর্বোপরি হনু হাশেম ও বনু মোত্তালিব একত্রিত হয়ে আল্লাহর রসুলকে রক্ষা করার ব্যাপারে একমত হলো। পৌত্তলিকরা এতে অস্থির হয়ে উঠলো।অস্থির হবে না কেন, কারণ তারা বুঝতে পেরেছিলো যে, এখন যদি মোহাম্মদ (সা) কে হত্যা করার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে তাঁকে রক্ষা করতে যে রক্তপাত হবে, এতে মক্কার প্রান্তর লাল হয়ে যাবে।তাদের নিজেদের ধ্বংস হয়ে যাবারও সম্ভাবনা ছিলো। এ কারণে আল্লাহর রসুলকে হত্যা করার পরিকল্পনা পরিত্যাগ করে পৌত্তলিকরা অত্যাচার নির্যাতনের একটি নতুন পথ আবিস্কার করলো। এটি ছিলো ইতিপুর্বে গৃহিত সব পদক্ষেপের চেয়ে আরো বেশী মারাত্মক।
ইবনে কাইয়েম লিখেছেন যে, বলা হয়ে থাকে, এই দলিল মনসুর ইবনে একরামা ইবনে আমের ইবনে হাশেম লিখেছিলো। কারো কারো মতে নযর ইবনে হারেস লিখেছিলো। কিন্ত সঠিক কথা হচ্ছে, এই দলিল বোগাইজ ইবনে আমের ইবনে হাশেম লিখেছিলো। এতে রসুলুল্লাহ (সা)’র জন্য বদদোআ করায় তার হাত অবশ হয়ে গিয়েছিলো।
লেখার পর দলিল ক্বা ঘরে টাঙ্গিয়ে দেয়া হলো। তাতে আবু লাহাব ব্যতিত বনু হাশেম ও বনু মোত্তালিবের মুসলিম, অমুসলিম নারী-পুরুষ সবাই শা’বে আবু তালেব নামক স্থানে অবরুদ্ধ হয়ে পরলেন। এটি ছিলো নবী করিম (সা) নবী হিসেবে আর্বিভাবের সপ্তম বছরের ঘটনা।