আরব গোত্রসমূহের হিজরত যে সময় চলছিলো, সে সময় কোজায়া গোত্রের কয়েকটি শাখা সিরিয়া সীমান্তে এসে বসবাস শুরু করে। বনু সোলাইম ইবনে হুলওয়ানের সাথে তাদের সম্পর্ক ছিলো। এদের একটি শাখা ছিল বনু জাজআন ইবনে সোলাইম। এরা জাজায়েমা নামে খ্যাত ছিলো। কোজাযার এই শাখাকে রোমনরা আরবের মরু বেদুইনদের লুটতরাজ থেকে রক্ষা পাওয়া এবং পারস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে কাজে টেনে নিয়েছিলো। এই গোত্রের একজনে ওপর শাসনভার ন্যস্ত করা হয়েছিলো। এরপর র্দীঘদিন যাবত তাদের শাসন চলতে থাকে। এদের বিখ্যাত বাদশাহ ছিলেন যিয়াদ ইবনে হিউলা। ধরণা করা হয়ে যে, জাযায়েমের শাসনকাল দ্বিতীয় খৃষ্টীয় শতকের পরো সময় ব্যাপ্ত ছিলো। পরে গাসসান বংশের আর্বিভাব ঘটে এবং জাযায়েমাদের শাসনামলে অবসা ঘটে। গাসসান বংশের লোকেরা বনু জাযয়ামাদের পরাজিত করে তাদের আধিপত্য বিস্তার করে। এ অবস্থা দেখে রোমকরা গাসসানী বংশের শাসককে সিরিয়ার আরব অধিবাসীদের শাসর্কতা হিসাবে মেনে নেয়। গাসসান বংশের রাজধানী ছিল দওমাতুল জন্দল। রোমক শক্তির ক্রীড়ানক হিসাবে সিরিয়ায় দীর্ঘকাল তাদের শাসন ক্ষমতা অটুট থাকে। ফারুকী খেলাফতের সময় ত্রয়োদশ হিজরীতে ইয়ারমুকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই সময় গাসসান বংশেরে সর্বশেষ শাসনকর্তা জাবলা ইবনে আইহাম ইসলাম গ্রহণ করে। কিন্তু অহংকারের কারণে এই লোকটি ইসলামের ওপর টিকে থাকতে পারেনি। পরে সে ধর্মান্তরিত বা মোরদাত হয়ে যায়।