সম্মেলন শুরু হলো। দ্বীনী এবং সমারিক সহায়তাকে চুড়ান্ত রুপ দিতে আলোচনা শুরু হলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চাচা আব্বাস প্রথমে কথা বললেন,। তিনি চাচ্ছিলেন যে, পরিস্থিতির আলোকে দায়িত্বের গুরুত্বের প্রতি আলোকপাত করবেন। সেই গুরু দায়িত্ব যাদের উপর ন্যাস্ত হতে যাচ্ছিল, তাদের সম্বোধন করে তিনি বললেন, মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যে মুল্য ও মর্যাদা রয়েছে, সেটা তোমরা জানো। আমাদের কওমের মধে মোহাম্মদ (সাঃ) প্রবর্তিত যে ধর্ম বিশ্বাস যারা সমর্থন করে না, মোহাম্মদ(সা)কে তাদের কাছ থেকে আমরা দুরে রেখেছি। নিজ শহরে স্বজাতিদের মধ্যে তিনি নিরাপদে আছেন। তিনি বর্তমানে তোমাদের কাছে যেতে চান। তোমাদের সাথে মিশতে চান, যদি তোমরা তাঁর নিরাপত্তা দিতে এবং বিরোধী পক্ষের হামলা থেকে তাঁকে হেফাজত করতে পারো তবে বলার কিছু নেই। তোমরা যে দায়িত্ব নিয়েছো, সে সম্পর্কে তোমরাই ভাল জানো। কিন্ত যদি তাঁকে ছেড়ে যাওয়ার চিন্তা করে থাকো, তবে এখনই চলে যাও। কেননা তিনি স্বজাতীদের মধ্যে নিজ শহরে নিরাপদেই আছেন। তারঁ সম্মানও এখানে রয়েছে।
হযরত কা’ব (রা) বলেন, আমরা হযরত আব্বাস কে বললাম যে, আপনার কথা আমরা শুনেছি। “হে আল্লাহর রসুল এবার আপনি কথা বলুন। আপনি নিজের ও আপনার প্রতিপালকের জন্য আমাদের কাছ থেকে যে অঙ্গিকার নিতে চান, তাই নিন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কথা বলা শুরু করলেন, তিনি প্রথমে কোরআন তেলওয়াত করলেন। আল্লাহর প্রতি দাওয়াত দিলেন। এরপর বাইয়্যেত হলো।